: চাল
বিদিশা নাথ
দু মুঠো চালে কতটুকু ভাত হয় জানা নেই।
বাসনে ধরে না যতটা,
হাঁড়িতে উপচায় না যতটা,
মা বলে গেছে দু মুঠোই নিতে হাতে।
মা-র শাড়িটা একটু কম ছেঁড়া আজ,
ঘরে আজ তেলের গন্ধ ভাসছে,
চুলে মেখে মা আজ বেরিয়েছে।
দু মুঠো চালে কোন পেট টা ভরে জানা নেই,
বড়-র ,মেজ-র না সেজ-র!
মা বলে গেছে বড় কে দিতে বেশী টা।
মা জানে ওর চামড়া কত নরম।
মা জানে পরের দিন ছেঁড়া শাড়ী টা
বড়-ই পরবে।
বড়-র চামড়া খুব নরম।
বিশ্বাস ভাঙার আগে
~বিদিশা নাথ
বিশ্বাস ভাঙার ঠিক আগে,
অবাঞ্ছিত কোনো শব্দ হয়না।
তারপর একদিন বেশ সাজানো গোছানো একটা মোড়কে,
মৃত হৃদয় জড়িয়ে আমি,
শেষমেশ প্রেমিকার বাড়ি ফেলেই এলাম।
একটা ছুরি দিয়ে বললাম,
"নাও এবার তো পারবে!
যত্নে খোদাই করতে!
খোদাই করো অজন্তার কারুকার্য,
খোদাই করো ইলোরার ভাস্কর্য, যত্নে;
খুব যত্নে কেটে কেটে বসাও
সূর্যমন্দিরের ঢলে পড়া
সূর্যের শেষ ছাপ"।
তোমার গোপন আশ্লেষ ভরা চোখ দেখে,
কষ্ট হয়নি আমার!
শুধু কান পেতে শুনছিলাম
কই কোথাও আওয়াজ হল না তো!
ও! আমি তো ভুলে গেছিলাম,
বিশ্বাস ভাঙার পরেও ,
কোনো টুকরো,বাজে,অতিরিক্ত আওয়াজ হয় না!
ক্ষুধা
~বিদিশা নাথ
লাইনের আমি, চটপট ঝটপট।
ফেলো কড়ি মাখো তেল,কাজ সারো।
শেষ করো ভুয়ো দাপাদাপি,
ঠোঁটে কামড় দেওয়া শুকনো রক্ত,
বুকের খাঁজে আঁচড়,
কপালের কোণে একটা অবাঞ্ছিত কালশিটে দাগ,
সব নিয়ে সেজে দাঁড়িয়ে
লাইনের আমি,
খকখক, ঘঙঘঙ কাশির আওয়াজ চাপা পড়ে,
বিকৃত চিৎকার আর শীৎকারে।
সব ঢাকা দিয়ে দোমড়ানো শরীর ,
আর কুঁচকানো নোটের তাড়া নিয়ে,
লাইনের আমি।
বাড়ি যেতে হবে,
জলন্ত কিছু শ্বদন্ত-এর সামনে দিয়ে,
লাইনের আমি,
শেষরাতে তবু ওরাই আমার সম্বল
বিদিশা নাথ
দু মুঠো চালে কতটুকু ভাত হয় জানা নেই।
বাসনে ধরে না যতটা,
হাঁড়িতে উপচায় না যতটা,
মা বলে গেছে দু মুঠোই নিতে হাতে।
মা-র শাড়িটা একটু কম ছেঁড়া আজ,
ঘরে আজ তেলের গন্ধ ভাসছে,
চুলে মেখে মা আজ বেরিয়েছে।
দু মুঠো চালে কোন পেট টা ভরে জানা নেই,
বড়-র ,মেজ-র না সেজ-র!
মা বলে গেছে বড় কে দিতে বেশী টা।
মা জানে ওর চামড়া কত নরম।
মা জানে পরের দিন ছেঁড়া শাড়ী টা
বড়-ই পরবে।
বড়-র চামড়া খুব নরম।
বিশ্বাস ভাঙার আগে
~বিদিশা নাথ
বিশ্বাস ভাঙার ঠিক আগে,
অবাঞ্ছিত কোনো শব্দ হয়না।
তারপর একদিন বেশ সাজানো গোছানো একটা মোড়কে,
মৃত হৃদয় জড়িয়ে আমি,
শেষমেশ প্রেমিকার বাড়ি ফেলেই এলাম।
একটা ছুরি দিয়ে বললাম,
"নাও এবার তো পারবে!
যত্নে খোদাই করতে!
খোদাই করো অজন্তার কারুকার্য,
খোদাই করো ইলোরার ভাস্কর্য, যত্নে;
খুব যত্নে কেটে কেটে বসাও
সূর্যমন্দিরের ঢলে পড়া
সূর্যের শেষ ছাপ"।
তোমার গোপন আশ্লেষ ভরা চোখ দেখে,
কষ্ট হয়নি আমার!
শুধু কান পেতে শুনছিলাম
কই কোথাও আওয়াজ হল না তো!
ও! আমি তো ভুলে গেছিলাম,
বিশ্বাস ভাঙার পরেও ,
কোনো টুকরো,বাজে,অতিরিক্ত আওয়াজ হয় না!
ক্ষুধা
~বিদিশা নাথ
লাইনের আমি, চটপট ঝটপট।
ফেলো কড়ি মাখো তেল,কাজ সারো।
শেষ করো ভুয়ো দাপাদাপি,
ঠোঁটে কামড় দেওয়া শুকনো রক্ত,
বুকের খাঁজে আঁচড়,
কপালের কোণে একটা অবাঞ্ছিত কালশিটে দাগ,
সব নিয়ে সেজে দাঁড়িয়ে
লাইনের আমি,
খকখক, ঘঙঘঙ কাশির আওয়াজ চাপা পড়ে,
বিকৃত চিৎকার আর শীৎকারে।
সব ঢাকা দিয়ে দোমড়ানো শরীর ,
আর কুঁচকানো নোটের তাড়া নিয়ে,
লাইনের আমি।
বাড়ি যেতে হবে,
জলন্ত কিছু শ্বদন্ত-এর সামনে দিয়ে,
লাইনের আমি,
শেষরাতে তবু ওরাই আমার সম্বল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন