ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯

এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার





জলফড়িং ওয়েব ম্যগাজিন থেকে প্রথমেই আপনাকে জানাই নমস্কার।

অতনু বর্মনঃ- নমস্কার 🙏

১.) কবি,কৌতুক অভিনেতা,নাটুকে ছড়াকার নাকি অভিনেতা এগুলোর মধ্যে কোন বিশেষণ শুনতে ভালো লাগে নামের আগে?

উঃ- নামের আগে কিছুই শুনতে ভালো লাগেনা। আমি আগে আমি, অতনু বর্মন। পরে যার যা ইচ্ছে হয় বসাতে পারেন। শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করবো।

২.) ঠিক কত বছর বয়স থেকে লেখালেখির শুরু?

উঃ- আমার প্রথম ছড়ার বই "অঙ্কুর" ছাপা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। তখন আমি নয় বছরের। লেখালেখি তারও আগে শুরু।

৩.) মঞ্চ, থিয়েটার এসব কি ছোটো থেকেই? ইন্সপিরেশন কে?

উঃ- থিয়েটার একদম ছোটো থেকেই এবং সেক্ষেত্রে আমার মামা " প্রদ্যোৎ কুমার রায়চৌধুরী" উনি নাটক লিখতেন এবং অভিনয় করতেন তো সেক্ষেত্রে মামার একটা প্রভাব ছিল। আমার মা "পারুল বর্মন" তিনিও অভিনয় করতেন।

৪.) কৌতুক লেখা কঠিন নাকি কবিতা?

উঃ-কবিতা লেখা সব থেকে সহজ এই কারণেই যে কবিতা লেখা যায় না, সেটা হয় আর যখন হয় যখন আসে তখন সেটাকে খাতার মধ্যে লিখে ফেলাটা এমন কিছু কঠিন নয়। আর কৌতুকের ক্ষেত্রে মাথা  ঘামাতে হয়, খাটতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়,ভাবতে হয় পাঞ্চ লাইন গুলো নিয়ে কেনোনা হাসি তো বড়ো কঠিন বস্তু সহজে কেউ হাসতে চান না তো হাসানো কঠিন, হাসির লেখা লেখাও কঠিন আর কবিতা হয় না কবিতা কেউ লিখতে পারে না।




 ৪০ মিনিটের যেমন ক্লাস নিই ঠিক সেইভাবে কৌতুকের অনুষ্ঠান করে দিয়ে আসি আর তার জন্য  কোনো  প্রিপায়ারেশন প্রয়োজন হয় না







৫.) মিরাক্কেল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই কি আপনার বড়ো পর্দায় সুযোগ?

উঃ- না ঠিক মিরাক্কেল হবার পরেই নয় মিরাক্কেলের পরে একটা বেসরকারি চ্যানেলে "রাজ চক্রবর্তীর" পরিচালনায় " I LAUGH  YOU " বলে একটা নন-ফিকশন হতো, সেটাতে দুজন- দুজন করে একটা গ্রুপ থাকত এবং ১০ মিনিটের একটা করে স্ক্রীট করতে হতো যাতে অভিনয়ের  সুযোগ ছিল তো সেই প্রতিযোগিতাটিতে অন্যতম বিচারক চিলেন চিত্র পরিচালক "কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁরই মনে হয়েছিল যে তাঁর পরবর্তী ছবিতে একটা চরিত্র আমার সঙ্গে যাবে। এবং তখন উনি আমাকে সেই সুযোগটা দিয়েছিলেন, ছবিটির নাম ছিল "জ্যাকপট", সেটাই আমার প্রথম ছবি, ২০০৯ সাল।


৬.) প্রায় প্রতিদিনই আপনার অনুষ্ঠান থাকে কোনোনা কোনো মঞ্চে। একটা অনুষ্ঠানের আগে অতনু বর্মন মেন্টালি প্রিপেয়ার হতে কতক্ষণ সময় নেয়?

উঃ- প্রায় প্রতিদিনই অনুষ্ঠান থাকে ঠিকই কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই একই অনুষ্ঠান থাকে না।  যে অনুষ্ঠান গুলো থাকে আমার কৌতুকের অনুষ্ঠান সেই গুলোর জন্য কোনো প্রিপায়ারেশন লাগে না কারন আমি যেমন স্কুলে পড়াই বছরের পর বছর একই জিনিস পড়াই আমার অভ্যেস হয়ে গেছে, ৪০ মিনিটের যেমন ক্লাস নিই ঠিক সেইভাবে কৌতুকের অনুষ্ঠান করে দিয়ে আসি আর তার জন্য  কোনো  প্রিপায়ারেশন প্রয়োজন হয় না সেই মুহূর্তে দর্শকের সঙ্গে যে একটা আত্মার সম্পর্ক তৈরী হয় তারা উপভোগ করলে আমার ভালো লাগে বা আমি নিজে আমার পারফরম্যান্স আমার ভালো লাগলে তবেই তাদের ভালো লাগবে এটা আমি বুঝি আর আমার অন্য যে অনুষ্ঠান গুলো থাকে যেমন থিয়েটার অভিনয় সেক্ষেত্রে তো  প্রিপায়ারেশন প্রয়োজন আছেই, চরিত্রটাকে নিয়ে ভাবতে হয় এটা সকলেই জানেন সে গুলো হয়। আর অন্যান্য অনুষ্ঠান বলতে আর যেটা হয় আমি এবং  শ্রীমতী কাকলি দাস মিলে যে গান ও ছড়ার অনুষ্ঠান গুলো করি সেগুলোতেই যথেষ্ট  প্রিপায়ারেশন প্রয়োজন হয়েছে, বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়, দর্শকের কথা চিন্তা করতে হয় যে ঠিক কোন ধরনের গান বা কোন ধরনের ছড়া এখানে এই দর্শকদের দিলে তারা নিতে পারবে।


৭.) কৌতুক অভিনেতা আর শুধু অতনু বর্মনের মধ্যে কে বেশি বুদ্ধিমান?

উঃ- আমি তো মনে করি বেসিক্যালি দুজনেই বোকা মানে বুদ্ধিমান বলতে যা বোঝায় সেটা তো হচ্ছে বুদ্ধিমানেরা কৌতুক করে না বুদ্ধিমানেরা কৌতুক করায় এবং সেই হিসেবে আমি মনে করি মূর্খ্যতম, কিছুই জানি না, জ্ঞানবুদ্ধি কিছুই নেই প্রতি মুহূর্তে শিখছি,শিখতে শিখতে চলেছি।


৮.) আপনার প্রথম পাওয়া পুরস্কার যেটা আপনি কোনোদিন ভুলবেন না?

উঃ-  প্রথম পাওয়া পুরস্কার বলতে আমরা মামা যেদিন আমার ছোটোবেলার মনের খেয়ালে লেখা ছড়া গুলোকে একত্রিত করে একটা বই তৈরী করে উনি আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন সেটাই আমার কাছে আমার জীবনের এখনও পর্যন্ত শ্রেষ্ঠতম পুরস্কার। বইটির নাম ছিল "অঙ্কুর", ১৯৭৫ সাল, তখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি, ৯ বছর বয়স।



৯.) দীর্ঘ কয়েক বছর আর দেখা গেল না বড়ো পর্দায়। এই এতোটা সময় বড়ো পর্দায় আপনাকে আমরা পেলাম না। কারণটা কি?

উঃ- দীর্ঘ কয়েক বছর বড় পর্দায় দেখা গেলো না মানে? দীর্ঘ কয়েক বছর বড় পর্দাতেই দেখা গেছে। আপনারা যদি বলেন ছোটো পর্দায় দেখা গেলো না তবে সেটা একটা উত্তর হতে পারে । বড় পর্দা বলতে সিনেমা, এখনো পর্যন্ত এক ডজনের মত ছবি করা হয়েছে। সুতরাং বড়ো পর্দাতে আছি। প্রায় প্রতি বছর  একটা বা দুটো করে ছবিতে ছোটোখাটো চরিত্রে কাজ করছি ।


১০.)ছোটোবেলার ১লা বৈশাখের কোনো স্পেশাল  ঘটনা?

উঃ-আমদের কালের ছোটোবেলাটা আমার বয়সি সকলেরই  প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটে বা ঘটত, যেটা এখন পাল্টে গেছে। পয়লা বৈশাখ বলতেই যে ব্যাপারটা ছিল সে সময়ে একটা হালখাতার যে ব্যপার গুলো  ছিলো  সেসময় একটা আন্তরিকতার ব্যপার ছিল ওই ক্যলেন্ডার, মিষ্টি কোনো  কোনো জায়গায় সরবৎ ইত্যাদি দেওয়া হতো এই যে ব্যাপারটা ছিল এবং সেখানে ওই বিকেলবেলায় বাড়ির বড়দের কারোর সঙ্গে বেরতাম, দোকানে দোকানে ঘুরে ওই সমস্ত গুলো সংগ্রহ করে ফিরতাম আর নতুন জামা একটা হতো তো সেই সব মিলে এটা যে বিশেষত আমার ছেলেবেলার  ১লা বৈশাখ বলে কিছু নয় আমার বয়সি সকলেরই ছেলেবেলার ১লা বৈশাখ। তো সেটা একটা আনন্দ হতোই, সেটা যে কি ১ লা মানে যে আলাদা কিছু ? এটা পরবর্তী কালে মনে হয়েছে যে সেটা আলাদা কিছু নয় একটা দিনকে উদযাপন করা একটা বছরের শুরু, তো তখন তো অত বুঝতাম না তখন ভালো লাগত।




খনা দা ভালো থাকবেন কিনা সেটা নির্ভর করছে তাদের ওপরে যারা খনা দা কে ভালো রাখতে চান





১১.) একটা নতুন ছবি হচ্ছে ফেসবুকে দেখলাম,ঘোড়া ছিল। সেটা নিয়ে কিছু বলা যাবে?

উঃ- ফেসবুকে যে সিনেমা প্রস্তুতির ছবিটা দেখেছেন সেটা এখন নির্মীয়মান "অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের" পরিচালনায়। ছবিটির নাম হচ্ছে  "হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী"। একদম ছোটোদের ছবি এটার মধ্যে রাজনীতি খোঁজার কোনো অর্থ হবে না বলেই আমার মনে হয়। "দক্ষিণারঞ্জন মজুমদারের" লেখা "ঠাকুরদার থোলে" থেকে একটা গল্প নিয়ে অনিকেত চট্টোপাধ্যায় এই ছবিটা তৈরী করছেন।


★১২.) [এক কথায় বলবেন]

ক.) চৈত্রসেলে বিক্রি হচ্ছে হাতঘড়ি আর পাঞ্জাবী সবেতেই ৪০% ছাড়। কেনার জন্য যেকোনো একটা আইটেম বাছতে হবে, কোনটা কিনবেন?

উঃ- অবশ্যই পাঞ্জাবী


খ.) শ্রীজাত বন্দোপাধ্যায়।
উঃ- একজন কবি। স্মার্ট । অসম্ভব ভালো অন্তমিল নিয়ে খেলা করতে পারেন।

গ.) সত্যজিৎ রায় নাকি মৃনাল সেন?

উঃ-অবশ্যই সত্যজিৎ রায়

ঘ.) স্যার, খনা দা কেমন আছেন?

উঃ- বস্তুত পক্ষে খনা দা বলে বাস্তবিক চরিত্র নেই। খনা দা প্রতিটি মানুষের মধ্যে আছেন অর্থাৎ খনা দা হচ্ছে একজন মধ্যবিত্ত মানুষ যে জীবনের জটিলতার মধ্য দিয়ে হাস্যরস খুঁজে পায়, জীবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যে কৌতুক বোধ সেটা নিয়ে সে আনন্দ পায়। তো সেটা যখন যিনি পাবেন তাঁর ভেতরেই খনা দা জেগে উঠবে। খনা দা ভালো থাকবেন কিনা সেটা নির্ভর করছে তাদের ওপরে যারা খনা দা কে ভালো রাখতে চান অর্থাৎ আমাদের মনের যে রসবোধ সেইটাকে ভালো রাখতে চান তারা খনা দা কে ভালো রাখতে পারেন।


১৩.) বীরভূমের আহমদপুরের ছেলে অতনু বর্মন হঠাৎ টিভিতে মিরাক্কেলের জনপ্রিয় তারকা। এই সময়টা আহমদপুরে কি চলছে?

উঃ- মিরাক্কেল যখন চলছে সেইসময় আহমদপুরের কী অবস্থা সেটা বলা আমার পক্ষে খুব কটিন, মিরাক্কেল শেষ হবার পরে কী অবস্থা সেটা বরং বলতে পারি। কারণ যখন চলছে তখন আমরা তো ওখানে সুটিং-এ আছি আমরা তো জানি না বাইরে কি হচ্ছে, যারা দেখছেন তাঁরা কেমন ভাবে নিচ্ছেন বা কি ভাবছেন কতটা গ্রহণ করছেন বা কতটা  বর্জন করছেন সেটা আমরা বুঝছি না সুতরাং যখন চলছে তখন আহমদপুরের কি অবস্থা জানিনা যখন শেষ হয়েছে তারপরে দেখেছি যে হ্যাঁ মানুষের ভালোবাসা, তাদের যে কাছে টেনে নেওয়া সেটা আমি পেয়েছি।

১৪.) সেই কুয়ো যেখানে মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছিল পাঁচ মিনিটে। আপনার কিছু চাওয়ার নেই সেই কুয়োতে?

উঃ- হ্যাঁ অবশ্যই চাওয়ার আছে। আমি সেই বিদূষক যে মারতেও জানি না কাটতেও জানি না, যে শুধুমাত্র  বিধাতার আশীর্বাদে হাসতে জানি। আমার একটাই মনস্কামনা যে আমার পারিপার্শ্বিক জগত, আমার দেশ এমন একটা পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলুক যাতে আমি কখনোই হাসতে না ভুলে যায়।


১৫.) "পাবলুর মা ঘুমিং গেলা" নাকি "মালুতি-মাধব" কাকে এগিয়ে রাখবেন আপনি?

উঃ- দুটো দু-ধরণের কবিতা , দুটোর বিষয় বস্তু আলাদা ভাব এবং ভাবনাও আলাদা, সুতরাং এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখার কোনো জায়গা নেই। সেটা  তাদের নিজেদের গুণে তারা নিজেরা এগিয়ে আছে। কথা হচ্ছে শ্রোতা বা পাঠক কোনটাকে এগিয়ে রাখবেন সেটা তাঁদের ভাবনার বিষয়,  আমার কাছে দুটোই এগিয়ে আছে।

★১৬.) [একজনকে বাছতে হবে]

ক.)রাজ চক্রবর্তী নাকি শ্রীজিত মুখার্জি?

উঃ-শ্রীজিত মুখার্জি


খ.) দেব নাকি ঋদ্ধি সেন?

উঃ-ঋদ্ধি সেন


গ.) শান্তিলাল মুখার্জি নাকি ঋতব্রত মুখার্জি?

উঃ-শান্তিলাল মুখার্জি


১৭.)মিরাক্কেল এখন বাড়ীর সবার সাথে বসে দেখা যায় না। এ বিষয়ে শিক্ষক অতনু বর্মনের কি মনে হয়?

উঃ- এটাতো আপনারা বলেইছেন যে সবার সঙ্গে বসে দেখা যায় না। আপনারা বলেছেন আমি বলিনি, আমি সহমত পোষন করছি মাত্র।






১৮.) আপনার চোখে "মীর"?

উঃ- "মীর" অতন্ত রসবোধ সম্পূর্ণ, অতন্ত পড়াশোনা করা একজন মানুষ এবং বাংলা সঞ্চালনার যে জগতটা সেটাকে উনি একটা উচ্চতম স্তরে নিয়ে গিয়েছেন।

★[ অতনু বর্মনের পছন্দ ]

১.) প্রিয় রঙ
উঃ- নীল

২.) প্রিয় পোশাক
উঃ- পাঞ্জাবী

৩.) প্রিয় খাবার
উঃ- প্রিয় খাবার বলতে কী সেটা ঠিক আমি বুঝিনা কেনোনা সেই অর্থে খাওয়াটা আমার কাছে মুখ্য নয় জীবন ধারণের একটা বিষয় মাত্র সেই হিসেবে খেতে হয়, খিদে পেলে খাই এবং প্রচন্ড খিদের সময় যদি পেট ভরবে এমন যে কোনো খাবারই আমার প্রিয়।


৪.) প্রিয় শহর
উঃ- প্রিয় শহর কলকাতা


৫.) নিজের প্রিয় লেখা
উঃ- নিজের প্রিয় লেখা বলতে আমি এখনও আমার সেই লেখাটা লিখে উঠতে পারিনি যেটা আমার সব থেকে প্রিয়, লিখে চলেছি।

৬.) কেউ যদি আপনার লেখা বই কিনতে চায় তাহলে কোন বইটা কিনতে বলবেন এক বাক্যে?
উঃ- "খোলা হাওয়া" বলে আমার একটি  বই আছে ওটাই কিনতে বলব।

৭.) নিজের গ্রাম
উঃ- নিজের গ্রাম আহমদপুর। বীরভূম জেলার একটি মফঃস্বল, আধা গ্রাম-আধা শহর আহমদপুর।

৮.) প্রিয় বন্ধু
উঃ- প্রিয় বন্ধু বই।

★কবি অতনু বর্মনের জলফড়িং'র প্রতি শেষ বার্তা?

কবিঃ- জলফড়িং-এর বিপুল প্রসার কামনা করি। ভালো থাকুন আপনারা।



[ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জলফড়িং ওয়েব ম্যাগের ইন্টারভিউ সেকশন এডিটর সুদীপ্ত সেন(ডট.পেন) এবং টাইপে সহযোগিতা করছেন জলফড়িং'র দৈনিক সম্পাদক অরূপ সরকার ]


       



২টি মন্তব্য:

  1. অসাধারণ লাগলো। আরও অনান্য ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারের অপেক্ষাই
    রইলাম। আর জলফড়িংকে অনেক ধন্যবাদ এরকম মূল্যবান উপহার দেওয়ার জন্য।

    উত্তরমুছুন
  2. বাহ দারুণ সুন্দর একটা উপহার দিলে আমাদের জলফড়িং

    উত্তরমুছুন