নন্দিনীর স্বপ্ন
অফিসের পাশেই ঝাঁ চকচকে বার কাম রেস্টুরেন্ট "বি- সিক্স"। মদ্যপানে অভ্যেস না থাকলেও অমিত ফাস্টফুড খেতে খুব ভালোবাসে। তাই মাঝেমাঝেই চলে যায় দুপুরের দিকে হালকা স্যান্ডউইচ বা চাউমিন খেতে। এরকম ভাবেই একদিন নতুন ওয়েটার নন্দিনীর সাথে আলাপ। এমনিতে নতুন বন্ধু বান্ধবী তৈরিতে অমিতের জুড়ি মেলা ভার। প্রথমদিন নন্দিনীকে দেখেই অমিতের বেশ ভালো লেগে গেছিল। প্রায় রেগুলার কাস্টমার হওয়ার দরুন ফোনে নম্বর সহজেই আদানপ্রদান হলো।অমিতের মতো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী তার নম্বর নেওয়াতে নন্দিনীর খুব অবাক লেগেছিল। তার মতো এক নিম্নশ্রেণীর মানুষ, যাকে সুন্দর সাজপোশাক পরে ওয়েটারের কাজ করতে হয়, তার সাথে এতটা যেচে আলাপ, রাতে ঘরে ফিরে বৃদ্ধ বাবাকে খেতে দিয়ে আয়নার সামনে অনেকদিন পর নন্দিনী নিজেকে দেখলো ভালো করে, একটা লাল টিপ পরে।
অল্পবয়সে মা মারা যাওয়ার পর এবং বাবার মিলের চাকরি চলে যাওয়ার পর, বোনেদের বিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিজের জীবনের সব আশা আকাঙ্খাকে নন্দিনী জলাঞ্জলি দেয়। অনেকদিন বাদে কেউ যেচে তার নম্বর নেওয়াতে একটু বেশি উত্তেজিত ও খুশি যেন সে আজ। রাত 12 টার সময়ে হটাৎ হোয়াটসআপে প্রথম মেসেজ আর সহসা এক শীতল আবেশে ভেসে গেল নন্দিনী, অনেকদিন বাদে।বন্ধুত্ব গড়ালো অনেকদূর। হোটেলে আলাপ হয়ে একসাথে ঘুরতে যাওয়া, প্রিন্সেপ ঘটে আড্ডা, লেক কালিবাড়িতে পুজো দেয়া বা ইলিশ উৎসবে সুন্দরবনে একদিনের ট্রিপ, নন্দিনী হটাৎ অনুভব করলো জীবন বড্ডো পরিবর্তনশীল।
জীবন পরিবর্তনশীল ছিল, অনেকটা নিষ্ঠুরভাবে । যেদিন নন্দিনীর সাথে দেখা করে অমিত জানালো যে সামনের মাসে তার বিয়ে, বিয়ের পর সে আমেরিকা যাচ্ছে পি এইচ ডি করতে, যেখানে তার হবু স্ত্রী তথা 5 বছরের পুরানো গার্লফ্রেন্ড শ্রীতমা মাস্টার্স করে চাকরি করছে। হ্যাঁ, নন্দিনী শুধু বলতে পেয়েছিল যে ভালো থেকো, বাকিটা বলতে পারেনি, মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেছিল। তার মনে হয়েছিল যে হোটেলের ওয়েটাররা শুধু বাবুদের সময় কাটানোর মাধ্যম, তাদের কি আদৌ স্বপ্ন দেখার যোগ্যতা আছে ? ঈশ্বর কি আদৌ তাদের প্রতি সদয়? সবাই শ্রীতমা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না, যোগ্যতা এখন ভালোবাসা দিয়ে হয় না, হয়তো সামাজিক স্ট্যাটাস টাই আসল।
অফিসের পাশেই ঝাঁ চকচকে বার কাম রেস্টুরেন্ট "বি- সিক্স"। মদ্যপানে অভ্যেস না থাকলেও অমিত ফাস্টফুড খেতে খুব ভালোবাসে। তাই মাঝেমাঝেই চলে যায় দুপুরের দিকে হালকা স্যান্ডউইচ বা চাউমিন খেতে। এরকম ভাবেই একদিন নতুন ওয়েটার নন্দিনীর সাথে আলাপ। এমনিতে নতুন বন্ধু বান্ধবী তৈরিতে অমিতের জুড়ি মেলা ভার। প্রথমদিন নন্দিনীকে দেখেই অমিতের বেশ ভালো লেগে গেছিল। প্রায় রেগুলার কাস্টমার হওয়ার দরুন ফোনে নম্বর সহজেই আদানপ্রদান হলো।অমিতের মতো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী তার নম্বর নেওয়াতে নন্দিনীর খুব অবাক লেগেছিল। তার মতো এক নিম্নশ্রেণীর মানুষ, যাকে সুন্দর সাজপোশাক পরে ওয়েটারের কাজ করতে হয়, তার সাথে এতটা যেচে আলাপ, রাতে ঘরে ফিরে বৃদ্ধ বাবাকে খেতে দিয়ে আয়নার সামনে অনেকদিন পর নন্দিনী নিজেকে দেখলো ভালো করে, একটা লাল টিপ পরে।
অল্পবয়সে মা মারা যাওয়ার পর এবং বাবার মিলের চাকরি চলে যাওয়ার পর, বোনেদের বিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিজের জীবনের সব আশা আকাঙ্খাকে নন্দিনী জলাঞ্জলি দেয়। অনেকদিন বাদে কেউ যেচে তার নম্বর নেওয়াতে একটু বেশি উত্তেজিত ও খুশি যেন সে আজ। রাত 12 টার সময়ে হটাৎ হোয়াটসআপে প্রথম মেসেজ আর সহসা এক শীতল আবেশে ভেসে গেল নন্দিনী, অনেকদিন বাদে।বন্ধুত্ব গড়ালো অনেকদূর। হোটেলে আলাপ হয়ে একসাথে ঘুরতে যাওয়া, প্রিন্সেপ ঘটে আড্ডা, লেক কালিবাড়িতে পুজো দেয়া বা ইলিশ উৎসবে সুন্দরবনে একদিনের ট্রিপ, নন্দিনী হটাৎ অনুভব করলো জীবন বড্ডো পরিবর্তনশীল।
জীবন পরিবর্তনশীল ছিল, অনেকটা নিষ্ঠুরভাবে । যেদিন নন্দিনীর সাথে দেখা করে অমিত জানালো যে সামনের মাসে তার বিয়ে, বিয়ের পর সে আমেরিকা যাচ্ছে পি এইচ ডি করতে, যেখানে তার হবু স্ত্রী তথা 5 বছরের পুরানো গার্লফ্রেন্ড শ্রীতমা মাস্টার্স করে চাকরি করছে। হ্যাঁ, নন্দিনী শুধু বলতে পেয়েছিল যে ভালো থেকো, বাকিটা বলতে পারেনি, মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেছিল। তার মনে হয়েছিল যে হোটেলের ওয়েটাররা শুধু বাবুদের সময় কাটানোর মাধ্যম, তাদের কি আদৌ স্বপ্ন দেখার যোগ্যতা আছে ? ঈশ্বর কি আদৌ তাদের প্রতি সদয়? সবাই শ্রীতমা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না, যোগ্যতা এখন ভালোবাসা দিয়ে হয় না, হয়তো সামাজিক স্ট্যাটাস টাই আসল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন