ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯

বীর শহীদের কফিনে জানাই প্রণাম

সম্পাদকীয়,
        আমরা এই সংখ্যা বহু আগেই করতাম কিন্তু এমনি একটা পরিস্থিতি ছিল এতো ব্যথিত ঘটনা যেটার ওপর ভর করে শহীদ সংখ্যা প্রকাশ করতে গিয়েও করতে পারিনি।
তাই আজ করেছি কারণ আজ আমরা বুক চিতিয়ে বলতে পারি আমরা ভারতীয় আমার জবাব দিতে পারি পাল্টা।
আর এই সংখ্যায় যে সমস্ত লেখক লেখিকা কলম ধরলেন তাদের প্রতি থাকলো আমাদের শ্রদ্ধা।
সেই সঙ্গে জানিয়ে রাখি জলফড়িং ১ম বর্ষ প্রিন্টেড বেশ কিছু লেখক এবং সাধারণ পাঠকদের বিক্রি করে আমাদের প্রথম উপার্জন ৩ শত টাকা যার পুরোটাই আমরা পাঠিয়ে দেব শহীদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি, তার কাজ চলছে।
এটা বলার কারণ দেখানো নয় জানিয়ে রাখা মাত্র।
জয় হিন্দ

-----------------------------------------------
শহীদ
---------সুষ্মিতা কর
বদলে গেল ঠিকানা
      বিস্ফোরণের থাপ্পড়ে
হারিয়ে গেল স্বপ্ন
      ধোঁয়া উড়িয়ে...
ছিন্নভিন্ন প্রাণ
       আজ চেনা বড় দুষ্কর
কফিন বন্দী শেষযাত্রা
       তেরঙ্গার চাদরে...
মরে না শহীদরা,
       দেশমাতার কোলে নিদ্রায় তারা।
শস্যশ্যামলা মায়ের
     হে বীরগণ
           নমস্য নতমস্তকে।
--------------------------------------------
*"বীর সৈনিক"*
সূর্যাস্তের গোলাপ রঙের গোধূলি কিম্বা সূর্যোদয়ের শিশিরভেজা সকাল উপহার দাও তোমরা ভারতবাসীকে রোজ,
আমরা ঘুমায় বেশ অনেকখানি শান্তিতে কারণ তোমরা জাগছো দিন রাত,
হে ভারত মায়ের বীর সন্তান,
গভীর ঘুমে চোখের শিরা লালচে হলেও
দেশ বাঁচাবার প্রতিজ্ঞা নাও মনের কোণে,
সেদিন তোমরা বিকাল বেলা মৃত্যুমুখী,
শহীদ হলে দেশ বাঁচাতে প্রাণ পনে।
সেদিন যখন প্রেমের দিনে ব্যস্ত সবাই
গোলাপ ফোটায় প্রিয়জনের উষ্ণ ঠোঁটে,
তোমরা সেদিনও দেশের জন্য করছো লড়াই,
বীর শহীদের রক্তে যেন গোলাপ ফোটে।
প্রণাম জানাই তোমরা মোদের রক্ষাকবচ,
তোমরা মানুষ এই পরিচয় বীর  সৈনিক,
আমরা ভারত মাতার বুকে শান্তি পাচ্ছি,
কারণ,
তোমরা থাকো সীমান্ততে রোজ দৈনিক।
জয় হিন্দ।
*চঞ্চল ভট্টাচার্য* ।
-----------------------------------
তোমাকে আমরা ক্ষমা  করবো না পাকিস্তান।
পাকিস্তান তুমি জানো না
আর ভালোবাসা নয় ,শান্তি নয়।
তুমি আমাদের হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়েছো
এবার প্রতিশোধের আগুন জ্বলবে
সেই আগুনে তোমরা ছারক্ষার হবে
এটাই সকল ভারতবাসীর প্রতিজ্ঞা।
পাকিস্তান তুমি জানো না
তুমি কাদের সাথে পাঙ্গা দিয়েছো।
পাকিস্তান তুমি জানো না যে
তুমি ভারতের একটা কোণেরও যোগ্য নও
পাকিস্তান তুমি জানো না
তুমি কাদের প্রাণ নিলে
পাকিস্থান তুমি জানো না
তুমি কত মায়ের কল করলে শূন্য
কত মাকে করলে সন্তান হারা
কত স্ত্রীকে করলে স্বামী হারা
কত সন্তান হল পিতৃহারা।
কত মানুষকে করলে প্রিয়জন হারা-
এর প্রতিশোধ আমরা নেবো।
পাকিস্তান তুমি জানো
যে দেশে গান্ধীজির আবির্ভাব
সেই দেশে নেতাজীর নয় কম অবদান
আমরা যেমন এক গালে চড় খেয়ে
অন্য গালটি পেতে দি
শুধুমাত্র শান্তির নিরিখে।
আমরা যদি ঠিক করি প্রতিশোধ নেব
তাহলে তোমার ইট ছুড়লে
আমরা পাটকেল ছুড়বো।
তোমরা বিস্ফোরক ঘটিয়ে
শান্তিতে থাকতে পার না।
শান্তিতে থাকতে দেব না।
পাকিস্তান তুমি জানো না
ভালোবাসায় আমাদের হৃদয় যতটা নরম
ঘৃণায় হৃদয় তার অধিক পাষাণ।
পাকিস্তান তুমি নিজেও জানো না
তুমি কি করেছ
তুমি বিস্ফোরক ঘটিয়ে
দেশ রোক্ষকদের প্রাণ নিলেও
তাঁরা প্রাণ দিয়েও বীর
তোমাদের মত কাপুরুষ নই।
বীর পুরুষদের মৃত্যু হয় না
হে জওয়ান তোমরা অমর ।
তোমাদের দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন
তোমাদের দেশভক্তি ,দেশপ্রেম
তোমাদেরকে অমর করে করে রাখবে।
যাঁরা দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন
সেই সব বীর শহীদদের শতকোটি প্রণাম।
                         (লেখায়- বেবী পোদ্দার)
--------------------------------------
সৈনিক হয়েই আসবো আবার
মনোজ কুমার রথ
তুমি কাঁদছো,
তোমরা ?
অশ্রু তো হয়েছে বাস্পীভুত
দীর্ঘ ক্রন্দনে,
হয়ে গেছে মরুভূমি বিয়োগ ব্যথায়;
তোমায় ছেড়ে,
তোমাদের থেকে চলে গেছি
ভূস্বর্গ থেকেই ওদের অতর্কিত আক্রমনে ওই ভুবনডাঙায় ।
চলে গেছে নশ্বর দেহখানি,
পাথর হয়েছে চক্ষু একজোড়া;
অবিনশ্বর আত্মা শোনো ঘুরছে ফিরে ফিরে,
সজাগ দৃষ্টি তার রক্ষক তোমাদের-
জন্মান্তরের জটিল নিয়মে
আসবো ফিরে এই ভারতভূমে,
জংলা রঙের ওই পোশাকটাই
থাকবে কলেবরে-
হাতে অস্ত্র,
উন্নত শীর সৈনিক নির্ভীক ।
----------------------------------

       
        
জেহাদের শব্দগুলো
-----------অমিতাভ দাস
আমি শুধু দেখেছিলাম মায়ের চোখ,
ছেলের কফিনের দিকে চেয়ে খুঁজে চলেছে আঁতুরের গন্ধ!
আমি শুধু দেখেছিলাম স্ত্রীর ধ্বংসাবশেষ বুক,
স্বামীর ছিন্নভিন্ন ইউনিফর্মের ওপর বিছিয়ে দিচ্ছে ভেঙে পড়া ভবিষ্যত।
আমি শুধু দেখেছিলাম একটা কচি মুখ,
বাবা'র মাংসপিন্ড ঢাকা তেরঙ্গায় হাত বুলিয়ে স্পর্শ মেখে নিচ্ছে শেষবারের মতো।
আমি শুধু একবার,শুধু একবার সমস্ত হানাদারদের বসাতে চাই মায়ের চোখ,স্ত্রীর বুক আর কচি নিঃস্পাপ মুখের সামনে,
আর শুনতে চাই তাদের মিথ্যা জেহাদের ভেঙে পড়ার শব্দগুলো....।
-----------------------------------
    মৌনতা
একমুঠো পছন্দ কিনেছি পাহাড়ী মেলা থেকে,
শব্দ ফুরোলে  আড়াল করে দেখবো।
যুদ্ধশেষে তোমার নিঃশ্বাসটা আমায় দিও।
মায়ের চোখ বেয়ে এক ফোঁটা জল,
কফিনের ঢাকনাতে টুপটাপ শব্দ,
আমার আজ মৌন ব্রত।
সীমান্তে আজও রক্তবর্ষন হবে,
থমকে যাবে চলাচল,
শুধু উঠোনটায় রয়ে যাবে আমার অপেক্ষা।
অতনু রায়
-------------------------------
শেষের চিঠি
জয়দীপ রায়
প্রতীক্ষার বুকে লেখা হয়েছিল
কোন এক বিকেলের রোদ
জরুরী তলব
এবার বুঝি যেতেই হবে
সীমান্তের ওই ঘরটার কাছে
শুকিয়ে গেছে তালার উপর
লেগে থাকা ক্ষতের দাগ
ছেড়া উর্দির এক টুকরো কাপড়
তার পকেটে ছিল একটা উদ্দেশ্যের জরিপ
বদলি হয়ে এসেছি আগের মানুষটার
ঘরে ফেরার পর,
স্তব্ধ উপত্যকার মাঝে খোশমেজাজে
সাদা বরফের দেশ মাতবে রঙে
তবে শহরটা ঘুমানোর পর
আজানের শব্দ ভেঙে
জন্ম নেবে হাজারো শব্দ হাজারো শিশুর কান্না
রাতেই তাদের হবে অভিষেক
বরফের বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে
জরায়ুর বেশে রক্তের আয়ুরেখা
কাল হয়তো লিখবে শেষের চিঠি
কারোর ঘরে ফেরার নয়তো ইতির শনাক্তকরনের।
--------------------------------------
তোমরা বোঝাও দেশপ্রেম
পাখি পাল
দেশ কে যারা রক্ষা....
করে চলেছে প্রতিনিয়ত,
বিপদ সম্মুখে দাঁড়িয়ে তারাই
সহ্য করছে গুলির ক্ষত,
মৃত্যু হঠাৎ ছদ্মবেশে যখন
আসে ভয়ংকর বিস্ফোরণে,
কেড়ে নেয় তাজা প্রাণ
মূর্খ শত্রুর আক্রমনে,
সেই রক্তের ছাপ থেকে যায়
অসংখ্য দেশবাসীর হৃদয়ে,
যারা হয়তো থাকতে পারেনা
তাদের শেষ বিদায়ে,
তবু তারা শ্রদ্ধা জানাতে
বাতির মিছিল করে,
তোমরা বোঝাও দেশপ্রেম
এই বদ্ধ মনের ঘরে....।।
---------------------------------
প্রতিশোধ
নীলমেঘ
তোমার আঁচলে রক্তের ঋণ বাঁধা
তোমার দু'চোখে কান্নারা দেয় হানা!
আমার ভাইয়েরা ঘুমায়ে পথের শেষে
কালো অধ্যায়ে গেঁথে আছে পুলওয়ামা।
শূয়রেরা আজ পরেছে জয়ের টীকা
ওই শোনা যায় তাদের জয়ধ্বনি
মাটির বিছানা অশ্রুতে ভিজে এলে
আবির সন্ধ্যা ঢেকে দেয় মরুভূমি!
কফিন বন্দি ক্ষতের পাহাড়গুলো
ঝরনার মতো প্রতিশোধ আনে বয়ে,
তেরঙ্গা ওড়া খোলা রাজপথ জুড়ে
মোমবাতিটাও জ্বলে ওঠে নির্ভয়ে।
বদলের কথা আলনায় তুলে রাখো
বদলার নেশা হৃদয় জাপটে থাকে,
তেত্রিশ কোটি সন্তান তোর মাগো
নতুন একটা ভারতবর্ষ আঁকে।
------------------------------
পরিস্থিতি
রক্তাক্ত অর্ধ শতাব্দীর শব্দময় শেকড়ে ঘূর্ণায়মান খন্ড খন্ড বস্তুপুঞ্জের ছায়ায় পৃথিবীর স্বরূপদর্শনে বিধ্বংসী প্রবণতার নাগপাশে
                  রক্তমাটি
                       ভা
                       ঙা
            স্তূপীকৃত খুলিনদী
বজ্রপোড়া গাছের নীচে শুকনো মাটিতে পড়ে থাকা মরা রোদের চামড়া ফাটা লাশ ছুঁয়ে অন্তহীন গহীনে ঢুকে যায় ক্রমে আঁধার জীবনের চাঁদ
                                ভা
                                ঙা
                               পাখি
আগুনের নগ্ন শিখায় পোড়া বাতাসে নিস্তব্ধতার দেহ চিরে বেরিয়ে আসে পশ্চিমে ঝুঁকে পড়া শূন্যে হাজার হাজার অস্পষ্ট চা
           পা
      ক্রন্দনধ্বনি
অন্তর্লীন চেতনার উড়ন্ত ডানায় প্রতি মুহূর্তে বেঁচে থাকার ভয়ার্ত স্বপ্ন শ্যামলা রঙা উদগিরণ নে
                      মে
                    আসে
ঘুণেধরা মগজের অস্পষ্ট ছায়া স্নায়ুর ভাঁ
         জে
               ভাঁ
                  জে
রক্তপ্লুত মরচে ওঠা প্রতিটি গরাদের অন্ধকূপে দৃষ্টিহীন অসহায় শরীরগুলো ঝরা
                            হৃৎ
                          বৃক্ষের
পাতায় উড়ে যায়
                         এ
                            কে
                    এ
                        কে
বন্ধ নিঃশ্বাসের
               সিঁড়িভাঙা খেলায় ।
                @জি কে নাথ
-----------------------------------------
কফিন
মোহর
আমার  দুহাত  শূণ্য
শূন্যতা  চারদিকে
তুমি যাওয়ার সময়  যুদ্ধ  শেষে  ফিরে আসার  প্রতিশ্রুতি  দিলে
আমি  সে  প্রতিশ্রুতি  নিয়ে  বসে  রইলাম
ফিরলে না তুমি -ফিরল  তোমার  নিথর  দেহ
শহীদ  তুমি -এ আমার  গর্ব
চারদিকে শূন্যতার  মধ্যেও-আমি পূর্ণতা লাভে সক্ষম
হ্যাঁ বলছি  এ কথা
দেশের  কাজে  তোমার  জীবন  গেছে
এমন হারানোর  মাঝে  বিরাট  পাওয়া আছে
শূন্যতা মাঝে  পূর্ণ  আমি
পূর্ণ তোমার  পরিচয়ে
---------------------------------
আমি সৈনিক
আমি সৈনিক আমি মর্যাদার
আমি সৈনিক আমি গৌরবের ।।
আমি নির্ভীক আমি মাতৃ মন্ত্রে দীক্ষিত
আমি চলি সন্মুখ পানে
বজ্র হস্তে শত্রু দমনে।
আমি অস্ত্র হাতে করি নিত্য
চামুণ্ডা ভৈরবীর বেশে দেশ -দেশান্তরে
যুগ হতে যুগান্তরে দৃঢ় সংকল্পে
আমি অগ্নী হস্তে বিনাশ করি ...
আমার ধারিত্রী মায়ের সম্মান লুণ্ঠন কারির ।
যুগ হতে যুগে যুগে রন সজ্জায় আমি সজ্জিত ।
সজ্জিত আমি, মাতৃ মন্ত্রে উজ্জীবিত আমার গৌরবে
শোণিত ভেজা মায়ের আঁচলে আমি বিশ্রামে যায় কখনো বা অকাল নীরবে....
গৌরব গাঁথা সথীর্থে করি আমি আলিঙ্গন
মৃত্যুকে পদাঘাত করি আমার সৌর্যে।

মুক্তির প্রেম শুনি মৃৎ রন সজ্জায়
উড়িয়া ধরি বিজয় পতাকা
মাতৃ জঠরে আমি আবার জন্ম নেব বারংবার ।
রন সজ্জায় রনভূমে করিব বিশ্ব জয়
আমি সৈনিক এটাই আমার প্রথম পরিচয় ।
                        @ দুলাল চন্দ্র দিগার
-----------------------------------
যুদ্ধ
গোপন ষড়যন্ত্রে শহীদের রক্তে,
সীমান্তের মাটি যতই লাল হোক –
সেনা তবু হাঁটে না পিছু
তোমার, আমার, সমগ্র দেশের
নিরাপত্তা রক্ষার কঠিন শপথে।
তবু, ওরা শহীদের রক্ত দেখিয়ে
নির্লজ্জের মত রাজনীতি করে,
গদি বাঁচানোর ছক আঁটে,
অ-মীমাংসার তরজায় মত্ত হয়
বিরোধীর সাথে।
এইসব দেখে দেখে সমস্ত সভ্য মানুষ
আজ বড়ই হতাশ ও বিচিন্তিত।
সমগ্র দেশে তাই আগুন জ্বলে ওঠে
বোধে, প্রতিবাদে, প্রতিশোধে,
নিন্দায়, শোকে . . .
দাবী ওঠে – যুদ্ধ চাই যুদ্ধ চাই . . .
এবার তবে শুরু হোক যুদ্ধ,
                         শেষ যুদ্ধ . . .
যেভাবেই হোক যুদ্ধটা খুব দরকার।
যুদ্ধটা শুধু বোমা-গুলি-বারুদ হাতে
সীমান্তে নয়, সীমান্ত পেরিয়েও নয়,
খুনের বদলে খুন নয়,
শুধু প্রতিশোধে-প্রতিবাদে নয় -
যুদ্ধটা চৈতন্যের, যুদ্ধটা সত্যের,
যুদ্ধটা মানবতার, যুদ্ধটা নিরাপত্তার,
যুদ্ধটা দায়িত্ব পালনে
যুদ্ধটা সেনাশ্রদ্ধায়, শহীদের সম্মান রক্ষায়।
যুদ্ধটা প্রয়োজন
দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে --
যুদ্ধটা প্রয়োজন মানুষ হয়ে থাকতে,
যুদ্ধটা প্রয়োজন
আগামীর জন্য দেশটাকে স্বর্গ বানাতে।
@বিধান চন্দ্র রায়
--------------------------------------
স্মরণ অর্ঘ‍্য
--------------ভারতী ধর
দেশমাতৃকার পূজার অর্ঘ্য সাজাতে
যাদের জীবন প্রদীপ জ্বাজল্যমান,
তাদের তরে শ্রদ্ধা জানাতে
যা কিছু দিই হয় কম প্রমাণ ।
কাঁদিছে আকাশ কাঁদিছে বাতাস
কাঁদিছে জননীর শূন্য কোল,
শ্বাস নালীর শ্বাস তঞ্চনে
অশ্রুধারা উতরোল।
১৪ই ফেব্রুয়ারী কালোদিন বলে
পালন হবে চিরকাল ,
এই টুকু জেনো শহীদ বন্ধু
অবনমিত হবে পতাকা-পাল।
------------------------------------------
◆◆◆◆◆ শহীদকথা  ◆◆◆◆◆


কফিনবন্দী ছিন্ন দেহ
রক্তে ভেজা চোখ,
কষ্ট জমুক আগুন বুকে
চাইনা কোনো শোক।
প্রেমর দিনে শপথ কোরো
প্রেমিক যত জওয়ান,
কাঁধ মিলিয়ে বদলা নেবো---
" ইয়ে হামারা হিন্দুস্তান "।
গ্রেনেড কিম্বা মাইনস মোদের
রক্তধারায় মিশে
দুষ্কৃতীদের মারতে হবে
পায়ের তলায় পিশে।
তিরঙ্গাকে রাখতে উঁচা
ভুলেছি আপনজন
ছোট্ট শিশু ডাকছে,'বাবা'
কাঁদছে আমার বোন।
শূণ্য সিঁথি ওই দাঁড়িয়ে
আমার ভালোবাসা
আজকে তাদের আকুল কাঁদা
আমার শুধু হাসা।
তোমরা তো সব স্বপ্ন সাজাও
নানান দিনের রঙে
মোরা শরীর জুড়েই স্বপ্ন আঁকি
ভগৎ-আজাদ ঢঙে।
তোমরা খোঁজো লালচে গোলাপ
প্রেয়সীর প্রেম পেতে,
মোদের বুলেট বারুদে ঝাঁঝরা শরীর
মৃত‍্যুকে নিয়ে মেতে।
আজ বিপন্ন মা ডাকছে দেখো
ছিন্ন বসন তার
ভগবান শুধু মিনতি করি
জাগাও আরেকবার।
টুকরা টুকরো হাত পা জুড়ে
আবার অস্ত্র ধরি,
কফিন ভেঙে যেন জেগে উঠি
বাজিয়ে রণভেরী।
মায়ের সেবায় ঝরুক রক্ত
এই মিনতি করি,
এই কোলতেই জন্মি যেন
এই কোলেতেই মরি ।।
          
--------------------------------@ সন্দীপ

--------------------------------------
কাচের শহর
---------অরূপ

ওই পড়ে আছে দেহ টা নিস্পন্দ ।
গ্যালরি তে বসে থাকা মানুষের কথার শোরগোল,
নানা যুক্তি আছে তাদের ,ঐ দেহেরও একদিন প্রাণ  ছিলো।
তাদের মতো আরো অনেক আছে।
তাদের ও অনেক কিছু করার ছিলো,
তবু তো তারা সবটা দিয়েই গেল ।
দিল তাদের শেষ রক্তবিন্দু।
তাতে হয়ত ভরবে কিছু রাজনীতি র মান ।
যারা শুধু দিয়ে গেলো,পেলো না কিছুই
তারা কি কখনো পাবে না রক্তের দাম।

----------------------------------

শপথ
****** মৌসুমী ভৌমিক


কে তোমরা
আমাদের ভূস্বর্গে নারকীয় দৃশ্য আনতে উদ্যত হয়েছ
এ যে আমাদের মাটি
আমাদের স্বর্গ
চেয়ে দেখো তোমাদের মৃত্যুলীলা আমাদের স্বর্গভূমিতে কীভাবে দেবলীলা হয়ে উঠেছে- আমাদের সৈনিকেরা দেবতা হয়ে ঐশ্বরিক শান্তিতে বিরাজমান
তাঁদের দ্যুতিতে আমাদের উপত্যকা
                        আমাদের দেশ
                        আমাদের মন
   আজ উজ্জ্বল।
পারবে না। ভীতু, কাপুরুষ তোমরা জিততে পারবে না।
এ বর্বরতা পারবে না আমাদের ধ্বংস করতে।
জেনে রেখো, এ হিংস্রতাই দায়ী থাকবে
তোমাদের নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে।
এখনই বলে রাখছি তখন সাড়ে তিন হাত জমিও দেব না তোমাদের মতো দেশদ্রোহীকে
এ আমার শপথ
এ আমাদের শপথ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন