ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯

দুজন কলম একসাথে


| অজ্ঞাতবাসী প্রেম |

গভীর থেকে গভীরতম শোকে,
মজ্জায় মজ্জায় শিরায় শিরায় তুমি আমার।
রক্তশুন্য প্রায় শরীরের ব্লাডসেল ভেঙ্গে―
আজ সেখানে তুমি নামের কোষপ্রাচীর।
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ইতিহাস তুলে এনে
সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন প্রাচুর্য তোমার বুকে গেঁথেছি।
ধ্বংস চাইনি আমি, চাইনি ইউরেকা,জ্বলন্ত ফসফরাস।
ভুট্টার ক্ষেতে তিনশোবার হাঁটলেই ভালোবাসা হবে;
এমনটা কখনও ভাবনায় নেই তা তুমি জানো।
চিল্কার গর্ভে অগ্নুৎপাত কখনো যদি হয়;
সবার আগে আমি তোমায় নিয়ে ঝাঁপ দেবো।
তলিয়ে যেতে যেতে মাইলপথ জড়িয়ে ধরে কাঁদবো ভীষণ।
কেউ তো নেই পিছে। কেউ না। অজ্ঞাতবাসী প্রেম।
এসো চাদরে মুখ ঢেকে বন্দি জানালার বাইরে এসো।
কথা দেওয়ার পরেও যে কথা রাখা সম্ভব হয়নি
তাই পূরণের দাবি জানিয়ে ছিনিয়ে নাও অধিকার।
তদিদং হৃদয়ং তব স্তুতিবাক্যেই যে নিবিড় শান্তি আমাদের।

                         -- দিব্যেন্দু হালদার





প্রত্যুত্তরে লিখেছে ----

সেই সুদূর সুমেরু থেকে কুমেরু,
আস্ত একটা পৃথিবী তোমার নামে লিখে দিইনি আমি ...
শুধু দিনের শুরুতে ভোরের গন্ধ থেকে রাতের নির্জনতা ;
রঙিন ক্যালেণ্ডারের বছর মাস দিনের হিসেবের বাইরে
প্রতিটা সেকেণ্ড তোমার নামে লিখেছি ।
ধমনী জুড়ে রক্ত লসিকায় তোমায় মিশিয়েছি
মিশিয়েছি ক্রমশ সারা লোমকূপ জুড়ে ।
সেদিনের সেই স্টেশন চত্বর জানে তোমার-আমার কথা ...
যেখানে আদিম বর্বরতার মতো কোনো খিদে জমে নেই
দুচোখ ভর্তি ঠাসা বারুদ নেই,
ওই দুচোখে চিলেকোঠা ভর্তি ভরসার নিবিড় আশ্রয় দেখেছি ।
হিমবাহের মতো প্রেম গলে গেলে ক্রমে
আলেয়ার ফসফরাস জ্বলে উঠেও নিভে যায় রাতারাতি ...

         -- ঈপ্সিতা অধিকারী

৬টি মন্তব্য:

  1. বাহ।। দারুন লাগলো।। ভালোবাসা জানবেন।। ★4/5

    উত্তরমুছুন
  2. মার্জিত লেখা, ঈপ্সিতা অধিকারীর লেখাটা দুরন্ত শব্দ সব। দিব্যেন্দু হালদারও বেশ ভালো।

    উত্তরমুছুন