নিজের লেখা কবিতা, নিবন্ধ, গল্প পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ করে 7384324180 এই নম্বরে

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯


সৃজিত মুখার্জির বাইশে শ্রাবণের পর আমার দেখা আর একটি অসাধারণ থ্রিলার "vinci da",
আর সৃজিত মুখার্জি মানেই একটা চমক, কারণ লাস্ট মুহূর্ত পর্যন্ত যে দর্শককে ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে ,সেই পরিচালকের একটি আলাদা সম্মান প্রাপ্য।

একঘন্টা সাতান্ন মিনিটের এক টানটান উত্তেজনায়,
সমান্তরাল ও নগরকীর্তন খ্যাত ঋদ্ধির অভিনয় , যে ছোটো থেকেই অপরাধ আইনের প্রতি তার তীব্র আসক্তি, ১৮ বছর বয়স হবার আগের মুহূর্তেই সে তার মাতাল ও অত‍্যাচারী বাবাকে খুন করে মা কে তার অত‍্যাচার থেকে বাঁচায়। কিন্তু অপরাধের তকমা তার গায়ে লাগায় তার মা তার পাশে থাকে না ,
আইন অনুযায়ী তার কোনো কঠোর শাস্তি হয় না এবং ক্রমে সে পড়াশোনা ও বুদ্ধির দ্বারা বুঝে নেয় আইনের খুঁটিনাটি।
ক্রমে বড়ো হওয়া আদি বোসের ভুমিকায় অভিনয়ে আসেন ঋত্বিক,
সিরিয়াল কিলারের ভুমিকায় সে শহরে একের পর এক খুন করতে থাকে।

অপরদিকে,একজন সাধারন Prosthetic Artist থেকে নিজের অজান্তেই এক সিরিয়াল কিলার কে সাহায্য করে বসা থেকে, ঘটনার শেষে নিজের হাতেই সেই সিরিয়াল কিলার কে খুন করা.... সব মিলিয়ে রুদ্রনীলের অভিনয় আপনার নজর কাড়তে বাধ্য,

এক দক্ষ পুলিস অফিসারের ভূমিকায় অনির্বানের অভিনয় ,এবং সোহিনীর অভিনয় ও যথেষ্ট প্রশংসনীয়,

সিনেমার প্রত্যেক টি গান আপনার মন কাড়তে বাধ্য, আর আপনি যদি ইতি মধ্যে অনুপম রায়ের ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে তো কথাই নেই ,সে ক্ষেত্রে অনুপম রায়ের লেখা এবং নোবেলের গাওয়া " তোমার মনের ভেতর যাই" গানটি এবং অনুপম রায়ের গাওয়া "শান্ত হও" গান দুটি আপনার মন কাড়তে বাধ্য, এছাড়া "গ্যাস বেলুন" তো আছেই দর্শকের মন ভরানোর জন্য ,

শেষে একটা কথাই বলবো,এই সিনেমাটিকে কোনো হলিউডি সিনেমায় সাথে তুলনা করা ভুল ,
তবে আমার মনে হয় এটি যথেষ্ট একটি ভালো সিনেমা, বাংলা সিনেমা ঠিক একদিন উঠে দাঁড়াবে,
তার শুধু একটু সময় চাই ,তাকে সেই সময় টুকু অন্তত দিন , আর অনেকের মতে কিছু সিনেমা কপি হচ্ছে, আসলে কপি করলেও না সৃজিত একটু নতুন কিছু দেন ,যাতে সেই ফিল্মটির কিছু নিজস্বতা থাকে ,আর এখানেই সৃজিতের কৃতিত্ব।
আমি জানি না আদৌও এই ফিল্ম কপি কিনা কিংবা কোনো অংশ কপি করা হয়েছে কিনা ,তবে এটি যদি সৃজিতের নিজস্ব লেখা হয় তাহলে আমি আর একবার কুর্নিস জানাই সৃজিত মুখার্জি কে।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন