হালখাতা
রথীকান্ত সামন্ত
সৌভাগ্যের দ্রুয়িদ, ধাতব মূল্যের সূর্য উঠেছে সিঁদুর মেখে। আহ্নিকগতি আজ বৈদিকপথে ঘুরে সাদা হিসাবভূমে এঁকে দেয় মঙ্গলচিহ্ন।এখন সকাল। অজেয় সেকেন্ড প্রতিমিনিটে এগিয়ে যায় এক শুভেচ্ছা-সম্বল সন্ধ্যার দিকে।
পথের ধারেই আমিও খুলেছি সভ্যতার সাজানো দোকান ; আমিও আঁকিয়েছি সূর্যটানের স্বস্তিক, তুলে রাখতে বিক্রির লাভ লোকসান। সন্ধ্যে নামে। ঠান্ডা পানীয়স্নাত কত পিপীলিকা ঐশ্বর্যখন্ড মুখে ফিরে যায় প্রীতিবিনিময়ে।
আমিও হিসাব লিখবো আজ, কত চর্ম্মসার কঙ্কাল খিদে দত্তক নেয়; বছরে কত বাড়ে দেহকর, পিঁপড়ের কত বিষ জমা হয় বাৎসরিক বিক্রীত দেহে। তুলনা করাই যায়, এই ভেবে গত সন বের করে আনি। অমনি ধুলো আর ধুলো, আর ধূসর দিগন্তে পিঁপড়েরা মিলিয়ে যায়
স্বস্তিখন্ড মুখে। হিসাব কষি,ওদের পিছনে কটা নগ্নশিশু মিলিয়ে যায় ফিবছর সতৃষ্ণচোখে।
স্বস্তিখন্ড মুখে। হিসাব কষি,ওদের পিছনে কটা নগ্নশিশু মিলিয়ে যায় ফিবছর সতৃষ্ণচোখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন