ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯

চিরন্তন আলো

আলো দেখলে ভয় হয়,গা শিউরায়;
আলোর প্রহেলিকায় বিমর্ষ হয়ে যাই।
আলোর রঙীন গোলকধাঁধার চক্রব‍্যূহে-
প্রতিনিয়ত সমাপ্তির সমান্তরালে পৌঁছাই।
এই তো সেদিন আলোর লোভে-
এক বুক পাহাড় নিয়ে সূর্যের কাছে গেছিলাম।
সূর্য একরাশ উষ্ণতা ছুড়ে দিল!
গা ঝলসে সমুদ্রের শীতলতায় স্নান করলাম।
কিন্তু সমুদ্রের আলোয় অন্তরালের আঘাত!
কী ভীষণ কষ্টদায়ক! ক্ষয়ে গেল আমার শরীর।
পরে আঁকিবুকি পথে গেলাম:গাছের সাথে দেখা;
গাছ বলল-তোমায় আমি প্রাণ দেব।
গাছের আলোর লোভে ধীরে ধীরে পা বাড়ালাম:
বুঝতেই পারিনি বুকের ভিতর শিকড় গজাচ্ছে।
হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে উঠল এক অজানা বিষবৃক্ষ!
কই সে তো আমায় আলো দেয় না!
সে তো ছায়া দেয়,সেই ছায়া যে অন্ধকারে
আমার শরীরে নিমেষে মুখ লুকোয়।
বরং ফিরে যাই সেই আলো ঝলমলে অতীতে!
যেথায় রয়েছে প্রকৃতির রচিত নিষ্কলুষ কাব‍্য,
সেথায় সাদামাটায় নাকি চিরন্তন লুকিয়ে থাকে!

                            -রুন্না ভাওয়াল


                      অপ্রকাশিত খুশি

খুশির রক্তিমাভার অগোছালো রূপ আছে
স্বাভাবিক নিশ্চল পথে পরিস্ফুটন কম হয়,
আবহমানকালে তাঁর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ভাসে;
বিবর্ণ আনন্দগুলো নীলাভ নিস্ক্রিয় হয়।
শ‍্যাওলার স‍্যাঁতস‍্যাঁতে জমা জলে যখন-
পাট গুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে পচে ওঠে!
আমি খুশির উষ্ণতা দেখতে পাই তাঁর মুখে।
পিতৃ পরিচয়হীন মেয়েটা যখন টিউশন পড়িয়ে-
একটা মোটা কাপড় ওই অবৈধনীর গায়ে জড়িয়ে দেয়!
চিলেকোঠার কোনঠাসা 'মা'র মুখে খুশি দেখি।
একলা আকাশে নিস্প্রভ চাঁদ কামুক হয়ে ওঠে;
হঠাৎই যখন পারিপার্শ্বিক 'তারা'দের সমাগম হয়-
'খুশি'টা আমি তার দীপ্তির ঝলকে দেখতে পাই।
বাঞ্ছিত খুশি গুলো বঞ্চিত না হওয়াই থাক।
মিশে যাক অন্তরের 'অপ্রকাশিত খুশি'।

                        -রুন্না ভাওয়াল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন