বেশ্যা না দেবী
নতুন স্যালারির মেসেজ টা মোবাইলে ঢুকতেই অর্ঘ্য একটু নড়েচড়ে বসলো। ব্যাঙ্গালোরে চাকরি করতে এসে জীবনের প্রথম স্যালারি । তাও আবার বেশ মোটা টাকা বোনাস । জলদি অফিস টা শেষ করে চলে গেল চার্চ স্ট্রিটের একটি বার কাম রেস্টুরেন্টে। বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে হটাৎ মনে পড়লো রোশনির কথা । নাঃ , মাথাটা ধরে যাচ্ছে । জলদি বিয়ারের গ্লাস টা শেষ করে বেরিয়ে পড়লো রাতের রোশনাই দেয়া কর্ণাটকের সবথেকে অভিজাত রাস্তায় রাতপরী দের ভিড় যেখানে সদাব্যস্তময়। হটাৎ দূর থেকে একজনকে আসতে দেখে একটু চমকে উঠলো অর্ঘ্য। কাছে এসে মেয়েটি বললো "যাবে নাকি ?"....অর্ঘ্যর গলাটা বুজে আসছে। না না বলতে গিয়ে হটাৎ রোশনির কথা, নেশা, ভালোবাসায় ধাক্কা সব মিলিয়ে অন্ধকার দেখে দাঁতে দাঁত চেপে বললো " চলো"।
দুঘন্টা বাদে , কোনো এক তিনতারা হোটেলের এক ঘরে দুজনের নিভৃত কথোপকথন
"তোমার নাম কি গো ?"
"সোফিয়া সাহেব , সোফিয়া পারভীন , তোমার কি ধর্ম গেল নাকি গো দাদা , জাত খোয়ালে তো নাকি একদম ", অট্টহাসি করে উঠলো বিপরীত নারীকণ্ঠ।
"কেন?কি পরিবর্তন দেখলে আমার মধ্যে", দৃঢ়স্বরে বলে উঠলো অর্ঘ্য।
সোফিয়া উত্তর দিল " বিধর্মী বেশ্যার সাথে একটা রাত কাটিয়ে দিলে, আর কিছু পরিবর্তন হয়নি ?"
পোশাক পরিবর্তন করে উঠে দাঁড়ালো অর্ঘ্য, আজকের দিনে থুড়ি রাতটা তাকে অনেক শিক্ষা দিলো , যাওয়ার আগে সোফিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়ে সে বলে উঠলো "যার সাথে সময়ে কাটানোর পর জাত, ধর্ম ,বর্ণ, অফিস, জীবন ও হতাশা চলে যায় তাকে বেশ্যা বলে না ম্যাডাম, তারা তাদের আদর্শ ও নৈতিকতার সাথে আপোষ করে না, বেশ্যা তাদের বলে যারা লোভ ও লালসার ফাঁদে পা দিয়ে নিজের 8 বছরের ভালোবাসা কে দুপায়ে মাড়িয়ে দিয়ে অধিক ক্ষমতা ও টাকার লোভে অফিসে বিবাহিত বসের হাত ধরতে দুবার ভাবে না, আর সেই খবর তার প্রেমিককে জানতে হয়ে তারই কোনো সিনিয়রের থেকে গোপনে । তাই একটু ভেবে নিও নিজেকে বেশ্যা বলবে নাকি বলবে একজন দেবী যে নিজের শরীর কে উৎসর্গ করেছে সমাজের কিছু প্রেমহীন মানুষের নিঃস্বঙ্গতা ও একাকিত্ব মেটাতে।"
সোফিয়ার চোখের কোলেও কি একটু জল এলো না তার ঘর ছাড়ার কারণ টা মনে পড়ে ,যেদিন বিয়ের অছিলায় ইমরান তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেয় এক নিষিদ্ধপল্লীতে, যেদিন থেকে তার কাছে ভালোবাসা কথাটার অর্থই হয়ে গেছিলো অন্ধকার, সেটা সময় বলুক।
নতুন স্যালারির মেসেজ টা মোবাইলে ঢুকতেই অর্ঘ্য একটু নড়েচড়ে বসলো। ব্যাঙ্গালোরে চাকরি করতে এসে জীবনের প্রথম স্যালারি । তাও আবার বেশ মোটা টাকা বোনাস । জলদি অফিস টা শেষ করে চলে গেল চার্চ স্ট্রিটের একটি বার কাম রেস্টুরেন্টে। বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে হটাৎ মনে পড়লো রোশনির কথা । নাঃ , মাথাটা ধরে যাচ্ছে । জলদি বিয়ারের গ্লাস টা শেষ করে বেরিয়ে পড়লো রাতের রোশনাই দেয়া কর্ণাটকের সবথেকে অভিজাত রাস্তায় রাতপরী দের ভিড় যেখানে সদাব্যস্তময়। হটাৎ দূর থেকে একজনকে আসতে দেখে একটু চমকে উঠলো অর্ঘ্য। কাছে এসে মেয়েটি বললো "যাবে নাকি ?"....অর্ঘ্যর গলাটা বুজে আসছে। না না বলতে গিয়ে হটাৎ রোশনির কথা, নেশা, ভালোবাসায় ধাক্কা সব মিলিয়ে অন্ধকার দেখে দাঁতে দাঁত চেপে বললো " চলো"।
দুঘন্টা বাদে , কোনো এক তিনতারা হোটেলের এক ঘরে দুজনের নিভৃত কথোপকথন
"তোমার নাম কি গো ?"
"সোফিয়া সাহেব , সোফিয়া পারভীন , তোমার কি ধর্ম গেল নাকি গো দাদা , জাত খোয়ালে তো নাকি একদম ", অট্টহাসি করে উঠলো বিপরীত নারীকণ্ঠ।
"কেন?কি পরিবর্তন দেখলে আমার মধ্যে", দৃঢ়স্বরে বলে উঠলো অর্ঘ্য।
সোফিয়া উত্তর দিল " বিধর্মী বেশ্যার সাথে একটা রাত কাটিয়ে দিলে, আর কিছু পরিবর্তন হয়নি ?"
পোশাক পরিবর্তন করে উঠে দাঁড়ালো অর্ঘ্য, আজকের দিনে থুড়ি রাতটা তাকে অনেক শিক্ষা দিলো , যাওয়ার আগে সোফিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়ে সে বলে উঠলো "যার সাথে সময়ে কাটানোর পর জাত, ধর্ম ,বর্ণ, অফিস, জীবন ও হতাশা চলে যায় তাকে বেশ্যা বলে না ম্যাডাম, তারা তাদের আদর্শ ও নৈতিকতার সাথে আপোষ করে না, বেশ্যা তাদের বলে যারা লোভ ও লালসার ফাঁদে পা দিয়ে নিজের 8 বছরের ভালোবাসা কে দুপায়ে মাড়িয়ে দিয়ে অধিক ক্ষমতা ও টাকার লোভে অফিসে বিবাহিত বসের হাত ধরতে দুবার ভাবে না, আর সেই খবর তার প্রেমিককে জানতে হয়ে তারই কোনো সিনিয়রের থেকে গোপনে । তাই একটু ভেবে নিও নিজেকে বেশ্যা বলবে নাকি বলবে একজন দেবী যে নিজের শরীর কে উৎসর্গ করেছে সমাজের কিছু প্রেমহীন মানুষের নিঃস্বঙ্গতা ও একাকিত্ব মেটাতে।"
সোফিয়ার চোখের কোলেও কি একটু জল এলো না তার ঘর ছাড়ার কারণ টা মনে পড়ে ,যেদিন বিয়ের অছিলায় ইমরান তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেয় এক নিষিদ্ধপল্লীতে, যেদিন থেকে তার কাছে ভালোবাসা কথাটার অর্থই হয়ে গেছিলো অন্ধকার, সেটা সময় বলুক।
অসাধারণ
উত্তরমুছুন