Ashoka Kodali: ছোটোবেলাটা সবার একরকম হয় না। তবে বেশিরভাগ জনের শুরুটা হয়তো স্বাভাবিকই হয়। যেমন, একটা বাড়ি থাকে, বাবা-মা থাকেন বা একটা পরিবার থাকে, যার মধ্যে বাচ্চাটা ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে।
পরিবারের শিক্ষা ,পরিবেশ, পরিস্থিতি সবই তার চরিত্রটাকে একটু একটু করে তৈরি করতে সাহায্য করে। তারপর আস্তে আস্তে সে বড় হয়ে ওঠে শরীরে,মননে। পরিবার, স্কুল, কলেজ.. এসবকিছু থেকে সে জানতে শেখে, বুঝতে শেখে যেকোনও বিষয়কে।
এতদসত্ত্বেও কিছু জন শেখে নিজের মতো করে নিজের জীবন থেকে নানা খুঁটিনাটি বিষয়। সবাই যখন বলতে থাকে তুই বড় হয়ে গেছিস এগুলো মানায় না, ওগুলো মানায় না। তখন বড় হয়ে যাওয়া মানেটা ঠিক কী? তা ভাবা সে অভ্যাস করে। গড়ে ওঠে একটু একটু করে নিজের জীবন দর্শন। মনে হয় এত দিন থেকে যা কিছু তোমরা শেখালে সেগুলোই তো করছি তবে ভুলটা ঠিক কোথায়?
এর উত্তর জানতে জানতে তুমি চিনবে, বুঝবে, মুখ কী...মুখোশ কী? আর ঠিক তখনই কত শত চরিত্র রাতারাতি বদলে যাবে তোমার মানস পটে। সবটা থেকে তখনও তুমি শুধু শিখবে। ভাববে এতদিন যাকিছু শিখলাম, যাকিছু দেখলাম তা আসলে সত্যি না। এবার তুমি কলাকুশলীদের সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে পারবে। এসবই হবে ধীর প্রক্রিয়ায়।
একটা সময় এসে চারপাশের মানুষের মুখোশ গুলো যখন তুমি চিনে নিতে পারবে, তখন দেখবে নিজের বলে কেউ কথাও নেই,সবটাই প্রয়োজনে প্রিয়জন। তবু কাওকে বিচার করতে তুমি পারবে না। কাউকে দোষ দিতে তুমি পারবে না। এক নির্মম পৃথিবীর সম্মুখীন হবে তুমি।যার রূপ রুক্ষ,শুষ্ক। এরপরেও তোমাকে বাঁচার পথ খুঁজতে হবে, নতুন করে শিখে নিতে হবে নিজেকে সজীব রাখার পাঠ।
যেদিন তুমি পড়ে ফেলতে পারবে সকল চোখের ভাষা, পড়ে ফেলতে পারবে আপনজনের স্বার্থ,লোক দেখানো মানবিকতা, চরিত্রের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দুশ্চরিত্র, ব্যবহারের প্রকৃত উদ্দেশ্য, অবহেলার মানে। আর ঠিক তখনই তুমি তোমাকে আবিষ্কার করবে নতুন করে। নির্দ্বিধায় বলে ফেলতে পারবে আমার ভাঙা আমিটাকে নিয়ে "আমাকে আমার মতো থাকতে দাও"।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন