ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

🎂দৈনিক প্রতিযোগিতা🎂
🎂বিষয়-"বড়দিন"
🎂কবিতা-"বড়দিনে আজ"
🎂কলমে-রনিতা মল্লিক
🎂🎂🎂🎂🎂🎂💒💒💒💒💒💒
ক্রিসমাস বড়দিনে,
 চারিদিক খুশির জোয়ার।
 একে একে বাচ্চারা,
 পায় নানান উপহার।
 গির্জায় গির্জায়,
  শুরু হয় প্রভুর প্রার্থনা।
 প্রবেশ করে মন,
 শান্তির ঠিকানায়।
 সজ্জিত হয়েছে গির্জা,
 সজ্জিত শহর।
কাটছে সকলে কেক,
 আজ নতুন এক প্রহর।
 প্রভুর খ্রীষ্টমাস গাছে,
 স্যান্তা আছে চেপে।
 শিশুরা সব আজ,
 সুসজ্জিত সুন্দর পোশাকে।
আজ সকালে অনেক বাচ্ছা,
 ভিক্ষা করতে যায়।
 আর সেই টাকাতে,
 তারাও কেক কিনে খায়।
 আপনাকে স্মরণ করার হৃদয়,
 ওদের মধ্যে ও রয়।
তারাও আপনাকে স্মরণ করে,
অনেকটা আনন্দ পায়।
 মঙ্গল করুন প্রভু ওদের,
 খুজে দিন সঠিক জীবন।
আপনার আশীর্বাদে ভরিয়ে দিন,
 ওদের ফুলের মত জীবন।
শতকোটি প্রণাম প্রভু,
 এভাবেই থাকুন মোদের মনে।
 আপনার শান্তির বাণী,
 ছড়িয়েছে আজ আমাদের হৃদয়-ও মনে।
বিষয়- বড়দিন

_____কলকাতার যীশু
                সুনন্দ মন্ডল

আজ বড়দিন
সত্যিই এক সান্তাক্লজ এর আগমন মুহূর্ত
আনন্দঘন সাক্ষী চকোলেট কেক ইত্যাদি।
সারা বিশ্বের যীশু
সকল ধার্মিকের প্রাণপুরুষ
তাঁরই জন্মদিন
বড়দিনের স্মারকলিপি!

ঘটা করে প্রদীপ জ্বালানো হয়,
মোমবাতির শিখা আলোর উজ্জ্বলতা মেলে ধরে
টেবিলে টেবিল সাজিয়ে সাহেবি পোশাকে
সীমাহীন খুশি মজা হুল্লোর।

কিন্তু এ বড়দিন অন্য বড়দিন!
এখানে মোমবাতি জ্বালানো হবে
কিন্তু কেক কাটা হবে না!
কিংবা মেরি ক্রিসমাস কেউ বলবে না
শুধু চোখের জল ঝরবে
আর বিদায় জানাবে কলকাতার যীশু'কে।
শোকস্তব্ধ জগৎ
বাঙালি মনন, বাঙালি সত্তা
কারন সে-ই ছিল
সকল কবি সাহিত্যিকদের
শব্দওয়ালা সান্তাক্লজ!
          ----------
কবিতা= "বড়দিন নয় "
 
  জয়দীপ রায়

সিগারেটের ফিল্টারে লাল ঝুটি পেখম
বড় রাস্তার  গিলে খাওয়া সন্ধ্যারা
সবে চুমুক দিচ্ছে
অডিনারি চায়ের ভাড়ে
কি বলিস  বাদ যাক আজ
লেরো বিস্কুটেরা
দেখছিস না গির্জার বাইরে
 দেদার বিলোচ্ছে কেক
হ্যাট ক্যাপ ইনজিরি শব্দে
বলছে ওরা মেরি ক্রিসমাস ডিয়ার
এই লও কেক উপহার
উপহাসের দরজায় দাড়িয়ে
নুন ভাতের জোগারের এক তরুন
আজ  ওর বড়দিন নয়
ফেরি সেরে বেকারত্বের ভিড়ে
  তখন হাত পেতে
অভিনন্দন নয় একটা খিদে
নিচ্ছে সে সমাদরে।

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

ছায়াপথ

ভিড়ের মাঝে হাতটা ছেড়ে
পারলে একটু একলা হাটতে দিও
অনেকটা দিনই হাঁটলাম
ভেপারের নীচ দিয়ে
একে অপরের ছায়া মাড়িয়ে
চিনি বেশি কড়া লিকারের
এঠো কাপে কম তো চুমুক দিইনি
জানতে তুমি আমি ব্ল্যাক কফি ভালোবাসি
তবুও খেয়েছি আহ্লাদের এঠো ভাড়
তবে আজ থাক!
অন্য দিন নয় বরং
শুরু করি নতুন প্রসঙ্গ
একলা হাটার
জানি বদ অভ্যেস আমার
না দেখে পথ চলার
বারে বারে হোঁচট খাওয়ার
তুমি বকে সামলে নিতে
সামলে দিতে অজস্র বার
অজস্র জেব্রা ক্রসিং
ভিড়ের মাঝে হেঁটে যেতাম
কালো মাথার ঠেলাঠেলি তে
কথা দিলাম এবার হোঁচট ছাড়াই হাঁটবো
মেঘলা আকাশ কালো করে এলে
ভুলবো না ছাতা নিতে
কংক্রিটের কালো গলি ভেঙে
কালো মাথা গুলোর ছায়া মাড়াবো
হাটঁবো! হাটঁবো আরো একলা ছায়াপথ।
             
 জয়দীপ রায়
আমি ট্রেন


দুরন্ত প্লার্টফর্ম

নাম না জানা টানেলে
এগিয়ে যাচ্ছি,
ধরা ছোঁয়া হারিয়ে এনেছি
চরিত্রে মরীচিকা।

ট্রেন আমি।

এক্সপ্রেস ট্রেন

জন সমারোহ আমাকে ঘিরে
স্বার্থের আবেগ,
ভীষণই অহংকার গতি শরীরে
হিমায়িত দৃষ্টি।

চেনা প্লার্টফর্ম।

সুষ্মিতা কর
অপরিহার্য
উজান উপাধ্যায়

এরাত কলকাতার নয়। অন্য শহরে আছি। ভুবনেশ্বর।ওলিয়েন্দ্রা দূরে ঘুমিয়েছে।আমি  
গেস্ট হাউসে।ফোন করে সবুজ কন্ঠস্বরে শুভরাত্রি জানিয়ে বলেছে , বাবা ঘুমিয়ে পড়ো।

ঘুমোতে দিল না ব্যালকনি , নির্জন বারান্দা। শহরে প্রচুর আলো , রাত প্রায়  
অদৃশ্য হয়ে গেছে। খুব জোর করে নিঃসাড় হতে চেয়ে বারবার প্রার্থনা সঙ্গীতের  
নিয়মাবলী ছেড়ে সোজাসাপ্টা পৌঁছে গেছে
নক্ষত্রের কাছে। তাদেরও ঘোর বিপদ। ছুটে আসছে উল্লাসের ব্যাধি , রাত তবুও অচেনা  
হওয়ার ভানে কিছুতেই আটকে থাকছেনা।

শহর বদলে গেছে , নারীর ভ্রুক্ষেপ এমনকি বালিশ চাদর , পুরুষের গাম্ভীর্য -এখানে  
তাৎক্ষণিক সব ওলোটপালট।

শুধুমাত্র জেগে থাকা কবি , ভেঙে ফেলছে একভাবে ঈশ্বরীর গোপন প্রত্যাখ্যান।

যেকোনো শহর এ দৃশ্যে বদল আনার ক্ষমতা রাখেনা।
মেঘের চাদর সরিয়ে দেখো..আগন্তুকের সংযম... ওয়াট্সআপে তে স্ট্যাটাস আজ দিচ্ছে মন পেরেকের ক্ষত... মেঘবালিকা নারাজ মেঘ বালকের খুনসুটিতে...চোখের বালি দাওনা উড়িয়ে এক নিমেষের পলকে... আজ কেমন বিছিয়েচে দেখো নকশী কাথা মাঠে... মেঘনাদ বদ কাব্য  রচনা আজ উন্মাদনায় ছোটে....

—অদিতি চক্রবর্তী (স্বর্ণালি পট)
দৃষ্টিকোণ
চয়নিকা

ভাঙনের থেকে নিরাপদ দূরত্বে
দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ জানে না,
মিনিটে কতটা করে জমি সরলে
কাউকে অসহায় ঘোষণা করা যায়।

যার মাথার উপরে
ত্রিস্তরীয় ছাদের বন্দোবস্ত আছে,
তাকে দুর্যোগের খবর রাখতে
হয়নি কখনো।

যাকে ঘিরে মানুষ জমে,
ভোরের ঘন কুয়াশার মতো,
তার কাছে একা থাকাটা
নিতান্তই বিলাসিতা।
______প্রেমিক
               সুনন্দ মন্ডল

রক্তকরবী গুঁজে দেওয়া তোমার চুল
    হাওয়ায় উড়ে এসে বলে, "শান্তি"!
নাক শুষে নেয় তোমার সুগন্ধী মেশা দেহ।

কাল রতি চক্রে তোমার ঋতুচক্র খেলা
ব্যথায় কুঁকড়ে যাওয়া মন
অবসন্ন প্রকৃতির সাজে সামনে দাঁড়াও
শুকনো ঠোঁটের বিরহ নিয়ে!

আমি তখনও খুঁজি সেই গন্ধ
পুরুষ প্রেমিক তো!
তোমার অবসন্নতাকে মেলাতে চাই আমার প্রশান্তিতে।
               ---------------

কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম
" 'অ ' সচেতন "

চঞ্চল ভট্টাচার্য

বালিরাও বলে যায় কানে কানে ডুব দিলে নদীটার কোনো এক প্রান্তে,

জ্বলন্ত যজ্ঞেতে, তোমার থাকার ঘরে লাগবেই তাকে যে অজান্তে।

শিশুটিও হাত পাতে খাবারের জন্যই,জেনে রেখো নেশা নেই তার কোনো অন্য,

মুখটা না ফিরিয়ে চেয়ে দেখ একটুও সেও তো মানুষ, নয়
 হিংস্র বন্য।
#আসছে_বছর_আমার_হবি
==============সুদীপ্ত সেন

রেলিং-এ দাঁড়িয়ে থাকিস,খাওয়াস ছোলা
সে পাখি আমায় দেখে দিচ্ছে দোলা।

ময়না ভীষণ বকে তোরই মতো
শুধু ওই ঠোঁট ব্যাঁকানো শিখতে হতো।

পাড়াতে তাকিয়ে থাকিস, টিউশনে রোজ
বিকেলে ভাই-র সাথে  ঘুরতে বেরোস।

শব্দ পায়ের পাতার নুপূর বোঝে
তবু হ্যাঁ বলতে নাকচ করেছিল সে।

এবছর একটা লেখারও বিশ্রাম নেই
পেন তো ছুটেই চলে তোর দেখাতেই।

নেই তো ওদের মতো বইপত্তর
নেই তো ঝা-চকচক মোর ঘরদর।

ইদানিং ওই ছেলেটা লম্বা করে
দেখে ও, তুইও দেখিস টাম্পি মেরে।

আচ্ছা দেখেই চালা এ এক বছর
ও বছর বই ছাপাব আমিও নাছোড়।

জানি তোর পছন্দ নয় লেখক, কবি
তবু তুই আসছে বছর আমার হবি!







বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮


আপনাদের একদম প্রিয় তিনজন নিয়েই এ মাসের সংখ্যা "তনয় সংখ্যা"। 

কবিতা পাঠান অনধিক ২০ লাইন সঙ্গে আপনার ছবি পাঠাবেন এবং ২ টি কবিতা পাঠাবেন তার থেকে একটি মনোনীত হবে। 

চিঠি লিখুন প্রেমিক জনকে(সঙ্গে আপনার ছবি)

বুক রিভিউ পাঠিয়ে দিন আপনার কিংবা আপনার লেখকের/লেখিকার।(সঙ্গে দেবেন বই-র প্রচ্ছদের ছবি)

আপনার মননে কবি জয়, শ্রীজাত কিংবা অংশুমানকে আপনার কলমে তুলে ধরুন।
(সঙ্গে আপনার ছবি দেবেন)

লেখা পাঠান ইমেল করে, পিডিএফ করে পাঠাবেন না।
লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ৩০/১২/১৮

আমাদের ইমেল jholfhoring@gmail.com

শ্রী তাপস চট্টোপাধ্যায়ের লেখা "পাটিগণিত"


পাটিগণিত
-------------তাপস চট্টোপাধ্যায়

ভাগ মানে তো অখণ্ডতা বিলোপ
শুধু বিয়োগ বিয়োগ আর বিয়োগ।
দুই দুটো মহাবিয়োগের পরে
ছোট্ট ছোট্ট দুটো যোগ----
যোগেরা বড় হচ্ছে  বড় হচ্ছে
ক্রমশঃ বড় যোগ হয়ে
গুণের সৃষ্টি করছে।
ছোট মাঝারি বড় বন্ধনীর
আস্তিনে লুকনো এক একটা গল্পগাথা
মারী, অস্ত্রের ঝংকার,
কুটিল বুদ্ধিরও।
স্রোতের অনুকূলে ভেসে যাওয়া অপেক্ষা
প্রতিকূলে দাঁড় টেনে
আপন নিজস্বতায় তীরে ওঠা
বড়ই গৌরবের।
খাড়া লাঠি বেয়ে দু'পা ওঠার জন্য
বানর এক পা পিছিয়ে আসে
তবু তো গন্তব্যের হদিশ পায়।
সরলে জটিলে মিশ্র পথচলা
সিঁড়ি ভাঙা শেষে
অপেক্ষমান সমাধানে পৌঁছই।
জীবন তো পাটিগণিতই:
উত্তর কখনো মেলে,
কখনো মেলে না।
        
[রঘুনাথগঞ্জ।০১/১২/২০১৮।]