ইচ্ছেনদী
-----------সুপ্রীতি বর্মন।
আঁশটে গৃহকোণে সাংসারিক চলমান আলাপন,
প্রাচীন মুখখানা বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে পেতে চায়,
দমবন্ধ গুমোট যন্ত্রনা থেকে নিষ্কৃতির সুখ।
ছন্নছাড়া প্রেমিক তুমি একদিন স্বামীতে উত্তরন হবে,
এই ছিল ঐকান্তিক প্রত্যাশা কিন্তু ধূলিসাৎ সে আশা।
রংচটা বয়স ঝরা পাতা অসাড় হাত পা ফুঁপিয়ে কান্নার শোক,
কে দেবে তোমার বুকের লোমশ বাগানে অঙ্কুরিত সোহাগ মুকুল,
আমার খোঁপায় গুঁজে।
আস্ত ছেলেবেলার দহন দাপাদাপি সরাতে চায় ঠোঁট,
বঞ্চিত করে আস্বাদন তোমার অজ্ঞাত উষ্ণ চুম্বন।
ব্যস্ত ভিড়ে দাঁড়ানোর অভাব তবু উড়ে এসে জুড়ে বসে,
তোমার আমাকে আলিঙ্গনের খামখেয়ালী ক্ষোভ।
বিনিদ্র রাত ইচ্ছার বালি তবুও দৃঢ়মুষ্ঠির আবদ্ধ সম্পর্ক,
তোমার গন্ধ শুঁকে কান পেতে তোমার কন্ঠস্বরের অমৃতভোগ।
তোমার শারীরিক স্পর্শে সর্পের মরন আলিঙ্গন,
প্রস্তুতিবিহীন আমার জিদের আঠালো এঁটেল মাটি,
কখন যেন ফসকে যায় রুষ্ঠতা ঠোঁটের আলিস্যি বেয়ে।
বেকারত্বের অজ্ঞাতবাসে আবর্জনাসম কূটকাচালির তিরস্কারে,
গা সওয়া ভাবে ভদ্রতার পোষাক ছুঁড়ে ফেলে,
শূন্য বিকেলে তারারা লোপাট অন্ধ মহাকাশের বুকে মাথা গুঁজে,
চাতালে গল্পেরা মশগুল, ছোঁয়াচে একাকীত্ব থেকে পরিত্রানে,
দুগ্ধ স্রোতস্বিনীতে অবগাহনরত স্নিগ্ধ বালিকার সখ্যতা।
নষ্ট আকাঙ্খা শব্দঘরে ঐকান্তিক পিপাসায়,
আজ শুধু দিনরাত উজাড় করে তোমাকে খোঁজে।