আজ কফিকথায় কবি মৌসুমী ভৌমিকের সাথে সুদীপ্ত সেন জলফড়িং ওয়েব ম্যাগাজিন থেকে।
===========================
সুদীপ্তঃ- লেখিকা আপনাকে প্রথমেই জানাই নমস্কার এবং শৈতীক সান্ধ্যকালীন শুভেচ্ছা।
লেখিকা মৌসুমীঃ-তোমাকেও শৈত্যকালীন শুভেচ্ছা।
সুদীপ্তঃ-এবারে সরাসরি প্রশ্নই আসি
লেখিকা মৌসুমীঃ- সেই ভালো
১. এখন পর্যন্ত বেশ কতগুলো নিজস্ব কাব্যগ্রন্থ অলরেডি বেরিয়ে গেছে আপনার। যদি বলি এই কাব্যগ্রন্থ গুলি প্রকাশের পর আপনার উপলব্ধিটা কেমন ছিল।
উঃ-ভীষণ আনন্দ। নিজের সৃষ্টি যখন দুই মলাটের মধ্যে প্রথম দেখা যায় তার আনন্দানুভূতিই অন্যরকম। অবশ্য প্রতিটি বই প্রকাশের সময় একটা উত্তেজনা তো থাকেই। আমারও ছিল।
[লেখিকার কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম 'যাপন' , 'বৃষ্টির জলছাপ' ও 'শব্দপিঁড়ি']
২.) বিভিন্ন ছোটো বড়ো পত্রিকা, ব্লগজিনে আপনার লেখা প্রকাশ পায়। এই ব্যাপারে নিজের অনুভূতিটা যদি জানান।
উঃ-কে না চায় তার লেখা প্রকাশ হোক। আমিও ব্যতিক্রম নই। অবশ্যই ভাল লাগে। আর কবিদের সার্থকতা তো লেখার মধ্যেই। যতজন ভালবেসে ছাপবে/প্রকাশ করবে ততোই তো ভাল।
৩.) ব্লগজিন যেন একটা সহজ জিনিস। এখানে যে কেউ লেখক লেখিকা হতে পারে কিছুদিনের মধ্যেই। কি মনে হয় ব্লগজিন কি এতোই সহজ নাকি ব্লগজিনকে সহজ ভাবে নেওয়া হচ্ছে ?
উঃ-ব্লগ একটি অনলাইন মাধ্যম। যে কেউ ব্লগে লিখতেই পারে। কিন্তু টিকে থাকতে গেলে লেখা ভাল হতেই হবে। সে কোন মাধ্যমই হোক না কেন।
৪.) আজ ফেসবুকের পাতায় হাজার হাজার কবি লেখকের ভিড়। নাম করা কবিরাও এখানে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যদি বলি এই ফেসবুক নতুন লেখক/লেখিকা তৈরী করতে পারে। এ বিষয়ে আপনাার কী বক্তব্য?
উঃ-বর্তমানে ফেসবুক একটি বিশাল প্লাটফর্ম। কে বলতে পারে এই ফেসবুক কবিদের মধ্যে থেকেই একদিন বড় কাউকে পাব না! বলা মুশকিল।
৫.)আপনি মূলত প্রকৃতি প্রেমিক লেখিকা। এখন প্রশ্ন হলো সমাজের যা অবস্থা তাতে অন্য কোনো লেখিকা লিখছেন সমাজের কথা, প্রচুর কমেন্ট পাচ্ছেন। আপনার কি মনে হচ্ছে আপনি আদতে তাহলে পিছিয়ে পড়েছেন?
উঃ-না, তা মনে করি না। আমি যে বিষয়ে স্বচ্ছন্দ সেটাই লিখতে চেষ্টা করি ও করব। অন্যরাও তাই। তবে অন্য বিষয়েও লিখি না এমন নয় কিন্তু। লিখতে ইচ্ছা হলে অবশ্যই লিখি।
বিষয় অনুসারে বা কমেন্ট অনুসারে পিছিয়ে পড়ার ধারনায় আমি বিশ্বাসী নই।
সুদীপ্তঃ- বাহ্, ভালো লাগলো।
৬.) কবি মৌসুমী ভৌমিকের যখন ৫০ বছর বয়স হবে৷ তখন কোনো এক গ্রীষ্ম দুপুরে ঘুঘুর আওয়াজ শুনতে শুনতে একখানা বিরহের কবিতা কি লিখতে চাইবেন নাকি বয়সের কথা,প্রতিবেশীদের কথা, সমাজের কথা মাথায় রেখে প্রকৃতির কথায় লিখবেন?
উঃ-হা হা, সেটা ৫০ বছর বয়স হলে বলব
সুদীপ্তঃ-😀 হা হা হা
৭.)এতো কবি ফেসবুকে লেখেন তাদের মধ্যে আপনার প্রিয় পাঁচজন কবির নাম বলুন।
উঃ-অনেক কবিই ভাল লেখেন। অনেকের লেখা নিয়মিত পড়ি। শুধু পাঁচজনের নাম বলা ঠিক হবে না।
৮.) ওয়েব ম্যাগাজিনের ভবিষ্যৎ আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন? যদি পাচ্ছেন তাহলে মতামত জানতে চাই।
উঃ-অসুবিধাও রয়েছে কিছু। বয়স্কদের চোখের অসুবিধা, গেজেট নির্ভরতা, ইন্টারনেট সংযোগ এসব। তবে ডিজিটাল যুগে ওয়েব ম্যাগাজিন প্রকাশ করা সুবিধাজনক। দূরত্ব, সময় অর্থ এগুলোর সাশ্রয়ে লেখক, পাঠক উভয়েই লাভবান। আশা করি ওয়েব ম্যাগাজিন ভালই চলবে।
সুদীপ্তঃ-☕☕ আসুন মৌসুমী দি এই শীতল সন্ধ্যায় আমরা এবার কফিতে চুমুক দিই তারপর আবার আলোচনায় ফিরব।
লেখিকা মৌসুমীঃ-বেশ
৯.) শীত কাল, ধরুন জানুয়ারির ৫ তারিখ আর শীতের গায়ে হঠাৎ বৃষ্টির আগমন। আপনার ফ্লাটের জানলার গায়ে বৃষ্টি ফোটার আঁচড়। আপনি এবার কফিতে চুমুক দিলেন (এমন একটা অবস্থায় লেখিকা কি লিখবেন? (দুটো লাইন এখনি লিখুননা আমাদের ভালো লাগবে)।
উঃ-"কথা তো ছিল না হঠাৎ এভাবে আসবে
হিমবাসরে হিমঝরনায় এভাবে ভালবাসবে"।
সুদীপ্তঃ-সাধু সাধু। আর এটাই বোধহয় কবি মৌসুমী ভৌমিক।
১০.) লেখিকা মৌসুমী, অন্ত্যমিল নাকি গদ্য কবিতা কোনটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ?
উঃ-আমি অন্ত্যমিল পছন্দ করি। তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আজকাল গদ্য কবিতাও লিখছি। ভালও লাগছে।
সুদীপ্তঃ-আচ্ছা যুগ বলতেই মনে পড়ল, যুগ তো অন্তঃমিলই চায়----
দেখুন না কবি জয় গোস্বামি,কবি শ্রীজাত
লেখিকা মৌসুমীঃ-কবিতার নিজস্ব ছন্দ থাকে। সেটা অন্ত্যমিল নাও হতে পারে। কবি জয় গোস্বামী, কবি শ্রীজাত ছাড়াও প্রচুর কবি আছেন যারা অন্ত্যমিলে লেখেন না।
সুদীপ্তঃ- আচ্ছা আর কথা বাড়াবনা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আজ আপনার মূল্যবান সময় থেকে এতটা সময় আমাদের জলফড়িং কে দেওয়ার জন্য । শেষে এটাই জানতে চাইব আপনার কাছ থেকে, এই যে জলফড়িং ওয়েব ম্যাগ আয়োজিত কফিকথা আপনার কেমন লাগলো?
লেখিকা মৌসুমীঃ-বেশ উপভোগ্য। শেষে জলফড়িং এর জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটুক জলফড়িং ওয়েব ম্যাগাজিনের, কামনা করি।
৷ শুভ সন্ধ্যা ৷
===========================
সুদীপ্তঃ- লেখিকা আপনাকে প্রথমেই জানাই নমস্কার এবং শৈতীক সান্ধ্যকালীন শুভেচ্ছা।
লেখিকা মৌসুমীঃ-তোমাকেও শৈত্যকালীন শুভেচ্ছা।
সুদীপ্তঃ-এবারে সরাসরি প্রশ্নই আসি
লেখিকা মৌসুমীঃ- সেই ভালো
১. এখন পর্যন্ত বেশ কতগুলো নিজস্ব কাব্যগ্রন্থ অলরেডি বেরিয়ে গেছে আপনার। যদি বলি এই কাব্যগ্রন্থ গুলি প্রকাশের পর আপনার উপলব্ধিটা কেমন ছিল।
উঃ-ভীষণ আনন্দ। নিজের সৃষ্টি যখন দুই মলাটের মধ্যে প্রথম দেখা যায় তার আনন্দানুভূতিই অন্যরকম। অবশ্য প্রতিটি বই প্রকাশের সময় একটা উত্তেজনা তো থাকেই। আমারও ছিল।
[লেখিকার কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম 'যাপন' , 'বৃষ্টির জলছাপ' ও 'শব্দপিঁড়ি']
২.) বিভিন্ন ছোটো বড়ো পত্রিকা, ব্লগজিনে আপনার লেখা প্রকাশ পায়। এই ব্যাপারে নিজের অনুভূতিটা যদি জানান।
উঃ-কে না চায় তার লেখা প্রকাশ হোক। আমিও ব্যতিক্রম নই। অবশ্যই ভাল লাগে। আর কবিদের সার্থকতা তো লেখার মধ্যেই। যতজন ভালবেসে ছাপবে/প্রকাশ করবে ততোই তো ভাল।
৩.) ব্লগজিন যেন একটা সহজ জিনিস। এখানে যে কেউ লেখক লেখিকা হতে পারে কিছুদিনের মধ্যেই। কি মনে হয় ব্লগজিন কি এতোই সহজ নাকি ব্লগজিনকে সহজ ভাবে নেওয়া হচ্ছে ?
উঃ-ব্লগ একটি অনলাইন মাধ্যম। যে কেউ ব্লগে লিখতেই পারে। কিন্তু টিকে থাকতে গেলে লেখা ভাল হতেই হবে। সে কোন মাধ্যমই হোক না কেন।
৪.) আজ ফেসবুকের পাতায় হাজার হাজার কবি লেখকের ভিড়। নাম করা কবিরাও এখানে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যদি বলি এই ফেসবুক নতুন লেখক/লেখিকা তৈরী করতে পারে। এ বিষয়ে আপনাার কী বক্তব্য?
উঃ-বর্তমানে ফেসবুক একটি বিশাল প্লাটফর্ম। কে বলতে পারে এই ফেসবুক কবিদের মধ্যে থেকেই একদিন বড় কাউকে পাব না! বলা মুশকিল।
৫.)আপনি মূলত প্রকৃতি প্রেমিক লেখিকা। এখন প্রশ্ন হলো সমাজের যা অবস্থা তাতে অন্য কোনো লেখিকা লিখছেন সমাজের কথা, প্রচুর কমেন্ট পাচ্ছেন। আপনার কি মনে হচ্ছে আপনি আদতে তাহলে পিছিয়ে পড়েছেন?
উঃ-না, তা মনে করি না। আমি যে বিষয়ে স্বচ্ছন্দ সেটাই লিখতে চেষ্টা করি ও করব। অন্যরাও তাই। তবে অন্য বিষয়েও লিখি না এমন নয় কিন্তু। লিখতে ইচ্ছা হলে অবশ্যই লিখি।
বিষয় অনুসারে বা কমেন্ট অনুসারে পিছিয়ে পড়ার ধারনায় আমি বিশ্বাসী নই।
সুদীপ্তঃ- বাহ্, ভালো লাগলো।
৬.) কবি মৌসুমী ভৌমিকের যখন ৫০ বছর বয়স হবে৷ তখন কোনো এক গ্রীষ্ম দুপুরে ঘুঘুর আওয়াজ শুনতে শুনতে একখানা বিরহের কবিতা কি লিখতে চাইবেন নাকি বয়সের কথা,প্রতিবেশীদের কথা, সমাজের কথা মাথায় রেখে প্রকৃতির কথায় লিখবেন?
উঃ-হা হা, সেটা ৫০ বছর বয়স হলে বলব
সুদীপ্তঃ-😀 হা হা হা
৭.)এতো কবি ফেসবুকে লেখেন তাদের মধ্যে আপনার প্রিয় পাঁচজন কবির নাম বলুন।
উঃ-অনেক কবিই ভাল লেখেন। অনেকের লেখা নিয়মিত পড়ি। শুধু পাঁচজনের নাম বলা ঠিক হবে না।
৮.) ওয়েব ম্যাগাজিনের ভবিষ্যৎ আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন? যদি পাচ্ছেন তাহলে মতামত জানতে চাই।
উঃ-অসুবিধাও রয়েছে কিছু। বয়স্কদের চোখের অসুবিধা, গেজেট নির্ভরতা, ইন্টারনেট সংযোগ এসব। তবে ডিজিটাল যুগে ওয়েব ম্যাগাজিন প্রকাশ করা সুবিধাজনক। দূরত্ব, সময় অর্থ এগুলোর সাশ্রয়ে লেখক, পাঠক উভয়েই লাভবান। আশা করি ওয়েব ম্যাগাজিন ভালই চলবে।
সুদীপ্তঃ-☕☕ আসুন মৌসুমী দি এই শীতল সন্ধ্যায় আমরা এবার কফিতে চুমুক দিই তারপর আবার আলোচনায় ফিরব।
লেখিকা মৌসুমীঃ-বেশ
৯.) শীত কাল, ধরুন জানুয়ারির ৫ তারিখ আর শীতের গায়ে হঠাৎ বৃষ্টির আগমন। আপনার ফ্লাটের জানলার গায়ে বৃষ্টি ফোটার আঁচড়। আপনি এবার কফিতে চুমুক দিলেন (এমন একটা অবস্থায় লেখিকা কি লিখবেন? (দুটো লাইন এখনি লিখুননা আমাদের ভালো লাগবে)।
উঃ-"কথা তো ছিল না হঠাৎ এভাবে আসবে
হিমবাসরে হিমঝরনায় এভাবে ভালবাসবে"।
সুদীপ্তঃ-সাধু সাধু। আর এটাই বোধহয় কবি মৌসুমী ভৌমিক।
১০.) লেখিকা মৌসুমী, অন্ত্যমিল নাকি গদ্য কবিতা কোনটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ?
উঃ-আমি অন্ত্যমিল পছন্দ করি। তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আজকাল গদ্য কবিতাও লিখছি। ভালও লাগছে।
সুদীপ্তঃ-আচ্ছা যুগ বলতেই মনে পড়ল, যুগ তো অন্তঃমিলই চায়----
দেখুন না কবি জয় গোস্বামি,কবি শ্রীজাত
লেখিকা মৌসুমীঃ-কবিতার নিজস্ব ছন্দ থাকে। সেটা অন্ত্যমিল নাও হতে পারে। কবি জয় গোস্বামী, কবি শ্রীজাত ছাড়াও প্রচুর কবি আছেন যারা অন্ত্যমিলে লেখেন না।
সুদীপ্তঃ- আচ্ছা আর কথা বাড়াবনা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আজ আপনার মূল্যবান সময় থেকে এতটা সময় আমাদের জলফড়িং কে দেওয়ার জন্য । শেষে এটাই জানতে চাইব আপনার কাছ থেকে, এই যে জলফড়িং ওয়েব ম্যাগ আয়োজিত কফিকথা আপনার কেমন লাগলো?
লেখিকা মৌসুমীঃ-বেশ উপভোগ্য। শেষে জলফড়িং এর জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটুক জলফড়িং ওয়েব ম্যাগাজিনের, কামনা করি।
৷ শুভ সন্ধ্যা ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন