১.)
তৃতীয় কামরা
ল্যাম্পপোস্টের গা বেয়ে তখন নেমেছে সন্ধ্যে
হাতল ধরে ভিড় ঠেলছে
ঘামে ভেজা ক্লান্ত জামা
আর জামার ভিতর ছুটতে থাকা একটা শরীর
নট-রিচেবেলের ভিড়ে বেজে চলেছে
বোবা টেলিফোনেরা
খুব চেনা রিংটোন
পাশের কলিকের বাসি হয়ে যাওয়া
খবর গুলোকে বিরক্ত করা
শব্দ গুলো স্পষ্ট এবার
প্ল্যাটফর্মের নীচে নামা সন্ধ্যে যেন
মৃদঙ্গের তালে তারই ছবি আঁকছে
ভিড়ের মাঝে ফিরে আসা বার্তা গুলো
বিড় বিড় করে
কি যেন বলে চলেছে
জানলার ওপারে চেয়ে দেখ
কেউ তোর অপেক্ষা করছে
শেষ লাইনে বানান ভুলের
প্রহর গুনছে কামরারা
ক্রমে কমে আসা ভিড়
ভেপারের নীচে তখন জোৎস্নার হাতছানি
তারপর খুব অন্ধকার
ধীরে ধীরে নামছে তৃতীয় ঘরে।
২.)
শেষ চুমুক
চায়ের কাপের এঁটো ভাড়ে
লেগে থাকা ঠোঁটের শেষ চুমুক টা
যত্ন করে তুলেছিলাম ক্যানভাসে
ভেবেছিলাম নাছোড়বান্দা ছেলেটার
হাত ধরে উপহার দেব তোমায়,
তুলির আঁচড়ে সুক্ষ কিছু টান থাকুক
কুয়াশায় আমার আবছা ফ্রেমে বন্ধী হয়ে,
কোন গোসা ঘরে ফুঁপিয়ে
কাঁদুক ঠোঁট ফুলিয়ে
তোমার রুমালের অপেক্ষায়
ফ্যাকাশে জানলায় নামুক সন্ধ্যে
ভগ্নাংশ ভেঙে থাক বিকেল গুলির প্রতিটা শেডে
লেগে থাকুক শুধু গন্ধগুলো
আমার বাড়ন্ত নখের ডগায়
ভালোলাগা গুলো ভালোবাসি হয়ে।
৩.)
কিছুটা কাল্পনিক
কাঞ্চনজঙ্গার বুকে চেরা রোদ খুঁজি না
খুঁজি বৃষ্টি বুকের ঝাপসা জানলা
ছাতা হাতে চেরাপুঞ্জের রাস্তা
বৃষ্টি বিভোর রোমাঞ্চ
মেঘের বুকে ক্ষুধিতের পাষান
সরযুর ধার ধরে মেহের আলির
গলা ফাঁটা চিৎকার
মিথ্যের হাতে ধরা পড়ার ভয় ছিল
অপ্রতিরোধ্য না বলা শব্দগুলোর
চুন সুড়কির দেওয়ালে ধাক্কা খাচ্ছে
অজস্র ঘাম বিন্দু হাজার বছর ধরে
সমব্যাথী শুধু নিয়তির বুকে
সমান্তরাল কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে।