ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯

কবি জয়দীপ রায়ের কবিতা পড়ুন




১.)
তৃতীয় কামরা

ল্যাম্পপোস্টের গা বেয়ে তখন নেমেছে সন্ধ্যে
হাতল ধরে ভিড় ঠেলছে
ঘামে ভেজা ক্লান্ত জামা
আর জামার ভিতর ছুটতে থাকা একটা শরীর
নট-রিচেবেলের ভিড়ে বেজে চলেছে
বোবা টেলিফোনেরা
খুব চেনা রিংটোন
পাশের কলিকের বাসি হয়ে যাওয়া
খবর গুলোকে বিরক্ত করা
শব্দ গুলো স্পষ্ট এবার
প্ল্যাটফর্মের নীচে নামা সন্ধ্যে যেন
মৃদঙ্গের তালে তারই ছবি আঁকছে
ভিড়ের মাঝে ফিরে আসা বার্তা গুলো
বিড় বিড় করে
কি যেন বলে চলেছে
জানলার ওপারে চেয়ে দেখ
কেউ তোর অপেক্ষা করছে
শেষ লাইনে বানান ভুলের
প্রহর গুনছে কামরারা
ক্রমে কমে আসা ভিড়
ভেপারের নীচে তখন জোৎস্নার হাতছানি
তারপর খুব অন্ধকার
ধীরে ধীরে নামছে তৃতীয়  ঘরে।


২.)
শেষ চুমুক

চায়ের কাপের এঁটো ভাড়ে
লেগে থাকা ঠোঁটের শেষ চুমুক টা
যত্ন করে তুলেছিলাম ক্যানভাসে
ভেবেছিলাম নাছোড়বান্দা ছেলেটার
হাত ধরে উপহার দেব তোমায়,
তুলির আঁচড়ে সুক্ষ কিছু টান থাকুক
কুয়াশায় আমার আবছা ফ্রেমে বন্ধী হয়ে,
কোন গোসা ঘরে ফুঁপিয়ে
কাঁদুক ঠোঁট ফুলিয়ে
তোমার রুমালের অপেক্ষায়
ফ্যাকাশে জানলায় নামুক সন্ধ্যে
ভগ্নাংশ ভেঙে থাক বিকেল গুলির প্রতিটা শেডে
লেগে থাকুক শুধু গন্ধগুলো
আমার বাড়ন্ত নখের ডগায়
ভালোলাগা গুলো ভালোবাসি হয়ে।



৩.)
কিছুটা কাল্পনিক

কাঞ্চনজঙ্গার বুকে চেরা রোদ খুঁজি না
খুঁজি বৃষ্টি বুকের ঝাপসা জানলা
ছাতা হাতে চেরাপুঞ্জের রাস্তা
বৃষ্টি বিভোর রোমাঞ্চ
মেঘের বুকে ক্ষুধিতের পাষান
সরযুর ধার ধরে মেহের আলির
গলা ফাঁটা চিৎকার
মিথ্যের হাতে ধরা পড়ার ভয় ছিল
অপ্রতিরোধ্য না বলা শব্দগুলোর
চুন সুড়কির দেওয়ালে ধাক্কা খাচ্ছে
অজস্র ঘাম বিন্দু হাজার বছর ধরে
সমব্যাথী শুধু নিয়তির বুকে
সমান্তরাল  কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে।





শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯

কবি রবীন বসুর কবিতা

সভ্যতার মাইগ্রেন
        কবি রবীন বসু


তোমাকে স্পর্শ করে এই আমি বসে আছি মাটি

জলহীন শুখা মাঠ, সবুজ বেহদিশ

লাবণ্যপূর্ণ প্রাণ দূষণে দূষণে মৃত

বৃক্ষ আজ পাখিহীন

মগজে জমছে ক্লেদ মানুষের

আবহ বিষাক্ত আজ, বাতাসে বিনাশের সাইরেন


তোমাকে স্পর্শ করে এই আমি বসে আছি মাটি

সহনাতীত সহ্য দাও, জল দাও

হিরণ্ময় দিন

সবুজ বৃক্ষের পাশে অহরহ

নতজানু হই যেন

অথবা যেন সেরে যায় সভ্যতার অসম্ভব মাইগ্রেন


কবি স্নেহা সরকারের কবিতা

১৬.)
অভিষার
  কবি স্নেহা সরকার

ঝিরঝিরে এক বিকেল বেলার পরে,
পাতায় পাতায় ধুলোর ছায়া পাতি,
নতুন কোন ভাবনা আসার ঘরে,
চোখের কাছে আবেগরা আহ্লাদী।

জোট বেধেই জোড়ালো হলো আলো,
কথোপকথন মেঘের মতোই ভারি,
অপ্রাকাশে বেঁচে থাকা বড়ো ভালো।
ইচ্ছে করেই চোখের আড়া আড়ি।

তবু অনুভূতিদের ভালোবাসা বলে ডাকি
তারপর হ্যাঁ তার পর অবলীলায়,
সব শেষ হলে তোর কোলে মাথা রাখি।
যেভাবে রাত বালিসে দুঃখ বিলায়।

ফেলে রেখে আসি শুকনো ফুলের মালা,
আপাতমস্তক ছড়িয়ে পরেছে ঘৃনা।
আমার হৃদয় ভাঙাচোরা ফেরিওয়ালা।
ভালোথাকি তবু ভালোবাসা কখনো আর না।।


কবি

১৫.)
বিরহ প্রেম
   কবি হুমায়ুন কবীর

আছে যত ঘৃণা বিরহ বেদনা শত যাতনা,
তবুও প্রেম ভালোবাসি!
সমাজে কুলষিত কলঙ্কিত আছে যত ভাবনা
তবুও প্রেম ভালোবাসি!
সব অনুভূতি বিশুদ্ধতা আনন্দ পুড়ে হয় ছারখার,
বোঝেও বুঝিনা,
তবুও প্রেম ভালোবাসী!
পাখিরা যেমন আপন পাখিদের সাথে―
মিশতে যায়, আমিও তেমনি আপন মানুষের―
সাথে মিশতে চাই,
কিন্তু---চলিত স্বাস, প্রবাহিত নদী, আপন মানুষ―
সবাই করে প্রতারণা,
তবুও প্রেম ভালোবাসি!
জুড়ায় না ক্লান্ত দেহ দখিনা বাতাসে―
পাইনা তৃপ্তির আশ্বাস,
তবুও প্রেম ভালোবাসি!
ব্যাথায় জর্জরিত হৃদয় বিরহ বাঁশির কান্নার সুর,
জানি কোনো দিনও পাবনা সুখ,
তবুও প্রেম ভালোবাসি!


কবি পাখি পালের কবিতা

১৪.)
বন্ধু মানে....
   কবি পাখি পাল

বন্ধু মানে প্রতিধ্বনি
পাহাড় চূড়ায় ডাকা..
অনেক আঘাত মাটির ওপর
সবুজ ঘাসে ঢাকা..
বন্ধু মানে মরুর মাঝে
মরুদ্যানের দেখা..
অনেক ভুল করার মাঝে
একটুখানি শেখা..
বন্ধু মানে খোলা আকাশ
অনেকখানি মুক্তি..
বাঁধনহীন ওড়ার সুখ
খাটে না যেথা যুক্তি..।।

         
       


কবি রাফাতুলের কবিতা

১৩.)

এক দীর্ঘ স্থবিরতা
   কবি রাফাতুল আরাফাত

আমার অনন্তকাল ধরে চলতে থাকা পা থেমে গিয়েছিলো
এক চপলতার নুপুরের শব্দে।


এরপর বহুদিন আমি কেমন উন্মুখ হয়ে থাকি
কার অপেক্ষায় থাকি
কার জন্যে শব্দ বুনি।
কার জন্যে  যেন  আমি হত্যাকারী,
সকাল হত্যা করি,
দুপুর হত্যা করি
বিকেল হত্যা করি।


আমার পায়ে এখন রাজ্যের স্থবিরতা,
জয়েন্টে জয়েন্টে উইপোকা বাসা বেঁধেছে।
ইচ্ছে হয় মধ্যদুপুরে  ঝিঁঝিঁ পোকার গলা চেপে ধরি।


সকাল থেকে রাত আমি যেনো কার জন্যে উন্মুখ হয়ে থাকি!







কবি সায়ন্তনীর কবিতা

১২.)
বাগদত্তা
    কবি সায়ন্তনী কুলভী

কেই বা এই মানুষ আমি?
কোন পাড়াতে থাকি ?
এক চোখেতে লজ্জা নিয়ে,
কপালে টিপ আঁকি
কেবা আমি সরল নাকি --
জটিল বামুন মন !
ওরে আকাশ তোরে শুধাই ,
একবার তুই শোন
কি পরিচয় দেবো এখন
কি বা আমার স্বত্বা?
আমার আগে যা ছিলোতা
এখন বাগদত্তা...


কবি স্বরূপ সিংহ'র কবিতা

১১.)
বানভাসি
   কবি স্বরূপ সিংহ রায়


“সীমন্তিনির চোখ আমি দেখেছি তাই শান্ত দিঘির টলটলে জলে কাজল মেঘের ছায়া দেখি বারবার”----।



আমার মেঘ তোর সে গহন চোখের নেশায়

বুকের ভিতর ভীষণ রকম বৃষ্টি ভেজায়

নেশায় খুঁজি বুকের ভিতর মেঘের ঢল

তুই সে এখন অন্য বুকে ছলাৎছল।



তুই সে এখন অন্য বুকে লাজুক সুখে

দুঃখ ভীষণ জমাট বেঁধে আমার বুকে

দুঃখ জমাট বকের ডানার ক্লান্তি জুড়ে

সাত সমুদ্র তেরো নদীর আকাশ ঘুরে।



তোর সে চোখ রোজ সরে যায় দূর বহুদূর

তবুও তাতেই বানভাসি রোজ সন্ধ্যা দুপুর।


কবি সোমা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

১০.)
হঠাৎ কবিতা
     কবি  সোমা চট্টোপাধ্যায়


মেঘনামা শহরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে প্রহর

প্রহরীহীন দরজা পেরোলে একটা বিশাল বাগান

সেখানে শুয়ে আছে শয়ে শয়ে কবিতা

ওরা লাশ নয় - উন্মুক্ত শব্দভাণ্ডারের দু-টুকরো নমুনা

মরা কবিদের প্যাকেটবন্ধ করা ধর্ম-অধর্ম।


তোমাকে ছুঁলেই কবিতা হয়ে যায় শোক

হঠাৎ পাওয়া কোনো বৃষ্টিদিনের মতো চোখ

পরিতৃপ্তির হাসি লেগে থাকে কানের পাশের তিলটায়

এই কবিতাটা আমার।

শিলাবৃষ্টির মতো মনিপুর চক্রে এটা আমার হঠাৎ কবিতা ।

মায়াগঙ্গা বরাবর হেঁটে যাচ্ছে সর্পিল আলিঙ্গন

আমি সেমিকোলন ভুলে কাব্য হয়ে যাই

হঠাৎ কবিতার মতো...

















কবি অভিজিৎ এর কবিতা

৯.)
আজ আমি বৃষ্টিতে ভিজব
       কবি অভিজিৎ চক্রবর্তী

আজ আমি বৃষ্টিতে ভিজব
নতজানু হয়ে মাটিতে চুমু খাব।

জলের রেখা ধরে আমি পৌঁছে যাব আজ
যেখানে হৃদয় ভাগ হয়ে গেছে
ক্ষণিকের দুঃস্বপ্নে,
যেখানে তরঙ্গ এসে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,
যেখানে সুখ হারিয়ে গেছে বিজ্ঞাপনের বালুকাবেলায়।

আজ আমি বৃষ্টিতে ভিজব,
ভিজব আর স্মৃতির রেখা ধরে একে একে
টেনে তুলবো
হারিয়ে যাওয়া সমস্ত সুখ-অসুখ,দুঃখ বেদনা, সোনালি স্বপ্ন আর রুপোলী দুঃখ।
শিশুর মত প্রান্তরের ক্যানভাস জুড়ে ছিটিয়ে দেব আনন্দের জল রং আর মোমের ক্রেয়নগুলো।



কবি রাণা চ্যাটার্জির কবিতা

৮.)
    এ তুমি কেমন তুমি!
           কবি রাণা চ্যাটার্জী


নিজেকে মহীরুহ ভেবে নেওয়াটা

তোমার অপরাধ নয়,আমাদের কৃতজ্ঞতা বোধ,

             অর্জিত রুচিশীলতার ফসল।

অর্থ দম্ভ অহংবোধ সব থেকেও বড় নিঃস্ব তুমি আপনজনদের না বোঝার ব্যর্থতায়।


সব বুঝেও বোঝোনা,

নির্দয় বাক্যবাণ নিক্ষেপের দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা

বেশ ক'টা হিরোশিমা পুড়িয়ে খাক করে দেবার   ক্ষমতা রাখে।


বিনা আঁচে তোমার বিত্ত বাতেল্লায় এক হাঁড়ি ভাত ফোটে নিমেষে,

আয়নায় মেকআপ গলে মুখ মুখোশের উঁকিঝুঁকি।


লজ্জিত করে স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা দেওয়াল চুঁইয়ে পড়া অ্যাসিড বৃষ্টি,

অন্যদের ঘৃণায় খসে পড়া ভালোমানুষ হোর্ডিং নড়বড়ে করে জং ধরা পেরেক।

শব্দ দূষণের বেসামাল দুর্দিনে বর্ষা ফলক হিংস্রতা ,গতিরুদ্ধ হয় উপেক্ষার নীরবতায়।


 


কবি কুনালের কবিতা

৬.)
কবির চোখে যখন প্রেম.....
       কবি কুনাল গোস্বামী


ভেবেছিলে স্পর্শ করবে,ছন্দে ছন্দে ভরিয়ে দেবে সর্বাঙ্গ

লিখবে প্রেমের কবিতা,কবিতা যে তোমার প্রেমাঙ্গ

কবি' তুমি কবিতা লিখছো?তুমি প্রেম খুঁজছো কোথায়?

আমি যে শুধুই দেখছি ছিন্নভিন্ন খণ্ডাকার দেহাংশ আর রক্তে ভেজা মাটি

সেই রক্তের চারপাশে সারি বেঁধে লাল পিঁপড়ের দল

কবিতা দিয়ে ওদের পেট ভরাতে পারবে তুমি?


দ্যাখো ঐ শোনা যায় ঝড়ের পূর্বাভাস,হয়তো আবার তছনছ হয়ে যাবে কত ছারপোকার কুঁড়ে ঘর

নদীর উত্তাল জলে মিশবে ওদের বুকফাটা আর্তনাদ আর অশ্রুজল, সৃষ্টি হবে সুনামি তখন

আচ্ছা কবি' তখনও কি তুমি ব্যস্ত থাকবে কবিতার মাঝে প্রেম খুঁজতে?

পাঠকেরা সেই কবিতা পড়ে করতালি দেবে,

বলবে সবাই - "কবি তুমি মহান,অনবদ্য তোমার লেখনী!"

কিন্তু সেদিন হয়তো বলবো আমি-

                "ধন্য তুমি কবি,ধন্য তুমি।"



কবি অনিমেষের লেখা

৫.)
প্রেম কার্নিভাল
     কবি অনিমেষ সরকার

তোমার কাছে গেলে সমস্ত অসুখ কেটে যায়
যাপনের কবিতার রঙ পাহাড়
এই লালিগোরাসের আসমান
এখানে পঙতি থেকে পঙতি রচনা করে ইলিয়াস

যেসব প্রেমিকেরা আমার মতো কাঁধে নাম নিয়ে ঘোরে
তাদের চর্চা লালিগোরাসের নাভী থেকে যত্ন করে রাখে আলাপ

তোমার কাছে গেলে সাধেই কি মন ভালো হয়ে যায়?
মনে রেখো সাচ্চা প্রেমিকেরা বিদ্রোহ করে না
তোমার ভালো থাকাতেই তাদের ভালো থাকা...



কবি মিতালির কবিতা

৪.)
উপশম
 কবি মিতালি চক্রবর্তী



বারবার হাত চলে যাচ্ছে

চেনা সবুজ আলোয়,

কতকি লিখছি আবার  মুছে ফেলছি,,,


প্রথম শর্তটি ভেঙে গেছে  দমকা হাওয়ায়


দ্বিতীয় শর্ত কেবল দৃষ্টিতেই সীমাবদ্ধ, উচ্চারিত হয়নি কখনো।


আর কিছু নেই;


আকুল আঁধার শুধু দুজনের মাঝে।।



পরিণত মননের খেলা গুলো এমনই হয়,,,



জড়পদার্থের মত মনবিহীন,এই কথাটি জানা ছিল ,

অথচ আব্দারের আড়াল থেকে জানান দিল সমস্ত অসাড়

 সাজানো অহংকার।।


কবি ইমরানের কবিতা

৩.)
কাব্য পরিচয়
    কবি ইমরান হাসান

চল একটি কবিতা হয়ে যাক,
একটা শিশিরের শব্দ,
আজকে নিজের অস্তিত্ব জানাক

আজ হয়ে যাক কাব্যের মেলা।

আজ রত্নপাথরের শোভার
আজ স্বরূপের টানে ভোলার,
আজ প্রকৃতির তান শোনার
এইক্ষণ রয়ে যাক।


হিম হিম পাহাড়ের চুড়া ,
তার উপর সবুজের একটু আভা

কবিতার স্বরূপ জমিয়ে রাখা

শুধুই ভালোবাসার আবীর ।


আজ হয়ে যাক কবিতা -

তোমার ভুরু মাঝের রবির ।


কবি দেবাশীষের কবিতা


২.)
আগমনী
    কবি দেবাশীষ মন্ডল


আয় মা, আয়  তোর এই বেটার অভাবের সংসারে।

একটা বছর কোথা ছিলি মা, আমাদের একা করে?

কাল ফুলে তে হবার আগে তোর আগমন

সামান্য কিছু নৈবেদ্য করেছি আয়োজন।

জানি মা, তা খুব সামান্য-- খুশি হওয়ার না।

তবুও তুই তাতেই খুশি, কারণ তুই তো মা!

তাকিয়ে দেখ, দেখ মা তোর থাকার ঘরের সম্মুখে

কচি-কাঁচারা হয়েছে জড়ো দেখবে বলে তোকে।

মা-বোনেরা এনেছে শঙ্খ, কেউবা এনেছে কাঁসর।

ঢাক-শঙ্খ, ঘন্টা-ধ্বনি- জমবে তোর আসর।

কয়েকটা দিন থেকেই কি মা আবার যাবি চলে?

বেটার বেদন বুঝবি মাগো, আমি মা, তুই ছেলে হলে!


কবি অমরজিৎ এর লেখা

১.)
বিবর্ণ হাইকু
    কবি অমরজিৎ মণ্ডল




একাকী কাক
বিবর্তিত আঘাতে
আজ নির্বাক ।




নগ্ন যুবতী
আর কত দেখবে,
জ্বলন্ত স্মৃতি ?




স্বপ্নের রথ
তাকিয়ে দেখে দূরে
মুক্তির পথ ।