ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯

ভালোবাসা বাকি আছে সংখ্যায় জলফড়িং গুগল ইস্যতু যাঁরা লেখেন তাঁদের লেখা





১.)
মনের কথা
মুনমুন মুখার্জ্জী

জীবন যেন একটা ফুটবল মাঠ,
গোলপোষ্ট হল তার মন,
বাইশ তেইশ জন দাপিয়ে বেড়ায়
খেলা চলে যতক্ষণ।
গ্যালারি থেকে কেউ হাততালি দেয়,
কেউ ইট, পাটকেল, গালি--
খেলা শেষে একা মাঠ হাঁপায়
আর গোলপোষ্ট কাঁদে খালি।

মনের কথা কেউ ভাবে না,
শরীরকে টেনে নিয়ে চলে,
উপরে ওঠার নেশায় শরীর
শোনে সবই যে যা বলে।
দেখতে দেখতে সময় চলে যায়,
ফুরিয়ে যায় একদিন দম,
থেঁতলানো মনের হাহুতাশ নিয়ে
শরীর বড় একা তখন।




২.)
জীবন
জয়ীতা চ্যাটার্জী

কবিতা লিখতে লিখতে একদিন রাত থেকে ভোর হবে,

তুমি হয়তো পিছন থেকে ডেকে বলবে এখনও লিখছো?

আমি তাকিয়ে বলবো এই দেখো এতো আমার জন্মভূমি।


কতদিনের হার ভাঙা খাটুনির পর

আনমনে দাঁড়িয়ে থাকে একা,

সব জানি সঠিক ভাবে, দুহাতে আগুনের অঞ্জলি

পুড়ে যাচ্ছে দুটি চোখ, যাচ্ছে না কিছু দেখা।

ঘিরে ফেলে ধীরে ধীরে আগুনের বলয়,

কোথাও আবার একটু একটু করে কাটা পড়ছে হাত,

সঙ্গে নিইনি কাউকে, ডাকিনি কাউকে একবারও

মন যখন পিছিয়ে পড়ে একটু একটু করে,

জীবন তখন  টানতে থাকে কাছে আরও আরও।

৩.)
অভ্যাস
বিকাশ দাস

যে গাছের ফুলে সুবাস নেই

সে গাছ আজ শিকড় সমেত উপড়ে ফেলে দাও।

যে হাওয়ার নিভৃতে ঝড় নেই

সে হাওয়ার মৌসুম গায়ে  না লাগিয়ে চলে যাও।

যে দেখার আঁচে জীবন নেই 

সে দেখার ঘর সংসারে ছাই চাপিয়ে  চলে যাও।

যে পাথরে ঝর্নার ধারা নেই

সে পাথরের গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিয়ে চলে যাও।

যে আকাশনীলে স্বপ্ন নেই

সে আকাশ বানের জলে ডুবিয়ে দিয়ে চলে যাও।   

গোপন প্রহরে

উঁচু চৌকাঠ পেরিয়ে

অন্ধকারে চাঁদ বেশি সুন্দর আরও বেশি রমণী

অন্ধকার ছুঁয়ে থাকার তোমার অভ্যাস রেখে যাও ।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন