ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০

ফাউন্ডারের বাউন্ডারি




             ফাউন্ডারের বাউন্ডারি

ফেসবুকের আঙিনায় সাহিত্যের কাছে পেজ হিসেবে যারা ছাপ ফেলছে প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে অন্যতম পাঁচ পেজের ফাউন্ডারেরা রয়েছেন এখানে।
('কালপুরুষ' পেজের ফাউন্ডার  ডাঃ রিমো নস্কর , 'লাফালাফি' পেজের ফাউন্ডার FJ ROY,  'লেখালেখি' পেজের ফাউন্ডার  বিদিশা ভট্টাচার্য্য, 'আন্তরিক' পেজের ফাউন্ডার দেবায়ন চট্টোপাধ্যায়,  'এক কাপ কলকাতা' পেজের ফাউন্ডার উজান গুহ)

আর আপনারা পড়ছেন 'ফাউন্ডারের বাউন্ডারি'।

জলফড়িং-এর পক্ষ থেকে প্রথমেই স্বাগত জানাই তোমাদের।


১.) সমস্ত পেজের নিজস্ব কালচার রয়েছে একটা মূলমন্ত্র রয়েছে। কোনো পেজ একধরনের লেখা পোস্ট করে তো অন্যপেজ অন্যধরনের লেখা।
আমি জানতে চাইব সবার কাছ থেকে তোমাদের নিজস্বভাবে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করার মন্ত্র গ্রহণ করতে হয়েছে।

কালপুরুষঃ- কালপুরুষ বাংলা সাহিত্যের সব বিভাগকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়। গল্প, কবিতা, পর্ব গল্প (বা সিরিজ), কাপ্লেট, কথোপকথন সব দিকটাই দেখা হয়। তবে এখনকার টু লাইনার, ফোর লাইনারের রমরমার দিনেও আমরা বিশেষভাবে সতর্ক থাকি বড় লেখা মানে গল্প, সিরিজ বা বড়ো কবিতার প্রতি। ইদানিং, আমরা শিশু সাহিত্যেও মনোনিবেশ করেছি।


লাফালাফিঃ- আমি একটু অন্য ভাবে বলি। ইলেকট্রনিক কোনো জিনিস বা যে কোনো জিনিসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ভাবে বেচার চেষ্টা করে। কিন্তু দিনের শেষে জিনিসটা তো একই। সাবান বলো, জুতো বলো, জামা কাপড় বলো।

তাই আমি মনে করি ভাব প্রকাশ এক হলেও আমরা যেটা করি সেটা হলো একটা জিনিসকে কিভাবে একটু অন্য ভাবে রিপ্রেজেন্ট করা যায়।

লেখালেখিঃ- কোনো একধরনের লেখা সেভাবে নির্বাচন করার মন্ত্র গ্রহণ করিনি। তবে লেখালেখি থেকে নস্টালজিক লেখা সব থেকে ভালো লাগে ফলোয়ার্স দের, আমারও ব্যাক্তিগভাবে সেধরনের লেখাই বেশি পছন্দের। তবে একটা পেজের মাধ্যমে পুরোপুরিভাবে সাহিত্য চর্চা কোনোদিনই হয় না। প্রয়োজন আর প্রিয়জনের মধ্যে তো একটা পার্থক্য থাকেই। হ্যাঁ, তবে সেটা কখনো মার্জ করে যা। তবে পেজের মূলধন মানে ফলওয়ার্সরা কেমন পছন্দ করছে সেটা বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখার চেষ্টা থাকে।

এক কাপ কলকাতাঃ- পেজ কালচারটির সাথে বেশ অনেক দিন ধরে আছি। যা দেখে এসেছি বেশির ভাগ ৪-লাইনার কবিতা বা অন্যান্য লেখা পোস্ট হয় ৮০শতাংশ পেজে।
তাই আমরা ১০০০০ হবার পর ঠিক করি যে না একটু কবিতা বা ৪-লাইনার বা ৬-লাইনার থেকে বেরিয়ে স্মৃতিচারণ বা ডেস্ক্রিপ্টিভ টাইপের কিছু লেখা লিখলে কেমন হয়।যেটা অনুগল্পও না আবার বড়ো গল্পও না জাস্ট একটা স্মৃতিকে তুলে ধরা। তারপর থেকে আমরা বাঙালিয়ানা বা কলকাতার কালচার এর উপর  টপিক ঠিক করি এবং তার উপর লেখালিখি করা শুরু করি।
যেমন - ছোটোবেলার দাদু বা দিদার কাছে গল্প শোনার স্মৃতি বা স্কুলে টিফিন ভাগ করে খাওয়া বা টিচারদের ব্যাঙ্গো করে ডাকার স্মৃতি এছাড়াও অন্যান্য। তো মোদ্দা  কথা হলো আমরা ঠিক করি আমাদের এক কাপ কলকাতা এমনিতেও সাহিত্যের পেজ নয়,তাই মানুষদের একটু অন্য রকম কিছুর স্বাদ দিলে কেমন হয়। এইটুকুই।


আন্তরিকঃ- আমরা বেশির ভাগই এমন লেখাকে গুরুত্ব দিই যে লেখা পাঠক খুব সহজে কানেক্ট করতে পারবে এবং তার মধ্যে সাহিত্যের বিভিন্ন অংশকেই কমবেশী তুলে ধরার চেষ্টা করি।


২.) প্রথম পেজ করার কথা বা প্ল্যান কীভাবে মাথায় আসে? এক এক করে সবার কাছ থেকে উত্তর নেব।

লাফালাফিঃ- ১১.১১.১৪ তে লাফালাফি শুরু হয় একটা জোকস ওয়েবসাইট হিসাবে। যেখানে রোজ জোকস যাবে এই পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এগোই। নাম টা দ্বীপ দিয়েছে। আমি দিইনি। লাফালাফি ইংরাজিতে বললে হাসাহাসি করা আর বাংলাতে বললে লাফানো-ঝাপানো।
আমরা এটা ভেবে কখনো এগোইনি যে সাহিত্য নিয়ে আমরা কিছু করবো। তখন সেই ভাবে এতো প্রচার না থাকেলও আমরা এই দিকে আসতে আসতে করে নিজেদেরকে নিয়ে আসি।

কালপুরুষঃ- এটা লম্বা ইতিহাস। বিস্তারিত বলবো না।
২০১৩-১৪ সাল থেকে তৎকালীন বিভিন্ন স্বনামধন্য পেজে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে শুরু। শেষ যেখানে 2 বছর আশ্রয় বা ঠিকানা করেছিলাম সেটাও বর্তমানে বেশ নামকরা এবং জনপ্রিয় পেজ। কোনও কোনও বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য বা মতের অমিল হওয়ায় বেরিয়ে আসতে চাই। তখন একপ্রকার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল 'কোনোদিন দশ হাজারি একটা পেজ খুলে দেখাস।' সেটা ২০১৭ সালের মাঝামাঝি।
লেখালিখি করা তখনকার আমি জানতামও না কীভাবে কী করতে হয়। ৭-৮ মাস ধরে জানা এবং সাহস জোগাড় করে কালপুরুষের জন্ম। মাত্র 2 জন মিলে। একজন আমি, আরেকজন সোমা বসাক। আমাদের কোনও WA, messenger কোথাও কোনও grp ছিলোনা। এই দু'জন মিলেই কালপুরুষের দশ হাজার... 6 মাসে... সেখান থেকেই শুরু।

লেখালেখিঃ- আমাদের লেখালেখি একদম প্রথমে পার্সোনাল ব্লগ লেখার আইডিয়া থেকে খোলা হয়। আমাদের পেজের মেইন অ্যাডমিন শুভজ্যােতি রায়, সেই নিজের লেখার জন্য প্রথম পেজটা খোলে 28th November,2018... তারপর 30 th November কিছুজন নিজেদের ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে,তারা পেজটার ব্যাপারে জানতে পারে এবং তারা নিজেরাও লেখা দিতে চায়।তারপর আস্তে আস্তে পেজটা অনেকটা পরিচিতি পায়। অনেকে যুক্ত হয় পেজটার সঙ্গে আর একটা পরিবারের মতো প্লাটফর্ম তৈরি হয়। লেখালেখি আমাদের সকলের কাছে একটা পরিবার।

আন্তরিকঃ- আমরা কিছু বন্ধুরা মিলে চেয়েছিলাম নতুন কিছু করতে, তবে কখনও বৃহত্তর ভাবে কিছু ভাবিনি, আমাদের ইচ্ছে ছিল সাহিত্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক একটা গ্রুপ তৈরি হোক।
এরপর আস্তে আস্তে অনেক মাথা এসে জড়ো হয় এবং এগিয়ে নিয়ে চলে আন্তরিককে।

এক কাপ কলকাতাঃ- এইটা খুব কঠিক একটা প্রশ্ন আমার জন্য অন্তত।
এটুকু বলতে পারি আমি সাহিত্য চর্চার পেজ কোনো দিনও বানাতে চাইনি,আজও যদি কেউ বলতে আসে কোথায় তোদের পেজ এ সাহিত্যের "স" ও তো দেখিনা তখন আমি হেসে উত্তর দি যে "এক কাপ কলকাতা" কলকাতার পেজ,বিশেষত কলকাতাকে এক্সপ্লোরেশন এর জন্য তৈরি,তাই এখানে সাহিত্য না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।
তো উত্তরটা একটাই আমারা কলকাতা,মেনলি বাঙালীদের কালচারটা'কে বাঙালিদের কাছে নতুন ভাবে প্রকাশ করার জন্যই এই পেজ এর সৃষ্টি।
এছাড়াও এর আগে আমার আরো একটি পেজ ছিলো যদিও তবে সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই নতুন পেজ খোলা প্রায় ১বছরের ব্রেকের পর।

৩.) কালপুরুষের থেকে জানতে চাইব। পেজ মেম্বারদের অনেক সময় মানুষজনকে ইনভাইট করে দেওয়ার জন্য অ্যালার্ট করতে হয় কোর টিম থেকে। এটাকে পেজের সার্থকতা বলা যায় নাকি ব্যর্থতা?

কালপুরুষঃ- এটা কমবেশি সমস্ত page ই করে থাকে। আমরা যারা page boost এর বিরোধী (আবার বললাম, page boost, পোস্ট boost বলিনি) তাদের কাছে সম্বল বলতে নিজেদের কন্টেন্টের উপর বিশ্বাস, আর নিজেদের সদস্যরা। এতে অনেকে অনেক সময় বিরক্ত হলেও, আখেরে লাভ তাদের। তাদের লেখাই আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারা যায়। আরও বেশি মানুষ দেখতে পান তাদের কাজ।
এটার সাথে সাফল্য বা ব্যর্থতার কোনও সম্পর্ক আমি দেখি না।

৪.) লাফালাফির কাছ থেকে জানতে চাইব  সত্যিই কী একটা পেজ ভালো কাজের জন্য নাম করে নাকি পিছনে content writer এর উপর কোনোরকম froce থাকে অ্যাডমিন প্ল্যানেল থেকে শেয়ার বা কমেন্ট বা লাইক করার জন্য।

লাফালাফিঃ- আচ্ছা। সত্যি বলতে আমরা প্রত্যেক মেম্বারদের বলে রেখেছি যে নিজেরা কমেন্ট করে পেজ যেনো না ভরায়। মোট কথা কমেন্ট করা ব্যান। সেটা করবে যারা আমাদের অনুগামী, যারা আমাদের সমালোচনা করবে।

যখন শুরু হয় তখন আমরা বলতাম লাইক এবং শেয়ার করার জন্যে। কারণ প্রথম প্রথম কেউ জানতোই না। পরে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
হ্যাঁ কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলি শেয়ার করতে বলা হয়, যেই রকম কোনো এনজিও নিয়ে কাজ, কোনো তহবিল এর ব্যাপার থাকলে ইত্যাদি।
আমরা মনে করি আমাদের কে অনেকটা পথ চলতে হবে। এবং সেটা সবাইকে করতে হবে।
আমি একটা লেখা লিখে দিলাম সেটা শেষ নয়, সেটা ভালো লেখা না খারাপ, সেটার গ্রাফিক্স ঠিক আছে কিনা ইত্যাদি এই সব অনেক কিছু আছে যেটার ওপর ভিত্তি করে এগোতে হয়।
আর আমরা নাম করার জন্যে এগোইনা। এটা অনেকেই খিল্লি করে কিন্তু এটাই সত্যি। ভালো কাজ করলে আলাদা করে সেখানে প্রমোশন করতে লাগেনা। এটাই বলার।


৫.) লেখালেখির কাছে জানতে চাইব একটা পেজ সত্যিই কি without boost প্রতিষ্ঠিত হতে পারে?

লেখালেখিঃ- হ্যাঁ, এই প্রশ্নটা আমাদের পেজের জন্য সত্যিই যথাযথ। আজ পর্যন্ত কোনদিনও পেজ boost করানোর দরকার পরেনি। আর তাতেই আমরা 1 lakh ফলোয়ারস ক্রস করেছি খুব অল্প সময়েই। পেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ার জন্য basic যে জিনিস গুলো প্রয়োজন হয়েছে সেগুলো হলো কন্টেন্ট creaters দের dedication,এবং সেটা পেয়েওছি সময় সময়। কখনোই জোরপূর্বক কাউকে লেখা দিতেই হবে কিংবা শেয়ার করতেই হবে এরোমটা করা হয় না। So without any boost page is going very well till now।
আর এই বিষয়টা আমরা ভীষণভাবে খেয়াল রাখি কি চলছে এখন আর কেমন পোস্ট ভালো লাগবে সবার। কারণ আমাদের পেজ 10k থেকে 40k তে পৌঁছায় একটা পোস্টের জন্য আর সেটা হলো types of bong রমণী।

৬.) এক কাপ কলকাতার থেকে জানতে চাইব যে আমরা জানি কবিদের বেঁধে রাখা যায় না কিন্তু একজন মানুষ একটা পেজের পাশাপাশি অন্য পেজেও জয়েন করে আর এটা করতে গিয়েই নানান সমস্যা হয়।  এই সমস্যা দূরীকরণের জন্য as a founder তোমার মতামত কী?

এক কাপ কলকাতাঃ- প্রথমে বলবো "কবি" শব্দটা খুব কঠিন। কজন কবি হতে পারে সেটা আমার জানা নেই।
আমি লেখক হিসাবে এগোলাম।
হ্যাঁ এটি একটি সমস্যা বটে। তার জন্য কিছু পেজ পদক্ষেপ নিয়েছে যে তাদের পেজ ছাড়া আর দুটি বা তিনটি পেজে থাকা যাবে।যেমন রয়দা মানে লাফালাফিতে আছে বা দলছুটেও আছে বা গ্রন্থকীট-এও রিসেন্টলি শুনতে পেয়েছি,যদিও কালপুরুষে এইটা নিয়ম করা হলেও এখন নিয়মটি নেই।
এবার ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশী সমস্যা দেয় আমাদের পেজের পরিচালকদের। এরা কি করে, এই পেজে সিলেক্ট হলো না তো অন্য পেজে বা আর একটি পেজে তাদের কন্টেন্ট দিয়ে দেয়।এবার এদের মধ্যে অনেকে আছে যে তারা জানেই না যে এক লেখা বা ছবি দুটো পেজে দেওয়া যায় না। ফলে কি হয় পেজে পেজে ঝামেলা লেগে যায়।এই তুই আমাদের লেখা কেনো নিয়েছিস এই নিয়ে।
আমার নীতিগত ভাবে দেখতে গেলে আমার মত যে লেখকরা তো আমাদের পেজের পার্সোনাল  property  নয় তাই তাদেরকে আমরা কখনই বলতে পারিনা ভাই তুই ওই পেজে যাবি না বা আমাদের পেজে থাকলে অন্য পেজে থাকবি না।হ্যাঁ যদি আমরা তাদের বেতন দি, তবে এটা আমরা বলতে পারি।এটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব মতামত।
তো এখন থেকে নয় আমাদের পেজ পরিচালকদের কঠোর হতে হবে যে ভাই তুমি ১০টা পেজে কেনো ১০০ টা পেজে থাকতে পারো কিন্তু সময় মতো এখানে কন্টেন্ট দিও, অন্য পেজের কাজের জন্য এখানে ইনঅ্যাকটিভ হলে আমরা রিমুভ করতে বাধ্য হবো।

৭.) অ্যাডমিনে অ্যাডমিনে ঝামেলা বা কনটেন্ট রাইটারদের সাথে। আবার পরবর্তীতে গলে জল। এতকিছু সহ্য করে ফাউন্ডারকে চলতে হয়। এই জার্নিটা কেমন লাগে?  আন্তরিকের থেকে জানতে চাইব।

আন্তরিকঃ- অ্যাডমিনে অ্যাডমিনে ঝামেলা বা মত বিরোধ কখনও হয়নি, তাই পরবর্তীতে গলে জল হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। তবে একটা কথা বলতে পারি, আমাদের হেডস্ টিমে মতবিরোধ হয় না বলাটা ভুল কারণ সবার চিন্তা ভাবনা তো সমান নয়, তবে আমরা খুব ভালো বন্ধুত্বের জায়গা থেকে সেটা মিটিয়ে নিই।
আমরা যারা আন্তরিকের হেডস টিমে আছি তাদের পেজতুতো সম্পর্কের থেকেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক বেশি।
 অভিজ্ঞতা মন্দ নয়, ভালো খারাপ সব রকমেরই মানুষ নিয়ে চলতে হয়।

৮.) অনেক ভালো ভালো পেজ রিপোর্ট খেয়ে বন্ধ হয়ে যায়। কেউ তো করে?
তাদের কী বলতে চাই এক কাপ কলকাতা?

এক কাপ কলকাতাঃ- হ্যাঁ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পেজ তারপর আবার ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে।সবচেয়ে বড়ো উদাহরন আন্তরিক।
তো যারা এটা করে তাদের বলবো যে আপনাদের ভালো নাই লাগতে পারে,আপনারা এড়িয়ে যান বা পার্সোনাল শত্রুতা থাকলে পার্সোনালি মিটিয়ে নিন।
পেজ মানে একটি সংগঠন তার পরিচালক মন্ডলী যারাই হোক না কেনো অনেকে সারাদিন খাটাখাটুনির পর পেজটি খুলে রিল্যাক্স করে।তাদের খুশিটা কেড়ে নেবেন না কারন একটি পেজ বা একটি পেজের গায়ে "ভালো" ট্যাগটি লাগাতে আমাদের বিনা পারিশ্রমিক এ যা পরিশ্রম দিতে হয় তা ভেবে দেখার ক্ষমতাও হয়তো আপনাদের নেই।

৯.) শুধুমাত্র প্রচুর শেয়ার, লাইক, কমেন্ট ব্যস, সেটা দেখেই কী  বিচারযোগ্য যে একটা পেজ সত্যিই শ্রেষ্ঠ। লাফালাফির থেকে জানতে চাইব উত্তরটা।

লাফালাফিঃ- হিহি। আমরা এখানে যারা আছি বা যারা পেজ চালায় বা পেজের সাথে কোনো প্রকারে যুক্ত, তারা এটা মানবে যে এখানে আমরা কেউ কারুর সাথে লড়াই করতে বা কে বড়ো কে ছোট বিচার করতে আসিনি। বরঞ্চ আমি এটা বলতে পারি যে যতই ঝামেলা হোক, দরকারে সবাই সবার পাশে দাঁড়াই। আর সেটা এখনি দেখা যাবে, যেখানে আমরা সবাই সাহায্য করছি করোনা এবং আম্ফান থেকে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
একটা পেজ যেখানে ১০ টা লাইক আছে সেখানে অনেক ভালো লেখা পাওয়া যাবে। আবার একটা ১ লক্ষ লাইক থাকা পেজেও। তাই কটা লাইক, কটা কমেন্ট দেখে কোনোদিন কোনো কিছুর গুণগত মান বিচার করা যায়না।

১০.) একটা পেজ হুড়হুড় করে বড় হলো আবার নেমে গেলো কিছুদিন পরে৷ একটা পেজকে দাঁড় করানোর জন্য কী মন্ত্র গ্রহণ বা পালন করতে হবে।  আন্তরিকের ফাউন্ডারের থেকে জানতে চাই উত্তরটা।

আন্তরিকঃ- সততা, নিজের মেম্বারদের প্রতি আস্থা এবং নিজেদের কাজের প্রতি বিশ্বাস।
কারণ, আন্তরিক হ্যাক হয়েছিল কমবেশী সবাই জানে... এই তিনটি মন্ত্র না থাকলে আন্তরিক নতুন করে শুরু করে ঘুড়ে দাঁড়াতে সক্ষম হতো না।

১১.) পেজ করতে এসে পরিচিতি বেড়ে গেলো।সেটা সমস্যার নাকি সুবিধের এক কালপুরুষের ফাউন্ডারের কাছ থেকে উত্তরটা নেব।

কালপুরুষঃ- এটা বেশ মজার প্রশ্ন। কালপুরুষের ক্ষেত্রে দশ হাজার পর্যন্ত কেউ জানতো না যে কে এডমিন! অনেকেই দিদি বলে msg করতেন পেজে।
যাইহোক, পেজ একটু বড় হলে বা বলা ভালো জনপ্রিয় হলে, বিভিন্ন পুরস্কার প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেদের নিয়ে আসতেই হয়। আমার ক্ষেত্রে তো আর কোনও দ্বিতীয় option ছিলো না। তাই আসতেই হয়েছে সামনে।
এবার আসি খারাপ, ভালোর প্রশ্নে। সবকিছুরই ভালো এবং খারাপ দুটোই থাকে। ভালো যেটা, সেটা হলো নিশ্চিন্তে মানুষের সামনে আসা যায়, পরিচয় দেওয়া যায়। নিজেদের পেজ এবং সদস্যদের সামনে থেকে অনুপ্রেরণা দেওয়া যায়।

সমস্যা অনেক-
1. কোনও page এর সবাইকে নজরবন্দি করে রাখা, কোনও এডমিনের পক্ষেই সম্ভব নয়। কোনও সদস্য কিছু ভুল করলে, প্রথম আঘাত এডমিনের উপরেই আসে।

2. পরিচিতি আর সময়ের মধ্যে একটা ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক আছে। পেজের খুঁটিনাটি দেখার সময় কমে যায়।

3. দিনের কোনও নির্দিষ্ট সময় শুধুমাত্র নিজের জন্য বরাদ্দ রাখা যায় না। ভিতর বা বাইরে যে সমস্যাই হোক না কেন, ডাক সেই মানুষটারই পড়বে, যাকে মানুষ চেনে।

আরও অনেক সমস্যা আছে, বাঙালি অনেক সময় কাঁকড়াকেও হার মানায় টেনে নামানোতে... সেইসব পরে কোনোদিন আলোচনা করা যাবে।

১২.) পেজ মানে খাওয়ানো কনটেন্ট রাখতে হবে আর তার মানেই হয় প্রেয় নয় বিরহ৷ এটা কতটা বিশ্বাস করে লেখালেখি?

লেখালেখিঃ- এই খাওয়ানো কথাটা খুব অপছন্দের। এত্ত ভালো ভালো খাবার থাকতে মানুষ লেখা খেতে যাবে কেনো! আর খাওয়ানোর ব্যাপার হলে রেস্টুরেন্ট খুলতাম পেজ খুলতাম কেনো।
তবে এইটুকু বুঝতে পারি এখন মানুষের পছন্দের variety আছে। তার মধ্যে প্রেম আর বিরহ যেটা প্রতিটা মানুষের জীবনেই আসে। সুতরাং এরম পোস্ট বারবার এসেছে আর আসবেও। তবে প্রেম বিরহ ব্যতীত প্রচুর লেখা আসে আমাদের পেজ থেকে। সমাজের কিছু মানসিকতা যেগুলো পাল্টানো দরকার তার ওপরে পোস্ট আসে প্রচুর। কেনো না আমাদের পেজের বেসিক একটা মূল লক্ষ্য আছে আর তা হলো সমাজের জন্য কিছু করা, প্রতিটা মানুষের কাছে পৌঁছানো, মানুষের পাশে থাকা, সাহায্য করা।
আরেকটা কথা এ প্রসঙ্গে বলতে চাইবো আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে আসে থ্রিলার গল্প যা প্রেম বিরহ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা গোত্রের।
সুতরাং আমরা সবরকমের কন্টেন্ট রাখারই যথাসাধ্য প্রয়াস করি। আর মানুষের ভালোলাগার ওপর পোস্ট depend করে আর আগামী দিনেও করবে কারণ তারাই পেজের সম্পদ।।

১৩.) পেজ মানেই এক আত্মীয়তা। এই আত্মীয়তা কতটা জরুরী পেজের জন্য? এক কাপ কলকাতার থেকে জানতে চাইব।

উজান (এক কাপ কলকাতার ফাউন্ডারঃ)- হ্যাঁ পেজ কালচার আমায় শিখিয়েছে যে পেজ মানে একটা পরিবার, একটা বন্ধুত্ব,একটা বন্ডিং।যেটা না থাকলে পেজের পরিকাঠামো ভেঙে পরে। ইন্টারনাল  প্রবলেম, ঝগড়া দেখা দেয়। তাই আমার মতে একটা পেজ চালাতে গেলে আগে নিজেদের মধ্যে, অন্তত কোর টিমের মধ্যে বন্ধুত্ব বা আত্মীয়তা থাকাটা খুব জরুরি।

১৪.) প্রশ্ন গুলো সেট করার জন্য তোমাদের পেজ গুলো ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে। সেটা করতে গিয়ে যা দেখলাম লাফালাফির ফোলোয়ারস প্রচুর। প্রথমদিন থেকে আজ অবধি এই জার্নিটা নিশ্চয় মসৃণ নয়? নিন্দুকদের কী বলতে চাও?

রয় দা (লাফালাফির ফান্ডারঃ)- জীবনটাই তো (hurdles) খেলার মতন। খারাপ না হলে ভালো জিনিসটার মর্ম বুঝবো কেমন করে? বাঁধা আসে বলেই তো বুঝতে পারা যায় কোন পথ টা সঠিক আর কোনটা নয়।
হিহি।  আমার একটা টিপিক্যাল ডায়লগ আছে যেটা ব্যবহার করি।

দেখবি আর জলবি, পম পম করে ফুলবি।

পম পম টা নিজের মাথা থেকেই। মানে ঠাট্টা করে আর কি।
এটাই বলার। ভালো কাজকে যেমন সমর্থন করেন তেমন কোনো কিছু খারাপ লাগলে নিশ্চই সমালোচনা করবেন কিন্তু কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ  করবেন না।


আচ্ছা এবার একটু পছন্দ জেনে নিই ফাউন্ডারদের

১.) roy দা রাতের ছাদ ভালো লাগে নাকি রাতের ব্যালকনি ?

উত্তরঃ- নির্ভর করছে কার সাথে কোন সময় কোন দিন কি অবস্থায় আছি। মানে নিজে নিজের সাথেই নাকি অন্য কেউ। হিহি

২.) উজান sunday suspens প্রিয় নাকি কলেজ ক্যানটিন?

উত্তরঃ- sunday suspence

৩.) রিমো দা নাইট ল্যাম্ফের আলো প্রিয় নাকি ডিপ লাইট?

উত্তরঃ- আমি একটু মলিনতা পছন্দ করি, সেটা জীবনদর্শন হোক বা মানুষ। খুব দরিদ্র শৈশব আর কৈশোরের জন্য ছোট্ট থেকেই মৃদু আলোর সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। উজ্জ্বলতা আমায় টানে না।

৪.) বিদীশা ট্রাম প্রিয় নাকি মানুষ টানা রিক্সা?

উত্তরঃ- মানুষের টানা রিক্সায় উঠতে আমার কোনোদিনই ভালো লাগেনা। বরং মনে হয় রিক্সা চালককে বসিয়ে নিজে একটু টানি। কারণ আমার বরাবরই প্যাসেঞ্জার সিট থেকে ড্রাইভার সিট বেশি পছন্দের।😁
টানা রিক্সার থেকে ট্রামে চড়তে বেশি ভালো লাগে। ট্রামের মধ্যে একটা সেই ব্যাপার আছে।। ট্রাম একটা ভালোবাসা আর টানা রিক্সা ভালোলাগা তবে চড়তে না, দেখতে আর ছবি তুলতে ভালোলাগে।

৫.) দেবায়ণ দা অনুপম রায়ের গান নাকি বাংলার লোকসংগীত?

উত্তরঃ- এই দুটোর মধ্যে জানতে চাইলে লোকসঙ্গীত বেশি প্রিয়।

আচ্ছা এখন আমরা আবার  প্রশ্ন-উত্তরে ফিরছি

১৫.) ধরি 'ক' পেজ একটা শর্টফিল্ম করলো তারপরে 'খ' পেজ শর্টফিল্ম করলো। এটাকি নিছকই যুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই?
আন্তরিকের থেকে জানতে চাইব।

দেবায়ণ দা(আন্তরিকের ফাউন্ডারঃ)- না অবশ্যই নয়।

১৬.) প্রতিদ্বন্দ্বি পেজের সাথে পেজের নাকি পেজের সাথে প্রিন্টেডের? আর তাই কি কখনও কখনও পেজ প্রিন্টেড পত্রিকা বা সংকলন করার কথা ভাবে বা করছে? কালপুরুষের থেকে জানতে চাই।

রিমো দা(কালপুরুষের ফাউন্ডারঃ)- আমাদের কালপুরুষ থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ টি বই (পত্রিকা নয়, দুটিতে isbn no যুক্ত) হয়েছে, এই বছরেও আরো 2 টি হবে। আমরা কোনও প্রতিযোগিতায় ঢুকতেই চাই নি, চাই না... আমরা যখন বই করি, তখন এতো চারদিকে বই করা নিয়ে মাতামাতি ছিলো না। প্রকাশকদের কাছে গিয়ে ভিক্ষার মতো বলতে হত। আজ এই যারাই বিনামূল্যে বই করে দিতে চাইছে, সেদিন তারাই একটা 75 পাতার 50 কপি বই করতে কুড়ি হাজার টাকা চেয়েছিলো।🙂

আমরা সবটাই করেছি বা এখনও করি নিজেদের লেখক লেখিকাদের লেখাগুলোর দলিল বানানোর জন্য, তাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য। অনেকই বলতো 'দাদা, বাড়িতে এইসব বুঝছে না, খুব সমস্যা করছে!'... এই অভিভাবকদেরই অনেককে রাতারাতি পাল্টে যেতে দেখেছি, তাঁদের সন্তানের লেখা ছাপার অক্ষরে আসার পর। এগুলোই তৃপ্তি দেয়। আর আমি এখনও প্রাচীনপন্থী... এখনও এটাই বিশ্বাস করি যে বইয়ের বিকল্প কিছু হয়না। কালপুরুষ আজকে আছে, কাল নাও থাকতে পারে। কিন্তু বইগুলো থেকে যাবে।

১৭.) আমরা দেখছি বিভিন্ন প্রকাশক এগিয়ে আসছেন পেজের কাছে৷ এই ব্যাপারে প্রকাশকদের কী বলতে চাইবে লেখালেখির ফাউন্ডার?

বিদিশা(লেখালেখির ফাউন্ডারঃ)- এই ব্যাপারটা নিয়ে আমরা প্রকাশকদের কাছে সত্যি কৃতজ্ঞ। একটা বই প্রকাশে পেজের অ্যাডমিন দের পাশাপাশি পেজের অন্যান্য মেম্বারদের মধ্যেও লেখা নিয়ে একটা অ্যাডভেঞ্চার তৈরি হয়। এটা লিখতে ভালোবাসা মানুষদের ভীষণভাবে inspire করে । তাই ভীষণভাবে চাইবো আরো প্রকাশক এগিয়ে আসুক। পেজে সাহিত্য চর্চার যতটা খামতি থাকে সেটা পরিপূর্ণ করা তাহলে সম্ভব হবে। আর শুধু লেখালেখি না বরং প্রতিটা লেখাপ্রেমি মানুষদের এই সুযোগটা করে দিক প্রকাশকরা সেটাই চাইবো।

১৮.) কোথাও গিয়ে কী মনে হচ্ছে না পেজ একে- অপরের  দেখাদেখি কাজ করছে  আর তাতে করে নিজেদের আইডিয়া বলতে কিছুই বেরিয়ে আসছে না নতুন করে দর্শকের কাছে বা পাঠকের কাছে? এক কাপ কলকাতার ফাউন্ডারের থেকে জানতে চাইব এই উত্তর।

এক কাপ কলকাতাঃ- না এটা আমার মনে হয়না। খুব কম সংখ্যক পেজ আছে যারা অপরের ভরসায় এগোয়। তারা কালচারাল পেজের আওতায় পরে না। ওই পেজ চালিয়ে সেলেব হবো ওই টুকুর জন্য পেজ চালায় কিন্তু যারা একটু প্রতিষ্ঠিত বা শিক্ষিত পরিচালক তারা অন্য পেজের কিছু জিনিস ভালো লাগলেও সেটিকে নিজেদের মতন করে প্রকাশ করে।

১৯.) একজন ভালো অ্যাডমিনের কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত?  কালপুরুষের ফাউন্ডারের থেকে জানতে চাই।

কালপুরুষঃ- এটাও আপেক্ষিক। আমার যাকে ভালো এডমিন মনে হবে, বাকিদের তাকে নাও মনে হতে পারে।
তবে তৎকালীন বিভিন্ন page এ কাজের সূত্রে দেখেছিলাম একটা মালিকশ্রেনী আর একটা কর্মচারীবৃন্দের মতো মানসিক তফাত থাকে এডমিন আর সাধারন সদস্যদের মধ্যে। আমি শুরু থেকে আগাগোড়া এই সম্পর্কের বিরোধী ছিলাম। চেষ্টা করেছি বা করি, নিজের page এ এই ধরণের কোনও সংস্কৃতি যেন না আসে।

দ্বিতীয়ত, এডমিনকে অনেকটা sensible হতে হয় responsibility ছেড়েও। সদস্যদের মন, চাহিদা এমনকি তাদের অসুবিধাগুলোও ধৈর্য্য ধরে জানতে হয়। অন্তত আমি সেই চেষ্টা করি। সবাই কমবেশি করেন।
এবার বাকিটা তোমার আমার নিজস্ব মতের উপর নির্ভর করছে কে ভালো আর কে অতোটা ভালো নয়।

২০.) কই  কোনো প্রিন্টেড পত্রিকা তো পেজ  করছে না অথচ পেজ প্রিন্টেড করছে। তাহলে কী বলা যেতে পারে পেজ  প্রিন্টেডের কাছে পরাজিত। আন্তরিকের ফাউন্ডারের থেকে জানতে চাই।

আন্তরিকঃ- পেজ আর প্রিন্টেডের যুদ্ধ কবে হলো যে পেজ পরাজিত হবে? আর 'দেশ', 'আনন্দমেলা' ইত্যাদি প্রত্যেক ম্যাগাজিনের এখন ওয়েব পোর্টাল আছে। ইন্টারনেট দুনিয়ার সাথে সংযোগ রাখাটা এখন নেসিসিটি। সেটা ওয়েবসাইট হোক বা পেজ যেকোনো মাধ্যমেই...।
মানুষের হাতে সময় কমে গেছে। বই উল্টে পড়ার অভ্যাস চলে যাচ্ছে। ফেসবুক স্ক্রল করে দু'টো কবিতা বা গল্প পড়লে সাহিত্যেরই লাভ। আর পেজ থেকে একটা বই বের করলে দশজন যারা কখনও বই হাতে নিয়ে পড়েনি, তারাও যদি পড়ে  সেটাও সাহিত্যের লাভ। আর পেজ বা ওয়েবসাইট বা প্রিন্টেড মিডিয়া প্রত্যেকেই সেইটুকুর উদ্দেশ্যেই কাজ করে যায়। আর বর্তমান পরিস্থিতি যা আসছে তাতে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠছে।

২১.) একটা পেজ বছরে একবার হলেও অনুষ্ঠান করে। অন্যদিকে অন্য কোনো পেজ সেটা করে না বা করে উঠতে পারে না ।  এই এফেক্টটা কী অনুষ্ঠান করতে অপারগ পেজের জন্য ক্ষতি ডেকে আনে? লেখালেখির ফাউন্ডারের থেকে উত্তরটা নেব।

লেখালেখিঃ- না ক্ষতি বলবনা। তবে একটা ইচ্ছা তো থেকেই যায় কারণ পরিচয় হওয়া আর পরিচয় পাওয়া দুটোরই গতিটা একটু হলেও কমে।
আমরা এবছর একটা প্রচেষ্টা করছিলাম, বেশ খানিকটা এগিয়েও পিছিয়ে আসতে হলো দুটো কারণে একটা স্পন্সরশিপ আরেকটা সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। তবে আশা করছি পরিস্থিতি সামলে উঠলে এরম একটা আয়োজন করা হবে।

২২.) এবার একদম শেষ প্রশ্ন৷ একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার বলতে কী বোঝো? লাফালাফির ফাউন্ডারের থেকে জানতে চাইব।

লাফালাফিঃ- বেশ। একটু বড়ো হবে এটা।
আমরা ভালো কন্টেন্ট খুঁজি। কিন্তু তাই বলে এটা নয় যে বাকি কন্টেন্ট খারাপ। আবার এটাও না যে আজ কেউ ভালো লিখতে পারিনি বলে সে খারাপ লেখে। কাউকে লেখা শেখানো যায়না, আবেগ শেখানো যায়না। কিন্তু কাউকে ঘষা মাজা করে তৈরি করা যায়।
আমার কাছে যেটা ভালো সেটা অন্য কারুর কাছে খারাপ হতেই পারে কিন্তু আমরা এটা বলতে পারি না যে সেটা বাজে বা ফেলে দেওয়ার মতন। হ্যাঁ এটা ঠিক যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুণগত মান একটু হলেও কমে যায়। সেটা ঠিক করার এবং বুঝিয়ে বলার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু আমরা সেটার চেয়েও বেশি যেটা করি সেটা হলো তাকে নিয়ে খিল্লি আর একটা হট টপিক নিয়ে ফালতু বকা। তাই বলে অনেকের ক্ষেত্রেই সেটি একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট আসে। অনেকেই ভাবে যে সে হইতো সত্যি লিখতে পারেনা।

এই রকম অনেক লেখা আমি নিজেই দেখি, শুধু আমাদের না, সবার। কিন্তু আমি খুব কম সেটা কমেন্ট করে বলি বরং যেটা বলি আলাদা করে বলি। আর আমাদের পেজের একটা ট্যাগলাইন আছে।

You Create, We Nurture

তাই আমাদের কাজই হচ্ছে সেই সব ট্যালেন্ট দের সবার সামনে আনা।


                                                

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন