১.)
বৈপ্লবিক দামামা
তুমি কি নীরব দৃষ্টিতে শুধু দেখেই যাবে নারী জাতির এই লাঞ্ছনা।
করবে না এর প্রতিবাদ? হে মহামানব ওঠো , জাগো,থেকো না বোবা হয়ে,বাঁচাও নারী জাতির সম্মান।
লোলুপ দৃষ্টির গোচরে প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে নারী,আবার লোকচক্ষুর অগোচরেই পাচার হচ্ছে সেই নারী, হে মহামানব তোমারই তো সৃষ্ট এই নারী,সৌন্দর্যের শিখরে অধিষ্ঠান তার,ভয়াল ভয়ঙ্কর নখের আচরে সেই সৌন্দর্য হয়েছে ম্লান,নারীর রূপবত্তাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে এসেছে কদর্য কদাকার রূপে, নারীকে স্থান দিয়েছে ভোগ লালসার বস্তুর স্তরে,নারীকে করেছে অসম্মান।
যে নারী তোমার আশীষে প্রাণ প্রতিষ্ঠার ভূমি,সেই নারীকেই করেছে বঞ্চনা,নিপীড়িত নিঃশেষিত নারী আজ বাকরুদ্ধ,প্রতিবাদের ভাষা হারিয়েছে।
সময় এসেছে হে মহামানব ,তোমার শিঙ্গায় দাও ফুত্কার,বাজাও যুদ্ধের দামামা,উড়িয়ে জয়ের ধ্বজা ভেঙে দাও শৃঙ্খলের বেড়াজাল,গুড়িয়ে দাও তাদের পৈশাচিক হাত,অবসান ঘটাও নারী জাতির অপমান।
২.)
মাতৃদিবস
জানিস মা,বলছে সবাই আজকে মায়ের দিবস,
মায়ের দিবস জিনিসটা কি বলিস নি তো আমায় কিছু।।
ও পাড়ার বড়ো দিদি মাকে জড়িয়ে ধরে,বললে হেসে,জানিস ছোটু তুলবো ছবি মায়ের সাথে সব কাজ ফেলে।
শুধাই তাকে কি হবে গো এতো ছবি তুলে,
বললে দিদি দিনটা আজ মায়ের দিবস ওরে বোকা ছেলে।
আমি তো মা তোমার ছোট্ট ছোটু ওতো কিছু বুঝি?
আমি জানি মা,তুমি আমার,জড়িয়ে তোমায় ভালোবাসা খুজি।
জানো মা,দিদির মা শুয়ে বিছানায়জলের জন্য আকুল,
দিদি তো শুধু মায়ের সাথে ছবি তুলতে ব্যাকুল।
এইটাই কি বলে মায়ের দিবস , বলো না মা আমায় সবকিছু।
এমন দিবস চাই না মাগো,কেন এমন হয়,
মায়ের চেয়ে আপন কেউ আছে কি কেউ এই ধরায়?
তাই তো মাগো,লাগছে ভয়,জড়িয়ে ধরো আমায়,
পুত্রদিবস বলে বর্ষেতে কোন দিন যেন না হয়।
তুমি আমার সবকিছু,তুমি না জল দিলে,
ছোট্ট ছোটু মরেই যাবে সবার অবহেলে।।
৩.)
অনুভূতি
হৃদয়ের অনুভূতি নীরবে ছুটে বেড়ায় শিরা উপশিরায় ,
চোখের ভাষাতে উজ্জ্বল তার উপস্থিতি,বাধা পায় সামাজিকতায়।।
চায় যে মিলন , মনের নিশীথে অবিরাম বয়ে চলে তারই আবেশ,
ছুটে চলে ফল্গুধারার ন্যায় প্রকাশের তাড়নায়,
আছে উদ্যম,নেই সাহস ,প্রাপ্তি বিন্দু জল।
সমাপ্তি জেনে ও বাচিয়ে রাখার তাগিদ,
অলীক বাসনা ,কালের মিলনের হাতছানি।
চোখের দীপ্তি পুনরায় উজ্জ্বল ,প্রকাশের আশায়।
হায় রে হায় ,কালের নিয়মে যায় সে চলে অতল গহ্বরে,
পাথর চাপা পরে যায় অনুভূতির তীব্র বাসনা।
মৌনবেশে রয়ে থাকে জেগে স্মৃতির ঘেরাটোপে,
বেচে থাকে ভালোলাগার পুরানো অনুভূতি মনের মিলনতলে।।
৪.)
সুন্দরের পিয়াসী
সুন্দরের পিয়াসী
সুন্দর বলে চেয়ে থাকি তোমা পানে,
তাই তুমি দিয়েছো মোরে অপবাদ।
তুমি ভেবেছো এই চেয়ে থাকার মাঝে আছে শুধু পরমাদ।
না গো না নেই তাতে কালিমা-
এ ভাবনা শুধুই অলীক-
যে চেয়ে থাকে তার এ শুধু সুন্দরের সাধনা।
কঠিন পাথরের ফাটলে
যে লাল গোলাপটি আছে ফুটে
সে চেয়ে আছে নীলাকাশে,
ঊষার স্নিগ্ধ বাতাসে
দোল দিয়ে যায় হিল্লোলে সুখের পরশে,
আবার মধ্যাহ্নের খর প্রদাহে
সেই তাকিয়ে থাকে দীপ্ত দীপকের পানে তেজের আস্বাদনে,
সেই আবার চন্দ্রমার জোছনায়
তাকিয়ে থাকে অনিমেষ নয়নে মনের সুখেতে,
সে মেটায় তার সুন্দরের পিয়াসা।
আমি ও মেটাই আমার পিয়াসা দেখে তোমায় দুনয়নে।
৫.)
তোমাকে হারিয়ে
চোখেতে হারিয়েছি তোমাকে, সে কথা সত্য-
তোমাকে হারিয়ে হারিয়েছি আরো অনেক কিছু-
হারিয়েছি সেই ভোরের শিশিরে ভেজা ফুলের গন্ধের মাদকতা-
হারিয়েছি মাদলের সনে মেঠো সুরের মিলনের উন্মাদনা-
হারিয়েছি সেই গাছের ডালে বসা কোকিলের কুহু কুহু রব-
হারিয়েছি অপলক দৃষ্টিতে তোমার দিকে চেয়ে থাকা-
শুধু কি তাই,হারিয়েছি হঠাত্ করে চোখের মিলনে ভয় পেয়ে চোখ নামিয়ে নেওয়া।
হারিয়েছি পাশাপাশি বসে পুরানো স্মৃতি রোমন্থন করা, প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুভব করা।
হ্যাঁ হ্যাঁ বলবে পাগল আমি জানি,
সত্যি পাগল হয়েছি তোমার রূপের কাছে,
তোমার মায়াবি দু-নয়নের দৃষ্টি আমার সযত্নে গড়ে তোলা মনের মনিকোঠায় প্রেমের সঞ্চার করেছে,ডুবিয়েছে প্রেমের সাগরে ,করেছে প্রেমের নেশায় উন্মাদ।
প্রেমহীন মানুষকে তোমার ছোয়ায় করেছো প্রেমময়,
কঠোর বাস্তব থেকে তাকে তুলে এনেছো মায়াবী রূপকথার দেশে- সেখানে সব আছে - আছে সেই গাছ,আছে ফুলের গন্ধ,আছে কোকিলের কুহু কুহু রব, শুধু নেই তুমি,নেই তোমার ভালোবাসা,নেই সেই ভালোলাগার অনুভূতি, নেই সেই মাদকতা, সব কিছু থেকে ও শূণ্যতা চারধারে তোমাকে হারিয়ে।
Khub sundor,valo laglo
উত্তরমুছুন