//আমি এখনও সেই অভিমানী//
আমাদের সম্পর্কটা ছিল এক্কেবারে আলাদা,
হয়তো বা অনেকের মতই কিন্তু আমার চোখে একেবারেই আলাদা।
যাকে এককথায় বলতাম, না দেখেও এতোটা ভালোবাসা যায়!
কেউ কিভাবে পারে এত ভালোবাসতে!
পড়ন্ত এক বিকেল বেলায় সেই যেদিন হাতে হাত রেখে বলেছিলে,
"ভালোবাসো"
আমি একটু যেন অবাকই হয়েছিলাম,
তারপর সেই খোলা হাওয়ায়,একলা প্রান্তরে
অবনমিত মুখেই বলে উঠেছিলাম, "আমিও"
তারপর কত দিনের অপেক্ষা...
আমাদের সম্পর্কটা ছিল এক অপেক্ষার সম্পর্ক,
আসবে আসবে করেও অনেকটা দিন পেরিয়ে যেত,
দীর্ঘ বিকেলগুলো আর কাটতেই চাইতো না,
তবুও দূর থেকেই অনুভব করতাম তোমায়,
একসাথে কাটানো সময়গুলোকে বার বার মনে করতাম,
আর এভাবেই আমার মধ্যে বেঁচে থাকতে
তুমি, তোমার ভালোবাসা,আমাদের ভালোবাসা।
রোজ রোজ নতুন করে প্রেমে পড়তাম,
নতুন এক তুমিকে খুঁজে পেতাম,
তবে অভিমানও হতো খুব,
কিন্তু অভিমানগুলো কত্ত সহজে তোমার গলার স্বরে গলে যেত, আমি বুঝতেই পারতাম না।
ভেবেছিলাম দীর্ঘ এই অপেক্ষার অবসান ঘটবে কোনও একদিন,
আর ঘটেও ছিল শীঘ্রই।
তবে, এই দীর্ঘ অপেক্ষার বিকেলগুলোর মতো
ফিকে হয়েছিল সেই পুরনো প্রেম,
সেই পুরনো তুমি!
প্রথমে ভ্রম বলেই মনে হয়েছিল,
কিন্তু পরে মনে হলো না সবটাই সত্যি।
পরিমাণ বাড়ল সবকিছুর,দেখা করার,কথা বলার
আর কড়াপাকের ঝগড়ার..
অভিমানগুলোও কেমন যেন জেদী হয়ে গেল,
তোমার গলার স্বরে কিছুতেই ভুলতে চায়লো না আর,
নতুন করে চিনতে শেখালো তোমায়।
তবুও নিজেকে বোঝাতাম, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে,
সময়কেও দিয়ে ছিলাম অনেকটা সময়,
কিন্তু তারাও কেমন যেন অচেনা অতিথির মত ধরা দিল না,
দিনের সাথে যত ঠিক ছিল সব ভুল হতে লাগল,
চেনা মানুষকে খুঁজে পেলাম অচেনার গাম্ভীর্যে।
যে তুমিটা ভীষণভাবে আপন ছিলে,
যে তুমিটা প্রত্যেকবার দূর থেকেই এই হাতে হাত রেখেছিলে,
যে তুমিটা মান ভাঙাতে গলার স্বরে আদর করে,
যে তুমিটা বেধে ছিলে পাশে থাকার অঙ্গীকারে,
সেই তুমি অচেনা হয়ে গেলে, কেমন করে যেন বদলে গেলে,
দূর থেকেই যাকে বুঝতাম, বুঝিনা আজ তার কাছে এলে।
তারপর একদিন শেষ সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিয়েছিলে,
একবার জানতেও চায়লে না আমি কি চাই?
আর মনের মধ্যে চরম অভিমান পুষে,
আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে
অনেক দূরে চলে গেলে,
যেখান থেকে চায়লেও আর ফেরা যায় না কোনোদিন,
যদিও তুমি চাইবে না জানি,
তোমার সুখ আজ মধ্যগগনে,
আমি এখনও সেই অভিমানী...
শিল্পা মণ্ডল
(গুগল ইস্যু)
আমাদের সম্পর্কটা ছিল এক্কেবারে আলাদা,
হয়তো বা অনেকের মতই কিন্তু আমার চোখে একেবারেই আলাদা।
যাকে এককথায় বলতাম, না দেখেও এতোটা ভালোবাসা যায়!
কেউ কিভাবে পারে এত ভালোবাসতে!
পড়ন্ত এক বিকেল বেলায় সেই যেদিন হাতে হাত রেখে বলেছিলে,
"ভালোবাসো"
আমি একটু যেন অবাকই হয়েছিলাম,
তারপর সেই খোলা হাওয়ায়,একলা প্রান্তরে
অবনমিত মুখেই বলে উঠেছিলাম, "আমিও"
তারপর কত দিনের অপেক্ষা...
আমাদের সম্পর্কটা ছিল এক অপেক্ষার সম্পর্ক,
আসবে আসবে করেও অনেকটা দিন পেরিয়ে যেত,
দীর্ঘ বিকেলগুলো আর কাটতেই চাইতো না,
তবুও দূর থেকেই অনুভব করতাম তোমায়,
একসাথে কাটানো সময়গুলোকে বার বার মনে করতাম,
আর এভাবেই আমার মধ্যে বেঁচে থাকতে
তুমি, তোমার ভালোবাসা,আমাদের ভালোবাসা।
রোজ রোজ নতুন করে প্রেমে পড়তাম,
নতুন এক তুমিকে খুঁজে পেতাম,
তবে অভিমানও হতো খুব,
কিন্তু অভিমানগুলো কত্ত সহজে তোমার গলার স্বরে গলে যেত, আমি বুঝতেই পারতাম না।
ভেবেছিলাম দীর্ঘ এই অপেক্ষার অবসান ঘটবে কোনও একদিন,
আর ঘটেও ছিল শীঘ্রই।
তবে, এই দীর্ঘ অপেক্ষার বিকেলগুলোর মতো
ফিকে হয়েছিল সেই পুরনো প্রেম,
সেই পুরনো তুমি!
প্রথমে ভ্রম বলেই মনে হয়েছিল,
কিন্তু পরে মনে হলো না সবটাই সত্যি।
পরিমাণ বাড়ল সবকিছুর,দেখা করার,কথা বলার
আর কড়াপাকের ঝগড়ার..
অভিমানগুলোও কেমন যেন জেদী হয়ে গেল,
তোমার গলার স্বরে কিছুতেই ভুলতে চায়লো না আর,
নতুন করে চিনতে শেখালো তোমায়।
তবুও নিজেকে বোঝাতাম, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে,
সময়কেও দিয়ে ছিলাম অনেকটা সময়,
কিন্তু তারাও কেমন যেন অচেনা অতিথির মত ধরা দিল না,
দিনের সাথে যত ঠিক ছিল সব ভুল হতে লাগল,
চেনা মানুষকে খুঁজে পেলাম অচেনার গাম্ভীর্যে।
যে তুমিটা ভীষণভাবে আপন ছিলে,
যে তুমিটা প্রত্যেকবার দূর থেকেই এই হাতে হাত রেখেছিলে,
যে তুমিটা মান ভাঙাতে গলার স্বরে আদর করে,
যে তুমিটা বেধে ছিলে পাশে থাকার অঙ্গীকারে,
সেই তুমি অচেনা হয়ে গেলে, কেমন করে যেন বদলে গেলে,
দূর থেকেই যাকে বুঝতাম, বুঝিনা আজ তার কাছে এলে।
তারপর একদিন শেষ সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিয়েছিলে,
একবার জানতেও চায়লে না আমি কি চাই?
আর মনের মধ্যে চরম অভিমান পুষে,
আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে
অনেক দূরে চলে গেলে,
যেখান থেকে চায়লেও আর ফেরা যায় না কোনোদিন,
যদিও তুমি চাইবে না জানি,
তোমার সুখ আজ মধ্যগগনে,
আমি এখনও সেই অভিমানী...
শিল্পা মণ্ডল
(গুগল ইস্যু)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন