লেখাটা ফেসবুক কবিদের জন্য, অকবিদের জন্যও
============কলমে সুদীপ্ত সেন(ডট.পেন)
ফেসবুকে অঢেল লেখালেখির ভীড়। লেখক, লেখিকা, কবি হ্যাঁ কবিটাও উল্লেখ করলাম জানি লেখক / লেখিকা বলেই ছেড়ে দিলে হতো কিন্তু ছাড়লাম না অনেকে আবার কবিটা বেশি পছন্দ করে একটা প্রমোটেড ব্যাপার থাকে কবি'তে।
লেখা প্রায় প্রতিদিন ঝুলে যায়, একজন একদিনে পাঁচটাও পোস্ট করে বা কেউ পাঁচদিনে একটি করে তবে তার সংখ্যা কম। যাই হোক লেখার সাথে তাল মিলিয়ে পাঠক-পাঠিকার সংখ্যাও প্রচুর যাদের কে ফ্যান বলে দাবী করে ফেবু কবিরা। অথচ সেই ফ্যানরাও বেশি পরিমানে কোনো না কোনো কবি তাই তাদের লেখাই আপনি নিজে যদি কমেন্ট না করেন তাহলে দেখবেন কিছুদিন পর সেই ফ্যান অভিমান করেছে যার পুরোটাই এসে পড়ল আপনার কমেন্টে। ফলাফল সেই ফ্যান যে ফ্যান ছিলনা ফ্রিজ ছিল অর্থাৎ কারেন্ট পেলেই তবেই চলবে নতুবা মাল নষ্ট আরে মানেটা হলো তাদের লেখায় কমেন্ট করলে তারাও কমেন্ট করবে আপনার লেখাতে নতুবা থাক আসছি।
এই গেল এক এবার আসব দুই নম্বর কথায়।
চরম পপুলার, দুই একটা বই বেরিয়ে গেছে এরা পপুলার এরা মনে করে আজ কিছু লিখব না আবার কাল লিখব তবে তারা দুই প্রকার, কিছুজন পপুলার মনে করে আর কিছুজনকে লোকে বলে। এদের নিয়ে কিছু না বলাই ভালো।
আর লেখিকাদের ক্ষেত্রে একটু সুযোগ থেকে যায় কিরকম বলি, ধরুন পাঁচজন ছেলে কারোর বয়স বেশি তো কারোর কম সেটা ডন্ট ফ্যাক্ট। কবি যে লিখেছেন প্রেমের বয়স নেই আর এটা যে ভাবছেন তার হয়েই গেল। ভীড় করবে সব বয়সের পাবলিক আর রোজ একটু করে আলত হয়ে ম্যাসেজ করলেই ফ্যান আর তার এই ম্যাসেজে একটু বেশি পাঠক গুলো পাতলা হয়ে গেলেই মুশকিল তাহলে কাল হয় ব্লক খাবেন নতুবা স্ক্রিন শর্ট
আর এটা খুব শক্তিশালী প্রমান ,সেক্ষেত্রে বাবা তুমি গেলে।
মূলত গেল এই এই ব্যাপার গুলো সব শেষে যদি আসি তাহলে দেখব ভালো লেখার মান কমে আসছে, প্রেম বেড়ে কান্না পাচ্ছে একসময় আর নতুবা সমাজ কে নাড়িয়ে দিয়ে গীর্জার গায়ে লিখে আসছে আমার নাম সহিদুল খান আমাকে তুমি ঢুকতে দেবে ব্যস এটুকুই, কাল তুমি হো হো করে বেড়ে যাবে শুধু এটুকু লেখাই, আর যারা লিখল কোনো প্রকৃতির কথা অথচ সেখানে বুক খুলে থাকা কোনো মেয়েকে তার লেখাতে নামাল না সে থেকে গেল খুব বেশি হলে একটা লাইক নিয়ে।
অথচ যাঁরা পপুলার সত্যি করেই, যাঁরা বিদেশে যাচ্ছেন কবিতা পড়তে, অ্যাকাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁরাই আসল কবি এটা আমরা ভুলে যায় বিশেষ করে ফেবু কবিরা। কিন্তু পাঠকদের মনে থাকে তাই তাঁরা(আসল পপুলার কবিরা) গাছের কথা লিখলেও লোকে পড়ে আবার ল্যাংটো প্রেমেরর কথা লিখলেও লোকে পড়ে।
আর আমরা তাকেই ফোলো করি। আরে বাবা এটা বুঝিনা তোমাকে বাড়তে হবে তোমাকে দেখে, যেখানে তুমি বেড়ে উঠছ কিনা সেটা দেখার।
তাই বলে কি কেউ ফেসবুকে ভালো লিখছে না? অবশ্যই লিখছে তবে তার সংখ্যা কম।
আসল কথা হলো শুধু ফেসবুক কে লেখার গন্ডী করে কয়েক হাজার ফ্যান ফোলোয়ারস নিয়ে যারা রোজ লিখছ তারা একটু গন্ডী ভেঙে কখনও সখনও কোনো ওয়েব ম্যাগাজিন বা প্রিন্টেড পত্রিকায় লেখা পাঠাও আবার কৃত্তিবাস কিংবা দেশের ইমেলেও লেখা জমা দাও। দেখো সেখানে থাকা ওই দক্ষ চোখে তোমার লেখা মনোনীত হয় কিনা।
আর এরপরে যারা এটা বলবে যে না আমি এসবের জন্য লিখিনা ভালোবাসি তাই লিখি, তাহলে আমি বলব আমার এই লেখা তাদের জন্য নয় তাই এই লেখাটা তাদেরই জন্য রাখলাম যারা এটা কে ভাবতে পারবে, নিতে পারবে এবং লেখাটার সাথে রিলেট করতে পারবে নিজেকে।
============কলমে সুদীপ্ত সেন(ডট.পেন)
ফেসবুকে অঢেল লেখালেখির ভীড়। লেখক, লেখিকা, কবি হ্যাঁ কবিটাও উল্লেখ করলাম জানি লেখক / লেখিকা বলেই ছেড়ে দিলে হতো কিন্তু ছাড়লাম না অনেকে আবার কবিটা বেশি পছন্দ করে একটা প্রমোটেড ব্যাপার থাকে কবি'তে।
লেখা প্রায় প্রতিদিন ঝুলে যায়, একজন একদিনে পাঁচটাও পোস্ট করে বা কেউ পাঁচদিনে একটি করে তবে তার সংখ্যা কম। যাই হোক লেখার সাথে তাল মিলিয়ে পাঠক-পাঠিকার সংখ্যাও প্রচুর যাদের কে ফ্যান বলে দাবী করে ফেবু কবিরা। অথচ সেই ফ্যানরাও বেশি পরিমানে কোনো না কোনো কবি তাই তাদের লেখাই আপনি নিজে যদি কমেন্ট না করেন তাহলে দেখবেন কিছুদিন পর সেই ফ্যান অভিমান করেছে যার পুরোটাই এসে পড়ল আপনার কমেন্টে। ফলাফল সেই ফ্যান যে ফ্যান ছিলনা ফ্রিজ ছিল অর্থাৎ কারেন্ট পেলেই তবেই চলবে নতুবা মাল নষ্ট আরে মানেটা হলো তাদের লেখায় কমেন্ট করলে তারাও কমেন্ট করবে আপনার লেখাতে নতুবা থাক আসছি।
এই গেল এক এবার আসব দুই নম্বর কথায়।
চরম পপুলার, দুই একটা বই বেরিয়ে গেছে এরা পপুলার এরা মনে করে আজ কিছু লিখব না আবার কাল লিখব তবে তারা দুই প্রকার, কিছুজন পপুলার মনে করে আর কিছুজনকে লোকে বলে। এদের নিয়ে কিছু না বলাই ভালো।
আর লেখিকাদের ক্ষেত্রে একটু সুযোগ থেকে যায় কিরকম বলি, ধরুন পাঁচজন ছেলে কারোর বয়স বেশি তো কারোর কম সেটা ডন্ট ফ্যাক্ট। কবি যে লিখেছেন প্রেমের বয়স নেই আর এটা যে ভাবছেন তার হয়েই গেল। ভীড় করবে সব বয়সের পাবলিক আর রোজ একটু করে আলত হয়ে ম্যাসেজ করলেই ফ্যান আর তার এই ম্যাসেজে একটু বেশি পাঠক গুলো পাতলা হয়ে গেলেই মুশকিল তাহলে কাল হয় ব্লক খাবেন নতুবা স্ক্রিন শর্ট
আর এটা খুব শক্তিশালী প্রমান ,সেক্ষেত্রে বাবা তুমি গেলে।
মূলত গেল এই এই ব্যাপার গুলো সব শেষে যদি আসি তাহলে দেখব ভালো লেখার মান কমে আসছে, প্রেম বেড়ে কান্না পাচ্ছে একসময় আর নতুবা সমাজ কে নাড়িয়ে দিয়ে গীর্জার গায়ে লিখে আসছে আমার নাম সহিদুল খান আমাকে তুমি ঢুকতে দেবে ব্যস এটুকুই, কাল তুমি হো হো করে বেড়ে যাবে শুধু এটুকু লেখাই, আর যারা লিখল কোনো প্রকৃতির কথা অথচ সেখানে বুক খুলে থাকা কোনো মেয়েকে তার লেখাতে নামাল না সে থেকে গেল খুব বেশি হলে একটা লাইক নিয়ে।
অথচ যাঁরা পপুলার সত্যি করেই, যাঁরা বিদেশে যাচ্ছেন কবিতা পড়তে, অ্যাকাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁরাই আসল কবি এটা আমরা ভুলে যায় বিশেষ করে ফেবু কবিরা। কিন্তু পাঠকদের মনে থাকে তাই তাঁরা(আসল পপুলার কবিরা) গাছের কথা লিখলেও লোকে পড়ে আবার ল্যাংটো প্রেমেরর কথা লিখলেও লোকে পড়ে।
আর আমরা তাকেই ফোলো করি। আরে বাবা এটা বুঝিনা তোমাকে বাড়তে হবে তোমাকে দেখে, যেখানে তুমি বেড়ে উঠছ কিনা সেটা দেখার।
তাই বলে কি কেউ ফেসবুকে ভালো লিখছে না? অবশ্যই লিখছে তবে তার সংখ্যা কম।
আসল কথা হলো শুধু ফেসবুক কে লেখার গন্ডী করে কয়েক হাজার ফ্যান ফোলোয়ারস নিয়ে যারা রোজ লিখছ তারা একটু গন্ডী ভেঙে কখনও সখনও কোনো ওয়েব ম্যাগাজিন বা প্রিন্টেড পত্রিকায় লেখা পাঠাও আবার কৃত্তিবাস কিংবা দেশের ইমেলেও লেখা জমা দাও। দেখো সেখানে থাকা ওই দক্ষ চোখে তোমার লেখা মনোনীত হয় কিনা।
আর এরপরে যারা এটা বলবে যে না আমি এসবের জন্য লিখিনা ভালোবাসি তাই লিখি, তাহলে আমি বলব আমার এই লেখা তাদের জন্য নয় তাই এই লেখাটা তাদেরই জন্য রাখলাম যারা এটা কে ভাবতে পারবে, নিতে পারবে এবং লেখাটার সাথে রিলেট করতে পারবে নিজেকে।
দারুন লিখেছেন। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন