---পাঠকেরা জড়ো হও কবিতার পাশে---
ক.)
কবি অর্জুন দাস
জন্ম ১৯৯৪ সালের ১৮ ই জুলাই, কলকাতা।
জন্ম ১৯৯৪ সালের ১৮ ই জুলাই, কলকাতা।
আপনারা পড়ছেন কবি অর্জুন দাসের লেখা
শখ
কিছু খাতায় ওড়ে ভাষা, থাকে অনন্ত জিজ্ঞাসা
তুমি আদিম ভালবাসার ঝোঁকে জড়িয়ে ধরো রাত।
তুমি আদিম ভালবাসার ঝোঁকে জড়িয়ে ধরো রাত।
ঠোঁটে নতুন কোনও ভাঁজে, চেনা ভারিক্কি আন্দাজে-
বহু বারণমানা কাজের পরও আচমকা সংঘাত...
বহু বারণমানা কাজের পরও আচমকা সংঘাত...
জুড়ে কথার পাশে শ্লোকও, মেলে দিগন্ত ফাঁকফোকর
ভাঙা ফটক দিয়ে ঢোক আমার অতীতমাখা গা'য়।
ভাঙা ফটক দিয়ে ঢোক আমার অতীতমাখা গা'য়।
মাঝে কয়েকসদর খোলা, মৃত ডিঙিতে পালতোলা
আমি আবরণের কোলাজ আঁকি ভিনদেশী জামায়...
আমি আবরণের কোলাজ আঁকি ভিনদেশী জামায়...
ভাবি ভেতর কেমন ফাঁকা, সময় ওড়াচ্ছে পতাকা
থামা ঘড়ির মতো আকার নিয়ে কাটিয়ে চলি রেশ।
থামা ঘড়ির মতো আকার নিয়ে কাটিয়ে চলি রেশ।
যতই আদর মাখো গালে, এখন আজন্ম শীতকালে-
শুধু শিশিরভেজা শালের কাছেই আগুন নিরুদ্দেশ...
শুধু শিশিরভেজা শালের কাছেই আগুন নিরুদ্দেশ...
তাকে খোঁজার ছুতোয় এসে, চাপা রহস্যে-বিদ্বেষে
শত আদিখ্যেতার শেষে সবার হুকুম ফেরায় জ্বিন।
শত আদিখ্যেতার শেষে সবার হুকুম ফেরায় জ্বিন।
যদি পরশ নিতে পারো, পাবে দু'পশলা চিৎকারও-
ভয়ে চোখ নামাবার আরও আগে বাড়িয়ে দিই আস্তিন...
ভয়ে চোখ নামাবার আরও আগে বাড়িয়ে দিই আস্তিন...
তুমি হাজার রাতের আরব, আমি শখের আলাদিন...
কবি রেজমান
জন্ম তারিখঃ- ১ জানুয়ারি,
জন্মস্থানঃ- বাগনান
জন্ম তারিখঃ- ১ জানুয়ারি,
জন্মস্থানঃ- বাগনান
তাঁর লেখা একক কাব্যগ্রন্থ গুলি হলো
১.)"ক্যাটাস্ট্রোফে", ২.)"হ্যালুসিনেশনের আগেরগুলো", ৩.)"ইমোশন থেকে ইলিউশান অবধি"
প্রকাশনঃ- নবজাতক
এখন আপনারা পড়ছেন কবি রেজমানের লেখা
ডিসটোপিয়া
অভাবগুণে সমস্ত পথ রাস্তা খোঁজে শেষের...
'চাকরি না হয় বুলেট দিও' ; 'বুলেট না হোক লাঠি'
গোটা কয়েক লাশ বাড়লে একশো কোটির দেশে,
কিচ্ছু কারও যায় আসে না, যে যার মতোন হাঁটি।
'চাকরি না হয় বুলেট দিও' ; 'বুলেট না হোক লাঠি'
গোটা কয়েক লাশ বাড়লে একশো কোটির দেশে,
কিচ্ছু কারও যায় আসে না, যে যার মতোন হাঁটি।
ভোটের প্রচার রমরমিয়ে বিজ্ঞাপনের বাজার
নরম সুরে উপচে ওঠে অঙ্গীকারের ধারণ,
ডিসটোপিয়ান রাজশাসনে ঠিক করে দেয় রাজা
কার কতদূর সীমারেখা, কার কী বলা বারণ।
নরম সুরে উপচে ওঠে অঙ্গীকারের ধারণ,
ডিসটোপিয়ান রাজশাসনে ঠিক করে দেয় রাজা
কার কতদূর সীমারেখা, কার কী বলা বারণ।
গল্প ভালোই জমে শুধু বাগড়া বাধায় ভূতে,
অন্ধকারের ভবিষ্যতে তলিয়ে যাওয়া খাদে...
লেঠেল নিয়ে তৈরী রাজা বুঝিয়ে দেবে বুথে
ভোটের শহর ছড়িয়ে গেছে ফেস্টুনে-প্ল্যাকার্ডে
অন্ধকারের ভবিষ্যতে তলিয়ে যাওয়া খাদে...
লেঠেল নিয়ে তৈরী রাজা বুঝিয়ে দেবে বুথে
ভোটের শহর ছড়িয়ে গেছে ফেস্টুনে-প্ল্যাকার্ডে
সিমপ্যাথেটিক মিথ্যে ভাষণ জমজমাটি সভা
শিরদাঁড়াহীন সুবিধাবাদ হাততালিতে সামিল
আর কতবার মরার পরে বুঝবে শেষে সবাই
ক্ষমতাসীন সমস্তটাই ডিসটোপিয়াগামী...
শিরদাঁড়াহীন সুবিধাবাদ হাততালিতে সামিল
আর কতবার মরার পরে বুঝবে শেষে সবাই
ক্ষমতাসীন সমস্তটাই ডিসটোপিয়াগামী...
জন্মতারিখ ২১ শে ডিসেম্বর, ১৯৯৭
শান্তিনিকেতন, বীরভূম
এখন পড়ছেন কবি আজাহারুল ইসলামের লেখা
বড় হয়ে গেছি
বড় হয়ে গেছি
গ্রীষ্মকালে কলতলার মুখ কাদা দিয়ে
ঘিরে স্নান করার স্মৃতিগুলো,
এখন ইতিহাস,
তিনটাকা দামের বরফের লাল নীল সবুজ আইসক্রিম আর খাওয়া হয় না,
জোগাড় করা আইসক্রিমের কাঠি গুলো হারিয়ে ফেলেছি দেশলাইয়ের তাসের মতো...
আইসক্রিমের মাথায় চিড়ের পরিমাণ বেশি থাকলে,
'না কাকা, অন্যটা দাও', আর বলা হয়না,
কাঁচা লঙ্কা ঘষে পান্তা ভাত খাওয়াটাও ছেড়ে দিয়েছি,
পাড়ার আমবাগানে নুন মরিচ কুচি দিয়ে কাঁচা আম পেড়ে খাওয়া থেকে শুরু করে
পেয়ারা চুরি করে খাওয়া, সবটাই এখন অতীত,
মাঝেমাঝে তাই ইচ্ছে করে ছোট হয়ে যেতে,
আবারও আগের মতো কোমরে নুন গুঁজে,
আম বাগান ছুটে যেতে ইচ্ছে করে,
কিন্তু কি করবো!
সবটাই যে অতীত,
আর যে ফিরবে না,
চুলে লালফিতে বেঁধে রাখাটা প্রেমিকারও আজকাল মানায় না,
মানায় না আমাকে লাটাই হাতে,
ইচ্ছে হলেও হবে না যে...
আগে চুল কাটাতে নিয়ে যেতো বাবা,
মা বকতো, চিনি চুরি করার জন্য..
আর দাদু বকতো হোমিওপ্যাথি ওষুধের মিষ্টি দানা চুরি করার জন্য,
এখন আসলে এমনভাবে থাকি,
এতোটাই বড় হয়ে গেছি যে...
ওরা চুপ করে গেছে,
অবশ্য মা এখনও বকে,
রাত্রি করে ফিরলে...
সত্যি ভুলে গেছি,
আর ছোট হয়ে নেই আমরা
বড় হয়ে গেছি, অনেক বড়...
দুই মিনিট বাবাকে
তিন মিনিট মায়ের সাথে,
আর নতুন একজনের সাথে ৫ ঘন্টা ফোনে কথা বলাটাই আমাদের জীবন এখন,
জানি, সবাই জানে...
আমাদের বাবার সাইকেলে আর,
ছোট্ট কোনো সিট লাগানো নেই....
ঘিরে স্নান করার স্মৃতিগুলো,
এখন ইতিহাস,
তিনটাকা দামের বরফের লাল নীল সবুজ আইসক্রিম আর খাওয়া হয় না,
জোগাড় করা আইসক্রিমের কাঠি গুলো হারিয়ে ফেলেছি দেশলাইয়ের তাসের মতো...
আইসক্রিমের মাথায় চিড়ের পরিমাণ বেশি থাকলে,
'না কাকা, অন্যটা দাও', আর বলা হয়না,
কাঁচা লঙ্কা ঘষে পান্তা ভাত খাওয়াটাও ছেড়ে দিয়েছি,
পাড়ার আমবাগানে নুন মরিচ কুচি দিয়ে কাঁচা আম পেড়ে খাওয়া থেকে শুরু করে
পেয়ারা চুরি করে খাওয়া, সবটাই এখন অতীত,
মাঝেমাঝে তাই ইচ্ছে করে ছোট হয়ে যেতে,
আবারও আগের মতো কোমরে নুন গুঁজে,
আম বাগান ছুটে যেতে ইচ্ছে করে,
কিন্তু কি করবো!
সবটাই যে অতীত,
আর যে ফিরবে না,
চুলে লালফিতে বেঁধে রাখাটা প্রেমিকারও আজকাল মানায় না,
মানায় না আমাকে লাটাই হাতে,
ইচ্ছে হলেও হবে না যে...
আগে চুল কাটাতে নিয়ে যেতো বাবা,
মা বকতো, চিনি চুরি করার জন্য..
আর দাদু বকতো হোমিওপ্যাথি ওষুধের মিষ্টি দানা চুরি করার জন্য,
এখন আসলে এমনভাবে থাকি,
এতোটাই বড় হয়ে গেছি যে...
ওরা চুপ করে গেছে,
অবশ্য মা এখনও বকে,
রাত্রি করে ফিরলে...
সত্যি ভুলে গেছি,
আর ছোট হয়ে নেই আমরা
বড় হয়ে গেছি, অনেক বড়...
দুই মিনিট বাবাকে
তিন মিনিট মায়ের সাথে,
আর নতুন একজনের সাথে ৫ ঘন্টা ফোনে কথা বলাটাই আমাদের জীবন এখন,
জানি, সবাই জানে...
আমাদের বাবার সাইকেলে আর,
ছোট্ট কোনো সিট লাগানো নেই....
ঘ.)
কবি কাব্য ব্যানার্জি
জন্মতারিখঃ- ১৯/১২/১৯৯২
জন্মস্থান- বাটানগর
জন্মস্থান- বাটানগর
লেখিকার একক কাব্যগ্রন্থের নাম "তিতাস"।
প্রকাশন - বার্তা প্রকাশন।
এখন পড়ছেন কবি কাব্য ব্যানার্জি'র লেখা
ছন্নছাড়া
বাঁধণ অনেক তোমার
নিজেই আমি বাঁধন ছাড়া
তবু কোথাও আগলে রেখে
সাড়া দিই সে ডাকে।
নিজেই আমি বাঁধন ছাড়া
তবু কোথাও আগলে রেখে
সাড়া দিই সে ডাকে।
উদ্দাম ঝড়, অন্যরকম
উষ্ণতা কই নিয়ম মাফিক?
আকর্ষণে মিললো মন
আমরা তখন আপনজন!
উষ্ণতা কই নিয়ম মাফিক?
আকর্ষণে মিললো মন
আমরা তখন আপনজন!
শুকনো যখন হল জমি
দেখছি মনে মরুভূমি
মন বলছে তুই কোথা?
তার ব্যবহার একরোখা!
দেখছি মনে মরুভূমি
মন বলছে তুই কোথা?
তার ব্যবহার একরোখা!
ভীষণ বৃষ্টি আসলো ছাদে
দূষণ ঘটলো ঘরের বাতাসে
তিক্ত হলো কথার ধার
আমরা আলাদা হলাম এবার।
দূষণ ঘটলো ঘরের বাতাসে
তিক্ত হলো কথার ধার
আমরা আলাদা হলাম এবার।
আঁচল উড়লো আকাশ মাঝে
শঙ্খচিল খুঁজতে আসে
দরজা বন্ধ মনের ঘরে
এখন শুধুই বৃষ্টি পড়ে।
শঙ্খচিল খুঁজতে আসে
দরজা বন্ধ মনের ঘরে
এখন শুধুই বৃষ্টি পড়ে।
বায়না গুলো ঘরের ভিতরে
পচে, গলে, কেবল পোড়ে
আত্মসম্মান ধরে রেখে
আলতো আলতো গা সেঁকে।
পচে, গলে, কেবল পোড়ে
আত্মসম্মান ধরে রেখে
আলতো আলতো গা সেঁকে।
তারপর একদিন আবার ঝড়
কানে চেনা কণ্ঠস্বর
পোড়ার গন্ধ ছড়িয়ে গ্যাছে
সে আমাকে দুর্বল ভেবেছে!
কানে চেনা কণ্ঠস্বর
পোড়ার গন্ধ ছড়িয়ে গ্যাছে
সে আমাকে দুর্বল ভেবেছে!
না তাকিয়ে চেনা চোখে
দেখলাম কেমন দেখছে লোকে
হাত ধরে সে বললো ফিরতে
আমিও জানি বুক চিঁড়তে।
দেখলাম কেমন দেখছে লোকে
হাত ধরে সে বললো ফিরতে
আমিও জানি বুক চিঁড়তে।
বাঁধন খুলে মুক্তি দিয়ে
চোখে সাহসী ঝর্ণা নিয়ে
বলেছিলাম, এ মনকবর
আর রাখেনা কারো খবর।
চোখে সাহসী ঝর্ণা নিয়ে
বলেছিলাম, এ মনকবর
আর রাখেনা কারো খবর।
শুনে সে দাঁড়ালোনা
ফেরার কথা বললোনা
আকর্ষণের বাঁধন ছিলো
তাইনা ছেড়ে চলে গেলো?
ফেরার কথা বললোনা
আকর্ষণের বাঁধন ছিলো
তাইনা ছেড়ে চলে গেলো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন