এই বেশ ভালো আছি
সুমন কুমার দত্ত
আজ সায়কের 28 তম জন্মদিন। খুব হৈ হুল্লোড় বাড়িতে। পুরানো অনেক বন্ধুই উপস্থিত। কেক কেটে জন্মদিন সেলিব্রেট করে হালকা ডিনার করে সবাই শুভেচ্ছা জানিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। এখন শুধু প্রিয়াঙ্কা রয়ে গেছে অফিস সংক্রান্ত কিছু কথা শেয়ার করার জন্যে। প্রিয়াঙ্কা, সায়কের কলেজ কাম অফিসের বেস্ট ফ্রেন্ড। একসাথেই ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি পেয়ে দুজন ট্রেনিংয়ে গেছিলো। কলেজ লাইফে সায়কের প্রিয়াঙ্কা কে ভালো লাগতো, কিন্তু বয়ফ্রেন্ড থাকার কারণে সম্পর্কটা বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই রয়ে গেছিলো। যাইহোক, ডিনারের পর দোতলায় সায়কের বেডরুম সংলগ্ন ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দুজনের কথা হচ্ছিল। প্রিয়াঙ্কা বলে যে "বিয়ের পাত্রী দেখছিস ?", সায়কের উত্তর "ধুস,পছন্দ হচ্ছে না"। প্রিয়াঙ্কা বললো "আমি ছাড়া আর কাউকে মনে ধরবে না,শয়নে স্বপনে তো আমিই আছি।" সায়ক তখন প্রিয়াঙ্কাকে বলে যে "জানিস, আমাদের অফিসের রিয়া, কমিটেড ছিল, ট্রেনিংয়ে ব্যাঙ্গালোর গিয়ে একটা নতুন ছেলের সাথে আলাপ হলো, ওর আগের বয়ফ্রেন্ড একটু ডমিনেটিং ছিল, তাই ওর সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে এই নতুন ছেলেটার সাথে রিলেশানে চলে গেল, আমার জীবনে আমি এরকম কাউকে পাইনি যে এই সাহস টা নিতে পেরেছে, বরঞ্চ আমি কত ঝগড়া নিজের চোখের সামনে দেখেছি, ভাবিনি যে কেউ কাউকে ছেড়ে আমার কাছে আসবে।" প্রিয়াঙ্কা -"তুই কি আমার কথা বলছিস নাকি রিয়া কে ভালোবাসতিস, ভাগ্যিস ওর সাথে ট্রেনিং পড়েনি, নাহলে আমায় ভুলে যেতিস।" কপট রাগ দেখিয়ে সায়ক বললো যে "মোটেও না, তুই যে সঞ্জয়কে ছেড়ে আসিসনি এটা প্রমান করে তুই কতটা ভালোবাসিস ওকে।" নির্লিপ্ত ভাবে প্রিয়াঙ্কা উত্তর দিল " আমি ওকে ছেড়ে আসিনি কারণ এটা নয় সায়ক যে আমি ওকে পাগলের মতো ভালোবাসি, আমাদের ঝগড়ার সময় হয়তো তুই চেষ্টা করলে আমায় পেয়ে যেতিস যেটা তুই কখনো করিসনি। ওকে না ছাড়ার কারণ এটা যে, আমার জেদ আমায় বলেছিল এতদিন ধরে যে রিলেশান ছিল সেটাকে ধরে রাখবো, তাকে যেতে দেবনা, এটা আমার ইগো, আমার আত্মসম্মানবোধ, আর তোকে আমি ওই জায়গায় কেন বসাইনি জানিস? কারণ ভয় লাগে, তুই আমায় পেয়ে যদি নিজেকে চেঞ্জ করে ফেলিস, কিছু জিনিস না পাওয়াই ভালো, সম্পর্ক মজবুত থাকে, অনেকে পেয়ে ভুলে যায় আসল মানুষের আত্মাটাকে, রিয়া ভালো করেছে, নিজের সুখ নিজে খুঁজে নিয়েছে, বেশ করেছে। একটা কথা মনে রাখবি সায়ক, মানসিক বা শারীরিক, সুখ ও সম্পর্ক তোর নিজের, একটা মানুষ একের বেশি মানুষকে মন দিতে পারে, এটা হিউম্যান নেচার, তুই এটাকে ডিনাই করতে পারবি না, যতই তোর প্রেমিক বা প্রেমিকা থাক, যতই ভালোবাসিস তাকে, সে যদি দূরে থাকে আর বিপরীত সেক্সের কেউ যদি ভালো বন্ধু হিসাবে তোর কাছে থাকে, তোর ভালো লাগবেই, যদি মনের মিল হয়, সেটাই নরম্যাল, সেটাই সম্পর্কের সংজ্ঞা, আমরা এই বেশ ভালো আছি, এরকমই থাকি, আর জলদি একটা লাল টুকটুকে বউ আন।"
দেয়ালের টিকটিকিটা যেন শুনে সমর্থন করে উঠলো "টিক টিক টিক"।
সুমন কুমার দত্ত
আজ সায়কের 28 তম জন্মদিন। খুব হৈ হুল্লোড় বাড়িতে। পুরানো অনেক বন্ধুই উপস্থিত। কেক কেটে জন্মদিন সেলিব্রেট করে হালকা ডিনার করে সবাই শুভেচ্ছা জানিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। এখন শুধু প্রিয়াঙ্কা রয়ে গেছে অফিস সংক্রান্ত কিছু কথা শেয়ার করার জন্যে। প্রিয়াঙ্কা, সায়কের কলেজ কাম অফিসের বেস্ট ফ্রেন্ড। একসাথেই ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি পেয়ে দুজন ট্রেনিংয়ে গেছিলো। কলেজ লাইফে সায়কের প্রিয়াঙ্কা কে ভালো লাগতো, কিন্তু বয়ফ্রেন্ড থাকার কারণে সম্পর্কটা বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই রয়ে গেছিলো। যাইহোক, ডিনারের পর দোতলায় সায়কের বেডরুম সংলগ্ন ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দুজনের কথা হচ্ছিল। প্রিয়াঙ্কা বলে যে "বিয়ের পাত্রী দেখছিস ?", সায়কের উত্তর "ধুস,পছন্দ হচ্ছে না"। প্রিয়াঙ্কা বললো "আমি ছাড়া আর কাউকে মনে ধরবে না,শয়নে স্বপনে তো আমিই আছি।" সায়ক তখন প্রিয়াঙ্কাকে বলে যে "জানিস, আমাদের অফিসের রিয়া, কমিটেড ছিল, ট্রেনিংয়ে ব্যাঙ্গালোর গিয়ে একটা নতুন ছেলের সাথে আলাপ হলো, ওর আগের বয়ফ্রেন্ড একটু ডমিনেটিং ছিল, তাই ওর সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে এই নতুন ছেলেটার সাথে রিলেশানে চলে গেল, আমার জীবনে আমি এরকম কাউকে পাইনি যে এই সাহস টা নিতে পেরেছে, বরঞ্চ আমি কত ঝগড়া নিজের চোখের সামনে দেখেছি, ভাবিনি যে কেউ কাউকে ছেড়ে আমার কাছে আসবে।" প্রিয়াঙ্কা -"তুই কি আমার কথা বলছিস নাকি রিয়া কে ভালোবাসতিস, ভাগ্যিস ওর সাথে ট্রেনিং পড়েনি, নাহলে আমায় ভুলে যেতিস।" কপট রাগ দেখিয়ে সায়ক বললো যে "মোটেও না, তুই যে সঞ্জয়কে ছেড়ে আসিসনি এটা প্রমান করে তুই কতটা ভালোবাসিস ওকে।" নির্লিপ্ত ভাবে প্রিয়াঙ্কা উত্তর দিল " আমি ওকে ছেড়ে আসিনি কারণ এটা নয় সায়ক যে আমি ওকে পাগলের মতো ভালোবাসি, আমাদের ঝগড়ার সময় হয়তো তুই চেষ্টা করলে আমায় পেয়ে যেতিস যেটা তুই কখনো করিসনি। ওকে না ছাড়ার কারণ এটা যে, আমার জেদ আমায় বলেছিল এতদিন ধরে যে রিলেশান ছিল সেটাকে ধরে রাখবো, তাকে যেতে দেবনা, এটা আমার ইগো, আমার আত্মসম্মানবোধ, আর তোকে আমি ওই জায়গায় কেন বসাইনি জানিস? কারণ ভয় লাগে, তুই আমায় পেয়ে যদি নিজেকে চেঞ্জ করে ফেলিস, কিছু জিনিস না পাওয়াই ভালো, সম্পর্ক মজবুত থাকে, অনেকে পেয়ে ভুলে যায় আসল মানুষের আত্মাটাকে, রিয়া ভালো করেছে, নিজের সুখ নিজে খুঁজে নিয়েছে, বেশ করেছে। একটা কথা মনে রাখবি সায়ক, মানসিক বা শারীরিক, সুখ ও সম্পর্ক তোর নিজের, একটা মানুষ একের বেশি মানুষকে মন দিতে পারে, এটা হিউম্যান নেচার, তুই এটাকে ডিনাই করতে পারবি না, যতই তোর প্রেমিক বা প্রেমিকা থাক, যতই ভালোবাসিস তাকে, সে যদি দূরে থাকে আর বিপরীত সেক্সের কেউ যদি ভালো বন্ধু হিসাবে তোর কাছে থাকে, তোর ভালো লাগবেই, যদি মনের মিল হয়, সেটাই নরম্যাল, সেটাই সম্পর্কের সংজ্ঞা, আমরা এই বেশ ভালো আছি, এরকমই থাকি, আর জলদি একটা লাল টুকটুকে বউ আন।"
দেয়ালের টিকটিকিটা যেন শুনে সমর্থন করে উঠলো "টিক টিক টিক"।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন