১.)
আমি মাঝেমাঝে ঈশ্বর হই
মধ্যরাতের পর ঘড়ির কাঁটা একটা স্পর্শ করার পরপরই
আমার ভাবনারা, চিন্তারা -
সব এলোমেলো হয়ে যায়।
সম্পূর্ণ এক অন্য জগতে প্রবেশ করি আমি।
যেখানে ঈশ্বর নেই কোন,
আমিই ঈশ্বর।
অদ্ভুত সব খেলায় মাতি মধ্যরাতের পর
কখনো পুতুল খেলা শুরু করি।
বেশ মনে আছে-একদিন বড় মামার বিয়ে দিয়েছিলাম
এর আগে পিসির বিয়েও দিয়েছিলাম এক অচেনা লোকের সাথে।
মধ্যরাতের পর, আমি ঈশ্বর হই
মাঝেমাঝে সময়ের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হই
কখনো দাঁড়িয়ে দেখি, শুকরের প্রসব বেদনা।
মাঝেমাঝে আমি পিশাচ হই
অমানুষও হই মাঝেমাঝে।
কখনো মরা ইঁদুরের মতো আঙিনায় পড়ে থাকি।
কখনো পুড়িয়ে দেই আকাশের সমস্ত নীল।
মাঝেমাঝে আমি ঈশ্বর হই
মানুষ হই
অমানুষ হই।
২.)
স্বর্গের পারিজাত
আপনাকে পেয়েছি-
স্বর্গের লোভ নেই আর।
কিছু চাওয়ার থাকলে-
আর পরজন্ম বলে যদি কিছু থাকে
আমি আবার আপনাকেই চাইবো!
৩.)
চোখ পাঠ
যেকোন লম্বা জার্নিতে সাথে বই নিয়ে যাওয়া আমার অভ্যেস
কিন্তু কখনোই সে বই খুলে পড়া হয়না।
তোমার চোখদুটোকে আমার হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাস মনে হয়
আমি বোদ্ধা পাঠকের মতো পাঠ করে যাই,
পুরো জার্নিতে!
৪.)
বিষাদ
তোমার দেয়া বিষাদগুলোকে আমার পবিত্র মনে হয়
আমি তা থেকে বেরতে চাই না
আরো বেশি নিমজ্জিত হতে চাই।
৫.)
একটি কবিতা,আমার বিদ্রোহ
(পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে)
---------------------------------
শহরের রাস্তায় রক্তের মতো কান্নার নোনা জল
বৃদ্ধ পিতার শ্রমিক হাতে উঠুক বিদ্রোহের প্ল্যাকার্ড!
এ রাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে আমি বিদ্রোহ করলাম
আমার বিদ্রোহ আমি ছড়িয়ে দিলাম
অশোক আর কৃষ্ণচূড়ার লালে।
শ্রমিকের শ্রমের মূল্যের জন্যে যেখানে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়-
সে শাসনের বিরুদ্ধে আমি আমার শাণিত তরবারি উঁচু করলাম।
আমার এ কবিতা আমার তরবারি
আমার এ কবিতা আমার বিদ্রোহ।
দিগবিদিক থেকে শব্দ করে ছুটে আসছে বিপ্লব,
আমি চোখ বন্ধ করে অপেক্ষা করছি
একটি শব্দের জন্যে-
মুক্তি!
কবির ঠিকানাঃ
মাগুরা,খুলনা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন