সিদ্ধান্ত
ঋতুপর্না জানতো আজ বেরোনোর কোনো উপায় নেই।যদিও শনিবার তবুও হবে না। তাই বোর্ড মেম্বারদের মিটিং আছে তাকে থাকতেই হবে।সন্ধ্যে পর্যন্ত মিটিং গড়াতে পারে।শেষ না হলে তার তো যাবার নেই।
কোম্পানিতে ঋতুপর্নার প্রয়োজনীয়তার কথা শায়ক কিছুতেই বুঝতে চায়না।সে মনে করে অকারণ অফিসে আটকে আছে।অথচ জানে সে ডিরেক্টরের পি. এ। ডিরেক্টরের থাকা মানে ঋতুপর্নার ও থাকা। শায়ক বুঝেও অবুঝের মতো করে।
আজও বার কয়েক ফোন করেছে। আজ দেখা করতে চায়। প্রত্যেক শনিবারই অবশ্যই দুজন দেখা করে।শায়কের শনিবার ছুটি।ঋতুপর্নার অবশ্য হাফ। এই শনিবার যে হবে না সেটা ঋতুপর্না আগেই জানিয়েছিল তবু শায়ক নাছোড়বান্দা।
কি আর করে, ঋতুপর্না বাধ্য হয়েই কঠোর করে বললো, “ আজ যেতে পারবো না শায়ক তিনটে জরুরি মিটিং আছে। আর মিটিং মানে তো জানো আমাকে থাকতে হয়।“
শায়ক বললো, “ ওসব আমি জানিনা। তুমি ম্যানেজ করে নাও। আমি অপেক্ষা করছি।“
ঋতুপর্না বললো, “ তুমি বুঝতে চাইছো না কেন? এসব মিটিং ম্যানেজ করা যায়না। আমি যেতে পারবো না বলে ফোন কেটে দিল।
শায়কের ফোন এলো কয়েকবার। আর রিসিভ করেনি ঋতুপর্না। মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল, এর মধ্যে কয়েকবার উঠে যেতে হল বসের ঘরে।বিভিন্ন ডাটা চাইলেন,সেগুলো ভরে দিতে হলো। মনে মনে শান্তি পাচ্ছিল না ঋতুপর্না।শায়ক তো কিছুতেই বুঝতে চাইল না তার অবস্থা টা।এরকম অবুঝ হলে সামলাবে কি করে।আর কয়েকদিন পরে তো বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়তে চলেছে তারা।চাকরি ছাড়তে বলেছে শায়ক। কিন্তু ছাড়বে না ঋতুপর্না।এই নিয়ে অশান্তি লেগেই আছে।
শায়ককে কি বুঝিয়ে দিতে চাইল সে কথার অবাধ্য হতে পারে। তাই চাকরির ক্ষেত্রকে সে কিছুতেই শায়কের কথামতো চলতে দেবে না। আজ মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ঋতুপর্না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন