উৎসর্গঃ- এই কবিতাগুলোকে পড়ে ফেলা সমস্ত মানুষকে।
১.
কবিতারা যেভাবে জন্মায়
ধরে রাখতে গিয়ে পিছুটান ,
ফের তোরই দিকে হাঁটছি।
আমি নিষিদ্ধ কোনো বোমা ,
আমি নিষিদ্ধ কোনো বোমা ,
তাই খুব গোপনে ফাটছি।
একে পক্ষ নিয়ে লড়াই ,
দুয়ে নেত্র খুলে রাখছি।
তোর অসম্মানের ইতিহাসে
তোর অসম্মানের ইতিহাসে
আমি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে যাচ্ছি।
রোজ কাব্য লিখতে বসে
নিজেই শব্দ হাতড়ে মরছি।
তবুও লিখতে হবে কিছু ,
তবুও লিখতে হবে কিছু ,
কারণ ইঁদুরদৌড়ে লড়ছি।
শেষে ক্লান্ত হয়ে যখন ,
সবটা গুটিয়ে নিতে যাচ্ছি ;
তুই বাক্য বয়ে আনলি ,
তুই বাক্য বয়ে আনলি ,
ফের সৃষ্টিসুখে কাঁপছি।
২.)
এক জীবনের দান
বিয়ের বয়স চার বছর, চার মাস, পঁচিশ দিন।
আমি কখনো এই ক'টা বছরে সকালে সূর্যের আলো গাঁয়ে মেখে আরাম করে বসে চায়ের পেয়ালায় ঠোঁট ছুঁয়াইনি।
অথচ আমার বরাবরই ঘুম ভেঙেছে ভোরের আগে।
আমি কখনো এই ক'টা বছরে সকালে সূর্যের আলো গাঁয়ে মেখে আরাম করে বসে চায়ের পেয়ালায় ঠোঁট ছুঁয়াইনি।
অথচ আমার বরাবরই ঘুম ভেঙেছে ভোরের আগে।
তোমার বাড়ির লোকেদের ঘুম ভাঙ্গার আগেই কলতলায় জমাতাম এঁটো থালা- বাসন।
তারপর সকলের রান্না, ঠাকুরঘরে প্রার্থনা, বিছানা গোছানো, তারপর বেলা বাড়তেই
এক মরনসম নিরবতা।
তারপর সকলের রান্না, ঠাকুরঘরে প্রার্থনা, বিছানা গোছানো, তারপর বেলা বাড়তেই
এক মরনসম নিরবতা।
তুমি বাড়ি নেই!
তোমার যান্ত্রিক জীবনের চাকা তখন ঘুরছে অনবরত।
তোমার ব্যস্ততা আমাকে আড়াল করেছে বহুদিন আগেই।
তোমার যান্ত্রিক জীবনের চাকা তখন ঘুরছে অনবরত।
তোমার ব্যস্ততা আমাকে আড়াল করেছে বহুদিন আগেই।
অথচ তোমাকে সেদিন যখন তোমার এক কলিগ জিঙ্গেস চাইল - তোমার গিন্নি কি করে?
তুমি বলবে- কিছু না, বাড়িতেই থাকে।
তুমি বলবে- কিছু না, বাড়িতেই থাকে।
আমি কি সত্যিই কিছু করিনা?
একটা সকাল যে তোমার নামে লিখে দেই, সেটা কিছু না?
একটা বিকেলের লিলুয়া আভা থেকে যে চোখকে বঞ্চিত করি, সেটা কিছু না?
একটা সন্ধ্যা যে তোমার বাড়ি ফেরার পথ চেয়ে ছটফট করতে থাকি, সেটা কিছু না?
আমি যে আমার একটা জ্বলজ্বলে ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিলাম সেটা কিছু না?
একটা পরিবার যে পর করে দিলাম সেটা কিছুই না?
একটা সকাল যে তোমার নামে লিখে দেই, সেটা কিছু না?
একটা বিকেলের লিলুয়া আভা থেকে যে চোখকে বঞ্চিত করি, সেটা কিছু না?
একটা সন্ধ্যা যে তোমার বাড়ি ফেরার পথ চেয়ে ছটফট করতে থাকি, সেটা কিছু না?
আমি যে আমার একটা জ্বলজ্বলে ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিলাম সেটা কিছু না?
একটা পরিবার যে পর করে দিলাম সেটা কিছুই না?
ঘরটা বুঝি এমনি এমনিই থাকার উপযুক্ত হয়ে যায়?
৩.)
প্রতিশ্রুতি
তফাৎ বুঝিনা তাও, আমাদের ভালোবাসা স্বভাব,
মানুষের ঘর ভাঙে। বাঁধন'ও যে আজীবন কাটা।
মুখোশ আলগা হলে, চিনে নিও হাজারটা লোকের,
ক'জন যোগ্য ছিল এতকাল ঠিক পাশে হাঁটার।
মানুষের ঘর ভাঙে। বাঁধন'ও যে আজীবন কাটা।
মুখোশ আলগা হলে, চিনে নিও হাজারটা লোকের,
ক'জন যোগ্য ছিল এতকাল ঠিক পাশে হাঁটার।
হেঁটেছো একাই তবু, এসেছো যে বারেবারে ফিরে,
তোমার যাওয়ার পরে মিথ্যে দিগ্বিদিক, ধূ ধূ।
বাঁধানো সিঁড়ির থেকে রোজদিন এই পৃথিবীতে,
দুঃখ স্রোতের মতো। আমরা তলিয়ে যাই শুধু।
তোমার যাওয়ার পরে মিথ্যে দিগ্বিদিক, ধূ ধূ।
বাঁধানো সিঁড়ির থেকে রোজদিন এই পৃথিবীতে,
দুঃখ স্রোতের মতো। আমরা তলিয়ে যাই শুধু।
আমার মাথার পাশে ভালোবাসা ঋণ হয়ে জমে,
কখনও দুঃখে আর কখনও বা হেরে গেছি বোমায়।
যদি এই পৃথিবীকে চারভাগে ভেঙে দাও প্রিয়,
তিনভাগে ভালোবাসা আজীবন দিয়ে যাবো তোমায়।
কখনও দুঃখে আর কখনও বা হেরে গেছি বোমায়।
যদি এই পৃথিবীকে চারভাগে ভেঙে দাও প্রিয়,
তিনভাগে ভালোবাসা আজীবন দিয়ে যাবো তোমায়।
৪.)
এপ্রিল ফুল
আমরা —
আসলে আমাদের রেশ কেটেছে মোহের,
এটুকু বুঝতে পারার পর আর সময় নষ্ট করি না।
সভ্য সমাজে পা রাখি
অপরিচিত হয়ে উঠি, যত দ্রুত সম্ভব।
এটুকু বুঝতে পারার পর আর সময় নষ্ট করি না।
সভ্য সমাজে পা রাখি
অপরিচিত হয়ে উঠি, যত দ্রুত সম্ভব।
হোটেল —
অচল হোটেলের রেজিস্ট্রার খিদের মর্ম বোঝে,
কিছু ভুয়ো পরিচয় মেনে নেয় পেটের দায়ে।
কিছু ভুয়ো পরিচয় মেনে নেয় পেটের দায়ে।
মুহুর্ত —
কমজোরী তারা খসে পড়ে তাড়াতাড়ি।
উত্তেজনায় চুম্বক ছিল
নাকি, আড়াই ইঞ্চি জমির মধ্যাকর্ষণ শক্তি।
উত্তেজনায় চুম্বক ছিল
নাকি, আড়াই ইঞ্চি জমির মধ্যাকর্ষণ শক্তি।
সত্যিটা বড়ো তেতো স্বাদের।
তাই তোমার আর নক্ষত্র হয়ে ওঠা হয়নি বিছানায়।
তাই তোমার আর নক্ষত্র হয়ে ওঠা হয়নি বিছানায়।
আমি —
আজীবন প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায়বদ্ধ শ্রমিক।
হাত বদলের খাতায় মালিকদের নামের ভিড়
বাড়িয়েছি দিন দিন।
হাত বদলের খাতায় মালিকদের নামের ভিড়
বাড়িয়েছি দিন দিন।
শুধু ভালোবেসেছি বলে
আজও তার প্রেমিকা হতে পারিনি।
আজও তার প্রেমিকা হতে পারিনি।
৫.)
হলুদ শাড়ি
বিকেল ছাড়া প্রেমের কবিতা লেখা যায় না।
ট্রাম লাইন ছাড়া কীকরে প্রেম হয় বলো?
তবুও তো এখনও আমরা
পুরোনো বইপাড়া শেষ করে উঠতে পারলাম না।
আমাদের এই কলেজস্ট্রীট ঘেঁষা সম্পর্ক,
কফিহাউস মেশানো ভালোবাসা,
কয়েক চুমুকেই শেষ হয়ে যাবে?
তা হয় কখনও?
আমরা হারিয়ে যেতে চাইলেও হয়ে ওঠে না,
রাস্তাগুলো সব তো ওয়ান ওয়ে।
দেখা ঠিক হয়ে যায়।
তবুও এই সাইরেন বাজা সম্পর্ক থেকে
উঠে এসে তুমি বলছো,
তোমার কবিতায় এত বিষণ্ণতা কেন?
আমি মলাট খুলে রেখেছি,
সমস্ত ঢাকা দেওয়া অস্বস্তির।
মলাটকে মুখোশ বলা যায় কিনা জানা নেই।
রাত জেগে সব পুরনো মুহূর্ত ঘেঁটে
বেছে রেখেছি কয়েকটা চুমু আর হাতধরাকে,
হাতধরাকে প্রেম বলে কিনা জানা নেই!
আমাদের বাড়ির পাশে কোনো ছাতিমের গাছ নেই,
তবু এ সময়টা কেন যে ডুবে যাই এত গভীরে,
প্রতি ভোরবেলায় আমি ছাতিমের গন্ধে ডুবে যাই।
এবারের পুজোতেও আমি কুয়াশা মেশানো দৃষ্টি নিয়ে
আমার জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকবো।
শহরে শিউলি ঝরা শুরু হলে,
তুমি শুধু একবার হলুদ শাড়ি পরে এসো!
আর নিয়ে যেও আমার এতদিনের
জমিয়ে রাখা তাকিয়ে থাকাগুলোকে!
৬.)
সমান্তরাল
রোজকার ওলট পালট বিছানা। ভাঙা ক্লিপ বেয়ে অগোছালো চুল।
আঃ! সোনা আওয়াজ করে না। ছিঃ!
সরাও তোমার ওড়না। একটু মুখ লুকিয়ে বাঁচি।
সরাও তোমার ওড়না। একটু মুখ লুকিয়ে বাঁচি।
পৃথিবী বড্ড কাঁদছে জানো। তোমার রক্তক্ষরণ থামছে কই !
পুড়ছি, মরছি রোজই আমরা। অথচ মানুষ হচ্ছি কই।
পুড়ছি, মরছি রোজই আমরা। অথচ মানুষ হচ্ছি কই।
রোজ তো সেই ট্রামে বাসে, ঠেলা খাচ্ছি। হাত চালাচ্ছি।
নিজের স্বরূপ চিনতে পেরে; নিজের মুখেই থুতু মারছি।
নিজের স্বরূপ চিনতে পেরে; নিজের মুখেই থুতু মারছি।
অ্যসিড ছেঁচা এ শহরে, আমরা সকলেই প্রতিদ্বন্দ্বী।
খালি অন্যের সাথে রেষারেষি, আর নিজের সাথে সন্ধি।
খালি অন্যের সাথে রেষারেষি, আর নিজের সাথে সন্ধি।
ভেতরেও সেই আদিম দাবানল, খালি ঝলসাতে গিয়ে বাঁচতে চাইছি
আর সারাটা দিন হারের সাইনবোর্ড, গলায় ঝুলিয়ে বস্তি মাতাচ্ছি।
আর সারাটা দিন হারের সাইনবোর্ড, গলায় ঝুলিয়ে বস্তি মাতাচ্ছি।
চৌরাস্তার এমন কত বন্দরে, অন্যের কাপড়ে নিজেদের করছি আড়াল।
উত্তেজনা সেই ক্ষণিকেরই। খালি আখ্যা দিয়েছি সমান্তরাল।
উত্তেজনা সেই ক্ষণিকেরই। খালি আখ্যা দিয়েছি সমান্তরাল।
৭.)
প্রেমের ফারাক
তুমিও শেষে খুনি-ই হলে দেখি
বিঁধিয়ে দিয়ে ঘৃণার ফলা বুকে
প্রেম ফুরোলে নোনা পড়া দেহে,
ক্ষত জমে স্মৃতির অসুখে।
বিঁধিয়ে দিয়ে ঘৃণার ফলা বুকে
প্রেম ফুরোলে নোনা পড়া দেহে,
ক্ষত জমে স্মৃতির অসুখে।
প্রেম নাকি সস্তা বটে খুব!
আমি বলি ফারাক থাকতে হয়।
সামনে যাদের নামের পাশে নাম,
ভিতরে ততই ভুলে ভরা সংশয়।
আমি বলি ফারাক থাকতে হয়।
সামনে যাদের নামের পাশে নাম,
ভিতরে ততই ভুলে ভরা সংশয়।
প্রেমের আগে ভালোবাসা রেখো
স্বস্তি পেলে আগলে নিও ঠোঁটে,
দ্বেষ-বিদ্বেষ বাদ রেখে দিও একদিন
ভালোবাসলেও কি ঘেন্নাই জোটে!
স্বস্তি পেলে আগলে নিও ঠোঁটে,
দ্বেষ-বিদ্বেষ বাদ রেখে দিও একদিন
ভালোবাসলেও কি ঘেন্নাই জোটে!
৮.)
ধুমাত্র বন্ধু নয়
আমি এখনো বালিশ বুকেই, নরম খুঁজি
তেপান্তরে রূপকথা দেশ, থমকে গেছে হাওয়া
বোরে চালিয়ে মেরেছি সব রাজা উজির–
চৌষোট্টির ছকে আজ ব্যাথার কুচকাওয়াজ।।
তেপান্তরে রূপকথা দেশ, থমকে গেছে হাওয়া
বোরে চালিয়ে মেরেছি সব রাজা উজির–
চৌষোট্টির ছকে আজ ব্যাথার কুচকাওয়াজ।।
এলোচুলের জোছনা হটাৎ ডাক পাঠায়
মেঘের দেশে সে'ই তিলোত্তমা–
পিনিক দিলে এমন, ছিটকে লাগে জামায়
ইচ্ছে হল এমন বসন্ত হওয়ার।।
মেঘের দেশে সে'ই তিলোত্তমা–
পিনিক দিলে এমন, ছিটকে লাগে জামায়
ইচ্ছে হল এমন বসন্ত হওয়ার।।
অরন্যাণী সাজিয়ে গেল তোমায়, সমস্তটা
শ্রী'র শরীর বুনছে যত, রসের দানা–
আমার আছে আঙুলডগায়, বৃষ্টিফোঁটা
গরম স্রোতে তেমন কিছুই, আটকায় না।।
শ্রী'র শরীর বুনছে যত, রসের দানা–
আমার আছে আঙুলডগায়, বৃষ্টিফোঁটা
গরম স্রোতে তেমন কিছুই, আটকায় না।।
মাথার ভেতর ঠোঁটের গন্ধ, চনমনিয়া
ছটফটিয়ে তোমায় নিয়ে চাইছে উড়ান–
ভীড়ের মাঝে হাঁপিয়ে আমি, একলা টিয়া
রোশনাইয়ের সাক্ষী থাকে, পাহাড়চূড়া।।
ছটফটিয়ে তোমায় নিয়ে চাইছে উড়ান–
ভীড়ের মাঝে হাঁপিয়ে আমি, একলা টিয়া
রোশনাইয়ের সাক্ষী থাকে, পাহাড়চূড়া।।
চাওয়ার হিসেব রাখছি এখন বাক্সে পুরে
জলের নীচের পাথর ক্ষয়, এমনি বোধহয়
আবার আজ লিখেই দিলাম, রাতদুপুরে
আমি তো তোমার শুধুমাত্র বন্ধু নয়।।
জলের নীচের পাথর ক্ষয়, এমনি বোধহয়
আবার আজ লিখেই দিলাম, রাতদুপুরে
আমি তো তোমার শুধুমাত্র বন্ধু নয়।।
৯.)
মোহ....
মাথার ওপর থেকে হাত দুটো ছায়া থেকে আবছায়া হয়ে সরে সরে যায়...
গলার ভেতর দিকে কেমন যেন একটা দলা পাকানো কষ্ট পাক খেতে থাকে।
কান্না হয়ে বেরিয়ে আসতে চায় কথারা,
তাদের নীরবতার মোহজাল ছিন্ন করে...
তবুও কোথায় যেন একটা অদ্ভুত আবডাল
তোমার আর আমার মাঝখানে।
সময়ের কালস্রোতে হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তরা
অদ্ভুত ভাবে স্মৃতি হবার লক্ষ্যে ছুটে বেড়াচ্ছে।
গলার ভেতর দিকে কেমন যেন একটা দলা পাকানো কষ্ট পাক খেতে থাকে।
কান্না হয়ে বেরিয়ে আসতে চায় কথারা,
তাদের নীরবতার মোহজাল ছিন্ন করে...
তবুও কোথায় যেন একটা অদ্ভুত আবডাল
তোমার আর আমার মাঝখানে।
সময়ের কালস্রোতে হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তরা
অদ্ভুত ভাবে স্মৃতি হবার লক্ষ্যে ছুটে বেড়াচ্ছে।
মানুষ থেকে ছায়া, ছায়া থেকে আবছায়া,
আর তারপর....??
ভীষণ বেশি কষ্ট দেয় তোমাকে ছুঁতে না পারা ইচ্ছেগুলো....
আর স্মৃতি হয়ে যাওয়া মুহূর্তেরা........
আর তারপর....??
ভীষণ বেশি কষ্ট দেয় তোমাকে ছুঁতে না পারা ইচ্ছেগুলো....
আর স্মৃতি হয়ে যাওয়া মুহূর্তেরা........
১০.)
বর্ষা এবং সূর্যপ্রেমিক
চিবুক বেয়ে গড়িয়ে এলো প্রেক্ষাপটের দাবি,
শরীর ছুঁয়ে খবর দিলো সূর্য প্রেমিক কবি -
মাখবে তোমায়, মেঘলা দিনে ভিজবে সারা গা,
ছুমন্তরে মেঘবালিকা ভিজেই দেখো না !
শরীর ছুঁয়ে খবর দিলো সূর্য প্রেমিক কবি -
মাখবে তোমায়, মেঘলা দিনে ভিজবে সারা গা,
ছুমন্তরে মেঘবালিকা ভিজেই দেখো না !
দেখবে আকাশ কেমন করে সূর্য কণা ছাড়া
ছদ্মবেশে বর্ষা হয়ে ভিজিয়ে তোমার পাড়া -
রাস্তা জলে আসছে হেঁটে বংশিধারী হয়ে,
অদম্য সেই শব্দেরা শুধু অনন্য প্রত্যয়ে -
ছদ্মবেশে বর্ষা হয়ে ভিজিয়ে তোমার পাড়া -
রাস্তা জলে আসছে হেঁটে বংশিধারী হয়ে,
অদম্য সেই শব্দেরা শুধু অনন্য প্রত্যয়ে -
বলবে তোমায় শোনাও, তোমার প্রেমের আবাহন !
তখন কি আর শান্ত হবে মেঘবালিকার মন ?
বলবে তাকে শোনো, এসব প্রেক্ষাপটের দাবি ! ভালোবাসতাম যাকে সেও সূর্যপ্রেমিক কবি।
তখন কি আর শান্ত হবে মেঘবালিকার মন ?
বলবে তাকে শোনো, এসব প্রেক্ষাপটের দাবি ! ভালোবাসতাম যাকে সেও সূর্যপ্রেমিক কবি।
কাল কেটেছে আজ এসেছে বর্ষা গেছে থেমে,
আমিও আবার ইচ্ছে করেই ফের পড়েছি প্রেমে।
না, না, প্রেম ঠিক নয়। নিরুদ্দেশের গাড়ি,
আপন করে ডাকলে কাছে আমিও অভিসারী -
আমিও আবার ইচ্ছে করেই ফের পড়েছি প্রেমে।
না, না, প্রেম ঠিক নয়। নিরুদ্দেশের গাড়ি,
আপন করে ডাকলে কাছে আমিও অভিসারী -
তেপান্তরের মেঘের গায়ে লিখি প্রেমিকের নাম,
অল্প আলোয় সাঁঝের সময় ছুটিয়ে দিয়ে ট্রাম।
বর্সা আসুক বৃষ্টি আসুক যাই হয়ে যাক তাও
আজকে শুধু আর একটিবার আমায় মেখে নাও।
অল্প আলোয় সাঁঝের সময় ছুটিয়ে দিয়ে ট্রাম।
বর্সা আসুক বৃষ্টি আসুক যাই হয়ে যাক তাও
আজকে শুধু আর একটিবার আমায় মেখে নাও।
তুমিও আবার নেশায়, কেবল স্বেচ্ছাচারী হয়ে -
ভিজলে কেবল সহিষ্ণুতায় বৃষ্টি কণা দিয়ে।
অবশ তোমার শরীর, আর কাঁপছে সারা গা,
বর্ষা বুঝি আজকে কেন আর যে থামে না !
ভিজলে কেবল সহিষ্ণুতায় বৃষ্টি কণা দিয়ে।
অবশ তোমার শরীর, আর কাঁপছে সারা গা,
বর্ষা বুঝি আজকে কেন আর যে থামে না !
ওই যে দেখো থামিয়ে দিয়ে প্রেক্ষাপটের দাবি
ভিজবে বলে আসছে তোমার সূর্যপ্রেমিক কবি।
ভিজবে বলে আসছে তোমার সূর্যপ্রেমিক কবি।
১১.)
একতরফা
সেদিন দেখা মোড়ের মাথায়, ব্যস্ত তুমি ক্যান্ডি ক্রাশে
হলুদ শাড়ি। আলগোছা চুল ।চোখের কাজল মায়া জড়ায়।
সময় তখন দশটা হবে। ট্রাফিক জুড়ে লাল আলোতে
অফিস যাওয়া বেজায় ভুলে। তাকিয়ে থাকা তোমার মুখে।
হলুদ শাড়ি। আলগোছা চুল ।চোখের কাজল মায়া জড়ায়।
সময় তখন দশটা হবে। ট্রাফিক জুড়ে লাল আলোতে
অফিস যাওয়া বেজায় ভুলে। তাকিয়ে থাকা তোমার মুখে।
দিনের পর দিন পেরিয়ে, জানতে থাকি তোমার খবর
কলেজ স্টুডেন্ট। মাঝ বয়সি। বাড়ি তোমার বেলঘরিয়া।
আমার মুখে হাসির বহর।দূরত্বটা খুব বেশি নয়
মেসের থেকে মাইল দুয়েক। বাঁ-দিকের ঐ পাশের গলি।
কলেজ স্টুডেন্ট। মাঝ বয়সি। বাড়ি তোমার বেলঘরিয়া।
আমার মুখে হাসির বহর।দূরত্বটা খুব বেশি নয়
মেসের থেকে মাইল দুয়েক। বাঁ-দিকের ঐ পাশের গলি।
পিছু নেওয়ার সূত্রপাতে দেমাক তোমার বেজায় গরম
শুনিয়েছিলে দু-চার কথা। অসভ্য এক বেয়াড়া ছেলে।
অটো স্ট্যান্ডে লাইন ভীষণ। চোখ মিটমিট।তোমায় খোঁজে
যতই বলো আদিখ্যেতা। হৃদয় তখন তোমায় বোঝে।
শুনিয়েছিলে দু-চার কথা। অসভ্য এক বেয়াড়া ছেলে।
অটো স্ট্যান্ডে লাইন ভীষণ। চোখ মিটমিট।তোমায় খোঁজে
যতই বলো আদিখ্যেতা। হৃদয় তখন তোমায় বোঝে।
পাইনা দেখা হপতা খানেক। কেমন যেন একলা থাকা
তোমার কথা শুধাই সেদিন পাশের বাড়ির সঙ্গীতাকে।
চার নাম্বারে, পিছুডাকে, থমকে দাঁড়াই কৌতুহলে
তোমার আসার খানিক বাদে। কার্ডটা আমায় ধরিয়ে দিলে।
তোমার কথা শুধাই সেদিন পাশের বাড়ির সঙ্গীতাকে।
চার নাম্বারে, পিছুডাকে, থমকে দাঁড়াই কৌতুহলে
তোমার আসার খানিক বাদে। কার্ডটা আমায় ধরিয়ে দিলে।
পরের মাসের পয়লা তারিখ, তোমার বিয়ের নিমন্ত্রণ
একটু হেসে, মাথা নেড়ে, আসবো আমি ঠিক সময়ে।
বিয়ের ঘটা চুকলে পরে। তোমার যাওয়া সিঙ্গাপুরে
তখনও আমি আট হাজারে। ঘুরে বেড়াই রাত দুপুরে।
একটু হেসে, মাথা নেড়ে, আসবো আমি ঠিক সময়ে।
বিয়ের ঘটা চুকলে পরে। তোমার যাওয়া সিঙ্গাপুরে
তখনও আমি আট হাজারে। ঘুরে বেড়াই রাত দুপুরে।
এমনই করেই কবি হওয়া, কাব্য লেখা তোমায় নিয়ে
একতরফা কয়েকটা প্রেম। শুরুর কথা ক্যান্ডি ক্রাশে।
রাতের প্রহর বাড়ার পরে, জলের খোঁজে দু-চারটে পেগ
আমার লেখা উপন্যাসের পাল্টে যাওয়া নায়ককে দেখ।।
একতরফা কয়েকটা প্রেম। শুরুর কথা ক্যান্ডি ক্রাশে।
রাতের প্রহর বাড়ার পরে, জলের খোঁজে দু-চারটে পেগ
আমার লেখা উপন্যাসের পাল্টে যাওয়া নায়ককে দেখ।।
১২.)
মনখারাপের জ্বর
ভেজা শরীর বেয়ে নেমে আসা সুগন্ধী আতর,
আবারও হার মেনেছে তোমার ক্লান্ত ঘামের কাছে।
শহর জুড়ে উষ্ণতা তাই জারি,
বাসবো ভালো অনুভূতির আঁচে।
আবারও হার মেনেছে তোমার ক্লান্ত ঘামের কাছে।
শহর জুড়ে উষ্ণতা তাই জারি,
বাসবো ভালো অনুভূতির আঁচে।
তুমি যদিও ব্যস্ত এখন ভীষণ,
আর ল্যাপটপটা বড্ড প্রিয়জন।
শেষ পাঠানো চিঠিটা তাই আজও,
হয়নি পড়া,হারিয়েছে প্রয়োজন।
আর ল্যাপটপটা বড্ড প্রিয়জন।
শেষ পাঠানো চিঠিটা তাই আজও,
হয়নি পড়া,হারিয়েছে প্রয়োজন।
রুক্ষ তোমার শব্দগুলো, আঘাত হানে প্রায়ই।
যন্ত্রণাটা অভ্যাস এখন, খারাপ লাগা নেই।
ক্ষতর পাহাড় বাড়তে থাকে, বুকের ভিতর ঝড়।
তুমি অগোছালো মনের মাঝে, মনখারাপের জ্বর।
যন্ত্রণাটা অভ্যাস এখন, খারাপ লাগা নেই।
ক্ষতর পাহাড় বাড়তে থাকে, বুকের ভিতর ঝড়।
তুমি অগোছালো মনের মাঝে, মনখারাপের জ্বর।
১৩.)
আত্মমৈথুন, যেখানে কঠিন হয়ে উঠেছে কবিতারা
ইদানিং অদূরদর্শী হয়ে ওঠা চোখে অ্যাপোষ্ট্রফি হয়ে থেকে যায় আমাদের শৈশবগল্প । এক এক করে বন্ধ হয়ে আসে সমস্ত অলিগলি, আমরা সময় সমুদ্রে ভেসে চলি খড়কুটোর মতো...খানিক রোদেলা প্রচ্ছদ পাওয়ার আশায় । রোদ পেলেই নাকি পুনঃজন্ম হয় ভালোবাসার; মাটির গভীর থেকে উঠে আসে বর্ষাবিকেল, জলকেলি ।
বেসুরো আদরেও সকল খিদে গোলাপি হয়ে আসার ঘটনা বেশ অবাক করে । অসংখ্য শেষ না হওয়া উপন্যাস বামন হয়ে চাঁদ ধরার মতো দুঃসাহস দেখাতে বাধ্য করে আমায় । ভিত কংক্রিট করে তোলে আত্মমৈথুনের শহর । আমি কিছুতেই গা বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসতে পারিনা । শব্দসঙ্গমে জড়িয়ে যায় ক্রমশ । ছেঁড়াগেঞ্জির ময়লাতে সুশ্রী থেকে অশ্লীল শব্দের উপচে পরা ভিড় । ডিসপ্রোপরসনেশন থেকে ইন্ট্রোভার্ট আর ইন্ট্রোভার্ট থেকে বেসুরো সিম্ফনি-এটুকুতেই আটকা পরে শব্দমিছিল । ভালোবাসার দপ্তরে বারকয়েক ঢুঁ মারলেও রহস্যময়ী কোনো হাযারোগ্লিফিক নারীকে তুলে আনতে পারিনি । দিনেদিনে কঠিন হয়ে উঠেছে আমার কবিতারা।
আচ্ছা, কতটাকা বিক্রয়মূল্য ধার্য করলে কেউ এই কবিতা কিনবে?
১৪.)
পাঠানো চিঠি
আজ প্রভাতে বসন্ত আসেনি,
বকুল লুকিয়েছে সহস্র বর্ষনে॥
আজ প্রভাতে সূর্য্য হাসেনি
পথ হারিয়ে এঁকেছি তোমাকে॥
বকুল লুকিয়েছে সহস্র বর্ষনে॥
আজ প্রভাতে সূর্য্য হাসেনি
পথ হারিয়ে এঁকেছি তোমাকে॥
দেখনি তুমি কাঁপানো শীতে,
পাতা খুইয়ে বাঁকল হারিয়ে,
মরতে মরতে মরিনি আশাতে..
বসন্তে তুমি আসবে বলেছিলে॥
পাতা খুইয়ে বাঁকল হারিয়ে,
মরতে মরতে মরিনি আশাতে..
বসন্তে তুমি আসবে বলেছিলে॥
তোমারই জন্য তখনই বন্ধু
লিখেছি সহস্র চিঠি প্রেমের৷
গেঁথেছি একটিই মালা অশ্রুললিতা..
স্বপ্ন ধুয়েছি সহস্র বর্ষনে॥
লিখেছি সহস্র চিঠি প্রেমের৷
গেঁথেছি একটিই মালা অশ্রুললিতা..
স্বপ্ন ধুয়েছি সহস্র বর্ষনে॥
চলে গেলে তুমি ধ্বংস পুরীতে,
ব্যার্থ হলে বৃথা প্রয়াসে৷
বোঝোনি আমার চোখের ভাষা,
পূর্ণিমাতে হাসির ফাঁকে ছলে॥
ব্যার্থ হলে বৃথা প্রয়াসে৷
বোঝোনি আমার চোখের ভাষা,
পূর্ণিমাতে হাসির ফাঁকে ছলে॥
উড়ে গেছো তুমি সেই রাতেই৷
প্রশ্ন বেঁধেছে মন থেকে মনে॥
সে সব প্রশ্ন তল পায়নি...
তারপর কত রাত ঘুম হয়নি॥
প্রশ্ন বেঁধেছে মন থেকে মনে॥
সে সব প্রশ্ন তল পায়নি...
তারপর কত রাত ঘুম হয়নি॥
এভাবেই কখনও বসে অথবা ভিজে,
কখনও তাপে কখনও সন্তাপে আবার
চোখ লুকিয়েছি শান্তির জলে॥
খোঁজ নাওনি,ফিরে চাওনি বারেক॥
কখনও তাপে কখনও সন্তাপে আবার
চোখ লুকিয়েছি শান্তির জলে॥
খোঁজ নাওনি,ফিরে চাওনি বারেক॥
কতভাবে বেহিসাবি প্রেম জ্বলেছে
হিসেবীদের শার্টের বন্ধ কলার্ট ধরে॥
রেটিনার স্রোত হিম হয়েছে সেথায়
মৃত্যুতে নয় মৃত্যু নামক ঝড়ে॥
হিসেবীদের শার্টের বন্ধ কলার্ট ধরে॥
রেটিনার স্রোত হিম হয়েছে সেথায়
মৃত্যুতে নয় মৃত্যু নামক ঝড়ে॥
তারপরও কত বসন্ত গেছে
পা পড়েনি পুরোনো বাগানে৷
ফুল ফুঁটে ঝড়েও গেছে
জানালার ধারে বিনিদ্র রাতে॥
পা পড়েনি পুরোনো বাগানে৷
ফুল ফুঁটে ঝড়েও গেছে
জানালার ধারে বিনিদ্র রাতে॥
জ্যোৎস্না এসে পড়েছিল সে ঘরে৷
সে ঘরে এখন তালা পড়েছে,
প্রেমিকার পাদুকা খোয়া গেছে আজ
সহস্র পায়ের মাঝে পায়ে পায়ে॥
সে ঘরে এখন তালা পড়েছে,
প্রেমিকার পাদুকা খোয়া গেছে আজ
সহস্র পায়ের মাঝে পায়ে পায়ে॥
কতবার তারা পথ হারিয়েছে
হারিয়ে যাওয়ার পবিত্র সুখে৷
মাদক হাওয়ায় নিঃস্ব সেও
চেনা কন্ঠ জড়িয়ে ধরতে॥
হারিয়ে যাওয়ার পবিত্র সুখে৷
মাদক হাওয়ায় নিঃস্ব সেও
চেনা কন্ঠ জড়িয়ে ধরতে॥
সর্বহারা ভিক্ষা মেগে
কূল পায়নি এ জগতে৷
পাগলিনী এলিয়ে চুল
বাউন্ডুলেদের দলে দলে॥
কূল পায়নি এ জগতে৷
পাগলিনী এলিয়ে চুল
বাউন্ডুলেদের দলে দলে॥
১৫.)
ফিরে দেখবোনা আর
আমি চিৎকার করছি
সুপ্ত মৃত প্রাণে,
খুব জোরে চিৎকার করছি
তোমার শোনা, না শোনা ভাবায় না আমায় আর
তবুও চিৎকার করছি..
আমি থাকছি না আর
চলে যাচ্ছি এবার
অতিদূরে আলোর রেখায়,
আমি পৌঁছবোই..
চোরা পথে তুমি ক্রমশ
আমার জীবনে ঢেলে দিচ্ছ বিষ
মৃত হৃদয়ে ভালোবাসা বাঁচিয়ে রাখা দরকার
তাই থামছিনা, আমি পৌঁছবোই
শীতের রাতে নির্জনতাকে সাক্ষী রেখে,
জানি আমি ঘৃণ্য, বিরক্তিকর,
তাই প্রতীক্ষা করো না আর
সময় পেরিয়েছে, কথোপকথনে মিশেছে বিষ,
দেখো আমার দিকে
আমি মুক্ত, আমি মুক্ত নজরুল
যতই আমাকে শিহরিত করো,
মৃত্যু ডাকো সারা মনে
যতই অনুভব করো রক্তের বেগ সারা শরীরে
তবুও প্রতীক্ষা করো না
আমি চাই না এই মনে যুদ্ধ আর
আমি চাই না হারিয়ে যেতে
তাই ফিরে তাকাবোনা আর
যতই তুমি আমাকে খোঁজো
অন্ধ করো এই দুচোখ
তবুও আমি পৌঁছবোই
আমি যে দুঃখকে করেছি জয়..
সুপ্ত মৃত প্রাণে,
খুব জোরে চিৎকার করছি
তোমার শোনা, না শোনা ভাবায় না আমায় আর
তবুও চিৎকার করছি..
আমি থাকছি না আর
চলে যাচ্ছি এবার
অতিদূরে আলোর রেখায়,
আমি পৌঁছবোই..
চোরা পথে তুমি ক্রমশ
আমার জীবনে ঢেলে দিচ্ছ বিষ
মৃত হৃদয়ে ভালোবাসা বাঁচিয়ে রাখা দরকার
তাই থামছিনা, আমি পৌঁছবোই
শীতের রাতে নির্জনতাকে সাক্ষী রেখে,
জানি আমি ঘৃণ্য, বিরক্তিকর,
তাই প্রতীক্ষা করো না আর
সময় পেরিয়েছে, কথোপকথনে মিশেছে বিষ,
দেখো আমার দিকে
আমি মুক্ত, আমি মুক্ত নজরুল
যতই আমাকে শিহরিত করো,
মৃত্যু ডাকো সারা মনে
যতই অনুভব করো রক্তের বেগ সারা শরীরে
তবুও প্রতীক্ষা করো না
আমি চাই না এই মনে যুদ্ধ আর
আমি চাই না হারিয়ে যেতে
তাই ফিরে তাকাবোনা আর
যতই তুমি আমাকে খোঁজো
অন্ধ করো এই দুচোখ
তবুও আমি পৌঁছবোই
আমি যে দুঃখকে করেছি জয়..
১২
উত্তরমুছুনকবিতারা যেভাবে জন্মায় - বেশ লাগল
উত্তরমুছুনপ্রতিশ্রুতি - কার লেখা?
উত্তরমুছুনজলফড়িং টিমকে আমার শুভেচ্ছা
উত্তরমুছুনKhub sundor sobkota but Ami personally #ĪvÊ fan
উত্তরমুছুনসমান্তরাল খুব ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনসমান্তরাল
উত্তরমুছুনসমান্তরাল সেরা এবং অর্থবহ
উত্তরমুছুনIshita Majhi...besh valo laglo. My vote goes to her!
উত্তরমুছুনঈশিতার লেখা বেশ ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনSundor
উত্তরমুছুনSundor
উত্তরমুছুন