কবি: মৃগাঙ্ক মজুমদার
বর্ষা এলে-১
যে সব জলে জং ধরে না
সেই সব জলকণা জুড়ে
লোভ বেঁচে থাকে ।
মেঘ করার পরে
আষাঢ়, শ্রাবণ গুনতে থাকে যখন মন,
তখন শহর আর গ্রাম জুড়ে
চাতকের প্রেম ভিজতে থাকে ।
বর্ষা এলে,
একমনে পাপ ধুতে থাকে
ধুতে থাকে সব যৌন গন্ধ,
বৃষ্টিস্নাত মলেস্টেশন,
আর স্তাবকতা,
বৃষ্টির মতন
ঝরতে থাকে।
বর্ষা এলে -২
জলরঙে আঁকা
বা পেনসিল
সব জলফড়িং ই
বিষাদ জলে
একবার না একবার
ডুবেই যায় ।
বর্ষা এলে, টাপুরটুপুর
শব্দ জড়িয়ে যারা হাত ধরে
হেমন্তে নীরব থাকে
আর
শীতে হিমঘরে কাঁটা ছেঁড়া হয় ।
বর্ষা এলে -৩
জল বেয়ে যে সমস্ত
উমনো, ঝুমনো
অগোছালো ভালোবাসার
আঁকড়ে ধরে,
বৃষ্টি জুড়ে তারাই
বেপরোয়া হয়ে আচমকা
ঠোঁটের উপর আছড়ে পড়ে ।
তার পরে একটাই ছাতা,
জলে ভিজে ভাঁড়ে চা
আর দুটো বর্ষা এভাবে পেরোনোর পরে
প্রবাসে খবর পাই
তোমার বাড়ির লোকেরা
জল সইতে গিয়েছে ।
আজকাল বর্ষা এলে
মেঘ, জল, বৃষ্টির ফোঁটা
সব কিছুর জানলার শার্সির
ওপরেই আটকে রাখি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন