নিজের লেখা কবিতা, নিবন্ধ, গল্প পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ করে 7384324180 এই নম্বরে

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

SUDIPTA SEN: কোথায় গিয়ে মনে হল, ধর্ষণের বিচারের চেয়েও কলেজ নির্বাচন বড়!


 মানুষ সোচ্চার প্রাণী এই কথাটা ভুল কিন্তু কিছু মানুষ সোচ্চার প্রাণী এই কথাটাও আংশিক ঠিক নয় আবার ঠিকও৷ আংশিক ঠিক নয় কারণ কিছু মানুষ একাধিক বিষয়ে সোচ্চার প্রাণী।  কেন এমন বলছি? কারণ সমাজে ঘটে যাওয়া একটি কালো দিকের বিচার চেয়ে কেউ সোচ্চার হলে পাশাপাশি আরও বহু সোচ্চার মানুষ আসে, তারা তাদের আরও নানান বিষয় সেখানে তুলে ধরার চেষ্টা করে।

অর্থাৎ তখন একটি বিষয়ে সোচ্চার হওয়া হারিয়ে যায় আরও নানান সোচ্চারতার প্রলেপে৷ ঠিক যেভবে হারিয়ে গিয়েছে অভয়া কান্ডের আন্দোলন ও তার বিচার।

গত বছর ১০ আগস্ট থেকে আর জি করের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন শুরু হল অভয়া কান্ডের বিচার চেয়ে। জ্বলল মোমবাতি, উঠল স্লোগান, মিডিয়া কভার জোরদার৷ তবে ওই বিচারের সাথে যুক্ত হল আরও নানান দিক। হাসপাতালে অরাজকতা, দীর্ঘদিব থমকে থাকা কলেজের নির্বাচনের মতো বিষয়গুলো কোথায় গিয়ে যেন আরও প্রবল হয়ে ওঠল। আন্দোলন একটা হলেও আন্দোলনের বিষয় হল প্রলেপের পর প্রলেপ দিয়ে সাজান।

রাজনৈতিক বিরোধী দল নামল, তারা ধর্ষণের বিচারের সাথে শাসক দলের বিরোধীতা চাইতে করল নানান ক্ষেত্রে।

নাগরিক সমাজ নামল সঙ্গে করে নামল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা, তারা আবার আলাদা আরও নানান বিষশ তুলে ধরছে। কেউ লিঙ্কদিনেরLINKEDIN)  প্রোফাইলের রাত দখলের অবদান লিখে রাখছে ৷ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, তিনি বলছেন আদতে যুক্তি দিচ্ছেন, আমি যদি রাত দখলের মূল কান্ডারি হিসেবে নিজেকে লিখে রাখি তাহলে তো অসুবিধের কিছু নেই কারণ যারা আমাকে চাকরি দেবে তারা তো ভাববে আমি প্রতিবাদী। তখন আমাকে তো তারা ভয় পাবেন যদি আমি পরবর্তীতে নিজের অফিসের কেনও কালো দিক নিয়ে প্রতিবাদ করি! জানি না কিসের যুক্তি সাজালেন, যদি তাই হয় তাহলে সেই সোশাল সাইটে তিনি নিজের চাকরি না পাওয়ার কারণ বা তাকে চাকরিতে নেবে না এমন কারণ লিখে রাখবেন কেন? আসলে হিরো হতে কে না চাই? সে যাক্গে এটা বিষয় নয়। বিষয় সোচ্চার হওয়া।

সোচ্চার হতে গেলে সাহস লাগে, লাগে পারিবারিক সার্পোটও। কিন্তু সোচ্চার হতে গেলে নিজের প্রায়োরিটি চেয়েও কোন বিষয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার তাকেই মূল করে এগিয়ে আসা উচিত। নয়তো একাধিক সোচ্চারে হারিয়ে যায় মূল কারণ৷ আন্দলোন হারিয়ে যায় নানাবিধ উদ্দেশ্যে। যেটা হারিয়ে গেল আর জি করের অভয়ার ধর্ষণের ক্ষেত্রে। কোথায় গিয়ে মনে হল, ধর্ষণের বিচারের চেয়েও কলেজ নির্বাচন বড়, একাধিক ক্ষেত্রে শাসকের গাফিলতি বড়। সঞ্জয় রায়ের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি আরও নানান ভাবে বিচার চলছে। জানি না কী হবে? তবে আমার মনে হয় সোচ্চার হওয়াতে দোষের ছিল না, দোষ ছিল সোচ্চারের প্রলেপে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন