চলন্তিকা ও ভাঙা শব্দার্থ
দেশিক হাজরা
সবে হিম হয়ে যাচ্ছে কিছুক্ষণ তোমার কথা ভাবলেই
গায়ে আঁচর কেটে যায় সাঁতসাতে ঠান্ডা বাতাস
মেকি নৈতিক সন্ধ্যা ড্যাব ড্যাব করে দেখে
ঘরের প্রদীপ পুড়ে যাবার গন্ধ আসে নাকে
চেয়ার ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না।
কয়েকটা লেখা শেষ না করতেই বিকেল গড়িয়েছে।
সারা দুপুর ধরে আমি শুধু তোমাকে ভেবেছি
বেশিরভাগই নষ্ট করেছি বাংলা কবিতার ভবিষ্যৎ।
তোমাকে নষ্ট বলে দেবো সমস্ত অক্ষরে !
বলে হয়তো কিছুটা মনে মনে গরম উত্তেজনা গড়ে উঠে,
না— আত্মবোধ সহমত দেয়নি
ঠাকুর ঘর থেকে অনবরত ভেসে আসছে ঈশ্বরীয়
সংলগ্ন ধ্বনি, সেই ধ্বনি আমার নষ্ট মানসিকতার
শুদ্ধিকরণ করে দিবে হয়তো। দোষ দিই না দ্রষ্টব্যে
এমনকি তোমাকেও না। কেনই বা দিতে যাবো
যে যার জায়গায় সব ঠিক।
একটি ধারা আরেকটি ধারাকে সোজাসুজি
ভাবে পরশো করছে না,
আলুলায়িত ভাবে বৃষ্টি পড়ছে বাইরে।
মাটির সোঁদা গন্ধের নেশায় আমি আমার সমস্ত
কবিতার ব্যাকারণ মিলিয়ে নিচ্ছি।
চারিদিকটা একটা ঘন ঠান্ডা নিস্তব্ধতায় ঘিরে ধরছে
অনাব্যাকারণীয় কবিতা একটি একটি করে
ছিঁরে পুড়িয়ে দিচ্ছি আর আগুনের নাড়ি ধরে
শব্দের চিৎকার ভেসে যাচ্ছে ওই বৃষ্টির মধ্যে।
এখন আমি এমনই একা এবং একাধিক
উদাহরণস্বর: চলন্তিকা ও ভাঙা শব্দার্থ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন