ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮




এডিটরের পেন থেকে

[জলফড়িং-এ ভাবনা প্রকাশ (কয়েকমিনিটে)]

আচ্ছা ধরুন আজ একটা লেখা লিখলেন আর লেখাটি আপনার সেরা বলে মনে হলো আর এটাও মনে হতে থাকলো য়ে ইস্ আজ যদি লেখাটা কোথাও বের করতে পারতাম হ্যাঁ আজই, 

হয়তো এরকম মনে হয়? 

যদিও এটা কোনো প্রিন্টেড ম্যাগাজিন পারে না আবার সব ওয়েব ম্যাগগুলোও পারেনা।

★জলফড়িং বড়ো হতে চাইনা চাই সাহিত্য কে বড়ো করতে।

যদি এরকম টা মনে হয় যে আজই লেখাটা বের করব আমরা পাশে আছি তার, বলে দেখতে পারেন।

প্রশ্ন উঠতে পারে?

১.) তাহলে আমরা মাসিক কেন বলি?

উ:- অবশ্যই মাসিক।
আবার আমরা বিশেষ দিন অর্থাৎ হঠাৎ চমক করি।

তাও আমরা যেহেতু ওয়েব ম্যাগ তাই আমাদের হাতে সুযোগ আছে কবির ইচ্ছাকে চটজলদি তুলে ধরা, তাই আমরা এটা করি।

২.)  একটা কথা বলি সবাই তো ভাবে আমার সব লেখাই সেরা তাহলে সবই কী ছাপবে?

উ:- সেটা আমাদের ওপর ছেড়েদিন আমরা দেখে নেব কতটা খাঁটি।

৩.) তবে লেখাটা পাঠাব কি করে?
উ:- আমাকে ইনবক্স করুন। 

ধন্যবাদ,
সুদীপ্ত সেন


বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

সম্পাদকীয় কলমে..........

"জলফড়িং মানেনা কখনোই কোনো কাঁটাতার
নিয়মের ঘেরাটোপে দূর করবে বিরোধের বার।"
                 ______সুনন্দ


        জলফড়িং নিজস্ব নিয়মেই গড়ে উঠেছে। হয়তো কিছুদিন পরিচালনার অভাবে প্রায় থমকে গিয়েছিল, কিন্তু না! এখন আবার সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে সকল সদস্যরা। 
        ‎এটা একটা অনলাইন মাসিক পত্রিকা। 'সমকামিতা' বিষয়কে সামনে রেখেই চলছে প্রস্তুতি। এরই মাঝে "বিশ্ব কবিতা দিবস" এর উদ্দেশ্যে হঠাৎ ইভেন্ট রাখা হয়েছিল। তাতে ভালোই সাড়া পড়েছে নতুন লেখক/লেখিকদের।
        ‎আমরা সকলেই দায়বদ্ধ জলফড়িং-কে উঁচুদরের জায়গায় পৌঁছে দিতে। পেশা হোক বা নেশা--- সবই ফুটে উঠুক এই পাতায়। কামনা করি জলফড়িং সুন্দর হোক ও সাফল্য পাক। নির্ভেজাল কাঁটাতারের সীমানা ছিঁড়ে সৌহার্দ্য গড়ে উঠুক।
        ‎আমরা জানি এখানে সবাই নতুন লিখছি। অনেকেরই হয়তো কাঁচা হাত। তা বলে তাদের থামিয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়। দক্ষ কারিগর করতে নিশ্চয়ই এগিয়ে আসবে জলফড়িং। এর সাথে অন্যান্য পরিবার/ব্লগ এর কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা স্বতন্ত্র। আমাদের জলফড়িং অন্যতম।
        ‎নিজেদের লক্ষ্যে অটল থেকে পরিশীলিত ও মার্জিত করে তুলব জলফড়িং এর পাতা। সকল লেখক/লেখিকা দের সাদরে আহ্বান জানাচ্ছি। আবেদন রাখছি নিজের নিজের ভাবধারা মেলে ধরুন। কে বলতে পারে? আপনিও একদিন সুনীল, শঙ্খ কিংবা শ্রীজাত হতে পারেন! আপনার লেখা সকলকেই আকৃষ্ট করুক----শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
        ‎         ---------------------------

         
        ‎

বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮



   বিশ্ববন্দিতা নায়িকা
===================

বসন্তের উঠি উঠি করে
   এখনও ওঠা হয়নি,
অশ্বত্থ, বটের কচিপাতা র
  নরম ছায়ার পরশ,
চম্পক, বকুলের সুমিষ্ট গন্ধের
  আলুথালু গড়াগড়ি,
শিমুল, পলাশের চোখ ধাঁধানো
   রঙের হাতছানি,
কোকিলের কুহু কুহু সুর
   পথ আটকে রেখেছে।

প্রজাপতি বাহারি রঙের ডানা মেলে
   ফুলে ফুলে সোহাগ চুম্বন দিচ্ছে,
মৌমাছি গুনগুন গান শুনিয়ে,
   ফুলেদের মন ভোলাচ্ছে,
মুকুল ভরা গাছে
    মধুর মধুর আহ্বান,
প্রকৃতির এই খেলাঘরে
    সবাই অন‍্যমনা।

বসন্তের এই অপরাহ্ন বেলায়
   কবিতা র অবাধ আনাগোনা,
কাব্যশিল্পীদের কল্পনা বিন‍্যাসে
   বাতাসের ঢুলুঢুলু নেত্র পল্লব,
দিশেহারা বাতাসের সোহিগে
  ফুরফুর করে কবিতার আঁচল,
২১শে মার্চ কাব‍্যের খেলাঘরে
  কবিতা আজ বিশ্ব বন্দিতা নায়িকা।।

  --------------------ভারতী ধর------------

  বিশ্ব কবিতা দিবসে আমার ক্ষুদ্র নিবেদন

কবিতা

কবিতা মোদের জীবন রে ভাই
কবিতায় হাসি কাঁদি
কবি হৃদয়ের উচ্ছ্বাস নিয়ে
কবিতা ছন্দ বাঁধি।

বিশ্ব কবিতা বিশ্ব মানব
তোমারে প্রনাম জানাই
বাঙালির ছড়া বাঙালির গানে
যেন এ বিশ্ব মাতায়।

কবিতা যেন গো জয় লাভ করে
অখিল বিশ্ব মাঝে
কবিরা যেন গো তার কবিতাকে
সাজায় প্রানের সাজে।

স‍রস্বতীর চরন ধরিয়া
যেন গো কাব‍্য করি
তোমার আশীষে মান হুঁশ নিয়ে
মানুষের সেবা করি।

নীতা কবি।

  বন্দি পাখি

খাঁচার ভিতর বন্দি পাখি
দূরের আকাশ দেখে....
ইচ্ছে জাগে পাড়ি দেওয়ার
সোনালি রোদ মেখে....
খোলা আকাশ,মুক্ত বাতাস
আর অনেকখানি প্রাণ....
কিন্তু এই খাঁচার ভিতর
আটক তার জান....
লোহার গারদ, পায়ের বেড়ি
লাগাম দিচ্ছে টান....
টানের টানে বিষিয়ে ওঠে
হৃদয় খান খান....
বলবে কাকে ?শিকল খোলো
খোলো খাঁচার দরজা....
শুনবে সেকি ! বুঝবে তার
বন্দি থাকার লজ্জা....
প্রকৃতি দিলো স্বাধীনভাবে
সবার বাঁচার অধিকার....
তবু কেন এমনভাবে
মিথ্যা বাঁচার অঙ্গীকার....
এমনভাবে বাঁচা কে কি
সত্যি বাঁচা বলা যায় ?
একটিবার বন্দি পাখি উড়িয়ে দেখো, বাঁচা কারে কয়....।।
                          (পাখি পাল)
১.
   তবে আয়-------
         -----সন্দীপ ভট্টাচার্য, মুম্বই

ইচ্ছেরা যদি পায় আশ্রয়

সম্মতির আঁচলে তোর

আর খেয়ালী মনের গোপন অভিমান

যদি ভেজে ,আমার সোহাগের বৃষ্টিতে

বাকি টুকু জানিস হবেই ময়ূরপঙ্খী

ধ্রুপদী অস্পষ্টতা অহং কুয়াশার

প্রতারণা শুধু জীবনের সাথে

ও টুকু পাশে রেখে আয় না হয়

আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল

লক্ষ সূর্যোদয় দেখবো কমলা রোদে ভিজে

আর অন্ধকার গিলে খাবো

নিশাচর পাখিদের মতো জনহীন নিস্তব্ধতায়।
২.)
    বলিষ্ঠ চরিত্র
***********
              শান্তনু পাত্র

বৃষ্টিফোঁটারা মাধ্যাকর্ষণকে আড়ি দিলে
আমরা ভাব জমাব কার সাথে?
বিজ্ঞাপনী রোদ দুচোখের পাতা খুলছে
সমুদ্র থেকে নুন ছেঁকে নিলে
পড়ে থাকে অধঃক্ষেপ - জল।
ঘাতকের ঘাড়ে ধরে
নিয়ে যাব খাদের কিনারে
সজোরে ধাক্কা মারব।

ওগো গৃহীদেবী, তোমায় এবার
একটি বলিষ্ঠ চরিত্র উপহার দেব।
৩.)
   সূর্যাস্ত
      -----শ্যামাপদ মালাকার

মুছে যাওয়া বিকেলের- -

ডুবন্ত রোদের অর্দ্ধাংশ চেয়ে দেখি, দেখি,-

ফালি-বসনে শহরের উচ্ছিষ্ট-আবর্জনায় কুড়িয়ে বেড়ায় জীবনের গতি!


তারে আরো দেখি,-নির্জন গুরুগ্রীষ্মের তাপিত সড়ক পরে- -

যানের জানালায় বেরিয়ে আসা 'আধুলিটা' খুঁজে ফেরে!।


লোকমুখে শুনছিলাম- আজ নাকি কিসের একটা 'দিবস'- আজের দিনেও ঐ পথবাসী ভিখিরি ছেলেটা আমায় শান্তি দিলনা!

আর কতদিন-- আর কতদিন যে আমার কবিতার দেশে এভাবে  সূর্যাস্ত হবে- - - - - - -
৪.)
     অচেনা পৃথিবী
                ----বিশ্বজিৎ মহলদার। ( ভদ্রপুর) 

এমনি করেই পেরিয়ে যাব জীবনের বাকী সময়
নিরন্তর সংশয়ে, আনন্দে বা বিষাদে
                 অচেনা পৃথিবীতে।
 সময়ের পরিসীমাটা পড়ে রইলো আনন্দে, উৎসাহে
নিবোধ কান্নারশিশু বুকে, দুঃখ বা বিষাদে
                 অচেনা পৃথিবীতে।

এমনি আমায় ডাকে রাঙা আলোর দেশে
দেহটাকে ঝলসানের জন্যে, উৎসাহে বা পাপে
                 অচেনা পৃথিবীতে।

আমি চিনতাম,জানতাম না! হয়তো
বোধদাতা মানুষের মনটাকে, আনন্দে বা দুঃখে
                 অচেনা পৃথিবীতে।
হতাম যদি আদিম ইংরেজ দেশের ছেলে!
পাথর বুকে মারতো আমার গর্ভধারনী মা, দুঃখে বা বিষাদে
              অচেনা পৃথিবীতে।
 চিনে যেতে পারবে কি না!  ঘুমন্তরাজদেশে, অব্যক্ত রহস্য পেরিয়ে
             অচৈন্য পৃথিবীতে।
 
আনন্দে,দুঃখে, বিষাদে মরবে  এই জন্মে,  সংশয়ে ,  দেখে যেতে দাও হে প্রভু --
                এই অ চেনা পৃথিবীকে।
   
৫.)
    মাতৃ বন্দনা

      ----অভিজিৎ দাসকর্মকার

বাসন্তী গন্ধে শীত চলে যায় চোখের কোণে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে বিছানার পাশে

"বীনা পুস্তক রঞ্জিত হস্তে,ভগবতী ভারতী"।


বনফুল গন্ধে ঠান্ডা জল হাঁটুতে বরফ জমিয়ে সারাদিন মুখ গুঁজে ভাত শুক্তো তেল মাশলার হিসাব সেই আধুনিক বেলা থেকে এদিনও।


মা মুখ তোলো বিদ্যা-বুদ্ধি দাও দ্যাখো সকাল পেরিয়েছে বাইরে,মুখ তুলে বেদ শোনাও বরফগলায় প্রাণ বাঁচুক তোমার আঁচমনে।
৬.)
   গোলাপের প্রেমে

            ----সুপ্রিয় মন্ডল!!!


গোলাপের চারা গাছে জল দিতে এসে মনে হলো তোমাকে দিলাম;

মুখখানা আঁজলা করে তাকিয়ে রইছো তুমি, মুখে সেই মিষ্টি হাঁসি।

বুভুক্ষের মতো তোমার ওই মিষ্টি হাঁসিখানি গিললাম;

ফুটে ওঠে গোলাপের কুঁড়ি, আমিও তার ফুটন্ত রূপ দিতে প্রতিনিয়ত তার কাছে আসি।।


মুঠো ভরে জল নিয়ে;

গোলাপ চারার টব-এর প্রান্ত ঘুরে মরি।

মেঘ করে এসেছে আজ, ভয় লাগে এই বুঝি তোমায় যাবে নিয়ে;

কান্নাভেজা বুকে দু'হাতে তোমায় আঁকড়ে ধরি।।


তুমি যেওনা কোথাও আমায় ছেড়ে;

আমার বুকেও থাকো প্রানের গাছ হয়ে।

ফুটন্ত পাপড়ি ধরে আলগোছে জল খেতে পাবো তোমায় ঘেরে;

ঠিক যেমন তোমার বাঁ-দিকের তিলের পাশে চিবুকের ভেজা ঘাম যেতো আমার ঠোঁট ছুঁয়ে।।


আমার গোলাপ চারার ফুটন্ত কচি পাতা গুলো মজেছে সানন্দে আজোসারি;

স্বজন হারায় পাতায় পাতায় রুদ্ধবাক্।

তোমার চিবুক মনে করে ফুটন্ত পাপড়ির আলগোছে জল খেতে গিয়ে ভিজে যায় আমার খোঁচা দাড়ি;

ছুটে যাবো তোমার চিবুক মনে করে যখন'ই লাগবে একঘেয়ে তোমার দিয়ো আমায় হালকা ডাক।।।
৭.)
   কবিতা তোর জন্য
          -----পালি সরকার ঘোষ

কবিতা তোর জন্য , হাজার মাইল হাটতে পারি।
কবিতা তোর জন্য , একমুঠো আকাশ খুঁজতে পারি । 
কবিতা তোর জন্য প্রেমিকার ভালোবাসা মাড়িয়ে হেটে যেতে পারি ।
কবিতা তোর জন্য অস্তিত্বের লড়াইয়ে ক্ষতবিক্ষত হতে পারি ।
কবিতা তোকে ভালোবেসে বুকের গহনের রক্তক্ষরণ টাকে চেপে যেতে পারি ।
কবিতা তোকে ভালোবেসে মরে যেতে পারি , মরে যেতে পারি ।
                 **------------------------------**
৮.)কোথায় চলেছ কবি?
----------------------------------------------
নবজাতক- ২৫শে ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
------------------------
অস্তিত্বের খোঁজে বরাবর হেঁটেছি মহাপ্রস্থানের পথে,
আসা যাওয়ার প্রান্তরেখায় ডাক পেড়েছে নাবিকহীন তরী,
এক গণ্ডূষ মরা নদীতে।
অসম্ভবের চিঠি অতৃপ্ত জন্নতের ঠিকানা খুঁজে মরেছে
নগরের রাস্তায় রাস্তায়, অলিতে গলিতে-
প্রাপ্তিস্বীকার করেনি কেউ, প্রত্যাখাত হয়ে ফিরে এসেছে
জহন্নমের লেটারবক্সে।
রঙিন কাঁচের বেগুনী আলোয় লাস্যের অনায়াস বিচরণ
আমি দূর থেকে দেখেছি তাদের শরীর,
তাদের গন্ধ মেখেছি গায়ে, দূর থেকে।

যৌবন কেঁদেছে রোটি-কাপড়া-মকানের প্রসব বেদনায়।

আয়নার সামনে দাঁড়ানোর সাহস আছে তোমার?
সাহস আছে নিজেকে তিনখানি প্রশ্ন করার?
কতদূর কবিতা লিখেছ, কবি?
যতদূর হাঁটলে হিম শিশিরের মর্যাদা পায়-
ততদুর লিখতে পেরেছ কি?
লিখতে পেরেছ কি ততদুর;
যতদূর কষ্ট পেলে প্রেম বিরহের সুখ পায়? লিখেছ কি?
জীবন মরণ লিখতে বসে হিসেব কষেছ মৃত্যুর!
বৈতরণীর জলে ভাসিয়েছ কাগজের নৌকো-
নাবিকের খোঁজ করেছ কি? হে আমার ব্যর্থ কবি-
হাসতে পেরেছ কি নিজের মুর্খামি দেখে? পারনি।
তুমি কিস্যু পারনি!

সাদা কালোর রঙিন দুনিয়ায় বেঁচে থাকার লোভ, কিন্তু
প্রতি পল তুমি হেঁটে চলেছ মরণের ওপারে।
                **---------------------**
১০.)
                পরশুর কথা

বক্তৃতাটা রাস্ট্রপতির,খোদার করি জিকির,
কথার মাঝে সংবিধানের,তরতাজাটা ভীষণ,

মুখটি খোলা এবার দারুণ, সেরাপ খুলুক ছিপি-
দেশটি কেমন চলছে না আর, হচ্ছে অন্যরকম।

এসির মাঝে আবার এসি...কাশছে কত অসুখ,
ছাদের নীচে আরেকটি ছাদ, কেমন ফুটে বেরোয়-

রাস্তাগুলো হচ্ছে চাদর, গরম পিচের রঙে,
খিদের জ্বালা..জেব্রাক্রসিং নিয়মভেঙে পেরোয়।

কে আগে পাই,কে তার পিছে,
রক্তগুলি সেদ্দ হবে এখন...
শ্মশান কবর একই ব্যপার,
সেখানে শোয়া,এদের দেখি বারণ।


©আজাহারুল ইসলাম
১১.)

   আমার কবিতা


কিছু বিষাদ কিছু সুখ কিছু হাসি কিছু কান্না কিছু প্রেম আর ভালোবাসা,

ছোট্ট ছোট্ট শব্দের মেলবন্ধনে এই বোধগুলোই  হয়ে ওঠে কবিতার ভাষা।

গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত আর বসন্ত ,প্রকৃতির নানারূপ নানারঙে,

নিজেদের মেলেদেয় কবিতার পাতায় পাতায়

 বর্ণে ও ছন্দে।

 চাঁদ তারা নক্ষত্র আর জ্যোৎস্নার মায়াবী

 সুন্দর স্নিগ্ধতায়,

 কবিতাও ভরে ওঠে মন ছুঁয়ে যাওয়া অপার

  মুগ্ধতায়।

  পাহাড় নদী ঝর্ণা আর ফুলের নবীন রঙীন

   সজীবতায়,

   ফুটে ওঠে জীবনের সুর আর গান জীবনের

   কবিতায়।

   কবিতাকে ভালোবেসে তাই কবিতায় আমার

   একান্ত জীবন যাপন,

   কবিতাই আমার চেতনার ভাবনার আত্মার

   প্রিয় আপনজন।


              ----রুনা দত্ত
১২.)

   আমরা টিনেজার

                      - সুদীপ্ত দেবনাথ


   টিনেজার - সত্যি এই জীবনটা বড় অদ্ভুত ৷

    মনে হয় যেন আমরা স্বর্গের কোনো দূত ৷

           আমাদের এই বয়স যেন এক

                ঝর ঝঞ্ঝাটের কাল ,

     চারিদিকে পাতা আছে বিপদের জাল ৷

         জমে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের পালা ৷

            সত্যিই আমাদের খুব জ্বালা ৷

          মনের মঞ্চে অনুভব করে খেলা,

         সেই মঞ্চে বসে অনুভবের মেলা ৷

         যেন আমরা জীবন নদীর ভেলা ৷

  তবে হ্যাঁ, এই সময়টা আসে সকলের জীবনে ,

     মানুষ পাগল হয় প্রেম নামক কোনো এক

                    বিভ্রান্তির গুঞ্জনে ৷

   এখন ভালো লাগা ও মন হারানোর সময় ৷

        তবু অনেক সময় ব্যথা পেতে হয় ৷

               মধুর স্বপ্ন দেখে দিন রাত ৷

        কখনও বা ঘটে পড়াশোনার ব্যঘাত ৷

    আমাদের মধ্যেই আছে উল্লাস ও উচ্ছাস ,

            আছে শরীর ও মনের বিকাশ ৷

       আমাদের মধ্যেই আছে মহান আদর্শ ,

            আছে মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ৷

       আমরাই করি ভালো মন্দের বিচার ,

  আমরা মান্য করি দেশের সংস্কৃতি ও শিষ্ঠাচার ৷

   টিনেজার - এ যেন এক নব তেজ , নব প্রাণ ;

   তাইতো আমরাই করি নির্দ্বিধায় জীবন দান ৷
১৩.)
  ১টি তরবারির মৃত্যুখিদা 

---------------------------------


চলমান রাস্তায় একদল গুচ্ছ সূর্যের

   Bবর্ণ ইউক্যালিপটাসের বিকৃত যৌবন

সাঁতারু হাপরের পেটে একদলা মৌফুলের

   সান্ধ্যআইন : পিতল কুয়াশায় মন বালিচূর


হয়তো অনামী মুহুর্তরা কুপিয়ে নেয়

তরবারির সবুজ অসুস্থতা→

         পরিত্যক্ত বিপরীত পেলভিস

পেলভিসের জলবিছানা

কাটাকুটির ০খাতায় জোয়ারের অলীক ভ্রূণ

         জোছনার মসৃণ জানালা ~

খুঁটে খাওয়া বিশদ বুলেটিন

             

   

                   অনুরূপা পালচৌধুরী
১৪.)
   (বিশ্ব কবিতা দিবসে আমার নিবেদন)

_________শিল্পী
                 ----- সুনন্দ মন্ডল

আমি   পাথর বানাই ঝর্ণা আঁকি
           নদীর ঘাটের শাপলা তুলি।
           ‎রঙের খেলায় পাখির বাসা
         ‎  প্রকৃতির ঘরে চিত্র মেলি।

আমি   ছন্দ বানাই কথার ভাঁজে
           গানের মেলায় সুরের কলি।
           রাগ-রাগিনীর বেহাগ যত
           প্রাণের ভৈরবী কণ্ঠে তুলি।

আমি   সেতার বাজাই একতারাও
           হারমোনিয়াম বাজাই তালে।
           ‎সুখ দুঃখের নিপুণ গাঁথা
           ‎বেখেয়ালি তবলাতেও চলে।

আমি   ছন্দের তালে স্টেজে মাতি
           কোমর দুলিয়ে বিলাসী মন।
           হাতে ও পায়ের ভাঁজেই বাঁধি
           ‎হোকনা যতই অচেনা গান।

আমি   মনের কথার রূপ লিখনে
           ব্যস্ত কেবল ছবি আঁকতে।
           ঘাত-প্রতিঘাতে বাস্তবটা
           ‎কল্পনারও জাল বুনতে।
 
আমি   মূর্তি বানাই পুজোর মাসে
           সকল ধরায় খুশির নেশা।
           ‎পেটটাও চলে গর্ব করে
           ‎সবার সাথেই একটু মেশা।

আমি   মাটির জিনিস পৌঁছে দিই
           সবার নিত্য প্রয়োজনের।
           ‎কলসি হাঁড়ির মূল্য নিয়ে
           ‎গতর খাটাই সম্মানের।

আমি   লোহার শিকল ভেঙ্গে ফেলি
           ইস্পাত গড়ি আগুনে পিটে।
           ‎কাস্তে ছুড়ির ভাঙ্গা দাঁত
           ‎হাম্বলে পিষে হাঁপর ছোটে।

আমি   ছিটের সেলাই নিই উসুলে
           কাপড়ের ভিতে কিংবা জামা!
           ‎প্যান্টের মাপে হাতের জাদু
           ‎দুদিনের ঘামে পয়সা কামা।

আমি   শিল্পী মনের চাহিদা মেনে
           সৎপাত্রের ঠিকানা লিখি।
           ‎কল্পনা-খাদ ছড়িয়ে থাকে
           ‎কাউকে দিইনা একটু ফাঁকি।
         ‎     -------------------

কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম

শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮

     
       ♦ জলফড়িং কী বা কেন♦


♥"jholfhoring"  welcome to the whole world poets♥

যারা লিখছেন কিন্তু লেখা গুলো প্রকাশের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য         ★"জলফড়িং"★

 আমরা কোনো কাঁটাতার মানিনা, তাই যেকোনো কবি (গোটা বিশ্বের)  তাদের লেখা পাঠাতেই পারেন নির্দ্বিধায়।

আমাদের মেল:- ( jholfhoring@gmail.com )

★ শুধু বড়ো গল্প আর কাহিনীর জন্য পি ডি ফ গ্রহন করি ★

আমরা কেবল  বাংলা সাহিত্য নয় সকল সাহিত্যকেই  শ্রদ্ধা করি এবং প্রসার করতে উদ্যোগী।
        তাই এগিয়ে আসুন সবাই।

আমাদের এটা একটা মাসিক ওয়েব ম্যাগাজিন, আজ সারা বিশ্বে ওয়েব ম্যাগাজিনের একটা কদর আছে সেখানে অনেক নামিদামী লেখক লেখিকারা লেখেন।  আপনি যদি চান আপনিও আসতে পারেন সাদর আমন্ত্রণ জানাই। আমরা কোনো কোনো মাসে বিষয় রাখি আবার কোনো কোনো মাসে বিষয় ছাড়াই লেখা নিই।

যাদের দু-চোখে স্বপ্ন আছে যারা স্বপ্ন প্রকাশ করেন কাগজে কলমের নির্ভরতায় তারা আমাদের সাথে আসুন, আমরা কথা দিচ্ছি আপনাদের স্বপ্নকে ডানা মেলে উড়িয়ে দেবো সাহিত্যের আকাশে।

           আমরা কি কি করি?


১.) কবিতা ও অনুকবিতা

২.) গল্প ও অনুগল্প

৩.) কাহিনী

৪.) চিঠি (কখনও কখনও)

৫.) হাতে আঁকা ( যেকোনো পেইন্টিং)

৬.) ফোটোগ্রাফী (যেগুলো কথা বলে)

৭.) আবৃত্তি (অবশ্যই ভিডিও)
   
      ♥ কাদের জন্য জলফড়িং ♥

ঠিক যখন থেকে আপনার প্রতিভা সৃষ্টি হচ্ছে আর যতদিন থাকছে আর ইচ্ছা শক্তিটা শুরু থেকে শেষ অবধি একই আছে শুধু একটু  বয়স হয়েছে।
আশা করি বুঝে গেছেন হুমম ঠিক ততদিন অবধি জলফড়িং তাদের পাশে আছে।
          [হাত বাড়ালেই পাবে]
  +++++++++++++++++++++++
★[যেকোনো প্রকার অ্যাডের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন (রুচী সম্পূর্ণ হলে ছাপবে) ৩০০ ]

★[ নিজের লেখা বই সবার মাঝে ছড়াতে চান আসুন আমরা আছি তো ]
:) তার  শর্ত:-
  # টানা একমাস থাকবে আমাদের
  পেজে(২০০)

  # টানা একমাস + প্রতিটি লেখার নীচে (৫০০)

  # শুধু প্রতিটি লেখার নীচে (২০০)

সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১৮

জলফড়িং মার্চ সংখ্যা(দোল)

     **সূচিপত্র**


কবিতা।                                   কবি

আগুন ফাগুন                   ডঃ রমলা মুখার্জী

 রঙ                                শ্যামাপদ মালাকার

এক পশলা আবির           পায়েল খাঁড়া

দোল উৎসব                    মৌসুমী ভৌমিক

হাতের ছাপ                        প্রশান্ত সেন

বাহার                               তুষারকান্তি রায়

চৌকাটে বসন্ত                   সুদীপ্ত সেন

একটুকরো বসন্ত হবি?       সুনন্দ মন্ডল
_____ বাহার : 
            তুষারকান্তি রায়

আসলে তোমার ধারণা বুকে
আলাদা মাত্রা  এনে দেয়! ভবঘুরে চকখড়ি দিয়ে তোমার প্রতিটি মুদ্রা  এঁকে রাখি আমাদের চোখের তারায়, পায়ে পায়ে মুদ্রাদোষ । এইবার  আমরা নৃত্যের তালে তালে পৌঁছে যাবো প্রত্যাশার প্রত্যন্ত গ্রাম ও শহরে ।
এখান থেকেই শুরু করি ধনধান্যপুষ্প! শিমুল ! বাহার!
নদীর টংকার!
যে কোন ত্রাণের দামে কিনে নিই
বাসট্রামঅটোরিকশা - মিছিল - পোস্টার? বিবিধ পার্টির
কাছে বিক্রি হয়ে  যাওয়া পলাশ পাতার দেশ , কবিতা !  আদর!
         -----------------------

____একটুকরো বসন্ত হবি?
                  সুনন্দ মন্ডল
                  ‎
আমি যদি তোকে জড়িয়ে ধরে বলি
ভালোবাসবি আমায়!
তুই কি রেগে গিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিবি?

আমি যদি তোর চোখের পাতায় জেগে থাকা স্বপ্ন হই
দিনান্তে কোন এক রাতের দীপশিখা!
তাহলেও কি তুই নীরব থাকবি?

আমি যদি আমলকি হই তোর ওই দোফলার সাথে!
মিশে যাই কোন অমৃত বচনে
তুই কি আমায় কামড় দিয়ে আঘাত করবি?

আমি যদি বিকেলের পাখির গান চুরি করে শোনাই
তুই কি আমার গান শোনার অপেক্ষায়
দু'দন্ড বসে থাকবি?

আমি যদি তোর পায়ের আঘাতে হলুদ বাটা
আগুনের আঁচে গরম করে লাগিয়ে দিই
তুই কি আমার ঠোঁটে পরম আদরে চুমু আঁকবি?

কাকভোরে বিছানা ছেড়ে একমুঠো সুখ
তোর জন্য কিনে আনলে
বিদগ্ধ শরীরটাই হাত বুলিয়ে দিবি?

আজ এই পড়ন্ত বেলায় একটু আবির এনেছি
দু'গালে মাখিয়ে দিবি রাঙা ফাগুনে!
একটুকরো বসন্ত হবি?
               --------------
____চৌকাটে বসন্ত
                 সুদীপ্ত সেন

তুমি জেগে ওঠো সন্ন্যাসি
দেখো গল্প গুলো লেপ সরিয়েছে
তোমার রেলিং জুড়ে রোদের ছায়া

টি
ং   ( কোলিং বেল)



দেখো বসন্ত এসেছে! চৌকাটে একলা দাঁড়িয়ে
আলিঙ্গন করো,আবির ছোঁয়াও তাকে।
দেখো আকাশ নীলাভ আজ
বসন্ত পৌরির ডাক শোনা যায় আমার আমড়া গাছের ডালে।

তুমি চেয়ে দেখো সন্ন্যাসি
সবুজ পারের হলুদ শাড়ী জরিয়ে নাও গায়ে
আবির রাঙাবো তোমায়, সেবার ছোঁয়ানো হয়নি!
দূরে কানাই বাঁশি বাজাবে
আলিঙ্গন করো, আবির ছোঁয়াও
চেয়ে দেখো বসন্ত এসেছে চৌকাটে।।
       ----------



_____হাতের ছাপ 
                প্রশান্ত সেন

ধোপদুরস্ত পাঞ্জাবিতে সবজে রঙা হাতের ছাপ 

পেরিয়ে অনেক বসন্তদিন মনের যে আজ মনখারাপ 

লিখছি আলগা পদ্য খাতায়  সদ্য ভেজা ছন্দে আজ 

কুহুর ডাকে ভোর নেমেছে, তোমার ডাকেই সন্ধে আজ

সেসব অনেককালের কথা বেশ পুরোনো দৃশ্যপট

আজকে শুধুই স্মৃতির পাতায় সব হারানো নিঃস্ব তট...

#

রঙিন হাতের নরম ছোঁয়ায় রং মাখা সেই পাঞ্জাবির

কোথায় গেল, কোথায় গেল মুখরাঙানো লাল আবির? 

আকাচা সেই পাঞ্জাবিটা যত্নে রাখা সিন্দুকে

সেই অমলিন ছাপটা হাতের রয়েই গেছে এই বুকে...
                 ---------------



______দোল উৎসব
                 মৌসুমী ভৌমিক

শীত শেষে ঐ এলো রে বসন্ত

হৃদয়ে দখিনা হাওয়ার মিষ্টি হসন্ত।

রঙের উৎসব এলো যে দোল

মিলন খেলা প্রাণে জাগায় হিল্লোল।

রঙের নেশায় আজ মেতেছে ফাগুন

ডালে ডালে অশোক পলাশের আগুন।

বসন্তের রোদেলায় শোনো উৎসব গান

আকাশ ধরণী তলে বাজে মধুময় তান।

আবীর রাঙা মুখটি আজ বহু অনুরাগে

পরশে পরশে উল্লসিত, মোহন আবেগে।

কুঞ্জে কুঞ্জে ভ্রমর গুঞ্জে, বাতাস ওঠে নেচে

মনের মাঝে খুশির দোল, আজ নিঃসঙ্কোচে। লাল অশোকে লাল পলাশে একটু বাঁধো মন

নবীন পাতায় মহাকল্লোলে উন্মুখ পলাশ বন।

দোলের দোলা স্থলে জলে, ঐ যে বনতলে

রাই-কানাইয়ের প্রেম-রাগ, দোলা দেয় পলে পলে।

লাল সবুজে আবীর মেখে, বুকে ঢেউ ছলাৎ ছল

উথাল পাথাল শিমূল পলাশ, নীল যমুনার জল।

কৃষ্ণচূড়া ঝুঁটি বেঁধে মেতেছে বসন্ত নৃত্যে

পাঁপড়ি মেলে পুষ্প হাসে আনন্দিত চিত্তে।

দোল পূর্ণিমায় রঙ গুলাবে খুশির হিল্লোল

সহস্র প্রাণে আজ বসন্ত ঝংকার তরঙ্গকল্লোল।
               --------------


______এক পশলা আবির
                    পায়েল খাঁড়া

এক পশলা আবির চাই।

হ‍্যাঁ.....শুধু এক পশলাই,

যেভাবে বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে থাকে

আবিরও ভেজায় আমার কাঁচ শিশিতে বন্দী বসন্তটাকে।


আমার শহর জরিপ কংক্রীটে

ঘিঞ্জি বসত, পাথর আর ইটে।

ট্রাফিকের শোর ঘুম ভাঙিয়ে যায়

ঝাপসা রেটিনা, আকাশ মোড়া ধোঁয়ার রাংতায়।


দেওয়াল জুড়ে ইস্তাহারের গ্রাফিক।

সবুজ জ‍্যামিতি এলিট রুচিমাফিক।

বছর যাবৎ রঙের বদল নেই

এখানে বসন্ত যাতায়াত করে শুধু ক‍্যালেন্ডারেই।


তাই তো খুঁজি রঙীন পলেস্তরা...

রাঙিয়ে দিতে এস.এ নোডের ধূসর ওঠা পড়া।

যদিও বোবা ফুটপাত বিদ্রূপ করে

বসন্ত আসে না নাকি এক কোকিলের স্বরে।


তবু লিখছি ফাগুনকে চিঠি কত

রঙ ফিচকিরি নিয়ে আসুক একবার অন্তত।

হোক না খানিক রঙ মেলান্তি খেলা

এবার দোলে আমার শহরেও নামুক বসন্তবেলা
            ------------

    ______রঙ
              শ্যামাপদ মালাকার

--"এ-কি কথা শোনালি সখী!- সে আমারে রঙে রাঙাতে  চায়-! আর আমি কি না হেরে যাবো!

না - না - না - সখী, তা হয় না- -

আমি যে শুধু তার-- তার অপেক্ষায় রবো- তারে গিয়ে বল,--


তুই তারে গিয়ে বল,-

দিনের প্রথম শিশিরের একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে তার অপেক্ষায় দিন গুনিব!

শবণমস্নাত প্রভাতের কোমল সোনারোদের স্পর্শে- জগতের নিখিল শুভ্রতা বুকে নিয়ে এক বর্ণিল সুশোভিত-কুসুমিতমর্মর মুহূর্তের জন্যে আমি শুধু তার!


সখী!-- অকাল ঝড়ে বিনাশপ্রাপ্ত যদি হয় সারা সভ্যতা-- উত্তাল সমুদ্রতরঙ্গে খণ্ড-বিখণ্ড যদি হয় সকল মানবতা

তবু আমি তার রঙে রাঙিব!


সাঁঝের দীপ্তশিখা আর শঙ্খধ্বনির সহায়তায় বেঁধে রাখবো আপনাকে

কোমল - নির্মল - পরিমলময় করে!


তোর নিকটে শুধু পার্থনা সখী-

তারে দিয়ে একটি প্রতিশ্রুতি করিয়ে নিবি-"অন্তরে যেন সেই রঙ নিয়ে আসে- যে রঙ মুছিলেও মোছা যায় না-

যে রঙ লাগলে কলঙ্কিনী হয়ে যায়" --সেই রঙে আমি ডুবিব!"।।
             -------------


 ______আগুন ফাগুন  
                    ডঃ রমলা মুখার্জী

ফাগুন মানে শুকনো পাতা ঝরা.... 
শব্দে তারি মন যে কেমন করা।
ফাগুন মানে মিষ্টি দখিন হাওয়া - 
কৃষ্ণকলির উড়োচিঠিখানি পাওয়া ।
ফাগুন মানে মুছে যাওয়া কুয়াশা
আধো স্বরে ভালোবাসার ভাষা।
ফাগুন মানে শিমূল পলাশে রাঙা, 
অনুরাগ-রাগে সব অভিমান ভাঙা।
ফাগুন মানে প্রকৃতি মানবে দোল-
হৃদয়ে হোলীর রঙিন হিল্লোল.... 
ফাগুন মানে হাল্কা শীতের চাদর, 
শরীর মনে প্রথম প্রেমের আদর।
ফাগুন মানে অঙ্গে খুশির দোলা-
দ্বৈত - প্রাণের একসাথে পথ চলা।
ফাগুন মানে আগুন নিয়ে খেলা-
শুরু থেকে শেষ ভ্যালেনটাইন বেলা।
               .......................