কবি অরিত্র দ্বিবেদীর গুচ্ছ কবিতা
দৃষ্টিকটু
সে, সরু হয়ে শুয়ে আছে নদীটির পায়ে
নদীটি দীঘল, কালো, ছত্রাক শরীর
কবে যেন আকাশেরও নিচে ঘটে গেছে
অনিন্দ্য বাসনা তার, নামসহ রয়েছে
শুকিয়ে। প্রাচীন নদী, অষ্টপ্রহর জলে
বয়ে যায় কবেকার কথা, প্রেম ভালোবাসা আর
তুঙ্গ শতদলখানি, দেখেছি তাকিয়ে।
তবুও, সে শুয়ে আছে নদীটির পায়ে
নড়েও না কখনও, ওভাবে পড়ে থাকে
অক্টোবরের কুয়াশার মতন, নিকষ, নিস্পৃহ
অথচ নিন্দিত নয় জানি, কথাখানি তার
গাঁদার মালার ভেতর যেন খাঁচার পাখি একটি
আমি শুধু দেখি, চিরটিকাল ঝণী হয়ে
দেখাটি অভিশাপদুষ্ট, লেখাটিও তাই
ফিরে ফিরে আসে, অবাক প্রহরে অবসন্নপ্রায়।
মনীষা
(উৎসর্গ: Dr. Faustus)
অরিত্র দ্বিবেদী
হাত পেতেছি বজ্র নেবো
মুণ্ডমালা খই উড়িয়ে
হাত পাতছি বজ্র নেবো
--- জ্ঞানশীর্ষ, বল্কলে পা
বান ডেকেছে, আঁচিয়ে নেবো
সূর্যপোড়া, চন্দ্রপোড়া ---
অসাবধানী গরাদগুলো
দে ঠুঁকে দে, ছিন্নমাথা
হাড় জিরোনো কাঙাল দেহ
জ্বলছে যেন কাঠকয়লা!
ভুল ধরে দে, বুদ্ধ কবি
চক্ষু চোখে শেতল দেবো
জল ঠিকরে, রক্তচুষে
অন্নকারা ছাই ছড়িয়ে
হাত পেতেছি, বজ্র নেবো।
দারুণ
উত্তরমুছুন