ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

ধুলোর শহর
--মধুমিতা নস্কর

তোমার আমার এই ধোঁয়াশা জগতে ধুলোদের অবাধ প্রবেশ,
তবু জোনাকি মানুষটি বিতাড়িত,আঁধারে আজও হাতড়ে চলে তার ক্ষুদ্র নিবেশ।
এ পৃথিবীর বিষন্ন ধোঁয়াশায় মিশে গেছো তুমি,
কিন্তু আবার ফিরে পেতে চাই তোমায়,বিষাদগ্রস্ত আকাশ আর আমি।
গাছেদের রুক্ষ কেশাগ্রের গোড়ায় আজ পুড়ছে অনল,
কাল সমস্ত আদ্র শহরের শরীরে লাগতে পারে দাবানল।
দেখো ঝমঝম আগুনে পুড়ছে শহর,পুড়ছে মানুষ মুখোশ!!

ধার্মিক বকও খুন হয রাজপথে!
লাল রক্ত লেগে থাকে জ্বলন্ত মানুষের চিবুক আর কাঁধে।
মায়াবিনী হরিণ ভোলাতে আসে শহর,ঘরে ঘরে
শহর তবুও জ্বলছে তার নিস্পলক মায়াবী চোখে।
অহেতুক যানজট শহরের শীরায় শীরায়,
ডানা মেলে সংকেত দৌড়ায় হাঁসের ডানায়।
বিষধর সাপের মণি শহরের শেষ প্রান্তের ল্যমপোষ্টে বাঁধা,
চারপাশে অসংখ্য ধার্মিক,শুধু তাকেই লুফে নেওয়ার প্রচেষ্টা।
উটের খুরের বালি,শহরের ভীতে অনবরত মিশছে,
'সুযোগে সদ্ব্যবহার',ধার্মিকের বুকেও দেখো পেন্ডুলাম ঝুলছে।

ছিপ ফেলে শহর, উঠে আসে রঙিন মাছ,
টোপ 'নাগরিক' আজ সৎভাই,তার পরণে বৃহন্নলা সাজ।
মমি পোপ দের ভিড়ে হারায় আলো তার প্রতিক,
অসময়ে চিনে ওঠা ভার সব শবের গতিক।
রাজহাঁস পাপী,শরীর গলা ছিঁড়ে দেয় গিলোটিন,
পতিতার ঘরে ঘোড়ার চোখও দেখো আজ টিমটিম।

তবু ধুলোবালি শহরে,মেঘময় আকাশে ফিরে এসো তুমি,,
অপেক্ষায় করুন-বিষাদ,চারমিনারের চতুষ্কোন আর আমি।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন