৪) হে যুগনায়ক
সুমন দিন্দা
ছেলেবেলা থেকেই তোমার সাথে পরিচয়
যেদিন থেকে কিশলয় হাতে পেয়েছিলাম
সেদিনই দেখেছিলাম তোমার অদ্ভুত মূ্র্তি
স্থির প্রাজ্ঞতায় তাকিয়ে আছো নীরবে
কখনও তরুন ছিলে ভাবতে পারিনি
কোনোদিন অল্পবয়সের ছবি দেখা হয়নি
যত বড়ো হলাম যতো তোমার লেখা পড়লাম
অবাক হলাম, তুমিই তো দৃপ্ত যৌবন
তুমিই তো রুদ্ধ আবেগ, অনন্ত আধুনিক।
তোমার গানে উদ্বেল আমার যৌবন
তোমার কবিতায় অনুপ্রানিত আমার লেখা
তোমার ভাষায় মুগ্ধ দুচোখ বিনম্র শ্রদ্ধায়।
তবু আজো কেউ প্রাচীন বলে
তোমায় ফেলে দেয় আবর্জনার মতো
কষ্ট পাই, প্রতিবাদ করে উঠি
তুমি কালের ঊর্ধে, সময়ের বাইরে
যার চোখে ভেসে ওঠে আগামী শতাব্দী
যার মননে দেখা দেয় সুদূরের ভাবনা।
এখন চারদিকে বিষাক্ত বাতাস
পশ্চিমের ঢলে পড়া সূর্য নিস্তেজ
শাসক আর শাসিতের সংগ্রাম
এখন আরো তীক্ষ্ম, আরো ভয়ংকর,
তুমি ফিরে এসে ওদের জানিয়ে দাও
সাধারন হয়েও তুমি কতটা অসাধারন
আজো তোমার সবুজ লেখায়
প্রতিবাদ জাগুক, বুকে আসুক সাহস
আমরা যেন খুঁজে পাই মেরুদন্ড
আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে শিখি আবার।
-------------
আমার নামের বানান দিন্ডা। একটু ভুল হয়ে গেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ জায়গা দেওয়ার জন্য।
উত্তরমুছুন