ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১৮



১)  রবীন্দ্র নজরুল প্রসঙ্গে
          অমিয়া গড়াই

দুইজন ছিলেন দুই ভিন্ন আঙ্গিকে,একজন প্রকৃতি প্রেমে উন্মুক্ত হয়ে প্রেমে ছিলেন বিলীন আর অন্যজন ছিলেন বিদ্রোহে উন্মুক্ত এক নবজাগরনের দিশারী৷তারা হলেন বাংলার কাব্যিক সাহিত্যে বহু আলোচিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম৷বিহারীলাল পরবর্তী যুগে রবীন্দ্র সাহিত্য সারা জাগিয়েছিল সর্ববাংলায়;ঠিক তার পরবর্তী মুহূর্তে উঠতি কবিগণ যখন রবীন্দ্র অনুসরণে সম কাব্যের অণুরননকারী ঠিক তখন রবীন্দ্র যুগের অবসান ঘটিয়ে সম্পূর্ণ বিদ্রোহী তেজের এক ভিন্ন কাব্যের উদভাবক দাতা ছিলেন নজরুল৷


যদিও দুইজন ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্নসমাজ ও ভিন্ন ভাবনার অধিকারী ,তবুও দুইজনেই গুরু শিষ্যের সম্পর্কে ছিলেন উত্তীর্ণ ৷দুইজন দুই ভিন্নমাত্রার কবি হলেও একে ওপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷মূলত নজরুলকে কবি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অগ্রগন্য৷তাই বলা যেতে পারে নজরুল ছিলেন রবীন্দ্র কাব্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ,অপরদিকে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন নজরুল কবিতার অনুপ্রেরণাদাতা ৷এ প্রসঙ্গে বলা যায় রবি ঠাকুর নজরুল লিখিত 'ধূমকেতু 'কে আশীবার্দ জানিয়ে লিখেছিলেন-'আয় চলে আয় রে ধুমকেতু/আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু/দুদিনের এই দুর্গাশিরে,উড়িয়ে দে তোর বিজয়কেতন'-
আবার '১৪০০সাল'কবিতাটি যখন তিনি শতবর্ষের পরের পাঠককে বসন্তের পুষ্পাঞ্জলী পাঠানোর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করেছিলেন-
"আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতুলভরে আজি হতে শতবর্ষ পরে৷"
এর প্রতুত্তরে রবীন্দ্রনাথ এর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি জানিয়ে নজরুল বলেছেন-
"আজি হতে শতবর্ষ আগে
কে কবি,স্মরণ তুমি করেছিলে শত অনুরাগে
আজি হ'তে শতবর্ষ আগে!"


       অতএব রবীন্দ্র নজরুল ছিলেন পরস্পর এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল দুই ভিন্ন চিন্তাধারার কবি৷
                  -----------------

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন