ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮

৫.)
        জিজ্ঞাসা
  -----------------সুদীপ্ত সেন

কথা জমে জমে কথা এগোছে দিনে
সন্ধ্যে নিভিয়ে রাত্রির আলপিনে!

সঙ্গে সঙ্গে উপমা জুড়ছ প্রেমে
তোমার আমার একরাশ ঘুম ভেঙে!

তারপর ওই চুপ থেকে গেছে চোখ
আবার কখনও জমিয়ে সন্ধ্যে হোক!

এভাবেই কত প্রেম ভাঙা-গড়া হয়
পার্কে প্রেমিকা বন্ধু থাকেনা বোধহয়!!




                                           
             
৪.)
।। পার্কের শব্দ শুনবো বলে।।
--------------------@ সুস্মিতা সিং

বিকেল যখন জমজমাট বাঁধে,দিকে দিকে ছড়ায়ে সোনালী আলোর ছটা
বেড়িয়ে পড়ি তখন আমি হাতে ধরে একটি লাঠি,
বসি গিয়ে সেই কলোনির পাশের শিশু পার্কে কোনো এক গাছের পাশের ব্রেঞ্চে
মৃদু বাতাস জড়ায় আমায় তখন তার চাদরে,
ধীরে ধীরে বেড়ে চলে ভীড়,শিশুরা জমাট বাঁধে নিয়মিত প্রতিদিন পার্কে,
আমিও সেই মুহুর্তে হয়ে উঠি উন্মাদ তাদের কোলাহল শুনে,তাদের ছোয়ায় শব্দ শুনি জং ধরা দোলনার,শব্দ শুনি কতই না
কিড রাইডের,
 শিশুরা মনে করে পৃথিবী এটা তাদের,
খুশির কোন শেষ থাকেনা আমার তখন
আজ ভীষণ ভাবে মনে পড়ে ছেলে স্কুল থেকে ফিরলে সমস্ত কাজ ফেলে তার সাথে খেলা,কিন্তু আজ ছেলের সময় নেই আমার জন্যে এখন সে বড় ব্যবসায়ী,সংসার নিয়ে ব্যস্ত,
ভীষণ ভাবে মনে পড়ে পুরনো কথা বড্ড একা মনে হয় নিজেকে,তাই বারংবার ফিরে আসি এই শিশু উদ্যানে,আগে ছিলাম ব্যবসায়ী ছিলনা অর্থের অভাব,কিন্তু আজ হাত পেতে যা পাই ছেলের কাছে তাই দিয়ে কিনে ফেলি পার্কের পাশে বসা ফেরিওয়ালার কাছে বেলুন গুলি,পার্কে থাকা শিশুদের হাতে বেলুন দিলে তারা
জড়িয়ে ধরে বলে আমাই গ্রেট দাদু,তুমি খুব ভালো,এসো না দাদু খেলো আমাদের সাথে,আমি তখন ফিচকে হেসে বলি তোমরা খেলো আমি দেখি তোমাদের,ব্যার্থ হাটু আমার ওপর চোখ এড়িয়ে খিল্লি ওড়ায়, আমিও তোয়াক্কা করিনা তার,
মগ্ন তখন শিশুদের উন্মাদ হাসির আওয়াজে
পার্কে্র কথা মনে হলে মনে পড়ে শুধুই মধুর শব্দের স্মৃতি।


৩.)
_____ভালোবাসার ছোট্ট আলয়
                এম.এম.এম

পার্কের কথা শুনব বলে
     কান পেতেছি ঝাউ গাছে।
পাইন গুলোও কেমন যেন
     চিকন গালে জ্যোৎস্না মোছে।

দোলনা দূরে ফাঁকা দেখি
     চলো বসি দুজনেতে।
প্রেমের খেলা সন্ধ্যাবেলা
     খুশির এই উজান স্রোতে।

ময়ূরটা ওই কেমন জানি
     উদাসী আজ অন্যখানে।
হরিণ ভায়া পাক ঘুরছে
      নিজ চৌহদ্দির মধ্যিখানে।

আমার চোখে তোমার চোখ
       তিল দূরত্বে দুজনের ঠোঁট।
একটু খানি কাছে আসা
       শরীর ঘেঁষে শ্বাসের ভোট।

পার্কের কথা শুনব বলে
     এসেছি আজ প্রেমিক সেজে।
প্রিয়া তুমি জীবন আমার
     প্রাণবায়ুটা শিরার ভাঁজে।

তোমার কথা মিলিয়ে গেল
      পার্কের বেঞ্চে পাতা ঝরায়।
প্রতি শ্বাসে খুঁজি আমি
      ভালোবাসার ছোট্ট আলয়।
      ‎      


২.)
রাঙা বিকেল আর তার শেষের চেয়ার
      -------------------জয়দীপ রায়

ধানসিঁড়ি বেয়ে হেঁটে চলা
সবে সন্ধ্যে নেমেছে
শেষ চুমুকের এঁটো ভাড়ে
তাকিয়ে দেখেনি এখনও
কালো চশমার মোটা ফ্রেমের কাঁচ বেয়ে
ওদের কি এখনই নামতে হত
অপেক্ষা গুলোর তর বুঝি সইছে না
চিলেকোঠায় অবিরাম উৎপাতের ফল বুঝি
তৃতীয় আধার নেমেছে সবে বামপ্রান্তে
পিঁয়াজ কোঁচানো মুড়ি গুলো
বড্ড ঝাল দেখেছিলাম তাকেও
এক রাঙা বিকেলে
জড়িয়ে ধরা শেষের চেয়ারে
তোরই মত ঘামছে ভেপার
আমি চলি কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো টাই
আরেকটা ঘনবস্তুর খোঁজে
যেখানে চিহ্নরা গোপনে বাড়ে


১.)
💜পার্কের শব্দ গুনবো চলো💜
                ---------------------স্নিগ্ধা

পড়ন্ত বিকেলে,মেঘেদের তাজমহলে
গাছেদের হাতে হাত মেলাতে,টুকরো সবুজ ছুঁতে
ছুটে যায় প্রান পার্কে;
উদ্যান মাঝের ওই ছোট্ট টিলা,
ছোট্ট...তবে তার ভার বেশি বড্ড
বসলে স্মৃতি ভারে,বুকটা বড্ড  ভারি লাগে!
আর ওই জুঁইগন্ধ মাখা বাতাস,
সামনে ফুটিয়ে তোলে
কিছু মিলন সন্ধিক্ষনের আভাস!
বিরহ সুরে ডাকে কোকিল মন খুলে।
হয়তো আবার,কোনো ফাগুনে
বসবো এসে এই স্মৃতি কিনারে,
দেখবো হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে
আমাদের পরের প্রজন্ম....
আমি পুরোনো পাতা ঝরার শব্দ শুনবো!!


মায়ের স্পর্শ
সৈয়দ মহঃ সাবির আলি

ভালোবাসি মা তোমায় আমি,
আর তোমার বিকাল বেলা,
ঘাসের উপর ঝড়ো হাওয়ায়, দেখি তোমার বোটের পাতার খেলা।
পুকুর পাড়ে বোটের ধারে, একলা যখন বসি,
হৃদয় কারা অনুভব মাগো,কি সুন্দর হাঁসি,
মাগো, ঢেউ পুকুরে তোমার, অদ্ভুত এক মায়া,
মেঘের মতো আগলে রাখো,থাকো হয়ে ছায়া।
কান পেতে মা শুনি যখন, তোমার মিষ্টি কণ্ঠ শব্দ,
তোমার স্বরে সবাই চুপ, আমিও নিস্তব্ধ,
তোমার কণ্ঠে শুর মিলিয়ে কোকিল যখন গায়,
মিষ্টি হওয়াই ভালোবাসা পাই , পাগল আমি তাই।
বটের তলে,মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পরি আমি,
চোখ খুলে দেখি রক্ষপুরী,
তুমি মায়ের মতোন দামী।
আদর্শ ছেলে

বইমুখো ছেলে সে
সরু সরু পা-হাত,
পড়াশোনা করে সে
জেগে বসে দিন-রাত,
প্যাঁচারাও ভয় খায়
দেখে তার মুখ-চোখ,
তার কথা শুনেই নাকি
লাস্ট বেঞ্চে চড়ে রোখ,
নাওয়া খাওয়া ভুলে গিয়ে
সারাদিন বইয়েতে,
মুখ গুঁজে বসে থাকে
সে এসির হওয়াতে।
এতো এতো বই তার
সবই নাকি মুখস্ত।

বলে তার বাবা নাকি
ছেলে তার চোস্ত।
“খেলে নাকো মাঠেঘাটে
শোনে নাকো গল্প।
মাঝে মাঝে গান গায়
তাও খুব অল্প।
যায় নাকো বেড়াতে
পাহাড়ে কি নদীতে।
মন তার ঘোরে খালি
পরীক্ষার খাটাতে,
ইংরেজি, ফরাসি
সব ভাষা জানা তার।
বাংলাটাই জানেনা
ওটাতেই খায় মার।
জানে না ও মার প্যাঁচ
কথা আর খেয়ালের,
পরীক্ষার সময় শুধু
খাই হওয়া বাইরের।

এত কষ্টে মানুষ করেছি ওকে
ভালো করে বাঁচার জন্য,
রাঙ্ক করার জন্য,
প্রথম হওয়ার জন্য,
দেখবেন স্যার একটু ওকে
নাম্বারটা পাই যেন,
রাঙ্কটা করে যেন,
প্রথম হয় যেন ।”

— সেখ আমিমোন ইসলাম
ধিক্কার - - - -


অগ্র পথিক ছুটে চলে
খুনের তালিকা অবাধ জলে
রাজ শকুনেরা ঘুরে মরে..
পচা  মাংস আসার ফলে

তাই বলি ওদের কি দোষ.
নেতারা আজ কি করছে দিনের পর দিন রক্ত চুষছে..
যাক যাক যাক পথচারীগণ
মিছিল তোরা করছিস কর..

. কুরুল দিয়ে এক কোপে সমাজ টা কেই দু টুকরো কর...
প্রতিবাদীরা উঠে আসে...
হায়রে তার পরের পরিণতি??
অ্যাসিড পোড়ানো মুখ নিয়েও তারা মুচকি হাসে..

রক্তে ভাসিয়ে দেবো বন্যা..
সেই কালচে রক্তের তেজে পিছলে পরবে ওরা..
মিথ্যা অশিক্ষার বিদ্যায়তনে..
শোষণ ও ত্রাসের মহাকরণে...

আজ শ্বাসরোধের লাশ নিখোঁজ হয়ে যায়...
সৎ বিনম্র মানুষগুলো বিলুপ্ত প্রায়...
মুক্ত বিহঙ্গের মতোন সাধারণ মানুষগুলো ডানা ঝাপটাদেয়...
অস্ত্র চালনায় তাদের ডানা ছেঁটে যায়...

জল্লাদরা সমাজে কিন্তু কাকতালীয় নয়!!!!

@অদিতি চক্রবর্তী - - - - -

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

ভুলে গেছি জাতপাত।
ভাইয়ের জায়গা
বোন নিয়েছ, তবু
ঠাকুরই করেন বাজিমাত।

― সেখ আমিমোন ইসলাম।
জীবন তরী

সুমিত বিশ্বাস

আমি দিবস রাত্রি
জীবন পথের যাত্রী৷
সুখ দুখের তরু বায়
জীবন খেলা খেলে যায়৷
সুখের তরী বাওয়া যায়
দুখের তরী যেন না বায়৷
জীবন আকাশে
মধুময় বাতাসে৷
ভরে যাক
মন আকাশে উরুক সুখপাখির ঝাঁক৷
গহীন আঁধার পার করে ভাই
সুখের প্রাসাদ পেতে চাই৷
বলবে কেউ কোন নদীতে
তরী খানা দেব পেতে৷
যে নদীর ঢেউ নেই
নৌকাডুবির ভয় নেই৷
সেই নদী আমি কোথায় পায়
ইচ্ছে করে সেই নদীতে ভেরায় নায়৷
মায়ের মমতার মান রেখেছি।

সুমিত বিশ্বাস

যে দিন আমি ছোটো শিশু ছিল না কেউ পাশে
আজ কেন তারা আমার উপর রোষে।
বয়স যখন আমার দুই ছিল
মা পৃথিবীর মায়া ছাড়িলো।
এ দুনিয়ায় আপন বলে রহিল না কেহ
হিন্দু মাসি করিল সেটায় আমার শ্রেয়।
চৌদ্দ বছর পর কেন তোমাদের রাগ
সে দিন কেউ নাওনি আমার দুঃখের ভাগ।
যাকে আমি মা বলেছি দিয়েছিলো মমতা
আজ কেন খুঁজছো তোমাদের সাথে আমার সমতা।
পালিত মায়ের আমি করেছি মুখাগ্নি
আজ কেন আমার ঘরে দিচ্ছ অগ্নি।
করিব আমি সন্তানের ধর্ম পালন যে যাই বল সমাজ থেকে বিতাড়িত কর রাখিব মন।
মার রাখিতে মান ফুলের মালা ও ধূপ দেখাব
রমজান শেষে ঈদের নামাজ পড়িব।
তোমরা বলো আমি কি ভুল করেছি
মায়ের মমতার মান রেখেছি।
বীথি-৫
অভিজিৎ দাসকর্মকার

আরক্ত সন্ধ্যাপথ ধরে হেঁটে স্নায়ুপথের নিচে
অপেক্ষা
পায়ে অনেক জাইলেম কলার দাগ।

বহুকোষি প্রতিশ্রুতি আর নতুন কোষপর্দা থেকে সেলুলোজ কোলে বীথি।

নিবেসিত ভাজককলা থেকে কোলেনকাইমার আহ্বানে
নালিকা বান্ডিলে বিকেল বেলার বীথি ফুর ফুরে পুকুর জলে চর্যাপদ লিখবে

"কা আ তারুবর পঞ্চবী ডাল,
 চঞ্চল চি এ পৈঠ কাল"।


অনুগল্প
 দালির ঘড়ির মতো
               শান্তা কর রায়
 শেষবসন্তে বৃষ্টি হতে পারি আপত্তি নেইতো? - এমনি কিছু বলেছিল দিশা । ধর্মীয় -রাজনৈতিকভাবে আসিফা হতে পারবে না । পরম্পরায় দৈবঘটনা ঘটেনা । বিন্ধ্যারণ্য অজ্ঞতার পাঠশালা ।   প্রতিবন্ধকতায় সারল্য থাকে বেশিরভাগ সময় । অন্ধত্ব মানসিক হলে আচরণ ইশারা থেকে বেরিয়ে আসে স্নেহ । সমাজ অটিজম আক্রান্ত  । এককথায় 'অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার?'।
সেদিন থেকেই পূব দিকের রোদ নিয়ে বসতে হলো । আলপথের ধারেই বডি সনাক্ত না হওয়ার পরও উৎসাহ কমাতে পারেনি  । কারণ নারীদেহ । ধানের শিষের রোদ চকচকে রঙ । একমাথা চুল । কে যেন বলল,'মরার আগে যদি পেতাম' । দিশার চকচকে চোখে আগুন জ্বলে উঠলো । ঝিঁঝির ডাক শুনতে পেলো যেন এই সকালে । বটপাতার ওপরে বসা হাল্কা পাখিটা কি দেখছিল?  অথবা বকুল ফুলটা,যেটার বোঁটা শক্ত ছিল অথচ ঝরে গেলো । দীঘিতে যে আকাশ ছবি আঁকতে ব্যস্ত ছিল, সেও বৃষ্টির আচড় কাটলো যেন । হাই তুলতে গিয়ে সূর্যমুখী থামলো কিছুক্ষণ । চারপাশে গুমোট বাড়ছে । ভেঙে পড়ছে বুকফাটা শব্দে । কার কাঁধে হাত রেখেছিল মেয়েটা!! হয়তো আগুন হয়ে ওঠার আগে দুদন্ড শান্তি খুঁজেছিল সে । তার দৌড় এখন বিদেশ । প্রবাসী নাগর অন্যডালে বসেছে বলে এতো অভিমান!!  ওতো ভালো আছে, দুবেলা খাওয়ার আগে খায়,ঘুমানোর আগে নেট চেক করে। আরে,ওকে লগ্ন দাও,ঘর বাঁধুক অন্যকারোর সংগে । আর প্রত্যেকদিন ভোরে রক্তবমি করুক!!  না এটা সে চাইতে পারবে না,কারণ, আজ ১ লা শ্রাবণ,  আর এইদিনেই----


বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৮

ভালবাসার স্ফুলিঙ্গ
---মধুমিতা নস্কর

বোবাটানেল পেরিয়ে প্রেমিকের বুকের বোতাম
ছিড়ে তার জমানো ভালোবাসার অন্ধ উপত্যকায় দেব পাড়ি,

মিয়েন্ডারে পথ হারিয়ে সাক্ষাৎ করব পদ্মিনীর সাথে, আর অগ্নিবানে বিদ্ধ করে হরণ করব
তাঁর শ্রেষ্ঠ নারীর তকমা,

অতঃপর,জলপ্রপাতের ধারোষ্ণ নায়াগ্রা পবিত্রা
আমি চলে যাব মোহনায়,
যেখানে প্রেমিক তার বাঁশির শব্দে নিরন্তর তৈরি
করে চলেছে বদ্বীপ,

সেখানে সিঁদুর মাখানো বালুচরি শাড়ির রতিশৃঙ্গারে
প্রেমিক আমার বুকের খাঁজে তৈরি করবে
গিরিখাত,

যেখানে আমাদের উত্তপ্ত সঙ্গমে তৈরি করব
আগ্নেয় শিলা,
ভালবাসার চিহ্ন বয়ে বেড়াবে  জীবাশ্ম,

অনন্তর,স্বর্ণরেনুর তীরে বসে দুজনে
ভক্ষন করব বারাঙ্গনা লহরীর নাচ,

নৃত্যমোহে লাক্ষার জোয়ারে ডুব দিয়ে
যুগলে তুলে আনব দুর্লভ প্রবাল,

তারপর,সাবাই ঘাসের বিছানায় দিবানিদ্রা সেরে,
বৈকাল হ্রদের তীরে বসে দেখব
রক্তিম সূর্যাস্ত,

পরেশনাথে সন্ধ্যাহ্নিক সাঙ্গ করে,
সুয়েজ খালে শালতি চেপে দুজন পৌঁছে
যাব জীবন্ত আগ্নেয়গিরির দেশে,

সেখানে ইটালির ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখে
তৈরি করব আমাদের প্রণয় বাসা,
যা থেকে সর্বদা উদগীর্ন হবে
ভালবাসার স্ফুলিঙ্গ ।।

🔹নির্ঝড় রাত🔹
    --------------স্নিগ্ধা

কালো রাতির আকাশে
সবাই নিদ্রিত কিংবা মগ্ন স্বপ্নে,
হঠাৎ তার আবির্ভাব
আমার আড়শির সামনে;
দুহাত বাড়িয়ে দিয়াছে
আলিঙ্গনের তরে,
তার ভীষন আওয়াজে
চকিত,সংকিত মোর বুক,
তবু...মন চায় সে থাকুক।
কী জানি কেন
মন বলে,বৃষ্টি তুমি থাকো
হয়তো.....হয়তো বা
মন পেয়েছে কোনো অদৃশ্য অন্তমিল,
কিংবা কাটাতে চায় ভেতরের গুমোট;
মন আজ বাঁধবোনা তোকে
মিশে যা বৃষ্টিতে,
সব গুমোট কাটিয়ে ফিরে আয়...
সবুজ সতেজ হয়ে,
তপ্ত হিয়ায় বিদীর্ন বিস্তৃত শুষ্ক পথ,
পাথুরে দুর্গম রাস্তায়ও এগিয়ে যায় জীবনরথ,
মরুদ্যানের মরিচিকার তাড়নায়
স্বপ্ন হাতছানি দিয়ে যায়.....!





_____জন্মান্তরে
                  এম.এম.এম

হয়তো মানুষ নয়!

হয়তো মানুষ নয়,
মানুষীও নয়।

নির্ভেজাল প্রকৃতির ছোঁয়া পাব
ছন্দময় সুরের ব্যঞ্জনায়।
আকুলিত মন প্রাণ বিলিয়ে দেব
সুগন্ধ ভরা ফুলের মঞ্জরীতে।

নতুন সৃষ্টির নিস্পন্দ খেলায়
প্রজাপতি হয়ে বসব
তোমার পেলব কাঁধে।

জীবনানন্দ চেয়েছিল ভোরের কোকিল হতে।
আমিও চাই ভোরেরই কোকিল হতে!
শোনাব সুমধুর গান প্রভাতের বর্ণচ্ছটায়।

কিংবা তোমার নূপুরের সাথে দুলব
নাচের তালে তালে।
গাছের শাখায় বসে দেখব
তোমার পেখম মেলে চলা।

জন্মান্তরে হব তোমার কন্ঠে
বিরহের গান কিংবা
গোলাপের টবে ফুটব তোমারই জন্য।

একপাল গোরুর মাঝে
রাখাল বালকের শাসন এড়িয়ে,
সবচেয়ে দুষ্টু হব।

হয়তো মানুষ নয়!
মানুষীও নয়।

যাকে ধরতে তুমি ছুটবে আদিগন্ত।
                --------------

কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম



মধ্যবিত্ত।।
------@ সুস্মিতা সিং।

স্লোগানে একটু পর নামাবে ক্ষুধা
রাত হলে ল্যাম্পপোস্টের ধূসরা আলো উপেক্ষা করে গলিতে,হোটেলের এসি রুমের ছায়ায়,পার্কে ঝোপের আড়ালে শুতে যাবে কেউ,
সদ্য কিশোরির যোনিপথে সঞ্চার  রক্তক্ষরণ করে,
যোনি বুক ঢাকার কাপড় ওড়ে দুটো ভাত পাবে মেয়ে
সিনেপ্লেক্স,রেস্টুরেন্ট,কর্পোরেট ইমারতে জলে রঙিন বাতি,
পতঙ্গের মতো টানে মানুষকে পারফিউম
হটপ্যান্ট মামনিদের তকতকে চামড়ায় খোজে যৌবন,
সিটি বাজাবে গলির নেশাখোর তরুণ
নখদন্তহীন এই সব হীনবীর্য
হাতের তালুতে নিজেকে দুমড়ে গুড় করে দেয়
এদের কেনাবেচাই আসে ওই সব পারফিউম,
সব রঙিন পোশাক,মন্ত্রীর গদি,চেয়ার
সব চকচকে ভবনে রঙিন পানিতে রাতে নামে সূর্য,
বগলে ঘষানো চার নারী নিয়ে মার্সিডিজ হাকিয়ে ঘরে ফিরে
জ্যান্ত মরে যাওয়া কয়েকটি প্রাণী কিছুক্ষণ  আগেই পেচ্ছাপে হেগে ভাসিয়ে দিয়েছে ফুটপাত,
নগ্ন সমাজের মতো উদলা হয়ে গেছে যোনির কাপড়,
ভনভন করে ছুটে এসে মাছির চাক,
শরীরের ক্ষতে পুঁজ ঝরিয়ে দেয়
ডাস্টবিন ভেবে ভুল হয়
রাম শ্যাম যদু মধু কেরানিমার্কা মধ্যবিত্তরা নাকে রুমাল চেপে
দ্রুত পায়ে ছুটে যায় বাসস্টপ,রেল স্টেশন
মানুষ কেমন বাদুড় হয়ে রয়,
ডালভাতে সন্তান উৎপাদনের লক্ষ্যে ছোঁয় না আঙুল
তবু আগুন লাগে মধ্যবিত্ত ঘরে।




জীবন তরী
------সুমিত বিশ্বাস

আমি দিবস রাত্রি
জীবন পথের যাত্রী৷
সুখ দুখের তরু বায়
জীবন খেলা খেলে যায়৷
সুখের তরী বাওয়া যায়
দুখের তরী যেন না বায়৷
জীবন আকাশে
মধুময় বাতাসে৷
ভরে যাক
মন আকাশে উরুক সুখপাখির ঝাঁক৷
গহীন আঁধার পার করে ভাই
সুখের প্রাসাদ পেতে চাই৷
বলবে কেউ কোন নদীতে
তরী খানা দেব পেতে৷
যে নদীর ঢেউ নেই
নৌকাডুবির ভয় নেই৷
সেই নদী আমি কোথায় পায়
ইচ্ছে করে সেই নদীতে ভেরায় নায়৷



অনাহার
সৈয়দ মহঃ সাবির আলি

তিন শিশুর অনাহার,
চেনালো মানবরুপ,
অনাহারে মরল, খিদে তাঁদের চুপ--------।
তাঁরা চুপ,তাঁদের বিরক্ত করা চিৎকার চুপ,সব নিস্তব্ধ।
বাবুরা আর বিরক্ত হবেননা,
তাঁরা যে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে থাকে,অনাদরে।
তবে কেন? খবরের শিরোনাম,হা-হুতাশ,প্রতিবাদ।
কোথায় ছিল?যখন আয় বাড়াল ,বড়লোকের,
মাইনে দিল অধিক অধিকস্তর,
সে টাকা যদি এদের মতো গরিবদের দিত,
তাহলে কী মরত, অনাহারে?
কাল যদি আমার,তোমার হত এমন দশা।
মরতে হত অনাহারে!
চোখের সামনে ভাসত আবার ৭৬---------।
সে কত দুঃখ, কত শোক, এখন তা অতীত।
আজ গরিবদের ভাত দেবার কেউ নেই,
যাঁরা ছিল, তাঁরা সরে গিয়ে-
রেখে গেছে ঘৃণা ঘৃনা শত ঘৃনা।



[অন্ধ শহর]
    সায়ন্তনী হোড়

 ব্যস্ততার সিঁড়ি কে পিছনে ফেলে একটা শহর এগিয়ে যেতে চাইছে।
যেতে চাইছে সমুদ্রের ঢেউ এর কাছে ।
 একটা অন্ধ ঘর। মেঝেতে পড়ে থাকে শুকনো গোলাপের  স্তবক ।
 গোলাপ ছুঁয়ে অপেক্ষা।
অপেক্ষা কে ছুঁয়ে গোলাপ ।
একটা অদ্ভুত ফিলিংস ।
কিছু নিঃশ্বাসের বিক্ষিপ্ত ছন্দ
একটা অন্তহীন কাব্যের শব্দ কে যেন প্রতিনিয়ত মিশে যেতে দেখছি এক ব্যস্ত শহরের গলির ভাঁজে।।


       

সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১৮

#আশা
#তানেয়া

মনে আছে? সেই যে সেদিন,
দুচোখে স্বপ্ন তখন রঙিন
একসাথে পথচলা শুরু,
পেয়েছিলাম তোমায় নতুন করে।

মনের যত কথা সব বলা,
চুপি চুপি সেই যে দেখা করা,
যে কটা দিন ছিলে তুমি পাশে,
আনন্দেতে দিয়েছিলে ভরে।

হটাত তুমি কোথায় চলে গেলে?
যাওনি তো আমায় কিছু বলে?
চলে গেলে আমায় একা ফেলে,
নিলে না তো তোমার সঙ্গে করে?

কথা দিয়ে রাখলে না তো কথা,
বলেছিলে থাকবে সদা পাশে
আজ আমি তোমার আশায় বসে!
কখোনোই কি আসবে না আর ফিরে?


অনুভুতি

ভুলে গেলে কেহ,দূরে গেলে কেহ পাইনা আমি কষ্ট 
কষ্টের অনুভুতি সব ফেলেছি গা ঝেড়ে
কেবল আমি দেখে চলেছি,বদলে যাওয়া মানুষদের,দেখে চলি মানুষের নিষ্ঠুরতা,
মুহুর্তে মানুষের পালটানো খোলস,  ভালবাসার দাবিতে নাছোড়বান্দা অভিমান প্রতিজ্ঞার আড়ালে স্বপ্নভঙ্গ যাত্রা,
অশ্রুসিক্ত কাজল দিঘী নয়নে আমার হতাশা স্থবির,
পলক ফেলতে উঠি কুকরে অসহনীয় ব্যাথায়,
বদলে যাওয়া সহজ কত,চির সত্য,কিছু সত্য বড় বেদনাময়,কিছু সত্য মেনে নিলে বুকের পাঁজর ভেঙ্গে গুঁড়ো হয়,
যে কটা দিন তুমি আটকে ছিলে বুকের কিনারায় হৃদপিন্ড টকটকে লাল কৃষ্ণচূরা ছিল,
দূরে যাওয়ায় আজ বুকের হৃদপিন্ডটা লাল কালোয় মিলে এক বিচ্ছিরি রঙ নেয়,
মনে পরে চোখের পাতায় নেমে আসা অবেলায় সন্ধ্যা,
তবু মেনে চলি,
ভুলে গেলে কেহ,দূরে গেলে কেহ পাইনা আমি কষ্ট,
কষ্টের অনুভুতি গুলো সব ফেলেছি গা ঝেড়ে,
মাঝে মাঝে কিছু বলতে ইচ্ছে করে,
গলার নালিতে এক আকাশ বেদনা এসে চেপে ধরে,
কিন্তু বুঝে না পাই কি বলতে চাই,
বুঝে না পাই কারে বলতে চাই,
যখন ছিলে পাশে তোমাকে জড়িয়ে ধরে গা ভেজাতাম তোমার, 
মনে আশা বুঝে নিক ওরা বুঝে নিক আমার না বলা অভিমান,
খুঁজে নিক ওরা খুজে নিক গোপনে সংরক্ষিত আমার এক আকাশ বেদনা
ভুলে গেলে কেহ,দূরে গেলে কেহ পাইনা আমি কষ্ট,
কষ্টের অনুভুতি সব ফেলেছি গা ঝেড়ে ঝেড়ে। 

@ সুস্মিতা সিং।


🔹যে কটা দিন তুমি ছিলে পাশে🔹

ভোরের পাখির ডাকের চেয়েও মধুর ছিল,
তোমার gd mrng;
ছিলে তুমি,ছিলো সোনা রোদ্দুর মাখা ভোর
মধুর স্মৃতি রামধনুতে ভরে যেত মেঘলা দিনও,
অপেক্ষা,তৃষ্ণার্ত চাতকের দিকে চেয়েও হার মানতনা,
ভাবতাম,হয়তো একদিন তুমি আর আসবেনা....
আমাদের স্বপ্নমমাখা কুঁটিরে আর তাকাবেনা...
কেঁপে উঠতো বুক ! 
তুমি পাশে এসে আদর ভরা সুরে বলতে-
ধুর পাগলী, আমি তো তোমার মনেই আছি
ওই দেখো সূর্যাস্ত,
এভাবেই হাতে হাত রেখে সারাজীবন দেখবো...
অস্তমান সূর্যের মেঘের আড়ালে সিঁদূরে রঙে 
সাজাবো তোমাকে,
আমি লাজুক হাসির আড়ালে আবেগ লুকোতাম,
উঠতো তারা,ল্যাম্পপোষ্টে রোশনাই হত শহর,
ভালোববাসার আলোয় সেজে উঠতো আমাদের কুঁড়েঘর,
সাক্ষী থাকতো চাঁদনি রাত,বিস্তৃত আকাশ,
পাহাড়ায় থাকতো আমাদের বিশ্বাস।।
               --Snigdha





____যে কটা দিন ছিলে পাশে
              এম.এম.এম

যে কটা দিন ছিলে পাশে
    ছিল গিটারের সুর।
মন ময়ূরী নাচত পেখম তুলে
    উঠোনে বাজত ঝুমুর।

নদীর হাওয়া উজান তালে
     বইতো রাত্রিদিন।
আকাশ কালো হোকনা যতই
     খুশি তবুও রঙিন।

জোছনা আসতো খোলা জানালায়
      তোমার পদধূলি হয়ে।
চুলের খোঁপায় করবী নাচত
      এ হৃদয়ে দোলা দিয়ে।

তোমার মুখে থাকত আঁকা
       আমার সকল সুখ।
ঝলমলে ওই হাসি দেখে
       কাটতো জমানো দুখ।

যে কটা দিন ছিলে পাশে
     কাজের ভিড়ে প্রেরণা।
নতুন নতুন কত স্বপ্ন কুঁড়ি 
     পূরণের জোর বাসনা।
     ‎        -------------

কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম



-:যে কটা দিন পাশে ছিলে:-
সৈয়দ মহঃ সাবির আলি

যে কটা দিন পাশে ছিলে, দেখতাম প্রতিনিয়ত আলো,
মনের কথা বলতে আমায়, বাসতে তুমি ভালো।
হইচই করে দিন কাটাতাম, ফুটত মুখে হাসি,
সত্যি করে সেদিন তোমায়, লাগতো অনেক বেশী,
আর যখন, ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতাম,
হতে তো অখুশি,
চোখের কান্নায় চেঁচিয়ে বলতো তুমি,
পাগল আমি তোমায় ভালোবাসি।
যখন স্কুলের পথে ভিজতাম মোরা,বৃষ্টি ভেজা দিনে,
তখন তুমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলে-থাকব সারাক্ষনে।
যে কটা দিন পাশে ছিলে, হত দু-হৃদয়ের দেখা,
এখন তুমি অনেক দূরে-----আমায় লাগে একা।
আজ তুমি পাল্টে গেছো, গেছো আমার ছেরে,
কী নিয়ে আজ বাঁচবো বল?
বাঁচবো কী আজ ধরে?
জানি তুমি আসবে নাকো,আমার মনের দেশে,
বন্ধু তোমায় ভালোবাসি,বাসবো জীবন শেষে।


শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮


প্রিয় কালপুরুষ,
                                                                                                দিন শেষে গোধূলি আলো রঙ ছড়িয়েছে চিলেকোঠা জুড়ে৷ মন কেমনের সুরটা আবারও বোধহয় বেজে উঠেছে চিলেকোঠা ,ছাদ আর আকাশনীলে ৷ হঠাৎ যেন মন কেমনের চেনা সুরে তোমার সৈনিক রূপ দেখলাম৷ তোমাকে একটি বার্তা দেব পারলে পাঠিয়ে দিও তাকে,কিংবা তার কোনো এক মনখারাপের বিকেলে তাকে মনে করিয়ে দিও৷ আমার আমি যে বড্ড জেদী,নিজ ভাবনায় স্বপ্ন আঁকি৷ হ্যাঁ আর বলো আমি নতুন আর পুরাতনে মিশে নিজ সত্যে স্বাধীন হয়েছি৷                                                                                                                    
                                               
                                                         ইতি
                                                        রাঙতা    

মিস্টার কালপুরুষ,

এই যে শুনছেন হ্যা আপনাকেই বলছি তবে শর্ত আছে বাকিরা যেন টের না পায়।শুনেছিলাম তারাদের দেওয়ালের নাকি কান বড্ড খাঁড়া,একাকীর ছায়ায় আমি ছবি আঁকি রামধনুকের।আর গুনি কাঁকড় মধ্যরাতের ঢেউয়ের যখন আপনি থাকেন রাত পাহাড়ায়।লোকে বলে আমি নাকি বোবা,নীরাবতার সব ঠেকা নাকি আমার কাঁধে।আমি যে পাললিকের ফেরা গর্জনে নুইয়েছি ডুবেছি দেনার সাগরে,চুপকথায় ফেরা কাঁকড় কোড়ানো আমার অভ্যেস।দুহাতের মাঝে ওই কাঁকড় ভেজা কান্নাই সম্বল,অনেক না বলা ঢেউ চাপা আছে।
                      ইতি
                 চুপকথার ঢেউ

           =============


বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৮

(আকস্মিক জলফড়িং)

তর্কাতর্কির বুকে ইতিহাস হাঁটে প্রবীণ জলোচ্ছ্বাসে আবারও বাহাওরে ভুলে সব জাতি অজস্র দাড়ি টিকি ধারী মেলে কিছু বংশতিলক ফিরে দেখা মন্দির ভগ্ন বশেষ চল তিরঙ্গা মেলি মরচে ধরা খাচার পাখিরা আজ স্বাধীন হতে চাইছে 
                                                                              জয়দীপ রায় 
                                                                                সম্পাদক 
                                                                       (আকস্মিক জলফড়িং)


Download Now        


  

       


পুজো সংখ্যায় চোখ রাখুন আসছে

_____প্রতারক নও, ভালোবাসা

               
  

                        এম.এম.এম


প্রতারক আমি

       তুমি প্রতারিত!

       ‎নাকি উল্টোটা?

       ‎

       এর মাঝে কত মাখামাখি

       ‎আদরের চুমু

       ‎    স্নেহ চাদরে আঁকা লুম্বিনী শহরের ছায়া।


গভীর ভালোবাসার গভীরতা কতখানি

কেউ কি কখনো মেপেছি?

নাকি সেটা পরিমাপ হয়!


তবুও বুঝিনি কেন বোঝাপড়ায় এত টান?

কথায় ছলনা, 

চাপা স্বভাবের একটু!

নাকি গুরু গুরু ভাব স্বরে।


বলতে চাওয়া কথা না বলেই ধরতে পারোনি

হয়তো আমিও পারিনি বুঝতে বিম্বাধরের কাঁপন

তাই এই বিচ্ছেদ, বিরহের চড়া প্রহর।


মেনে নিতে হলো 

      মানিয়ে নিতে হয় আন্দোলিত সময়ের তালে।


তুমি আমাকে প্রতারক ভাবলেও

    আমি ভাবি তুমি আমার ভালোবাসার চাঁদ

   ফিরে ফিরে আসো স্মৃতির আকাশে এখনো।

   ‎              ---------------

কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম


'প্রতারকের আমি'


চঞ্চল ভট্টাচার্য্য


সেই যেদিন প্রেমাবসর নিলে তুমি,

তোমার নাকি বাড়িতে খুব প্রব্লেম,


সেদিন আমি প্রতারকের সংজ্ঞা

খাতার পাতায় লিখে রেখেছিলেম।


নিজেকে তুমি চতুর ভাবতে ভীষণ,

কামোন্মত্ত  ছিলে ভীষণ তুমি,


তোমায় তো তাই দিলাম অবসর,

আমি এখন পরিবর্তন'কামী।


তোমার এখন নতুন নতুন সঙ্গী,

আমি এখনো ফুটপাতেই হাঁটি,


তুমি হয়তো ভেজাল ভালোবাসো,

আমার আমি ভীষণ রকম খাঁটি।


হয়তো তুমি আনন্দে'তেই আছো,

আমিও এখন বেশ ভালোই আছি,


তুমি বাঁচো প্রতারণা করেই,

আমি প্রতারণার শিকাড় হয়েই বাঁচি।

            .............




সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৮

কন‍্যাশ্রী
সৈয়দ মহঃ সবির আলি

দাঁড়াও-বিবাহ কেন?
শিক্ষা বর্তমানে কন্যাদেরশ্রী,ভুলেছো কী?জানোনা কন্যাদের জন্য ফুটেছে আজ কন্যাশ্রী,
নারী  হলো ফুলের মতোন, তাঁকে কন্যাশ্রী করেছে যতন,
হতে পারে কন্যাশ্রী মানে ফুলের কুঁড়ি,
আর শান্ত ভারত রূপ,
তবে কন্যাশ্রী মনে দূর্গাদেবী,
তাই থাকবো কেন চুপ?
তোমরা জানো, আমরা জানি,
ভারতমাতা সে ও রমনী।
তাই কী পিছে?
সমাজ মিছে,সর্বনাশা কুঃ-কে মনি।
রমনী কী দূর্বল তাই,সমাজ তবে পিছিয়ে ও ভাই।
তবে ভারত মাতা করলো কী পাপ?
এটাই কি দোষ নারী গোলাপ,
কেন,নারী বলে কী জাত নেই?
নারী বলে কী ভাত নেই?
নারিদের কী নেই কো আশা?
শুধু নারীরাই কী সর্বনাশা?
আছি কোথায় এইতো সমাজ,
চলছে যত নোংড়া কাজ।
তবে 2013-সালে উঠল যে এক বিপল্লবের বিকল্প,
যাঁর নাম কন্যাশ্রী প্রকল্প।
যে নারীর আশা,ভালোবাসা,
সমাজ তবে সর্বনাশা?
পাপ করেছে সমাজ জানি,
প্রাশ্চিত্ত শুধু রমনী,
তাই কন্যাশ্রীকে করো-
সমাজের পূর্ণ বাণী।।

তুমি রবে নীরবে



তুমি রবে নীরবে...
আমার সরষে বাঁটা বাগান ছায়ায় দোলনা আর ভালোবাসায় কাদম্বরী ফুল

নৌকাডুবির শেষে
নষ্টনীড় খুজেছে জোড়াসাঁকোর ভিটে
ছায়া হয়ে ঘুরে বেড়ায় ঝোলা কোট পরে
পোষ্টমাস্টার রতনে মনিহারা
চৌকাঠ গোড়ায় সঞ্চয়িতা মেয়েটির রক্তকরবীর খোঁপা

রাজা তোমাকে মুক্ত করবে নন্দিনী
গুপ্তধন হাতে কাবুলিওয়ালার মিনি
ভণিতা-র ছদ্মনামে
নাঈট-দের ত্যাগ করেছে
আধুনিকতার মঞ্চে আকাদেমি নিয়েছে গীতবিতান
ছাতিম তলায় শ্রীনিকেতন

প্রতিটি বিপ্লবের ঘরে-বাইরে নিজেকেই খুঁজেছি
তবু আমার ছবিতে গোরার
অনুগল্প
প্রেম আসে যায় 'নিশিথি নি সম...

প্রতিটি বৈশাখে পায়েস খেয়েছি হে গীতাঞ্জলী
সোনার রথে বসে মায়েদের হাতে
পৃথিবীর বুকে নোবেল দিয়ে নাম লিখেছি
রাশিয়ার চিঠি আজ হাতে
এবার আসি
শেষের কবিতা নিয়ে চলো কেক কাটি আজ।

শূন্যতার জলছবি--- ( সায়ন্তনী হোড়



শেষ বিকেলের নিঃশ্বাসের ছন্দ আজ কিছুটা হলেও অস্তিত্বহীন ।
শূন্যতাকে শেষ করে আরও গভীর শূন্যে মিলিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়
একটা আধপোড়া ইচ্ছে কে ভাসিয়ে দিই এক বুক স্রোতে
পড়ে থাকে শুধুই শূন্যতার জ্যামিতিক আকৃতি।
চিত্রপটের রঙতুলি থেকে গড়িয়ে পড়া সব রঙ কে হাতের মুঠোতে নিয়ে রাঙিয়ে  দিতে ইচ্ছে হয় শূন্যতার জলছবি কে. . .।।

                  ( সায়ন্তনী হোড় 

শূন্যতা শেষে তখন আমি একা--- বৈশাখী গোস্বামী


শূন্যতা শেষে তখন আমি একা-----
বড্ড একা,একটা ক্লান্ত আমি
লিখব এক ব্যর্থ কলমের কথা
না,হা-হা-কার তুলব না,
শুধু রচিব এক শূন্যতার গান।
একটা বন্য গন্ধ খুঁজে নেব---
স্মৃতির পাতা উল্টে।
তারপর আকাশের নীল গায়ে মেখে--
এক জীবনের গল্প লিখব নিভৃতে।
 
       
                     13-08-201

'অবসান' ----চঞ্চল ভট্টাচার্য্য



তখন আমি একলা ভীষণ রকম,
শূন্যতা'টার আশেপাশে ঘোরাঘুরি,

হঠাৎ মনের নীল দিগন্ত জুড়ে,
শান্ত্বনাদের সহসা হুড়োহুড়ি।

শূন্যতা'দের গুমোট কালো কামড়,
অসহ্য সেই অন্ধকারের অতল,

শূন্যতা'দের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে
মনটা হঠাৎ হয়ে উঠলো সচল।

ক'দিন হয়তো শুন্যতাদের সাথে
কাটাচ্ছিলাম অবসাদময় সময়,

কিন্তু এখন জীবন চিনেছি আমি,
ধ্বংস করেছি শূন্যতা আর ভয়।

এখন আমার অবসাদহীন শরীর,
তোমার জন্য কবিতা লিখবো ভাবি,

কবিতারাও আজ শূন্যতার ব্যাড়া-জাল
কাটিয়ে উঠেছে, হতে চায়ছি কবি।

এখন হয়তো তোমার আঁচল পায়না,
 আছে যে তোমার স্নেহমাখা স্মৃতি,

শূন্যতা আজ অনেক দূরে গেছে,
লিখবো কবিতা তোমার জন্য সত্যি।

অন্তরদাহ /সুনন্দ মন্ডল



শূন্যতা যখন শূন্য
আমার খেয়াল দোলাচলে
একশ ভাগের একশ সুখে
তপ্ত নদীর বালুচরে।

তোমার মুখে চাঁদ নেমেছে
অষ্টপ্রহর আলোয় ভরে
আমার বুকে শূন্য খাঁচা
বিবর্ণ সব বিদঘুটে ওই রাগের ভারে।

তোমার বাড়ির ছাদে দেখি
মায়ার খেলা দু'চোখেতে
ব্যালকনিতে শাড়ীর আঁচল
খুঁজছে আমায় সোহাগ নিতে।

মুখের ভাষা আধো আধো
শূন্যতা দেখি গিটারের সুরেও
তোমার ছবিতে মন লুকিয়ে
অন্তরদাহে বাঁচছি তবুও।
         -----------

কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম

মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১৮

প্রতিদান
সৈয়দ মহঃ সবির আলি

গাছের অবসর কিছু নেই,থাকতেও নেই,
সে যে পৃথিবী বাসীর প্রাণ ভ্রমরা,
প্রতিটা শ্বাসে,প্রশ্বাসে খাদ্য,জীবনে,
তাঁর অবদান অপরিহার্য।
সে আবদমিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,
হাজার প্রতিকুলতায়,
কখনো তীব্রদহনে,হীমে,ভূকম্পনে,
আবার, কখনো ঝড়ের সাথে বিশ্ব স্বার্থে যুদ্ধ করে,
এই যুদ্ধে গাছ একলা সর্বদা।
দলবদ্ধ ভাবে থাকলেও তারা,নিজের যুদ্ধ নিজেই লড়ে।
আর এদিক আমরা,
নিজের স্বার্থে বৃক্ষ লোপাট করি,
আসলে,কুড়ুল মারি নিজের বক্ষে।
বায়ু দূষণ করি,বিক্রি করি ,আরও-------------
তাদের কী এই মূল্য---------------কিছু অর্থ?
তবে কি অর্থ তাদের আবদানের প্রতিদান?
তবে যে গাছ,এই জগতের অবজ্ঞা সহ্য করে দাঁড়িয়ে আছে।
আর আমরা মান-হুঁশ খোয়ানো জাতি,
মানুষ জাতি।
যে গাছ প্রাণ দিয়ে প্রাণ বাঁচায়,
সেই দেবতাকে আমরা--------ছি------,
স্বার্থে জন্য আমার কী এই ভাবে দিয়ে যাবো ,
তাদের অবদানের প্রতিদান???
গন্ধ
-------
ঋতুপর্ণা ব‍্যানার্জী
০৪/০৮/১৮

একটা নাতিশীতোষ্ণ গন্ধ কেবলই ছোবল মারে-
সজাগ হয় ইন্দ্রিয় প্রেম
সূর্য কণায় আছড়ে পড়া বৃষ্টি
সম্পর্কের গন্ধ ছিল গাছের লুকোনো পাতায়
সবার অজান্তে ভিক্টোরিয়ার পরীরাও সেদিন তিনপাক ঘুরেছিল
চোখ বুজলেইএখনো তোমার কথার গন্ধ পাই
সূর্য তখনো দক্ষিণায়নে
যেন পাখিমগ্ন বিকেল তুমি রোদের ঝালায়  ডানা মেলে
আমার অনুভবের তন্ত্রীতে তুলেছো নিঃস্তব্ধ টংকার
চৌকাঠে আজো সেই ব‍্যক্তিগত সুবাস লেগে
সাবানের মতো গায়ে মেখে ঘুরে চলেছি প্রতিদিন।।
মায়ের স্পর্শ
সৈয়দ মহঃ সাবির আলি

ভালোবাসি মা তোমায় আমি,
আর তোমার বিকাল বেলা,
ঘাসের উপর ঝড়ো হাওয়ায়, দেখি তোমার বোটের পাতার খেলা।
পুকুর পাড়ে বোটের ধারে, একলা যখন বসি,
হৃদয় কারা অনুভব মাগো,কি সুন্দর হাঁসি,
মাগো, ঢেউ পুকুরে তোমার, অদ্ভুত এক মায়া,
মেঘের মতো আগলে রাখো,থাকো হয়ে ছায়া।
কান পেতে মা শুনি যখন, তোমার মিষ্টি কণ্ঠ শব্দ,
তোমার স্বরে সবাই চুপ, আমিও নিস্তব্ধ,
তোমার কণ্ঠে শুর মিলিয়ে কোকিল যখন গায়,
মিষ্টি হওয়াই ভালোবাসা পাই , পাগল আমি তাই।
বটের তলে,মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পরি আমি,
চোখ খুলে দেখি রক্ষপুরী,
তুমি মায়ের মতোন দামী।
ধিক্কার - - - - -

অগ্র পথিক ছুটে চলে
খুনের তালিকা অবাধ জলে
রাজ শকুনেরা ঘুরে মরে..
পচা  মাংস আসার ফলে

তাই বলি ওদের কি দোষ.
নেতারা আজ কি করছে দিনের পর দিন রক্ত চুষছে..
যাক যাক যাক পথচারীগণ
মিছিল তোরা করছিস কর..

. কুরুল দিয়ে এক কোপে সমাজ টা কেই দু টুকরো কর...
প্রতিবাদীরা উঠে আসে...
হায়রে তার পরের পরিণতি??
অ্যাসিড পোড়ানো মুখ নিয়েও তারা মুচকি হাসে..

রক্তে ভাসিয়ে দেবো বন্যা..
সেই কালচে রক্তের তেজে পিছলে পরবে ওরা..
মিথ্যা অশিক্ষার বিদ্যায়তনে..
শোষণ ও ত্রাসের মহাকরণে...

আজ শ্বাসরোধের লাশ নিখোঁজ হয়ে যায়...
সৎ বিনম্র মানুষগুলো বিলুপ্ত প্রায়...
মুক্ত বিহঙ্গের মতোন সাধারণ মানুষগুলো ডানা ঝাপটাদেয়...
অস্ত্র চালনায় তাদের ডানা ছেঁটে যায়...

জল্লাদরা সমাজে কিন্তু কাকতালীয় নয়!!!!

@অদিতি চক্রবর্তী - - - - -

সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১৮

কবিতা--ডাইরির পাতায়
    লেখনী---সৌনক ভট্ট


আজ‌ তুই আমার থেকে,
অনেক দূরে।
দেখা হবে না হয়তো
আর কোনোদিনই।
কিন্তু তোর লেখা, আমার
ডাইরির পাতায়, সেই
লাইন গুলো আজ ও
মাঝে মাঝে পাতা
উল্টে দেখি।
তুই যেদিন ডাইরিটা নিয়েছিলি , আমার
কবিতা গুলো পড়ার জন্য।
বলেছিলি , দেখি কী কী
সব লিখেছিস।
তার পর ডাইরিটা নিয়ে
উঠে পড়লি,বললি....
"বাড়ি নিয়ে গেলাম রে"..
আমি বললাম আচ্ছা
নিয়ে যা।
তারপর ডাইরিটা তুই,
সময় মতো ফেরত ও
দিয়েছিলি।
কিন্তু মাঝে অতিক্রান্ত
হয়েছে বেশ কয়েকটি ঘটনা,
ও কয়েকটি বছর।
তাই আর ডাইরিটা খুলে,
দেখার সুযোগ হয়নি।
কিন্তু , তোর লেখা সেই
লাইন গুলো পড়লে....
তা আমার মন খারাপের
কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বন্ধুত্বটা হয়তো,
বলতে গেলে আর
একেবারেই নেই।
কারন, তোর সঙ্গে
আজ দীর্ঘ কয়েক বছর সমস্ত
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
জানি না, কোথায় আছিস
তুই এখন ।
আচ্ছা,তোকে মজা করে
একটা নাম ধরে ডাকতাম..।
মনে পড়ে তোর?
আচ্ছা, তোর সাথে প্রথম
কবে দেখা হয়েছিল মনে আছে?
জানি‌, কিছুই তোর মনে নেই।
সবটাই এখন অস্বচ্ছ জলছবির মতো।
তোকে তো এখন আর,
অনলাইনে ও দেখতে পাই না।
খুব ব্যস্ত হয়ে-গিয়েছিস আজকাল।
বোধ হয় সংসারের খুব চাপ পড়ছে,
তাই না রে....??
শেষে একদিন ফোনালাপ,
হয়েছিল....
হঠাৎ ফোন করে বললি....
"কীরে‌,কেমন আছিস?
চিনতে পারছিস আমায় ?"
আমি বললাম,না‌ পারার
কী আছে ?
তুই বললি...'শোন না,
আমার বিয়ে, সামনের সপ্তাহে।
তুই আসবি কিন্তু...
আমি বাকি বন্ধুদের ও বলেছি।'
আমি‌ বললাম, চেষ্টা করব রে।
কিন্তু সময় করে উঠতে পারিনি,যাবার জন্য।
তোর বিয়ের ছবি দেখলাম,
পবিত্রর কাছে।
বা!!! দিব্যি মানিয়েছে কিন্তু তোদের।
যেতে পারলে, ভালো লাগতো।
কিন্তু তা পারলাম না রে!
তা পারলাম না।
‌‌

                --সৌনক