ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

অনুগল্প
 দালির ঘড়ির মতো
               শান্তা কর রায়
 শেষবসন্তে বৃষ্টি হতে পারি আপত্তি নেইতো? - এমনি কিছু বলেছিল দিশা । ধর্মীয় -রাজনৈতিকভাবে আসিফা হতে পারবে না । পরম্পরায় দৈবঘটনা ঘটেনা । বিন্ধ্যারণ্য অজ্ঞতার পাঠশালা ।   প্রতিবন্ধকতায় সারল্য থাকে বেশিরভাগ সময় । অন্ধত্ব মানসিক হলে আচরণ ইশারা থেকে বেরিয়ে আসে স্নেহ । সমাজ অটিজম আক্রান্ত  । এককথায় 'অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার?'।
সেদিন থেকেই পূব দিকের রোদ নিয়ে বসতে হলো । আলপথের ধারেই বডি সনাক্ত না হওয়ার পরও উৎসাহ কমাতে পারেনি  । কারণ নারীদেহ । ধানের শিষের রোদ চকচকে রঙ । একমাথা চুল । কে যেন বলল,'মরার আগে যদি পেতাম' । দিশার চকচকে চোখে আগুন জ্বলে উঠলো । ঝিঁঝির ডাক শুনতে পেলো যেন এই সকালে । বটপাতার ওপরে বসা হাল্কা পাখিটা কি দেখছিল?  অথবা বকুল ফুলটা,যেটার বোঁটা শক্ত ছিল অথচ ঝরে গেলো । দীঘিতে যে আকাশ ছবি আঁকতে ব্যস্ত ছিল, সেও বৃষ্টির আচড় কাটলো যেন । হাই তুলতে গিয়ে সূর্যমুখী থামলো কিছুক্ষণ । চারপাশে গুমোট বাড়ছে । ভেঙে পড়ছে বুকফাটা শব্দে । কার কাঁধে হাত রেখেছিল মেয়েটা!! হয়তো আগুন হয়ে ওঠার আগে দুদন্ড শান্তি খুঁজেছিল সে । তার দৌড় এখন বিদেশ । প্রবাসী নাগর অন্যডালে বসেছে বলে এতো অভিমান!!  ওতো ভালো আছে, দুবেলা খাওয়ার আগে খায়,ঘুমানোর আগে নেট চেক করে। আরে,ওকে লগ্ন দাও,ঘর বাঁধুক অন্যকারোর সংগে । আর প্রত্যেকদিন ভোরে রক্তবমি করুক!!  না এটা সে চাইতে পারবে না,কারণ, আজ ১ লা শ্রাবণ,  আর এইদিনেই----


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন