নামঃ পায়েল খাঁড়া
শিরোনামঃ অনুগল্প
হার-জিৎ
মার্কশিট হাতে প্রায় লাফাতে লাফাতেই স্কুল থেকে বেরোল রনিত। ক্লাসের মধ্যে ফার্স্ট হয়েছে সে__৯৭%--ছেলের গর্বে মাটিতে যেন পা’ই পড়ছে না মল্লিকার। এক্সট্রা টিউশনের ফিজ’টা সুদে-আসলে উসুল হয়ে গেছে তার।
অর্ঘ্যর রেজাল্টটা খুলেও দেখেনি তৃষা। মোটে ৭৫%_এখন সে মুখ দেখাবে কীভাবে মল্লিকার কাছে? সেদিন কিটি পার্টিতে কত বড় মুখ করে বলেছিল এবারের এক্সামে অর্ঘ্য রণিতকে টেক্কা দেবেই।হারের দুঃখ আর সবার তাচ্ছিল্য দুটোই এবার তাকে হজম করতে হবে__ছিঃ ছিঃ! লজ্জায় কালো করে এল তৃষার মুখ।
স্কুল-ফিরতি রাস্তায় সকলের সামনেই দৌড়ে এসে তৃষাকে প্রনাম করল পল্টুর মা। বলল ‘খোকাবাবুর দয়ায় এ’যাত্রায় আমার ছেলেটা পেরানে বেঁচে গেল মেমসাহেব! পল্টুর অপারেশনের জন্য টাকা চাইতেই সকলে কুকুরের মত দুঃচ্ছা করল।খোকাবাবু যদি টাকাটা না দিতেন তাহলে আজ আমার ছেলেটা__আপনি মানুষ নয় দেবী,যে এমন সোনার টুকরো ছেলেকে পেটে ধরেছেন।ভগবান আপনাদের মঙ্গল করুন,মঙ্গল করুন!’
“সরি মা আমি ফার্স্ট হতে পারিনি।পল্টুর জীবনটা আমার ৯৭% তোলার থেকে অনেক জরুরী মনে হয়েছিল।আমার জন্য তুমি হেরে গেলে__আই অ্যাম ভেরি সরি।” শুকনো মুখে বলল অর্ঘ্য।
তৃষা কথা বলতে পারল না।তার চোখ থেকে শুধু দু’ফোঁটা জল ঝরে পড়ল।
পায়েল খাঁড়া(স্বত্ত্বাধিকারী) ১৯.৫.১৭
শিরোনামঃ অনুগল্প
হার-জিৎ
মার্কশিট হাতে প্রায় লাফাতে লাফাতেই স্কুল থেকে বেরোল রনিত। ক্লাসের মধ্যে ফার্স্ট হয়েছে সে__৯৭%--ছেলের গর্বে মাটিতে যেন পা’ই পড়ছে না মল্লিকার। এক্সট্রা টিউশনের ফিজ’টা সুদে-আসলে উসুল হয়ে গেছে তার।
অর্ঘ্যর রেজাল্টটা খুলেও দেখেনি তৃষা। মোটে ৭৫%_এখন সে মুখ দেখাবে কীভাবে মল্লিকার কাছে? সেদিন কিটি পার্টিতে কত বড় মুখ করে বলেছিল এবারের এক্সামে অর্ঘ্য রণিতকে টেক্কা দেবেই।হারের দুঃখ আর সবার তাচ্ছিল্য দুটোই এবার তাকে হজম করতে হবে__ছিঃ ছিঃ! লজ্জায় কালো করে এল তৃষার মুখ।
স্কুল-ফিরতি রাস্তায় সকলের সামনেই দৌড়ে এসে তৃষাকে প্রনাম করল পল্টুর মা। বলল ‘খোকাবাবুর দয়ায় এ’যাত্রায় আমার ছেলেটা পেরানে বেঁচে গেল মেমসাহেব! পল্টুর অপারেশনের জন্য টাকা চাইতেই সকলে কুকুরের মত দুঃচ্ছা করল।খোকাবাবু যদি টাকাটা না দিতেন তাহলে আজ আমার ছেলেটা__আপনি মানুষ নয় দেবী,যে এমন সোনার টুকরো ছেলেকে পেটে ধরেছেন।ভগবান আপনাদের মঙ্গল করুন,মঙ্গল করুন!’
“সরি মা আমি ফার্স্ট হতে পারিনি।পল্টুর জীবনটা আমার ৯৭% তোলার থেকে অনেক জরুরী মনে হয়েছিল।আমার জন্য তুমি হেরে গেলে__আই অ্যাম ভেরি সরি।” শুকনো মুখে বলল অর্ঘ্য।
তৃষা কথা বলতে পারল না।তার চোখ থেকে শুধু দু’ফোঁটা জল ঝরে পড়ল।
পায়েল খাঁড়া(স্বত্ত্বাধিকারী) ১৯.৫.১৭
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন