ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭

স্বাধীনতার ইস্কাবন
        - সুদীপ তন্তুবায় নীল


স্বাধীনতা, জৌহর ব্রতের সেঁজুতি বহ্নির ব্যানকনিতে

তোমার বিদূষী বাগদত্তা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে ক্রমশ ...

নারী নগর-নাগরীকত্ব বিসর্জন দিয়ে

আর চায় না কোনো জীবন জাহাজের লোথাল বন্দর !

টলেমীর ইমায়োসের কোনো সমতলে

বিক্ষত ইস্কাবনের ইগলু, রক্ত মাখা বরফ ...

তাদের শরীর জুড়ে শরীর বিছিয়ে তারা ক্লান্ত !


স্বাধীনতা, শত সহস্র প্রাচীন কালিবঙ্গান

তোমার দিকে চেয়েই শরীর বিছিয়েছিল একদিন

মনে পড়ে ?


তুমি এলে কেন ? বেশ তো ছিল না ভাঙা পৃথিবীটা...


তোমার হাত ধরেই মীরজাফরতায়

মানচিত্র থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে মহেঞ্জোদারোর যৌবন

কত শত নর্ডিক প্রেমের সভ্যতা !


মনে পড়ে সেই দিনটা- যেদিন বেআব্রু করে

চৌরাস্তার মোড়ে তোমার গলায় পরিয়ে দিয়েছিল

গিলোটিনের মালা ?

আল্লা-রাম যেদিন এক আত্মীকরনে ভেদ করেছিল

সমস্ত রহস্যের রাজপথ ?

মনে পড়ে ? দিনের শেষে চৈত্রের চৈতালীর মতো

তোমাকে ঘরে তোলার লড়াই ?


কি লাভ হলো ?

আড়ালে আবডালে বেপরোয়া ব্রিটিশিয়ানায় প্রসব হল

গিলোটিন গনতন্ত্র

এই লাভ !


এলে কেন এভাবে ?

তোমার শরীর থেকে রক্ত মুছতে মুছতে

কতজন ধুয়ে মুছে গেছে কালের প্লাবনে- হিসেব রেখেছে তার ?


নিষ্প্রয়োজন চাঁদের জ্যোৎস্না মাখা অভ্যাস

এখনও পোষা থাকে বাঙালিয়ানায় !

স্বাধীনতা, তাই তোমাকেই খুঁজে চলা

চানহুদাড়োর হারানো চাবিগাছার খোঁজ বুকে নিয়ে ...


কাল শুনেছি- শশ্মানের পাশে জ্বলন্ত দেহকে ঘিরে থাকা

মৌন আত্মীয়দের ফিসফাস,

তোমার অটোগ্রাফের উপকূল চিরন্তন জলধির নোনা জোয়ার এসে

গর্ভবতী করলেই নাকি মৃত্যুর দেখা মেলে ... !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন