আমি চোর নই
শ্যামাপদ মালাকার
সবজিবাজারের টাকা চুরি করা নিয়ে,-আমাকে কেন্দ্র করে গতকাল বড়বৌ-দি সবার
মাঝে যে তুমুল গণ্ডগোলটি পাকিয়ে- আমাকে যে চোর বলে প্রমাণ করেই ছাড়ল,
ইতিমধ্যে তুমি-- ওপাড়া হতে এসে নিজের কানে শ্রবণ করে গেছো।
বাসভূমি ত্যাগ করার আগে বা মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত পূর্বে, কোনো মানুষ
মিথ্যে কথা বলে যায় নি। আমার সেই রকম একটি চরম পরিস্হিতি এসে দাঁড়িয়েছে।
তোমার Picture পোষ্টে আমার কমেন্ট Like দাও বা না দাও,-আমাকে বোঝার মতো
তুমি ছাড়া এজনমে আমার আর কেউ নেই। তাই সত্যিটা তোমাকে বলে যাচ্ছি।
--তুমি অবগত আছো,-আমি ছোটো বেলাতে মা ও বাবাকে হারিয়েছে। তাই চাকরানীর
মতো,--সবজিবাজার করা - বাটনা বাটা -এমন কি এঁঠো বাসন মাজা পর্যন্ত- বাড়ির
সমস্ত কর্মই তুলে নিয়েছিলাম,--শুধু একমুঠো ভাতের জন্য।
তুমি জান! ঝামেলার আগের দিন সবজিবাজার করতে গিয়ে পাঁচ টাকা বাঁচিয়ে
ছিলাম। কারণ তোমার Pic- কমেন্ট করবো বলে। তুমি হয়তো এবার বিশ্বাস
করলে,-"নীলিমা চোর!"
দেখ,- তোমার মতো কোম্পানিরর Offer পেয়ে Net রিচার্জ করার মতো আমার অাজও সামর্থ নেই।
তুমি বিশ্বাস করো,- সবজির পরিমান কমিয়ে টাকা চুরি করিনি, শুধু,- পয়সা
দেওয়ার সময় সবজিবিক্রেতাদের,--খুচরো নেই বলে এক-আধ টাকা কম করে
দিলেই,-আমার পাঁচ টাকা Net টপাপের একটি দাম উঠে যেত।
তোমার Picture পোষ্ট দিনের পর দিন কমেন্ট করে যেতাম।
কেন যেতাম আমি জানিনা। একদিনও বোঝার চেষ্টা করিনি, আমি তোমার যোগ্য কি
না,-- তুমি পছন্দ করো কি না,-শুধু অন্ধের মতো তোমাকে পাওয়ার নেশায়
ইতিমধ্যে,- ছেলে পক্ষের বাড়ি থেকে অসা, নিজের কয়েকটি সম্বন্ধও ভেঙ্গে
দিয়েছি।
এর জন্য দাদা ও বৌদির নিকট- আমাকে কম অপমানিত হতে হয়নি, কিন্তু সেই অপমান
আমাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করতে পারেনি।
আমি তোমার হই বা না হই, মনে বড় সাহস পেতাম এই ভেবে,-তুমি তো আছো, ডাকলেই
তোমার কাছে চলে যাবো।
এই গরবেই অনেকখানি গরবিনী হয়ে উঠেছিলাম।
বৌদির এখানেই অাত্মজ্বালা। সে ভেবেছিল,-"কার গরবে অভাগীর এত অহংকার!"
এর অনুসন্ধান করতে গিয়ে হঠাৎ একদিন দেখে ফেলে,-আমি ফেসবুক ইউজ করছি।
তারপর হতে আমিও একটু সাবধান হলাম।
বৌদির মনে আমার প্রতি অসৎ সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকে।
দিনের পর দিন,-দাদাকে উত্তেজিত করতে থাকে এই বলে--"তোমার বোন
নীলি,--সবজির টাকা চুরি করে- ফেসবুক ব্যবহার করছে।"
আর এজন্য সেদিন তুমুল গণ্ডগোলটি বাঁধিয়ে দিল,--যা আগাগোড়া সমস্তটাই তুমি
একজন সাক্ষী হয়ে রয়েছো যে,-"নীলিমা চোর।"
সেদিন বার বার মনে হয়েছিল, এ মিথ্যে অপবাদ আমি সয়লেও- তুমি সয়বে না।
বড় অাশাছিল- আমাকে অনেক দূরে নিয়ে চলে যাবে,-এই রকম ভাবতে ভাবতে এক সময়
নিবিড় নিশি প্রভাত হয়ে এল-- তবু তোমার Picture পোষ্ট হতে,-আমার কমেন্টের
একটিও Like এল না!।
আজ আমি পিছিয়ে পিছিয়ে এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছি--যে কোনো মুহূর্তে ক্ষয়িত
বারিধিতীরসঙ্গে পড়ে- তরঙ্গময় উত্তাল সমুদ্রে মিলিয়ে যেতে পারি।
ভাল যদি না বাস, তবে কেন সেদিন ওপাড়া হতে ছুটে এসেছিলে! শুধু কি চোর
হতভাগীর বিরুদ্ধে সারা জীবন সাক্ষী হয়ে থাকার জন্য!?
যেতে যেতে তোমায় একটি কথা বলে যাচ্ছি,-"এজগতে সবজিওয়ালারা যেটুকু দয়া
করতে পারে, সেটুকু দয়া আপনজনেরা করতে পারে না!!।
শ্যামাপদ মালাকার
সবজিবাজারের টাকা চুরি করা নিয়ে,-আমাকে কেন্দ্র করে গতকাল বড়বৌ-দি সবার
মাঝে যে তুমুল গণ্ডগোলটি পাকিয়ে- আমাকে যে চোর বলে প্রমাণ করেই ছাড়ল,
ইতিমধ্যে তুমি-- ওপাড়া হতে এসে নিজের কানে শ্রবণ করে গেছো।
বাসভূমি ত্যাগ করার আগে বা মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত পূর্বে, কোনো মানুষ
মিথ্যে কথা বলে যায় নি। আমার সেই রকম একটি চরম পরিস্হিতি এসে দাঁড়িয়েছে।
তোমার Picture পোষ্টে আমার কমেন্ট Like দাও বা না দাও,-আমাকে বোঝার মতো
তুমি ছাড়া এজনমে আমার আর কেউ নেই। তাই সত্যিটা তোমাকে বলে যাচ্ছি।
--তুমি অবগত আছো,-আমি ছোটো বেলাতে মা ও বাবাকে হারিয়েছে। তাই চাকরানীর
মতো,--সবজিবাজার করা - বাটনা বাটা -এমন কি এঁঠো বাসন মাজা পর্যন্ত- বাড়ির
সমস্ত কর্মই তুলে নিয়েছিলাম,--শুধু একমুঠো ভাতের জন্য।
তুমি জান! ঝামেলার আগের দিন সবজিবাজার করতে গিয়ে পাঁচ টাকা বাঁচিয়ে
ছিলাম। কারণ তোমার Pic- কমেন্ট করবো বলে। তুমি হয়তো এবার বিশ্বাস
করলে,-"নীলিমা চোর!"
দেখ,- তোমার মতো কোম্পানিরর Offer পেয়ে Net রিচার্জ করার মতো আমার অাজও সামর্থ নেই।
তুমি বিশ্বাস করো,- সবজির পরিমান কমিয়ে টাকা চুরি করিনি, শুধু,- পয়সা
দেওয়ার সময় সবজিবিক্রেতাদের,--খুচরো নেই বলে এক-আধ টাকা কম করে
দিলেই,-আমার পাঁচ টাকা Net টপাপের একটি দাম উঠে যেত।
তোমার Picture পোষ্ট দিনের পর দিন কমেন্ট করে যেতাম।
কেন যেতাম আমি জানিনা। একদিনও বোঝার চেষ্টা করিনি, আমি তোমার যোগ্য কি
না,-- তুমি পছন্দ করো কি না,-শুধু অন্ধের মতো তোমাকে পাওয়ার নেশায়
ইতিমধ্যে,- ছেলে পক্ষের বাড়ি থেকে অসা, নিজের কয়েকটি সম্বন্ধও ভেঙ্গে
দিয়েছি।
এর জন্য দাদা ও বৌদির নিকট- আমাকে কম অপমানিত হতে হয়নি, কিন্তু সেই অপমান
আমাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করতে পারেনি।
আমি তোমার হই বা না হই, মনে বড় সাহস পেতাম এই ভেবে,-তুমি তো আছো, ডাকলেই
তোমার কাছে চলে যাবো।
এই গরবেই অনেকখানি গরবিনী হয়ে উঠেছিলাম।
বৌদির এখানেই অাত্মজ্বালা। সে ভেবেছিল,-"কার গরবে অভাগীর এত অহংকার!"
এর অনুসন্ধান করতে গিয়ে হঠাৎ একদিন দেখে ফেলে,-আমি ফেসবুক ইউজ করছি।
তারপর হতে আমিও একটু সাবধান হলাম।
বৌদির মনে আমার প্রতি অসৎ সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকে।
দিনের পর দিন,-দাদাকে উত্তেজিত করতে থাকে এই বলে--"তোমার বোন
নীলি,--সবজির টাকা চুরি করে- ফেসবুক ব্যবহার করছে।"
আর এজন্য সেদিন তুমুল গণ্ডগোলটি বাঁধিয়ে দিল,--যা আগাগোড়া সমস্তটাই তুমি
একজন সাক্ষী হয়ে রয়েছো যে,-"নীলিমা চোর।"
সেদিন বার বার মনে হয়েছিল, এ মিথ্যে অপবাদ আমি সয়লেও- তুমি সয়বে না।
বড় অাশাছিল- আমাকে অনেক দূরে নিয়ে চলে যাবে,-এই রকম ভাবতে ভাবতে এক সময়
নিবিড় নিশি প্রভাত হয়ে এল-- তবু তোমার Picture পোষ্ট হতে,-আমার কমেন্টের
একটিও Like এল না!।
আজ আমি পিছিয়ে পিছিয়ে এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছি--যে কোনো মুহূর্তে ক্ষয়িত
বারিধিতীরসঙ্গে পড়ে- তরঙ্গময় উত্তাল সমুদ্রে মিলিয়ে যেতে পারি।
ভাল যদি না বাস, তবে কেন সেদিন ওপাড়া হতে ছুটে এসেছিলে! শুধু কি চোর
হতভাগীর বিরুদ্ধে সারা জীবন সাক্ষী হয়ে থাকার জন্য!?
যেতে যেতে তোমায় একটি কথা বলে যাচ্ছি,-"এজগতে সবজিওয়ালারা যেটুকু দয়া
করতে পারে, সেটুকু দয়া আপনজনেরা করতে পারে না!!।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন