অধ্যায়পাঠ
রথীকান্ত সামন্ত
আঙুল আর চোখের অসীম কৌতুহল সাদাকালো অরণ্যের
ভিতর দিয়ে বয়ে চলে আলাপ বিলাপ মাখা কোনো এক
শরীরি আবেশ থেকে প্রতীক্ষিত চেতনার দিকে,
এবং ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসে অন্ধকার আলোরছলনায়।
আলো কি ছলনা করে ?
এ প্রশ্ন থেকে চোখ না সরিয়েই চেয়ে থাকি
সন্ধ্যা , সকাল, বিকেল ও গোধূলির পানে ।
বালুতট শীতল হয়, পায়ের তলার আকাশে জ্বলে ওঠে
সিলিকন তারা, বিকেল ডিঙিয়ে ফুটে ওঠে পূর্ণিমা।
মঞ্জুভাষী জোৎস্না আমার চোখে স্পন্দন নিয়ে আসে।
নেমে আসে সেই নারী যার মুখ কোন
সুররিয়ালিস্ট শিল্পীর আঁকা।
সমস্ত অনিয়মের মাঝে তার অতলস্পর্শী
চিরাচরিত নাভিকুন্ডলি, যার ভিতরে অনায়াসে ঘুমিয়ে আছে সূর্য। তার অল্প আলো রুপোলি তরঙ্গে মিশে ছড়িয়ে দিচ্ছে
যে ইঙ্গিত
তার পাঠ নিই প্রহরের পর প্রহর। তার প্রতি
পলক একেকটা অধ্যায়।
ভাষার দৃশ্য আছে, দৃশ্যেরও যে ভাষা আছে
তার পাঠ শেষ করে আমি তর্জনী তুলি মহাকাশে।
মৃদু হেসে মুখ ঢাকে শুক।
আমার সমস্ত অধ্যায় ভিজে গেছে শিশিরে।
শেষ চেষ্টায় মন্থনদন্ড প্রবেশ করাতে গিয়ে
দেখি মন্থনপাত্রে
সোনালী বালি ছাড়া আর কিছু নেই।
কোনো কোনো অধ্যায় অর্থময়তায় নয়, দৃশ্যময়তায় বাঁচে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন