স্বাধীনতা উপহার
বিশ্বজিৎ হালদার
আমার সাধের স্বদেশভূমি,
নিমেষে দেখি
ভাঙ্গনের উঠোন!
উদ্বাস্তুদের পোক্ত উপনিবেশ,
আমরা বন্দি পরিচিত কারাগারে!
নতুন শাসক মেতেছে
অচেনা অত্যাচারে খেলায়,
শিশুর ফোঁপানো কান্না থামাতে
এক ঝিনুক দুধের জোগান নেই!
চাবুকের শব্দে কেঁপে ওঠে হৃদ যন্ত্র,
তরুনের রক্তে যে উদ্দোম
রানারের মতো ছুটে,
খুঁজতে চেয়েছে অরুণ আলো।
টুকটুকে রাঙা বুকে তাজা রক্তক্ষরণ,
লাল রঙে এঁকেছে এলোমেলো আলপনা
ভারত ভৃধরে।
নোনা জলে ভিজেছে
কত না মায়ের সাদা আঁচল,
ভয় হয় প্রদীপ যখন নিভে যায়,
বোধির দৃষ্টির বুড়িমার দুয়ারে পায়
পুরনো রক্তের গন্ধ!
খোকা সেই যে গেল মুখের খাবার খেলে
আরতো এলো না?
বড়ো উপহার দেবে বলেছিল-” স্বাধীনতা ”
সে আবার কেমন দেখতে?
রক্ত ক্ষরণের নতুন নিয়োম না
নতুন অন্ধকারে বন্দি?
মন খারাপের বারান্দায়
এসেছে বিহান বেলা
আকাশ ভরা সেই পরিচিত
চাঁদ, সূর্য, তারা ফুটেছে শিউলি।
শেষ ডংকারে বাজে আমাদের জয়গান "বন্দেমাতরাম"
সবার খোকা বলে গেল
মাগো তোমায় স্বাধীনতা দিলেম উপহার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন