নমস্কার আমি সুদীপ্ত সেন,জলফড়িং ওয়েব ম্যাগাজিনের ফাউন্ডার৷ আমরা আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পর বিপর্যস্ত মানুষদের সাহায্যের জন্যে সামান্য নামে একটি ই-বুক আয়োজন করে ছিলাম আর ই-বুকটি বিক্রি করে যে অর্থ আমাদের হাতে আসে তার পরিমান ছিলো ৩০০০ টাকা।
এখন সমস্ত খরচের হিসেব দেওয়া হলো।
১.) কবি অতনু বর্মনের হাত ধরে আমরা সাহস পেয়েছিলাম একটা গঠনমূলক কাজ করার। আমরা তিতলি ভলেন্টিয়ারের কাছে ১৫০০ টাকা দিয়েছিলাম। তিতলির কাজটা হলো মূলত লকডাউন এর ফলে কর্মহীন মানুষ এবং ফুটপাতবাসী ও ভবঘুরেদের দুই বেলা প্রায় শতাধিক মানুষের দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে এরা খাবারের আয়োজন করে চলেছেন।
মূলত সিউড়ি এলাকা জুড়ে এদের কাজ।
২.) বীরভূমের পাইকর নামে একটি গ্রামে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে পুরো ঘর পুড়ে গিয়ে বাসস্থান এবং খাবারহীন হয়ে যায় একটি বাড়ি। আমরা তাদের কে কিছু খাবার দিয়েছিলাম । ৫০০ টাকা সাহায্য করতে পেরেছিলাম। ১০ কেজি চাল, এক কিলো তেল, সোয়াবিন তিন প্যাকেট আর লবন ১ প্যাকেট।
আলোর টিম বিপর্যয়টি পর্যবেক্ষণ করেছিলো নীচে ভিডিও দেওয়া হলো।
৩.) সৌম্যদীপ দা একটা NGO চালান সেখানে একটি বিশেষ রাখীবন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে ছিলেন তিনি কোলাঘাটের কিছু বাচ্চাদের নিয়ে। তাতে ৫০০ টাকা সাহায্য করে সেই কাজের ভাগীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিস্তারিত নীচের লিঙ্কে ক্লিক করলে জানতে পারবেন।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2720162731593947&id=100008007406887
৪.) আলো ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা এক সদ্যজাত বাচ্চার চোখের অপারেশনের জন্য ববস্থা গ্রহণ করে। আমরা তাদেরকে দিতে পেরেছিলাম ৩০০ টাকা মতো যা নীচে জানানো হলো।
৫.) ই-বুকটি প্রায় ৯০ পাতার কাছাকাছি হয়েছিলো তার জন্য শব্দলেখা প্রকাশনীকে আমরা দিয়েছিলাম ৬০০ টাকা।
আমাদের মোট খরচ ৩৪০০ টাকা
এমন কাজের পাশে শব্দ লেখা থাকতে পেরে আনন্দিত। মানুষের পাশে দাঁড়াতে সব সময় আমরা আছি।
উত্তরমুছুন