রথীকান্ত সামন্ত
চামড়ার নিচে বালিঘড়ি
বেলা বাড়তে থাকে যত, তত আত্মদগ্ধ হই।
মরা বালির চরে তীক্ষ্ণ শরবনে ছায়া খুঁজি মুখ নামিয়ে।
পোড়াগন্ধী কালকূটশ্বাসে ভিতরের সমস্ত ছাকনি গলিয়ে
বিকৃত করে তোলে আমার আজন্মলালিত দেহতত্ত্বের জ্ঞান,
আমায় অস্থির করে তোলে।
ভিতরে ভিতরে রক্তক্ষরণ।
তার ছাপ পড়েনা বাইরে।
পড়লেও তা চেনার মতো চেনা চোখগুলো অচেনা হয়ে যায়।
একটা নির্জনপ্রান্তরে শতছিন্ন ছাউনি, টলমল খুঁটি।
মায়ের ছবির নিচে বহু অযত্নের শীতবাগান।
শুকনো ফুলঝরা বেদিতে শুয়ে আছে বিকল পিতৃপ্রতিমা।
চোখের স্বপ্নশলাকা বেচে কিনে নিই একটা ইস্পাতের,
যাতে আলো আছে।
মিশে যাই রুগ্নপাখি আর উড়ন্ত মানুষের শহরে।
শহর বদলাচ্ছে।
আপনি থেকে তুমিতে, তুমি থেকে নগ্নতা ছুঁয়ে
কত আলাপ ছড়িয়ে পড়ছে জানিনায়।
রাত বাড়লে নেশাঘন পরজীবীর গিজগিজে জঙ্গলে
অনাহারের আওয়াজ এখনো একই আছে।
ভালোবাসা বদলে গেছে নষ্ট ইচ্ছায়,
তার সাথেই বদলে গেছে সিঁধ কাটার পদ্ধতি,
কবিতা আর ভাষণের ধরন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন