ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯

উন্মচন
অরূপ ।

মনের ভেতর কত যে দেরাজ ।
যেনো কোনো হাজার দুয়ার;
কোনটা যে মুখ কোনটা মুখোশ, তা চিনতেই সময় শেষ।
অনেক ই আছে স্মৃতির ফলক,কোথাও আবার  বিস্ফরোক।
কাছের তুমি ভাবছ যাকে , মেপে দেখো সে কতো টা কাছে,

দাঁড়ায় সবাই হাসি মুখে , কার কতো হসি আছে ?
পলি পড়েছে মনের মাঝে,সবাই তো ধোয়া ই দেখে,
মৃতদেহ পড়ে আছে;শহরের ঐ প্রান্ত শেষে;
পোড়া দগদগে ঘা এর গন্ধ আসে।
অন্তর দিয়ে যে সম্পর্ক ভাবে, গল্প শেষে সেই তো ফ্যাকাশে ।

শ্রীজিত্ দাদার  ভিঞ্চি দা সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯

জন্ম বৃত্তান্ত ।

অরূপ ।

দুটি নদী কবে কার প্রাক যুগে সংগমিত হয়েছিল।
তারপর বয়ে গেছে নীলনদ পৃথিবীর বুক চিরে।
সভ্যতার হয়েছে উত্থান আবার আছে পতন ও
গর্ভে চলে গেছে কত কংক্রিটে কঙ্কাল,
সেই গর্ভে ই শায়িত আছে মহাকাল,

পলি পড়ে পুরু হওয়া গর্ভে কোনো আন্দলন নেই
তবু আছে সম্ভাবনা, সাদা রঙের আলোর আসবে এক সৃষ্টি।
তারায় তারায় স্পর্ধিত  পা ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে সময় ।
জেগে ওঠা আগ্নেয় গীরির মত ফুড়ে বেরবে নবযুগ ।

বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৯

GOOGLE ISSUE


কবি পাপিয়া মণ্ডল ২১ শে ডিসেম্বর ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বৈবাহিক সূত্রে তিনি বোলপুর শান্তিনিকেতনে বসবাস করেন । তিনি ইংরাজী সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। খুব সাধারণ আর সাধারণ হয়েই থাকতে চান লেখিকা। বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনের নিয়মিত লেখেন।
প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ :-- কালো মেয়ের উপাখ্যান। (২০১৯ কোলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা)।

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৯

GOOGLE ISSUE


লেখিকা সুজাতা মিশ্র, সুজান মিঠি নামে লিখতে ভালোবাসেন। 
লেখার শুরু ছোট থেকে হলেও পারিপার্শ্বিক চাপে থমকে গিয়েছিল তা মাঝখানে কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়ে আবার শুরু করেছেন তিনি।  লেখিকা কবিতা-গল্প-নাটকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে বিদেহী প্রেম এবং শততন্ত্রী নামে দুটি গল্প ও কাব্যের বই বেরিয়েছে তাঁর।
সারা বাংলা স্ক্রিনশট ফেস্টিভ্যালে তাঁর লেখা গল্প তৃতীয় স্থান পেয়েছে।
তার লেখা কবিতা-গল্প বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় স্থান পেয়েছে এবং পাচ্ছে।

শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৯

এখানে বসন্ত নীল

হিরেফুল কানের লতিতে, রাধিকার কদম ভূষণ !
কলাপাতা শাড়িটির পাড় ছুঁয়ে – তিরতিরে নদী। মোহনবাঁশিটি হাতে নীল ছেলে, বাঁধের ওপর
ডাক দিলে ;
ভেসে যাবো আজও !
গুঁড়ো ঢেউ চাঁদের আলোয়,
সাঁতারু স্বপ্ন খেলে যায় ―

যে বসন্ত আসেনি কখনো,
তার নীল রাতমোহনায়...

পারমিতা ভট্টাচার্য ।

রাত্রির তলপেটে
উজান উপাধ্যায়

আমার বৃষ্টির কাছে দাঁড়িও না এসে
আমার দুঃখের কাছে হাঁটু মুড়ে বসোনা কিছুতে
আমার কবরের পাশে বসে তোমার দুচোখে জল এলে
পাক্কা মরে যাবো

মেঘেদের শরীর খুব বেশি খারাপ হলেও
হাওয়াদের ভিতরে গাছের ঋতুস্রাবে
যদি খুব তৃষ্ণার্ত হয় কবরের উপরে ছড়ানো শুকনো অলিভ

যদি খুব বেশি সবুজের ছোঁয়া লেগে ছটফট করে ওঠে শ্মশানের ছাই

নগরের ল্যাম্পপোস্ট বেয়ে রাত্রির তলপেটে গড়িয়েছে কামুক নিয়ন, খুব বেশি নেশাতুর
হয়োনা তখনও

বৃষ্টির খুব কাছে দাঁড়িও না যেন
ঘাসের উপরে নীল সাঁকো বেঁধে
যদি ভাবো ফিরিয়ে আনবে নকল তাজমহল

খবরদার আসলটায় বাদামের খোসা, পুরনো চিঠির খোপকাটা ঘর, উল কাঁটা-
তোমার সমস্ত ভুল আর একটি সিগারেট
তোমার সমস্ত প্রতিজ্ঞা আর নগ্নতার গোপন ফটোগ্রাফ
এদের বেমালুম হাইড্রেনে ফেলে আসবার কথা
ঘোড়সওয়ার রাত্রির কাছে বলতে যেওনা

এখন চুপটি করে নিজেকে স্নান করিয়ে
চন্দন গন্ধ মেখেছো হৃদয়ে

এবার নিশ্চিত দেখো
তোমার বোতাম গুলো পটপট করে খুলে যাচ্ছে

দূরে সঙ্গমের চোখ খোলা আছে নাগরিক একটি রূপসী মেয়ের টসটসে পাহাড়ি মুদ্রায়

মরে যেতে গেলে নাও মানতে পারো
ওপরের একটি নিয়মও


#প্রেম_অপ্রেম
#নম্রতা_নাহা

রূপকথার চিরায়ত সুখে থাকাথেকে

রবিঠাকুরের ছোটো গল্প বেঁয়ে

মন হঠাৎ উদাস যখন

শেষের কবিতার অমিত, লাবণ্যতে.....

ঠিক তখনি প্রেম আসে

সরস্বতী পুজোর প্যান্ডেলে অঞ্জলীর ফাঁকে.....

প্রেম তখন ফ্রক পরা ত্রয়োদশীরমন কাঁপায়....

প্রেম তখন গোলাপি জ্যাকেটে গ্রীসিয়ান ছাঁদের পাড়াতুতো দাদায়,

প্রেম তখন নিছকই মোহময় কিছু ভাবাবেগ

হঠাৎ এসে হঠাৎই চলে যাওয়া যেন শরতের মেঘ,

তারপর ...... আসে সেই কাব্যময় সন্ধ্যে ,

প্রেম এসে দাঁড়ায় লজ্জ্যাহীন

বলে ওঠে তোমার মতো কেউ চোখে পরে নি কোনোদিন

.......আর তারপর ...

আবারও আসে প্রেম পাগল হাওয়ায় দ্বিধাহীন

ওলোট পালট উথাল পাথাল আনন্দময় নিত্যদিন

......সেরমই সে চলেও যায় দীর্ণ হৃদয় ছাওয়া দীর্ঘশ্বাসের ভার ফেলে

প্রেম যেন তখন পাখি , সুদূর আকাশে দেয় ডানা মেলে ...

প্রেম আসে যায় .....নিরুচ্চার তার ভঙ্গি

পথের বাঁকে খুঁজে নেয় পথ চলার সঙ্গী

কখনো প্রেম হাত ধরে হাঁটে নন্দন চত্বরে ...

কখনো গঙ্গার পাড়ে হাওয়া খায় হঠাৎ পাওয়া অবকাশে ..

একই আইসক্রিমে কামড় বসিয়ে আপ্লুত প্রেম বলে ওঠে

“তোমায় দিলাম আমার হৃদয় ”

সেই প্রেমই হাত ছাড়ায় ভীষণ রকম নির্দ্দ্বিধায় ....

প্রেম এরপর ঘরণী হয়ে গড়ে তোলে সংসার ,

বানিয়ে দেয় টিফিন, খুঁজে দেয় রুমাল, বুনে দেয় সোয়েটার...

হাসি, গল্পেই কেটে যায় কিছু দিন ...

ঝগড়া, খুনসুটিতে, প্রেম তখন অনেকটাই সাবলীল

সেই প্রেমও এসে দাঁড়ায় মাসের হিসেবের খাতায়

একই শয্যায় রাত্রি যাপন, কিছু চাওয়া কিছু না পাওয়ায়....

প্রেম তবু চিরায়ত ...এটাই সত্যি

খুঁজতে যেয়ো না তার সত্বা..দেখবে সবটাই অপ্রেমে ভর্তি ...

প্রেমে ভালো থেকো, ভালো রেখো.....সেটাই পরিশেষ

সেটাই বেঁচে থাকা

ভাবো না কেন ?

এই তো আছি বেশ !


অবনী
স্নেহা সরকার
পাহারে এখন শীত কাঁথা মুড়ি দিয়ে মিশে গেছে পাইন বনের ধারে,,, তোমার জন্য নুন জলের স্রোত আমি গুনে রেখেছিলাম ঝড়নার কাছ থেকে ধার করে।,,, বছর ২ এক আগে বসন্তে সিথি রাঙিয়ে দেওয়া আবির এর লাল কালচে ডগায় মুছে গিয়েছে।। পাহারে এখন রোদ্দুর আসার সময় কুয়াশার পাশে মুখ রাখলে তোমাকে আবার  করে মনে করতে ইচ্ছে করে,,
অরনি,,
ভোর বেলার কুরিয়ে দেওয়া পলাশ ফুলের মালাটা খুজে পেয়েছি গতো রাত্রে।।  তুমি চলে যাওয়ার পর ওটা তুলে রেখেছিলাম আজ যেনো তা বসন্তবিলাপ হয়ে ওঠে অভ্যন্তরীণ চাহিদার মতোন।। প্রিয় মানুষের ফেলে যাওয়া স্মৃতি গুলোকে পুড়িয়ে ফেলতে পারলেও চোখের সামনে দিয়ে ছুড়ে ফেলতে কেউ পারেনা।।
পাহারি মেয়ে গুলোর হাত ধরে বসন্তের বিহু আমায় নাচিছে,  কোকিল এর কলরব কিংম্বা, পাহারের গায়ে নুয়ে পরা রোদ্দুর আমি প্রেমে পড়েছিলাম বার বার।।
তবুও জানো
অরনি,,
তোমার মতো করে এমন ভালো কেউ বাসেনি।
তাই হয়তো ছেড়ে যাওয়ার পরে আমার মনে বসন্ত আর আসেনি।।
কাব্যিক হোরিখেলা
জয়দীপ রায়
দূর দেশ হয়ে ফিরে আসা
মেঘ গুলোর বুক চিরে
এক আলসেমি রোদ জেঁকে বসেছে
বহু দিনের আড়ি করে দেওয়া সিঁড়িটার বুকে

এক বিস্তীর্ন ব্যবধান মুছে যাওয়া রঙ
কেঁদে ওঠা মাঝরাতের আয়না
তোমার মনে পড়ে রোদ
মনে পড়ে রঙ যে আমার বারন
নিষেধ সিঁড়ি গুলোতে চড়া
দোতারার সুরে পা মেলাবে সকাল
একলা দুপুর খু্ঁজবে তখন ঘর
খুঁজে নেবে রঙ পৃষ্ঠা নম্বর ঘেঁটে
থাকবে মাঝে রঙ রাঙিয়ে যাওয়া আকাশ
খুঁজে নেবো রঙিন পাঞ্জাবীটাও
কাব্যিক হোরিখেলায়।

বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯




নৈশ উলগুলান ।

অরূপ ।


ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়েছে,

শেষ রাতে পেঁচার ডাক মন খারাপের সুর দিয়ে যায় ।

আধো আলো আধো অন্ধকারে মায়াময় গল্প বলে হাওয়া ।

জেগে ওঠে কবেকার সেই না পাওয়ার হাহাকার,

সীমান্তে কবে থেকে পড়ে থাকা  আবেগ; অবহেলায় পোড়ে থাকে  ধুলো মেখে,

ব্যস্ত সভ্যতার  তির্যক ভঙ্গি সহ্য করে তারা ।

সকলের রোদ লেগে মূর্ত হয় আবেগেরা,

পুরোনো সময়ের জীর্ণতা ঢাকে নতুনের আহ্বাণ

শুরু।
#আলোকলতা'র গর্ভপাতের পর
-------------------সুদীপ্ত সেন

গায়ে তোর নাম লিখে যাবো
ভেবেছিল সেই পিতামাতা।

তাই তারা কাছে আসে রোজ
শরীরে ভালোবাসা পাতা।

তবু তাও গুমরয় মেঘ
দিন গেলে ফিরে যেতে চায়

কি এমন ঘটে গেল তাদের
পাশে নেই ঘুম বিছানায়।

একদিন ফিরে গেল মেয়ে
মন বসে ভাঙা শশ্মানে।

ছেলে বলে কেন গেলে তুমি
উত্তরে ভালো থাকা নেই।

দমকানো হাওয়া এসে বলে
তুমি ছিলে পেয়েছিলে কাকে

ও'তো আগে দুমরানো ছিল
ভালোবেসে ছিল আগে যাকে।

তাই পরে ঠিক হলো তারা
নাম খানা ফেলে পিতামাতা

এটা তো তুমি চেয়েছিলে, আমি চাই--
আলোকের গায়ে দিও লতা।
বিচ্ছিন্ন


বীতশোকগ্রস্থ জীবন.......সবারই
একে 'জীবন ' বলা কেন?
কেন স্থবিরতা নয়?
মৃত মেঘের সাদা পালকের ডানায় ভাসমান জীবন-----
এ কি স্থবির নয়?
বড় নিঃসঙ্গ আর একাকী নয়?
শিশিরস্নাত জোনাকির মত.....

নাগরিক যন্ত্রণাই তো আসলে বিচ্ছিন্নতা----
ছেঁড়া চিত্রকল্পের মতো,যার কাটা হাত....
একটা কাশ্মীরে তো অন্যটা আন্দামানে
পরস্পর স্পর্শহীন,স্পর্শকাতরতাহীন আর বিচ্ছিন্ন।
বন্ধ্যা হৃদয় তবে কিভাবে বাঁচবে?
কতটা বিষ সেবনে আরো---
আরো---আরো-----আরো----
বিষ ভোক্তা নীলকন্ঠ হবে......
অনন্ত অন্ধকারের কাছে,
নীরবে নীরবে ঢলে পরবে---
চিরকালীন প্রশান্তির কাছে........


 ...............  -------------------- অর্ঘ্য কমল পাত্র
স্ফুলিঙ্গ
স্নেহা সরকার
অনেকটা বিপত্তি পেড়িয়ে একটা চারাগাছ মাটি ফুরে সবে বেড়ল , কেউ যত্ন করে টবে সাজায়নি,বা উচ্চফলনশীলতার আশায় সার দেয় নি গাছে তবুও সে সবার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ফুটে উঠেছে।  ঠিক তোমার মতোন, যেমন করে প্রতি মুহূর্তে তোমাকে ভেঙে পড়তে হয়, কখনো তোমার কদাকার চেহারার কাছে বা, অর্থ গতির হীনমন্যতায়। তবুও কখনো, বন্ধু বা পরিবার শুধু বেঁচে থাকার সান্তনা দিচ্ছে বা প্রধান প্রামাণ্যে কিছু সংকীর্ণ মনের দয়া।। সকাল বিকেল সমাজ তোমার নিরহতার ওপর পাথর চাপিয়ে চলেছে তুমি মেনে নিচ্ছ তবুও,,,। তোমার মনের প্রতিবাদ থাকলেও মুখে একটা শ্লদ অবুর্দ আছে,, হয়তো সেখানেই প্রতিবাদের বারুদ টা  জলে ডুবে ড্যাম ধরে গেছে।। বার বার তোমার না পারা গুলো দুর্বলতার মতো অসামান্য বা সামান্য কে ছাড়িয়ে হয়েছে নিকৃষ্ট,, ঠিক ওই গাছ টার মতো।।।

তবুও,
  তুমি বেঁচে ওঠো মাটি ফুরে আবার জন্ম নাও,  যেভাবে সবার অমতেও গাছ টা উঠে দাঁড়িয়েছে নিজের জন্য।।  এতো দিনে গাছটাতে অনেক ফুল হয়েছে,,  শক্ত কিছু ডাল পালাও।। আর যারা তোমাকে একদিন নিচু করে তুলতো তারা এখন গাছ টার নিচে বসে থাকে ছায়া পেতে।।।
প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির খতিয়ান
---------------------------------
সোনালী নাগ


যদি বলি ওর কপালে লাল টিপ ছিলো না বলে আমার মন খারাপ হতো কতবার
যদি বলি ঘরের এক কোণে বসে, পাশের খালি চেয়ারটা তে ওর বসার অপেক্ষা করেছি কতো হাজার বার
যদি বলি কিশোর প্রেমের স্বপ্নের নায়িকাকে হটাৎ সহকর্মী হিসাবে মেনে নেওয়া সহজ ছিলো না সেদিন,
যদি বলি তার বৈধব্য সাজ আমাকে তোলপাড় করেছিলো ভিতর থেকে,
আটকে গেছিলাম কোথায় জানো, আমার সহধর্মীণীর কপালের গণগণ লাল আভাতে,
যদি বলি সেদিন রাত জেগেছিলাম, মন আর মস্তিষ্কের বিরোধিতা খুঁজেছিল, ভালোবাসা নাকি বৈধতা,
এগিয়ে এসে হাত টা ধরতে পারি নি বলেই হয়তো ছায়া সঙ্গী হয়ে হেঁটে গেছি করিডোর.
ভাগ্যের হাতে পরাজিত সৈনিক হিসেবে, ভাগ্যের সাথেই লরেছি আপামর.
তোমরা সেদিন ফিসফিস করে বলেছিলে কথা, কতো উপহাস সেদিন, কতো কবিতা,
নিরবতা ভেঙে প্রতিবাদ জেনো তা শুধু তোমাদের পোশাকি প্রেমের বিরুদ্ধে,
বুঝিয়ে দিতে চাই কতটা অসহায় তোমার প্রেম হিসাব নিকাশের খতিয়ান এ, ঠিক কতটা প্রেমিক তুমি ব্যর্থ,
কতটা তোমার সাজানো প্রেমের ব্যর্থতা!!

কাজের ফাঁকে চোখের ইশারায় শুধুই টিফিন বাক্স বিনিময়,
তোমরা কি এটাকে প্রেম বলে মনে নেবে এসময়?
আচ্ছা ধরো বাংলা ক্লাসে ওকে দেখিনি বলে যদি ভুল হয়ে যায় আমার ইতিহাসে?
তুমি কি মানবে বলো , আমার অজান্তে আমার মন তাঁকে ভালোবাসে,
যদি শুধু করিডোর এ পাশাপাশি হেঁটে কাটিয়ে দিই জীবনের চল্লিশটা বছর,
যদি বলি সে আমার জীবনসঙ্গী ছিলো না, আমি সাজাই নিয়ে কোনোদিন তাকে নিয়ে ফুলবাসর,
তোমরা কি ব্যাখ্যা খুঁজতে বসবে, নাকি উন্মুক্ত বাহু তে করবে আলিঙ্গন,
উদাত্ত গলায় বলবে, নিস্বার্থ প্রেমই তো শাশ্বত চিরন্তন!!

আজ গোলাপ ফুলের পাপড়ি সাজানো সে, ধূপ চন্দনে আজও সে অপরূপা,
আজও আমার সাথে কথা হয় রোজ, আজও গল্প গুলো হেঁটে চলে যাই, উল্টো ই স্মৃতির মোড়ক.
ভালোবাসার সমীকরণ এ কে বলেছে পোশাকি প্রাপ্তি আবশ্যক.
বন্ধ খিড়কির দায় (২)

*******************


কখনো মুহূর্ত চুপ !
অন্ধকার, অন্ধকার ভালো লাগে শুধু

বাবলু, তোর চোখে কত ঘুম―
এত ঘুম রাখা ছিল, জানাসনি কেন এতদিন
প্রতিবেশী কালে?
বাবলু তোর মুখ চেয়ে
ছেঁড়া খামে বিবর্ণ কালির নীল,
ওষুধ পাতায় ক্লিন্ন দাগ..

কী হয় অক্ষরবীজে!
কবিতা বাড়ানো কেন অসহ্য রকম!

মিয়োনো মুড়ির মত যন্ত্রণা ঠোঁট, আহ্..

তবু ওই রোদ দেখে,শিকড়ে শিকড়ে আলো
গুচ্ছমূলসমূহ সবুজ..

************************

পারমিতা ভট্টাচার্য, উত্তরপাড়া।
মৃত আমায় 
মৌমন মিত্র 
প্রায় একুশ বছর পর আবার  সোনাঝুরির  সেই জঙ্গলে ;
ভেবেছিলাম জানিস? আর কখনো যাবো না   দূর থেকে তোর আর্তনাদ : আমায় ছেড়ে যাস না লক্ষীটি প্লিজ ; 
এক একটা গাছের বাকল ভেদ করে আমার কানে আসছে ।
আমি অসহায়! তুই বুঝিস নি, বুঝতে চাস ও তো নি 
তোর কাছে পৃথিবীটা ভীষণ সাদা কালো  আমার কাছে ছাইরঙা ;
সেদিন তোর পাঞ্জাবীতে একটা বড় ফুটো করলি? সিগারেটে : ইচ্ছে করে ! এখনো তুই কাঁদতে কাঁদতে ঠোঁটে সিগারেট ধরাস ? তারপর বিষাক্ত তোর জিভের লালায় ভরাট আমার সারা শরীর !
উফ্! আবার সেই মাদল !  যেন তোর সব কটা সেদিনের কষ্ট এক এক করে ঢাক পিটিয়ে আমায় বলে যাচ্ছে! তুই আর ফিরবি না তাই না?
তোর রং তুলির পাশে আমার মৃতদেহ ; বলা না বলা তোর অনেক আক্ষেপ জমানো ওই মৃতদেহটায়
হাটের ওই পাড়ে জংলা মেয়েটা দেখবে কিন্তু ; আমার দেহে সেদিন লাল পেড়ে শাড়ি পড়াবি তো? আর কপালে এক গাদা সিঁদুর ! ঠিক যতটা তোর মন চায়।
সেদিন একশোটা চুমু খেয়েছিলাম নীল আকাশের পেঁজা ভেলায় ; আর আকাশকে বলেছিলাম : নে ,এই একশোটা চুমু ।
আগামী একশো বছরে একটা একটা করে ওকে দিবি  ও মরতে ভয় পায় আকাশ !! ও মরতে ভয় পায়।  বরাবর ভয় পায়।
তাই তুলি দিয়ে আমায় মেরে ফেলে ও হাসছে,
না না কাঁপছে বোধহয়  দুঃখ জ্বরে না হুতাশনের বিদ্বেষে !
অতি ইচ্ছা দুজনার ফের এই নীরব সমীকরণে।
হোমে দেবো , যজ্ঞে দেবো
অমিত পাটোয়ারী

আমরা যেসব বালিকার শীতঘুমে আটকে গেছি
আমরা যেসব বিনুনি , কমলা আর নীল রঙের স্কার্ট
আমরা যেসব সাইকেল আর রিকশার যুদ্ধে মেতেছি বিকেলে
সবটুকু হোমে দেবো , সবটুকু যজ্ঞে দেবো।

চাদরের সঙ্গে আদর আর বালিশের সঙ্গে নালিশ
মেলাতে মেলাতে আমরা যেসব কবিতা লিখিনি
বেঞ্চের নিচে মন – ঠাকুর সইবে কতক্ষন , ভাবিনি
বেঞ্চটাকে হোমে দেবো , বেঞ্চটাকে যজ্ঞে দেবো।

আমরা যেসব ভুল মানুষের মিছিল করেছি , করবো ব’লে
ভুলের পাহাড়ের নাম দিয়েছি ছোটনাগপুর
মানুষকে মানুষ আর গোরুকে গোরু বলেছি সযত্নে
মানুষটাকে হোমে দেবো , গোরুটাকে বাঁচিয়ে দেবো।

সুমনের গান আর সুনীলের সুনীল পড়ে আমরা যেসব
রক্তের পি.এইচ. , প্লাজ়মা আর কণিকা নিয়েছি বদলে
বন্ধুনিকে বলেছি , দাঁড়ালে দাঁড়াও – দেরি হবে
গানগুলো হোমে দেবো , পাগলামি যজ্ঞে দেবো।

আমরা যেসব আমি আমরা, কেউ নয় , আমি আমরা
তেইশোর্ধের প্রেমে পড়েছি বিষ্ফারিত স্বপ্নে
নাহিদা আর একবিংশেই থেমে পড়েছি স্বপ্নে
প্রেমটাকে হোমে দেবো , স্বপ্নটাকে যজ্ঞে দেবো।

ব্যবধান
------------
হৃদয়ের ডাকবাক্সটায়  ধুলোর আস্তরণ।
মন-পিওন বহুদিন খোঁজ করে নি চিঠির!
সে জানে, রঙীন আবেগে মুড়ে,
ভালোবাসার বার্তারা  আর আসবে না।

মৃত সম্পর্কের স্মৃতিস্তম্ভরা প্রশ্নচিহ্নখচিত।
কোনো কোনো প্রশ্নের উত্তর তুমি জানতে।
আবার কিছু প্রশ্নেরা, প্রশ্ন হতে চায় নি!
যেমন কোনো উত্তরও অন্তরালেই স্বস্তি খোঁজে।

নির্ঘুম রাতের আকাশে তাকিয়ে দেখি,
নক্ষত্ররা উত্থান-পতনের কাহিনি বোনে।
তারাখসা জীবনের মতোই  ভালো আছি,
তোমার আমার ভালো থাকার ব্যবধানে!
                 ********
           পাপিয়া মণ্ডল
মৃত‍্যুঞ্জয়ী মহানায়ক

                       বিপ্লব গোস্বামী
                       ৮ মাঘ ১৪২৫

মৃত‍্যুতো মানুষের হয়
দেবতার নয় ,
মানব হয়ে তুমিই কেবল
মৃত‍্যু করিলে জয়।
প্রণাম মৃত‍্যুঞ্জয়।।

এক নয়, এগারো বার
করলে কারাবাস ;
আপোস বিহীন করলে লড়াই
হয়নি কভু দাস।

বলেছিলে স্বাধীনতা দেব
আমায় দাও রক্ত ;
স্বার্থান্বেষী সব দেয়নি সাড়া
ফিরিঙ্গীর যত ভক্ত।

অকুতোভয়ে গড়লে তুমি
আজাদ সেনার দল ;
অস্ত্র হাতে বজ্র নাদে
চলরে দিল্লী চল।

তোমার ভয়ে ফিরিঙ্গী সব
ছাড়লো ভারত ভূমি ;
তুমি কেবল ফিরলে না আর
বড্ড অভিমানী।

তিন খণ্ড আজ ভারত ভূমি
এই অভিমান মনে ;
আড়াল হতে দেখছো সবই
ঘরে না ফিরার পণে।


শ্রেষ্ঠচুম্বন

একটা দৃশ্যয়মান ঘুম
তারপর...
স্বপ্নে জাবর কাটতে থাকা...
তুমি বহুদিন ভেবেছ ,
ঠিক আমারই মতো।
তন্দ্রাচ্ছন্ন শান্ত শরীর
কতবার অজ্ঞানে আঁকড়ে ধরেছ,
আলতো করে ছাড়িয়ে দিতে গিয়ে
আটকে গেছে হাত।
শান্ত শিশুর মতোই সরল
দু'টো ঠোঁট ছুঁয়ে গেছে কপাল
যেন পরমপুরুষ
উন্মাদ করেনি তো তারা।
জানান দেয়নি, দিতে নেই যে
আগলে রাখা শুধুই
মোহময়, কী নিবিড় করে তোলে
বারবার...
তাই গুনে দেখিনি আজও
আজও আমাদের শ্রেষ্ঠ চুম্বনগুলি!

------------বৈশাখী গোস্বামী
*মুখোমুখি বনলতা*
একটা শীতের সন্ধ্যায় ভেবেছিলাম মুখোমুখি বসা যায়...
যদি ভালোবাসা ভারী হয় 
তবে আর শীত করবে না বোধয় 
কিন্তু যদি অভিমানের পাল্লা ঝুলে যায়
তবে একহাতের দূরত্বে বরফ পড়বে ঠিকই.......
বুকের ভিতর টা ঠান্ডা প্রদেশ বলে গণ্য  হতেই হবে....
কেউ কারো হাত ধরবো না
চোখে চোখ রাখবো না....
     চোখের জল ও বরফ হবে বটে

ওই যে ছেলেটা সে তো তোমার উপযুক্ত আছে
মা এর সোনার চাঁদের কণা
 তবে  যাও না কেন চলে
যাও ....
ওঠো ....
উঠতে পারছো না কেনো?
 ও
 আমার প্রতি বেশি ভালোবাসার দয়া 
নাকি ওই ছেলেকে ঠিক বুঝে উঠোনি?

আসলে তুমি তুষার পাত এ অভ্যস্ত নও.....
আসলে আমার ভিতরের ফকিরিকে ভালোবাসো নি, 
বাসনি অসমাপ্ত খাপছাড়া কবিতা
তারপর কিছু পর্ণমোচী সকালে
শহরের তলপেট চুঁইয়ে পড়েছিলো লক্ষ লক্ষ কুয়াশা ঘাম......

স্টেশনের কয়েকটা ভোরের ট্রেন ছাড়ার পর 
ওপাশ ফিরে শুয়েছে চাঁদ--
বিচ্ছেদ এর আসল কারণ কি জানো?
আসলে
তুমি বেহেস্তের গানের সুর চেনো না
কবরের আজানকেই ভীষণ ভালোবাসো....
© তমোঘ্ন
আলো-অবকাশে

তোমার শরীরী ভাঁজ কবিতা হয়ে ধরা দেয়
আঁচলের ইতিহাস স্নিগ্ধতা মাখে
চোখ দুটো যেন গভীর , খুব গভীর
রাতও দুঃসাহসীক হয়
গভীরতাকে খণ্ডাতে ।

চোখের স্থিরতায় শব্দ  চঞ্চল
দমকা হাওয়ায়  ছারখার 
সর্বনাশের আগুন অবিরাম জ্বলছে  দাউ দাউ...

যৌবন উপন্যাসের অপ্রেমিক
ঠোঁটের নিস্তব্ধতা ভাঙার চেষ্টাই  ,

যেন আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা
জ্যোৎস্নার আলো ছড়িয়ে
উপত্যকার  উপর প্রেম রচনা করছে
বয়ে চলা অক্লান্ত নদীর মতো ।

প্রশ্বাসে শল্কমোচনের মত ভাঙছে স্থিরতা
আমি ঝড় দেখতে চাই ,
আকাশের এক প্রান্তে বিদ্যুতের ঝলকানি
অন্য প্রান্তে নিম্নচাপের মেঘ সরিয়ে
বাঁকা চাঁদের মৃদু আলো-অবকাশে...

#স্নেহা ঘোষ
                          মিলন


তোমার সৃষ্টির নির্যাসের প্রতিটি ফোঁটা
হোক
আমার সৃষ্টি রসের উল্লাস!
তুমি আমি এক,
আর
এই একের মাঝে আছে
আমাদের সৃষ্টি--
সারা পৃথিবীর রহস্য।
তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশুক
আমার নিগূঢ় অস্তিত্ব,
আমার নির্ভেদ্য ঘরের দেওয়ালে আসুক
অসংখ্য ফাটল,
আমার রক্তে মিশুক তোমার
অসংখ্য সৃষ্টি বীজ— তোমার
এ সৃষ্টি অনাদিকালের,
সময়ের আগে, সময়ের পরে
ছায়াপথ ধরে হেঁটেছে
অনন্তকাল!


আমি ভাঙতে চাই
তোমার সৃষ্টির প্রখরতার কাছে।
আমাকে বন্দি রাখো
সেই আদিম মুক্তোর মতো
তোমার নীল পানীয়ের কাপে, কিংবা
নীল নদের বুকে অন্ধকারে আটকে থাকা
তারার ঝাঁকের মতো!
তুমি আর আমি মিশে যেতে পারি —
তোমার সৃষ্টির আনন্দ
আমাকে ভেঙে আনুক
নতুন নক্ষত্র.....


           কস্তুরী
নদী প্রেমিক
দীপশিখা চক্রবর্তী

সে ভীষণ নদী প্রেমিক,

জলের স্পর্শকাতর ভাষায় তাকে অস্থির হতে দেখেছি বহুবার;

চোখে বন্দী করতে দেখেছি পরিযায়ী পাখিদের স্বস্তির নিঃশ্বাস,

হারিয়ে যাই-
নীল-সাদা রঙের বর্ণমালায় আঁকা ক্যানভাসে,

ছুঁতে চাই দূর থেকেই,

কখনো জল শব্দ ঝরিয়ে চলে একমনে;

শিউরে ওঠে সংযম;

হঠাৎ অনভ্যস্ত বাতাসের মাত্রাহীন নেশা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়,

বেশি কিছুই বুঝি না,

শুধু এক নীরব আচ্ছন্নতা হস্তাক্ষর করে যায় আমার চিলেকোঠার একলাঘরে;

আর আমি,

আনমনা হয়ে লিখে যাই -

কলম আর ছবির রোদ-ঝরানো জলকাব্য।

আমার আমি

লেখিকাঃ-মুনমুন মুখার্জ্জী


আমি স্বাধীন, আমি মুক্ত,
      কিন্তু লোহার মত অতি শক্ত।
               আমি সহজ, আমি মি‌শুকে,
                      কিন্তু সুযোগ দিই না কাউকে।
               আমি চঞ্চল, আমি হাসিমুখ,
      কিন্তু ভুলি না অপমানের দুখ।
আমি দুর্জয়, আমি দুর্বার,
      কিন্তু ভুল স্বীকার করি শ'বার।
               আমি খোলা পাতা, বলি কত কথা,
                       কিন্তু লুকাবো যত মনের ব্যথা।
               আমি দিলখোলা, আমি মনভোলা,
       কিন্তু মনের সাথে করি না খেলা।
আমি ভালোবাসি, নেই সংশয়,
       কিন্তু হতে পারি আমি নির্দয়।
               আমি ধীর, আমি শান্ত,
                       কিন্তু বিপদে আমি অশান্ত।
               আমি বিনয়ী, আমি ভদ্র
        কিন্তু অন্যায় দেখলে অভদ্র।
আমি হাসি, আবার হাসাই,
        কিন্তু আমাকে কাঁদালে কাঁদাই।
               আমি বুঝি, অন্যকে বোঝাই
                        কিন্তু নিজেই ধৈর্য্য হারাই।


অবনী  বাড়ি নেই
-শ্রেয়া স্বপ্ননীল মুখার্জী

দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া
কারন মানুষ হারিয়েছে বিবেকবোধ
রাতে যতই কড়া নাড়ো কেউ দেবেনা সাড়া
পাশের বাড়ির কেউ জানেনা কোথায় সে
রাতদুপুরে কাজ নেই কড়া নেড়ে
অবনী বাড়ি নেই

এখানে বৃষ্টি পরে বারোমাস
এখানে মানে বালিশে
মেঘ আজ আকাশে নয় জমে চোখে
সত্যি অবনী দুয়ার ধরে নেই
ওই দুয়ার আর খুলবেনা কোনোদিন
তাই কড়া নেড়ে কেঁদোনা
অবনী বাড়ি নেই

তোমার হৃদয় দূরগামী
ব্যাথা শুধু তোমার বুকে না, ছিল অবনীর বুকেও
ও ভালোবেসেছিল তোমাকে
কিন্তু তখন তুমি অন্য কারোর সাথে
তাই পৃথিবী থেকে অনেক দূরে সে
সহসা আর যেন না শুনি রাতের  কড়া নাড়া
অবনী বাড়ি নেই।।

তুমি আছো !

তুমি আছো ! দেখি কিন্তু অনুভব করতে পারি না।
আমি তোমাকে অক্সিজেনের মতো চাই, যেন প্রতিটা মূহুর্ত তোমার অনুভূতি আমার শরীরের শিরায় উপশিরায় উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

তুমি আছো ! তোমায় ছুঁতে পারি, কিন্তু অনুভব করতে পারি না।
আমি তোমার বুকে মাথা রেখে তোমার প্রতিটা হৃদস্পন্দনের ধ্বনিতে কার নাম উচ্চারিত হয় সেটা শুনতে চাই।

তুমি আছো ! তোমায় খুঁজে পাই, কিন্তু ফিরে পাইনা।
আমি তোমাকে বসন্তের বিকেলে হলুদ শাড়ি আর খোলা চুলে কৃষ্ণচূড়ার নীচে একাকী ফিরে পেতে চাই।

তুমি আছো ! তোমাকে দেখে, শুনে, খুঁজে প্রতিনিয়তই পাই ঠিকই,
কিন্তু একান্তই নিজের করে, শিরায়-উপশিরায়, হৃদয়ের হৃদস্পন্দনে, বসন্তের হলুদ শাড়িতে আজও ফিরে পেলাম না তোমায়।

 _জাহাঙ্গীর হোসেন_

বসন্তউৎসব

রঙ মাখো ছাদ কার্নিশ,
মাখো রঙ আমার দেওয়াল
রঙ দেবো সাইকেল কাকু-
দেবো রঙ বসন্তকাল।

রঙ দেবো চুপিচুপি তাকে
লুকিয়ে রাঙাবো তার গাল
চিনবে না কেউ আজ তোকে-
ওড়ে রঙ বসন্তকাল।

রঙ দেবো রাস্তার ধুলো
ভেঙে যাক নিয়মের জাল
কচিঘাস মুখ হাতে হাত-
রঙ দিক বসন্তকাল।

দেবো রঙ একলা যে বসে
রঙ দাও ছোট-বড় গাল
রঙ দেবো বোন-মাসি-পিসি-
মাখো রঙ বসন্তকাল।

©সৌরভ চক্রবর্ত্তী

বন্ধ খিড়কির দায়

*******************


কখনো মুহূর্ত চুপ !
অন্ধকার, অন্ধকার ভালো লাগে শুধু

বাবলু, তোর চোখে কত ঘুম―
এত ঘুম রাখা ছিল, জানাসনি কেন এতদিন
প্রতিবেশী কালে?
বাবলু তোর মুখ চেয়ে
ছেঁড়া খামে বিবর্ণ কালির নীল,
ওষুধ পাতায় ক্লিন্ন দাগ..

কী হয় অক্ষরবীজে!
কবিতা বাড়ানো কেন অসহ্য রকম!

মিয়োনো মুড়ির মত যন্ত্রণা ঠোঁট, আহ্..

তবু ওই রোদ দেখে,শিকড়ে শিকড়ে আলো
গুচ্ছমূলসমূহ সবুজ..

************************

পারমিতা ভট্টাচার্য, উত্তরপাড়া।

মৃত আমায় 

লেখিকাঃ- মৌমন মিত্র 

প্রায় একুশ বছর পর আবার  সোনাঝুরির  সেই জঙ্গলে ;
ভেবেছিলাম জানিস? আর কখনো যাবো না   দূর থেকে তোর আর্তনাদ : আমায় ছেড়ে যাস না লক্ষীটি প্লিজ ; 
এক একটা গাছের বাকল ভেদ করে আমার কানে আসছে ।
আমি অসহায়! তুই বুঝিস নি, বুঝতে চাস ও তো নি 
তোর কাছে পৃথিবীটা ভীষণ সাদা কালো  আমার কাছে ছাইরঙা ;
সেদিন তোর পাঞ্জাবীতে একটা বড় ফুটো করলি? সিগারেটে : ইচ্ছে করে ! এখনো তুই কাঁদতে কাঁদতে ঠোঁটে সিগারেট ধরাস ? তারপর বিষাক্ত তোর জিভের লালায় ভরাট আমার সারা শরীর !
উফ্! আবার সেই মাদল !  যেন তোর সব কটা সেদিনের কষ্ট এক এক করে ঢাক পিটিয়ে আমায় বলে যাচ্ছে! তুই আর ফিরবি না তাই না?
তোর রং তুলির পাশে আমার মৃতদেহ ; বলা না বলা তোর অনেক আক্ষেপ জমানো ওই মৃতদেহটায়
হাটের ওই পাড়ে জংলা মেয়েটা দেখবে কিন্তু ; আমার দেহে সেদিন লাল পেড়ে শাড়ি পড়াবি তো? আর কপালে এক গাদা সিঁদুর ! ঠিক যতটা তোর মন চায়।
সেদিন একশোটা চুমু খেয়েছিলাম নীল আকাশের পেঁজা ভেলায় ; আর আকাশকে বলেছিলাম : নে ,এই একশোটা চুমু ।
আগামী একশো বছরে একটা একটা করে ওকে দিবি  ও মরতে ভয় পায় আকাশ !! ও মরতে ভয় পায়।  বরাবর ভয় পায়।
তাই তুলি দিয়ে আমায় মেরে ফেলে ও হাসছে,
না না কাঁপছে বোধহয়  দুঃখ জ্বরে না হুতাশনের বিদ্বেষে !
অতি ইচ্ছা দুজনার ফের এই নীরব সমীকরণে।

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯



______এই বসন্তে
                  সুনন্দ মন্ডল

শেষ বিকেলের পাখিটা
পথ ভুলে কিছুক্ষন শুকনো গাছের ডালে বসেছিল
বাড়ির পশ্চিম প্রান্তে তখনো হলুদ আভা ছিল সূর্যের

তুমি পথ চেয়ে আছো বুঝি
বসন্তে প্রতি খাম খুলে দেখি ডাকচিঠি
সেই বসন্ত আজ আর নেই
তবু জানি মনে গাঁথা আছে সেই রঙিন

চাঁদ ওঠে আকাশে
সময় পেরিয়ে ওই ছোট্ট তারাটাও
সাথী খুঁজে নিয়ে পাশেই বসিয়েছে
তারাখসার গল্পে রাত জেগে থাকে দুজনে

শুধু আমি একা
এই বসন্তে,
বসন্তের ফল্গুধারায় স্নাত হতে চেয়েও.....
                  -------------
কাঠিয়া, পাইকর, বীরভূম

সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯

Google issue


কবি বিকাশ দাসের (বিল্টু ) জন্ম কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা মহকুমার প্রান্তিক গ্রামে বোচাগাড়ীতে ৩'রা এপ্রিল ১৯৯৪ সালে।
পিতা স্বর্গীয় নরেশ চন্দ্র দাস, মাতা প্রিয়বালা দাস।
শিবপুর হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ২০০৯ সালে, উচ্চমাধ্যমিক মাথাভাঙ্গা হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০১১ সালে  ।আর্থিক অনটনের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং এ চান্স পাওয়া সত্ত্বেও মাথাভাঙ্গা কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ২০১৪ সালে।কবির লেখা লেখির অনুপ্রেরণা বাস্তবকে দেখে নিজের প্রতি উপলব্ধি হয়ে। এখন গৃহ শিক্ষকতার সাথে  যুক্ত । এর সাথে নিয়মিত অনলাইন অফলাইন পত্র পত্রিকায় লেখা লেখি এবং মানসাই নিউজের "সাহিত্য বিভাগের "সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি ।

যোগাযোগ:

নাম :বিকাশ দাস (বিল্টু )
গ্রাম :বোচাগাড়ী
পো :শিবপুর
থানা :মাথাভাঙ্গা
জেলা :কোচবিহার
পিন :736172
মোবাইল :7478971395
ইমেইল :biltu03041994@gmail.com

Google issue


কবি মৌসুমী ভৌমিক জন্মগ্রহণ করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাফানগর গ্রামে। ছোটবেলা থেকে সাহিত্যানুরাগী । কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বাংলার বাইরে সিকিমে থাকলেও বাংলাভাষাকে মনে প্রাণে ভালবাসেন। সেই টানে অবসর সময়ে লেখালেখির প্রয়াস।
একক কাব্যগ্রন্থ - 'যাপন'।
পকেটবুক - "শব্দপিঁড়ি", " বৃষ্টির জলছাপ"
সানন্দা এবং আরও কয়েকটি পত্রিকায়  লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়াও কয়েকটি যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। 



Google issue



লেখিকা সুমি সাহা জন্মেছেন উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে (১১ই জানুয়ারি,১৯৯৪)। বর্তমানে থাকেন মালদহে। মূলত কবিতার মাধ্যমে লেখার হাতেখড়ি। তবে ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতকোত্তরের পর job related পড়াশোনার পাশাপাশি অফুরন্ত ভালোবাসার টানে আপাতত আখ্যানধর্মী গল্প, বিশেষত ব‍্যঙ্গাত্মক লেখায় মনোনিবেশ, ওনার। অসংখ্য পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ওনার সৃষ্টি। একটি কাব্য সংকলন ‘কাব্যফেরী'-তে বিশিষ্ট কবিদের সঙ্গে স্থান পেয়েছে তাঁর লেখা কিছু কবিতা। বাঁধাধরা যাপনশৈলীর বাইরে ছকভাঙা লেখার মধ্যে দিয়ে তিনি শিল্পসত্তা প্রতিষ্ঠিত করতে চান।

যোগাযোগঃ

Name - Sumi Saha.
C/O - Uttam Saha.
PO + Dist - Malda.
P. S - English Bazar
Pin - 732101
Ph no - 7431045661/8250053306.
Mail id - myselfsahasumi@gmail.com

           














Google issue



কবি সুমন কুমার দত্ত, একজন  অঙ্কন শিল্পীও বটে। হাওড়া নিবাসী। বর্তমানে কলকাতা রেল মেল সার্ভিসে কর্মরত। শিবপুর বি ই কলেজ থেকে কারিগরি বিভাগে মাস্টার ডিগ্রি পাস। অবসর সময় পেলে কোলাজে দেবদেবীর মূর্তি অঙ্কন এবং ছোট গল্প, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী লেখেন। এছাড়া কবির ছোটদের অঙ্ক শেখানোর বিষয় সাহায্য করতে ভালো লাগে। জীবনের আদর্শ স্বামী বিবেকানন্দ।













Google issue


লেখিকা জয়ীতা চ্যাটার্জী'র জন্ম শ্যামনগর, উত্তর ২৪পরগনা জেলায়, বাবা শ্যামাপ্রসাদ চ্যাটার্জী, চাকুরীজীবি।  স্কুল শ্যামনগর বালিকা বিদ্যালয়, কলেজ ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউশান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক।
 রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন এরপর আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ব্যচেলার ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।











Google issue

কবি সৌমেন দাসের পেশা স্কুলে ছেলে পড়ানো আর নেশা কবিতার দেশে গা গড়ানো। লেখালেখি শুরু সেই সপ্তম শ্রেণি থেকে মায়ের অনুপ্রেরণায়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরের নূতনডাঙা এলাকায় বেড়ে ওঠা কবি সৌমেনের জন্ম ১৯৮৬ সালের ১৪ই জুলাই। ভাবনাবিলাসী এই কবির প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “মন নিয়ে …”। ভালোবাসা, আবেগ আর কষ্ট মিলেমিশে রয়েছে তাঁর কবিতায়।

যোগাযোগঃ


SOUMEN DAS
T/O: PANDAVESWAR HOLY CHILD MODEL SCHOOL
AREA MORE, PANDAVESWAR,
PASCHIM BARDHAMAN
PIN  713 346
9563766434
📧 dassoumen799@gmail.com

Google issue



কবি রুন্না ভাওয়াল ১৫ জুলাই ১৯৯৮ সালে বর্ধমান জেলার বেলেরহাটের যঙ্গেশ্বরপুর নামে এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শ্রী প্রদীপ ভাওয়াল,মাতা শ্রীমতি কাজল ভাওয়াল।
লেখার জগতে আসা মা ও প্রিয় বান্ধবীর হাত ধরে। লেখার হাতে খড়ি তাঁর বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল বারুন মহাশয়ের কাছ থেকে। লেখাকে জীবনের একটি অন্যতম অংশ হিসেবে তুলে ধরেছেন ২০১৩ সাল থেকে। লেখিকার কাছে লেখা অন্ধকার কে আলোর গন্ধে মাতিয়ে তোলা।পাশাপাশি আঁকাও চলে। এখন এম এ (ইংরেজি) এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী।










Google issue



কবি মুনমুন মুখার্জ্জী। ১৯৭৩ সালের ১৯ শে জুলাই ইস্কো কারখানার জন্য বিখ্যাত বার্ণপুর শহরে জন্ম। ছোটবেলায় লুকিয়ে লুকিয়ে লেখালেখি করলেও লজ্জা সংকোচে কোনোদিন তা প্রকাশ করেননি। বর্তমানে বার্ণপুরের আমবাগান তেঁতুলতলা(পশ্চিম বর্ধমান)র গৃহবধূ। মেয়ে কোলকাতাতে পড়াশুনা করায় একাকিত্ব কাটানোর জন্য এখন ফেসবুকে লেখালেখি করেন। সাথে সমাজের বঞ্চিত পরিবারের শিশুদের এবং একটি অ্যাবনরম্যাল ছেলেকে ন্যূনতম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পড়ান। মেয়ে তানেয়া এবং স্বামী সুরজিৎ সব সময় সব ব্যাপারে উৎসাহ দেন। 









Google issue



কবি সন্দীপ রায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার রাণীগঞ্জে ১৯৮৫ খ্রীষ্টাব্দের ১ লা মে জন্মগ্রহন করেন।পিতা শ্রীধর চন্দ্র রায়,মাতা রীতা রায়।ছোটো থেকেই সাহিত‍্যের প্রতি অনুরাগ ই তার লেখনীর প্রেরণা।২৯ বছর বয়সেই মাতৃহারা হন।যাবতীয় দুঃখ -কষ্ট,যন্ত্রণাময় অনুভূতি তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে।বর্তমানে শিক্ষকতার সাথে যুক্ত থাকার পাশাপাশি অবসর যাপনের রসদ হিসাবে ছবি আঁকা ও গানকরা কে বেছেছেন  অর্কিড ছদ্মনামের এই কবি।



Google issue


কবি দ্বৈপায়ন চ্যাটার্জী'র জন্ম 26 জানুয়ারি ১৯৯৩ সালে উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটি তে। বেড়ে ওঠা এবং বসবাস নদীয়া তে। সপ্তম শ্রেণী থেকে লেখালেখি শুরু । কবি কবিতা,গল্প ও উপন্যাস সবধরণের লেখাতে আগ্রহী ও সৃষ্টির খোঁজে তাকিয়ে থাকেন।
ইতিপূর্বে তাঁর শব্দলিপি সাহিত্য পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।

যোগাযোগঃ

Mr. Dwaipayan Chatterjee,
S/O- Mr. Basabdeb Chatterjee
Village-Chandannagar,
Post office-Chandannagar,

Google issue



কবি শিল্পা মন্ডল এখন বেথুন কলেজে বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়ছেন।
ডাইরি লেখা ছোটো থেকেই অভ্যাস,
মূলত নিজের ভালো-লাগা,মন্দ-লাগাকে আকার দিতেই লেখালেখি করে থাকেন তিনি।
একটা তরবারির থেকে কলমের জোর অনেক বেশি তাই চলার পথে কলমকে আশ্রয় করেই চলতে চান লেখিকা শিল্পা মন্ডল।

যোগাযোগঃ

ঠিকানা : কামদুনী, রাজারহাট, উত্তর ২৪ পরগণা।

ইমেল আইডি: emaletosilpa@gmail.com


Google issue




কবি বিদিশা নাথের জন্ম ১৯৯৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলায়।পড়াশোনা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। কাজের ফাঁকে অবসরের হাতমকশো থেকে শেষ দু বছর পাকাপাকি কবিতায় আসা,কিন্তু স্বচ্ছন্দ যাতায়াত চলে গল্প লেখাতেও।সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা আর নিজ মনন প্রকাশের চাহিদাই লেখার জন্ম দিতে সাহায্য করে এবং করে চলেছে কবিকে। বর্তমানে বি.এড এ প্রশিক্ষণরত শিক্ষিকা।

যোগাযোগঃ

ঠিকানা: পূর্ব পাড়া, আন্দুল,হাওড়া 711302
ফোন :8335814663
Email:bidisha.nath2614@gmail.com

Google issue



কবি  সোনালী নাগ জন্ম ১৯৮৬ সালে বরাহনগরে , সময়টা চৈএমাস। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির থেকে মেধাতালিকার শীর্ষে নাম রেখে মাধ্যমিক পাশ, তারপর স্নাতকোত্তর সেরে সাহিত্যের বিপরীত মুখে আইটি কোম্পানিতে জীবিকা, কিন্তু মনের ভিতর যে বসে আছে কিংবা রক্তে মিশে আছে যে তাকে নিয়ে নিজের একটা পৃথিবী ছিল চিরকাল,কাজের সাথেই লেখালেখি চলেছে নিরলস. ভিতরের দরজা খুলে বাইরের পৃথিবীর সাথে শুধু যোগাযোগ হবার অপেক্ষায়!

যোগাযোগঃ
 
116-31A/1 Thana road, Bose para, KHARDAHA, KOLKATA 700117

Google issue



কবি  তন্মনা চ্যাটার্জী  সংস্কৃত ভাষায় উচ্চশিক্ষার পর ৮ বছর বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত থাকলেও মনের মধ্যে লেখালেখির বাসনা ক্রমশই প্রবলতম হয়েছে।।চাকরী ছেড়ে আপাতত গৃহশিক্ষিকা।।ছোট থেকেই পেশাগতভাবে বাচিকশিল্পের সাথে ও বর্তমানে অভিন্নয়কর্মী হিসেবে কাজ করার সুবাদে কবিতা,গল্প ও নাটকের ওপর এক অগাধ আকর্ষণ আর তার থেকেই লেখালেখির সাথে সখ্যতা এবং এই নিবিড় ভালোবাসার জন্ম ।। লেখার সাথে কবির ছবি আঁকতে অথবা নিজের তোলা ছবির সাথে মিলিয়ে বা গল্পের সৃষ্টি  করাটা রোজনামচার রীতি।

যোগাযোগঃ

Address: 47, Baguiati 3rd Lane,north 24 pgs, kolkata-700028
Phone :9038025525
Email :tanmanachatterjee@gmail.com

সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯

স্পেশাল পেন




চ‍্যাটপ‍্যাট্



পাখিটির পালক নীল হতে পারে, কিন্তু ওড়ার রং হলুদ। সেই হলুদ থেকেই শোনা যাবে হালুম। একটি বাঘডাক। (প্রভাত চৌধুরী)

ডাক শুনলেই মনে আসে শেষরাতে ঘুম ভাঙিয়েছিল কোনও এক পাখি, তার নাম জানা নেই। শুধু জানা গেছে সে এসেছিল পুবের জানলা ছুঁয়ে, হয়তো আগত আলো হয়ে (জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি)

আলো শুনলেই,
‘আলো আমার আলো, ওগো আলোয় ভুবন ভরা’ (প্রভাত চৌধুরী)

ভুবন বলতেই মনে পড়ে গেল, কোনও একদিন রং মেখেছিল কেউ ভুবনডাঙ্গার মাঠে, যার পাড় ধরে হেঁটে গেল রবি একলা আলো পথে (জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি)

ভুবন-কে ডাক দিলেই আমার চোখ দেখতে পায় ভুবনডাঙার মাঠ, যে মাঠ পেরিয়ে বর্ষাকাল আসে, বর্ষাকালের হাত ধরে বর্ষাতি আসে, বর্ষাতি খুলে ফেললেই অতিভুজ দিয়ে নেমে আসে সূর্যাস্ত ।

ভুবন -কে ডাক দিলেই বন থেকে বেরিয়ে  আসে একটি পাখি, যার পালকের রং সবুজ, কিন্তু ঠোঁটটি লাল । এখন সবুজ এবং লাল এই দুটি রং-কে যদি ১৪ বছর বনবাসের আদেশ দেওয়া যায় , তাহলে কবিতা থেকে মুছে যাবে একটি প্রায়ান্ধকার দীর্ঘ কবিতা ।

শুনে রাখো, তুমি যদি ভুবনডাঙার মাঠ থেকে রবীন্দ্রনাথের পায়ের দাগগুলি মুছে ফেলতে না পারো, তাহলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে। (প্রভাত চৌধুরী)

শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯

দুজন কলম একসাথে


| অজ্ঞাতবাসী প্রেম |

গভীর থেকে গভীরতম শোকে,
মজ্জায় মজ্জায় শিরায় শিরায় তুমি আমার।
রক্তশুন্য প্রায় শরীরের ব্লাডসেল ভেঙ্গে―
আজ সেখানে তুমি নামের কোষপ্রাচীর।
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ইতিহাস তুলে এনে
সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন প্রাচুর্য তোমার বুকে গেঁথেছি।
ধ্বংস চাইনি আমি, চাইনি ইউরেকা,জ্বলন্ত ফসফরাস।
ভুট্টার ক্ষেতে তিনশোবার হাঁটলেই ভালোবাসা হবে;
এমনটা কখনও ভাবনায় নেই তা তুমি জানো।
চিল্কার গর্ভে অগ্নুৎপাত কখনো যদি হয়;
সবার আগে আমি তোমায় নিয়ে ঝাঁপ দেবো।
তলিয়ে যেতে যেতে মাইলপথ জড়িয়ে ধরে কাঁদবো ভীষণ।
কেউ তো নেই পিছে। কেউ না। অজ্ঞাতবাসী প্রেম।
এসো চাদরে মুখ ঢেকে বন্দি জানালার বাইরে এসো।
কথা দেওয়ার পরেও যে কথা রাখা সম্ভব হয়নি
তাই পূরণের দাবি জানিয়ে ছিনিয়ে নাও অধিকার।
তদিদং হৃদয়ং তব স্তুতিবাক্যেই যে নিবিড় শান্তি আমাদের।

                         -- দিব্যেন্দু হালদার





প্রত্যুত্তরে লিখেছে ----

সেই সুদূর সুমেরু থেকে কুমেরু,
আস্ত একটা পৃথিবী তোমার নামে লিখে দিইনি আমি ...
শুধু দিনের শুরুতে ভোরের গন্ধ থেকে রাতের নির্জনতা ;
রঙিন ক্যালেণ্ডারের বছর মাস দিনের হিসেবের বাইরে
প্রতিটা সেকেণ্ড তোমার নামে লিখেছি ।
ধমনী জুড়ে রক্ত লসিকায় তোমায় মিশিয়েছি
মিশিয়েছি ক্রমশ সারা লোমকূপ জুড়ে ।
সেদিনের সেই স্টেশন চত্বর জানে তোমার-আমার কথা ...
যেখানে আদিম বর্বরতার মতো কোনো খিদে জমে নেই
দুচোখ ভর্তি ঠাসা বারুদ নেই,
ওই দুচোখে চিলেকোঠা ভর্তি ভরসার নিবিড় আশ্রয় দেখেছি ।
হিমবাহের মতো প্রেম গলে গেলে ক্রমে
আলেয়ার ফসফরাস জ্বলে উঠেও নিভে যায় রাতারাতি ...

         -- ঈপ্সিতা অধিকারী

দুজন কলম একসাথে


কবিতা - তাহাদের গাথা

১..  বর্ণালী মুখার্জী

কি লিখবো কবি?
সুচারু প্রস্তাবে
এসেছে বসন্তদিন
            পল্লবহীন
পলাশের ডাল
প্রবালে তোলপাড়।
দূরে একা চাঁদ
আবিল জোছনা
কবি ,তার কথা
কখনও ভাবো না।
মেয়েটি জেনেছে।

মেয়ে মানে নদী
বসতি অবধি
ঢেউ ভাঙে রোজ
ঝিনুকের খোঁজ
তুমিও করেছো?

২.. নিলয় নন্দী

মেয়ে মানে নদী
চাঁদ নির্বাসন
বিপন্নতা দিগন্ত অবধি।

কবি তো ভবঘুরে
নিবিড় যোগাযোগ
বালি তো ডুবে যায়
ঢেউ ও ভাঙে রোজ।

মেয়েটি জেনেছে
প্রবাল এপিটাফ
কবিও লিখে চলে
চিঠি বা প্রস্তাব

নদীর নাম সুবর্ণ
কবির নাম অন্তরীপ

সব মায়াই কি প্রপঞ্চ?

৩.. বর্ণালী মুখার্জী           

কি লিখবো কবি!
আজ
দোসরা ফাল্গুন?
অথবা তেসরা
সরে যায় দিন
স্তিমিত আগুন,
শেষ শীতে কারা
জ্বালিয়েছে পুঁজি
তোমাকেই খুঁজি
ফিরে গেল কারা?
আজ কি দোসরা??

৪.. নিলয় নন্দী

ফিরে গেছে তারা
কবিতা প্রহরা
তারিখ উদাসীন
আজই দোসরা?

এভাবে চিরায়ত
নদী বা মেঘদল
কবি ও ছুঁয়ে যায়
কবিতা সম্বল।

দুজন কলম একসাথে


""সেই তুমি""
               -অতনু মন্দাকিনী হালদার,
               

যা কিছু আমার ছিলো,যা কিছু আপন
একেবারে ব্যক্তিগত মৃগয়া ভূমি,
যা কিছু আমার আছে, যা কিছু আলো
তুমি সেই- "সেই তুমি"!
সেই তুমি,
কোনো এক ধ্রুবতারার নীলাভ সুখস্বপ্ন
যা দেখেছিলাম একদিন
রক্তে ভেজা গোলাপে শুয়ে ৷
সেই তুমি,
কোনো এক বালিশ ভেজা কান্না
চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে
যা ভিজিয়েছিলো বিবাগী আবেগ ৷




হ্যা-"সেই আমি"!
------------বনানী পাল
সেই আমি,
তোমার অন্তরাত্মার অন্তর্যামী,
সেই আমি,
যে সমস্ত জগৎ পিছনে ফেলে
আঁড়াই হাত মাটির তলায়
ঘর বাঁধতে রাজি-"শুধু তোমার সাথে"!
"শুধু তোমায় ভালোবেসে"!
সেই আমি,
সরল,মায়াবী,জ্যোৎস্না স্নাত,
একান্ত তোমার !
শুধুই তোমার "লীনা"!!'

দুজন কলম একসাথে


ভালোবাসার ব্যবচ্ছেদ
***********

ভালোবাসার মৃত্যু হয় না/
 পাপিয়া মণ্ডল
 ‎------
একদিন  অবজ্ঞায় ফিরিয়েছিলে ভালোবাসাকে।
তোমার দেমাকি মন, মুছেছিল তার  সব রঙ।
ভেবেছিলে সব শেষ করছো খুব সহজেই,
ভালোবাসার মায়াজাল  বাঁধতেও পারে নি তোমায়!

কিন্তু, কোন এক একলা দুপুরে কিংবা নিদ্রাহীন রাতে
গোধূলি -রঙা, দুফোঁটা অশ্রু আলটপকা ঝরে পড়বে,
তোমার কোঁচকানে গালে উষ্ণতার পরশ ছুঁইয়ে।
তখন বুঝবে তুমি, "ভালোবাসার মৃত্যু হয় না!"
                       
     
     


     

কে বলে ভালোবাসার মৃত্যু হয় না?/
      ‎শ্রাবণী নায়েক
      ‎-------

     ‎আমি রাস্তার ধারে ভালোবাসার লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি,
দেখেছি নিথর শরীর, আধখোলা চোখ ;
উর্দ্ধে স্থির।
অগণিত মাছির শোক জ্ঞাপন,
পিঁপড়ের ভোজসভা পচা লাশ ঘিরে।
নেই কোনো ফুল সাজানো গাড়ি, মালা, চন্দন, নেই ক্রন্দন, নেই স্তব্ধতা,
নেই অন্তেষ্টিক্রিয়ার বাহার।
হয়তো অনিবার্য পরিণতি তার,
ঠাঁই পায় প্রকৃতির অন্দরে ; নিশ্চুপ, নীরবে।
অমরতার আশির্বাদ মিথ্যা হয়ে যায়,
বিশ্বাসহীন খঞ্জরের তীব্র আঘাতে।
মৃত্যুর কোলে শায়িত হয় ভালোবাসা।

ওই দিকে,
জয়ের দামামা বাজে উৎসবের আবেশে,
ফুল, চন্দন বর্ষিত হয়-
অপ্রেমের আঁতুড় ঘরে।                       ‎

দুজন কলম একসাথে


1.
নীল খাম
~~আঁখি সরকার রাই
তুমি বলনি ভালোবাসো,
এই চোখের নীচে কতো তুমি জমেছে?
না বলা কথাগুলো তোমায় ছুঁতে
বন্দি হবার নীল খামে কতো বার গেছে?
যদি ভালোই বাসবে না
কেন চোঁখের কোণে জল দেখে তুমিও কেঁদেছো মিছে,
তোমার কি ইচ্ছে করে নি!
এই বুকে জমানো স্বপ্নগুলোকে আঁকি নীল খামের পিছে?
সফেদ জোৎস্নার ঢেউয়ে ভাঙা পূর্ণিমা
দেখে কি আমার কথা পরে না মনে?
প্রিয়ার উষ্ণ পরশে জুড়ছো নতুন ভাবে-
সেই উতলা নেই যেন সুপ্ত হৃদয় কোণে?
নীল খামের সেই চিঠি'টা বুঝি আছে পরে
ডাক বাক্সে বেনামী,
ইচ্ছে করলে বাক্সটা ভেঙে,
সেই নীল খামে আঁকা স্বপ্ন গুলো পড়ে নিও তুমি।






ফ্লাস
জয়দেব মহন্ত
তুমি তাই ভবো?
দেখো নি কি ,এই চোখের দিকে চেয়ে;
বিকেলের নিকেল কতোটা জড়ো করেছি
ঠিকানায় শুধু শুন্য রেখেছি ছেয়ে?
তোমার জন্য কতো জ্যোৎস্না মুঠো করে
দেবো বলে নক্ষত্র পতনে পা রাখি বারবার;
মার কাছে রাজকুমারীর গল্পোচ্ছলে তোমাকে বলেছি
না! আঁকাতে পারি না,তুলিও যে প্রেমিক তোমার।
তাই মনেই রেখেছি ছায়ানট হয়ে
বৃহস্পতি গন্ধ গা ছম ছম করলে
মোম থেকে সব নীল তুলে নিয়েছি।
শুধু এই চোখের কোণে কাজল আঁকবো বলে
তোমার ঠোঁট বেয়ে যে হাসি নামে তা স্বপ্নে আটকে রাখবো বলেই বৈষ্ণবী বিকেলে তুলসী রেখেছি।

তুমি ব্লক করলেও বাবার একাউন্ট থেকে
তোমার ওই হাসি খুঁজি রোজ ঘুমোনোর আগে
তবুও এই বেয়ারা হবার নেশা
তোমায় পেতে পথ পেড়িয়ে পথের পিছন ভাগে।

বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯



জীবন-যুদ্ধ-কানামাছী -২

           - স্নে হা  ঘো ষ

প্রত্যয় যোগ
কালোডরে ভবিষ্যতের গাঁটছড়া
বাঁকা কাস্তের ডগাই জীবনঢালা বাপের ছেলে
ধান চিনতে চাইছে কই ?
কয়েক আঁটি খড় মাথায় ক'রে এনে
উঠনময় ছড়িয়ে রেখে
আধসেদ্ধ ধানের গন্ধ টান টান ভরে নেই
মনসাতলাই গড় করে
পেটে দুকলম 'ক-খ' চাই..

চেয়ারের ওপর বুদ্ধিজীবী
পা দোলায়
দেওয়াল ঘড়ি সময় জড়িয়ে
শিঁকড় সমেত অতীত উপড়ে ফেলে
চিরদিন পিঠে হাত-ছুরি বুলিয়ে
অত্যাচারী আদর কষা ইতিহাস
পেটে 'ক-খ' এর প্রয়োজন

কাঁকড়ার ছা যেভাবে কুঁড়ে কুঁড়ে খাই শরীর
মৎস্যন্যায়...

কাকতাড়ুয়ার জন্য তুমি, আমার জন্য তুমিই শুধু


কাকতাড়ুয়ার জন্য তুমি, আমার জন্য তুমিই শুধু 

____________________ সুদীপ্ত সেন(ডট.পেন)

কাকতাড়ুয়া খবর দিল
খবর দিল ভোরের পাখি
তবুও আমার স্পর্ধা শুধুই
ফেসবুকেতেই বজায় রাখি।

বাংলা তোমার পছন্দ খুব
আঁচড়াওনি চুল চিরুনি
শব্দে তোমায় চুম্বন খাই
তোমার বাড়ি তাও চিনিনি।

রান্নাবাটি স্বাদের জাপান
ককরো তোমার বেশ গুছানো
কাকতাড়ুয়ার জন্য চিনি
দেশে ফেরার খবর আনো।

লোকে তোমায় কবি বলে
আমি তোমায়  বলি মানুষ
শুধু তোমায় দেখব বলে
অধীর হয়ে হচ্ছি ফানুস।

যার বুকের ভেতর প্রচুর কথা
জমছে গায়ে ফুদকি বসে
কাকতাড়ুয়াও ভাবছে যেমন
ইচ্ছে করেই তারা খসে?

কথার পিঠে কথা

     ♥| কথার পিঠে কথা |♥


            



♦আজাহারুল ইসলামের জন্ম ১৯৯৭ সালের ২১ শে ডিসেম্বর জন্মস্থান মুরারই;বীরভূম জেলা।
পিতা আসমারুল ইসলাম আর মাতা আয়েশা সিদ্দিকা♦
   -----------------ঃ--------------------
 জলফড়িং ওয়েব ম্যাগের পক্ষ থেকে তোমাকে প্রথমেই জানায় নমস্কার, আমরা কৃতজ্ঞ তুমি আমাদের সময় দিয়েছো বলে।

~আজাহারুল:-জলফড়িং এর সাথে কথা বলার সুযোগটা এই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ,
কারণ,
জীবনে প্রথম সাক্ষাৎকার দিচ্ছি,
আর তোমাদের নবীনদের জন্য যে প্রয়াস,
তার জন্য সাধুবাদ জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও

১.) জনপ্রিয় ফেসবুক কবি আজাহারুল ইসলাম, যার নাম সমাজ জানেনা, জানেনা কোনো সম্মানী পত্রিকা যেমন দেশ বা কৃত্তিবাস!
জানে তোমার জন্মস্থান মুরারই? সেই বা কতটা জানে?

উ:-দেখুন, নিজেকে জানানোর জন্য সাহিত্য চর্চা করেছি, তা নয়,
এখন হয়তো সেই ধরনের মানুষ কিছু পায় নি আমার থেকে, আর মুরারই এর ব্যাপ্তি সেইরকম না, তবে আমার বিশ্বাস আমরা কয়েকজন এই  অঞ্চলের মানুষের গৌরব হতে পারবো। তাছাড়া সুনীল গাঙ্গুলীও কিন্তু মুরারই এসছেন, সেই তুলনায় মুরারই কেউ চেনে না তা নয়(😄)



২.) কত বছর বয়স থেকে লেখার জগতে এলে?

উ:- এই সবেই শুরু, পাঁচ বছর,
ছোট থেকে যা লিখতাম, ও সবটা রবীন্দ্রনাথের ভাষায় 'অশান্তি' ছাড়া কিছু না!🙂


৩.) বাড়ির চাপ থাকে লেখার ক্ষেত্রে?

উ:-৩. সেই রকম না, তবে ধর্ম নিয়ে লিখলে, মা একটু ভয় পায়!🙂


৪.) শুনলাম তোমাকে ধমকি দেওয়া হয়েছিল, কতটা ভয় পেয়েছিলে তুমি?

উ:- হ্যাঁ, বাংলাদেশের কিছু মৌলবাদী, ভয় তো পেয়েছি,
কিন্তু হেরে যাই নি, ওরা ওদের মতামত দিয়েছে, মৌলবাদ তো প্রগতিশীলতার বিপক্ষে,
ওসব নিয়ে ভাববার সময় নেই।


৫.) তোমার কলমের তেজে বারবার দেখেছি ধর্মের প্রতি তোমার নিন্দা, মনে হয়নি এসব করলে ধমকি আসাটা জরুরি?

উ:-যারা আস্তিকতায় বিশ্বাসী তাদের কাছে আমার ভালোবাসা আছে, এখন সত্যি বলতে গেলে তো কোপ খেতে হয়ই,
এসব নিয়ে ভাবিনি!


৬.) তোমার মনে হয় তোমার লেখায় শ্রীজাত স্পর্শ আছে?

উ:-একদমই, তবে চেষ্টা করি, একটু ভিন্ন ধারার লেখা লিখতে😃


৭.) এখন অবধি কোনো বই করতে পারোনি নিজের, শোনা গেছে খুব তাড়াতাড়ি হবে, সেটা নিয়ে একটু যদি বলো?

উ:- বই প্রকাশের কাজ চলছে, সময় হলেই জানাবো


৮.) লেখার  ইন্সপিরেশন কে?

উ:-ইন্সপিরেশন, বাংলাদেশের একজন ব্লগার, নাম বলছি না,
নিষেধ আছে


৯.) বাহান্ন তীর্থের শরীর হঠাৎ লিখতে গেলে কেন?

উ:-সুনীলের নীরা কবিতাটি পড়েছিলাম, ওটায় এর কারণ, তবে কবিতা দুটি শর্ত ধারা একদমই আলাদা।


১০.) আজাহারুল ইসলাম একজন
সম্পাদকও। আমরা দেখেছি খোলা ডায়রি নামে একটা ওয়েব ম্যাগ চলে তোমার সম্পাদনায়। শুরুটা কীভাবে যদি একটু বলো।

উ:-বাংলাদেশের নাবিল দা, হঠাৎ বলে,
প্রথমে সহ-সম্পাদকের ভূমিকা পালন করতাম, তারপর সম্পাদনার কাজ, তবে এখন একটু টেকনিক্যাল কারণে বন্ধ আছে


১১.)তোমার লেখার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চুমু শব্দটা দেখা যায় এবিষয়ে তুমি কী বলবে?

উ:- চুমু খেতে ভালবাসি, তাই😂


১২.) খোলা ডায়রি এখন বন্ধ, একটা এতো জনপ্রিয় ব্লগ যার এক মিলিয়ন ভিউয়ার সেখানে দাঁড়িয়ে এই বিরহটা তোমার চোখে বা তোমার কাছে কী প্রভাব ফেলেছে?

উ:-দেখুন বন্ধ না, একটু রেস্টে রয়েছি।

ঠিক খুলবো!!



১৩.) সম্পাদক নাকি কবি কোনটাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি, বলে মনে করো?

উ:-কোনোটিই না, এখন শ্রমিকদের ভূমিকায়


১৪.) বেশির ভাগকেই বলতে দেখি শ্রীজাত-র কবিতা নাকি অনেকই উপেক্ষা করে তোমার কী মনে হয়?

উ:-দেখুন সবকিছুই যে গ্রহনযোগ্য তা নয়, যারা উপেক্ষা করার করবেই,
তবে, শ্রীজাত অপেক্ষার বিষয়, উপেক্ষার নয়।


১৫.) তোমার পোস্টে অনেক সময় সুদীপ্ত সেন বলে একটি ছেলে শ্রীজাত দা বলে, রহস্য আছে কিছু??

উ:-দেখুন উনি সুদীপ্ত সেন নয় সম্ভবত অনুপম রায়😄, আপনি ভুল তথ্য দিচ্ছেন😆


১৬.) আজাহারুলের কলম ফেসবুকে জনপ্রিয়, এ সম্পর্কে তোমার মায়ের বা বাবার কিরকম ফিলিংক্স , কোনোদিন কিছু শেয়ার করেননি তাঁরা?

উ:-মা বাবা খুব একটা যে খুশি তা নয়,
ওরা বেশ ভয় পায় আমায় নিয়ে



১৭.) প্রতিদিনই লেখো নাকি ওয়েট করো?

উ:-ওয়েট করি, কিন্তু লিখতে তো হয়,
ঘটনা নির্ভর লেখা লিখি তাই,
বিশ্রাম নেই খুব একটা


১৮.) ধরো তোমার কাছ থেকে কলম, স্মার্টফোন, খাতা মানে লেখার সামগ্রী কেড়ে নেওয়া হলো, কী করবে?

উ:-চাকরির জন্য পড়াশোনা করবো,
গ্রুপ ডি😆😆


১৯.) কোনো একটা সাহিত্যের অনুষ্ঠানে তুমি প্রথম লেখা পড়ছো আর অনুষ্ঠান শুরু করছো। নিজের লেখা পড়লে না, যদি তোমাকে দেওয়া হয় দুটো অফশন ১.) শ্রীজাত-র লেখা ২.) জয় গোস্বামীর লেখা। কোনটা তুলবে আজাহারুল!

উ:- শ্রীজাত দার পড়বো,
কিন্তু ঐ অনুষ্ঠানের আগের অনুষ্ঠানে জয় গোস্বামীর কবিতা আবৃত্তি করবো


২০.)ভবিষ্যৎ-এ তোমার প্ল্যান?( লেখালেখি বিষয়ক)

উ:- একটা সংগঠন করবো,বিশ্বভারতী সাহিত্য পরিষদ,শান্তিনিকেতনেই,যদি অনুমতি পাই



       সব ভালোবাসা আজাহারুলের

১.) প্রিয় খাবার:- বিরিয়ানি

২.) প্রিয় পোশাক:- পাঞ্জাবি টি শার্ট আর একটা প্যান্ট

৩.) প্রিয় গান ও গায়ক :- তুমি রবে নীরবে, অরিজিৎ

৪.) প্রিয় রঙ:- বেনিআসহকলা

৫.) প্রিয় কবি ও কবিতা:- রবীন্দ্রনাথ, বিদ্রোহী

৬.) নিজের লেখা প্রিয় কবিতা:- ৫২ তীর্থের শরীর

৭.) এখন অবধি তোমার লেখার সংখ্যা:- ২০৪

৮.) তোমার চোখে রবীন্দ্রনাথ :- ঈশ্বর

৯.) তোমার কাছে প্রিয় ফেসবুক কবির নাম:-        শ্রীজাত

১০.) রাত্রি প্রিয় নাকি দিন :- রাত দুপুর


                ♥ শেষ চুমুক ♥

তোমরা বন্ধু, সহকর্মী, নেই কোনো, সেলাই করা ঋণ,

এগিয়ে দেওয়া, পাশে থাকা, ভালোবাসার নামই জলফড়িং
          - আজাহারুল ইসলাম

-------------------------------------------------------------------------


সাক্ষাৎকারটি নিলেন জলফড়িং ইন্টারভিউ সেকশন এডিটর সুদীপ্ত সেন(ডট.পেন)