4. একটা মৃত্যুর তদন্ত
---নির্মলেন্দু কুণ্ডু
গাড়ি থেকে নামতে নামতে ইন্সপেক্টর রায় হাইরাইজিং সাত্যকি আবাসনের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলেন—
"এই হয়েছে এক ঝামেলা,বড়লোক বাপের ছেলে সব,নিশ্চয় দামি কিছু চেয়েছিল,না পেয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে৷এখন ওপরতলার চাপ,বাপ-মায়ের কান্নাকাটি সব সহ্য করতে হবে আমাদের৷দুত্তোর!"
অবশ্য তাঁকে দোষও দেওয়া যায় না৷বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরকম তদন্ত করতে হয় ওঁকে৷তাই মাঝে মাঝে বিরক্তই হন কিশোরদের এরকম বেপরোয়া আচরণে৷ফ্ল্যাটে ঢুকতেই চাপা কান্নার শব্দ শুনতে পেলেন ইন্সপেক্টর রায়৷ওঁকে দেখে এগিয়ে এলেন এক মাঝবয়সী,পাঁচ আঙুলে পাঁচ রকম আংটি পরা,জুয়েলারীর ব্যবসায়ী হীরক সেন৷
—"আসুন ইন্সপেক্টর,আমি হীরক সেন,স্বর্ণাভর বাবা৷"
—"হুম,কখন দেখলেন বডি,আই মিন ছেলেকে এই অবস্থায়?"
—"আমি আর আমার মিসেস একটা নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেছিলাম৷ছেলে যায়নি,ওর নাকি শরীর খারাপ৷এসে দেখি এই অবস্থা৷"
—"হুম,এর মধ্যে কী ও আপনার কাছে কিছু আব্দার করেছিল,যা আপনি দেননি,বা পরে দেবেন বলেছিলেন?"
—"আপনার ইঙ্গিতটা আমি বুঝতে পেরেছি ইন্সপেক্টর৷দেখুন,আমাদের একটাই ছেলে,ওর কোন অভাব আমরা রাখিনি৷ছোট থেকেই ও চুপচাপ৷বাইরে খেলতে যেত না৷ওর এক বন্ধু আসতো বাড়িতে,এখানেই খেলাধূলা করতো৷যা চেয়েছে,দিয়েছি৷আফটার অল,আমাদের বংশকে ও-ই এগিয়ে নিয়ে যাবে৷মোহিনীমোহন সেনের নাম নিশ্চয় শুনেছেন,আমরা ওঁরই বংশধর৷সুতরাং পারিবারিক মর্যাদা...
—"আচ্ছা,আচ্ছা,বুঝেছি...আচ্ছা,ওর কোন বিশেষ বন্ধু,মানে.."
—"গার্লফ্রেন্ড!নাঃ,ঐ যে বললাম তেমন বাইরে বেরোনো পছন্দ করতো না৷স্কুল যেত আর চলে আসতো,কখনো ওর নামে কোন কমপ্লেন আসেনি৷টিউশন বাড়িতেই দিয়েছিলাম,সুতরাং সে নিয়ে টেনলন ছিল না৷এ বছরই টার্ম শেষ হল৷ভেবেছিলাম এবার ছেলেকে অ্যাব্রোডে পাঠাবো,কিন্তু..."
—"হুম৷আচ্ছা ঠিক আছে৷বডি তো ফরেন্সিকে চলেই গেছে৷আমরা তদন্তের স্বার্থে আপনাদের আবার ইন্টারোগেট করতে পারি৷"
—"আচ্ছা৷"
********************************
কেবিনে বসে বসে কেসটাকে সাজাচ্ছিলেন ইন্সপেক্টর রায়৷চেনা সূত্র মিলছে না৷ওর কিছু বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলেও বিশেষ কিছু মেলেনি৷একটাই কথা খুব চুপচাপ থাকতো,মেয়েদের সঙ্গে মিশতো না৷তবে ওর টিউশন টিচারের কথা বলতো মাঝে মাঝে৷শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের সম্ভ্রম স্বাভাবিক৷তবে কী এমন ঘটলো যে ছেলেটা আত্মহত্যা করলো!কী একটা ভেবে হীরকবাবুকে ফোন করলেন ইন্সপেক্টর রায়৷
—"একটা জিনিস জানতে ফোন করলাম৷আপনার ছেলেকে যেসব টিউশন টিচার পড়াতেন,তাঁদের মধ্যে কাউকে কী ও বেশি পছন্দ করতো?"
—"হ্যাঁ,মনোজ৷সাহিত্যের ছাত্র ছিল৷ছোট থেকেই ওকে পড়াতো৷এমনকি মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকে আর্টস নেওয়াটাও ওর ইনফ্লুয়েন্সে হয়েছিল৷তবে ইদানীং ওর আচরণ ভালো লাগছিল না৷পড়ানোর সময় বেশিরভাগ সময় ফিসফিস করে কথা বলতো ওরা৷স্বর্ণাভর মা-ই জানিয়েছে সেসব কথা৷তবে কখনো আড়ি পাতেনি৷ছেলের রেজাল্ট খুব একটা খারাপ আসছিল না যে ওকে ছাড়িয়ে দেব৷তাছাড়াও একবার মনোজ অসুস্থ হওয়ায় যখন পড়াতে আসতে পারেনি,তখন স্কুল থেকে ওর বাড়ি চলে গেছিল স্বর্ণাভ!"
ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ ভাবলেন রায়বাবু৷
—"হুঁ..মনোজের পরিবার.."
—"ও একাই থাকে শরৎপল্লীতে৷বাবা-মা মারা গেছেন৷বিয়ে-থাও করেনি৷"
—"ঠিক আছে,আজ আসি৷"
********************************
পরদিনই মনোজের বাড়িতে গেলেন
ইন্সপেক্টর রায়৷দেখলেন কেমন যেন মুষড়ে পড়েছে বছর বত্রিশের মনোজ৷উস্কোখুস্কো চুল,না কামানো দাড়ি,গর্তে ঢুকে যাওয়া চোখ,চোখের তলায় কালি—সব মিলিয়ে যেন একটা ঝড় বয়ে গেছে ওর ওপর দিয়ে৷
—"আমি আসলে স্বর্ণাভর.."
—"জানি স্যার৷ওর মৃত্যুটা আমিও মেনে নিতে পারছি না৷এত সুন্দর একটা ছেলে৷তার থেকেও সুন্দর মন৷কি সুন্দর কবিতা লিখতো!"
—"কবিতা,কই ওর বাবা-মা তো কেউ..."
—"ওদের অত সময় কোথায় ওকে দেখার৷ও বেশিরভাগ গল্প আমার সাথে করতো৷আমিও খুব পছন্দ করতাম ওকে৷একটা নির্ভরতা তৈরী হয়েছিল আমাদের মধ্যে৷একটা ভালোবাসার সম্পর্ক..."
—"হ্যাঁ,সেটাই তো স্বাভাবিক৷ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে.."
—"না স্যার,শুধু ছাত্র-শিক্ষক নয়,একটা নিবিড় বন্ধুত্ব তৈরী হয়েছিল৷অথচ ওর পরীক্ষা শেষ হলেই যে আমাকেও ছুটি নিতে হবে,সেটা জানতাম৷মনে মনে প্রিপেয়ারও হচ্ছিলাম৷ওকেও বলেছিলাম৷ও বলেছিল,এতদিনকার অভ্যেস ও ছাড়তে পারবে না৷কিন্তু তাই বলে যে ও এরকম করবে..."
—"অভ্যেস,মানে?"
—"আমরা একে অপরকে ভালোবাসতাম,স্যার!"
—"মানে!!"
—"মানে যা ভাবছেন তাই..."
—"কিন্তু সে কী করে সম্ভব?মানে.."
—"কেন স্যার,এ কী পাপ?ভুল?দুজন মানুষ পরস্পরকে ভালোবাসতে পারে না?হোক না তারা সমলিঙ্গের,তবুও..."
—"কিন্তু সমাজ.."
—"সমাজের কথা কী বলবো স্যার,ওরা তো অনেককিছুই মানতে পারে না৷যাই ওদের বাঁধা নিয়মের বাইরে গেছে,তাকেই ওরা দুচ্ছাই করেছে৷মুখে বড় বড় কথা বললে বা আইন করলেই হয়না স্যার,পরিবেশ তৈরী করতে হয়,একটা বোঝাপড়া...আমার তো সব শেষ হয়ে গেল..সব.."
*******************************
কোন কথা না বলে চুপচাপ বেরিয়ে এসছিলেন ইন্সপেক্টর রায়৷ওঁর কান-মাথা ভোঁ ভোঁ করছে৷অনেক কেস দেখেছেন৷কিন্তু এরকম আগে দেখেননি৷অনেক শুনেছেন বটে,সিনেমা-পত্রিকাতেও পড়েছেন,বরাবর ওদের সৃষ্টিছাড়াই ভেবে এসেছেন৷অথচ আজ কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে চেনা হিসেব৷কেমন যেন ভালোবাসার ওপর বিশ্বাস জন্মাচ্ছে,আবার...
*******************************
দু'দিন পরই ইন্সপেক্টর রায় খবর পেলেন শরৎপল্লীতে পাওয়া গেছে গৃহশিক্ষক মনোজ মিস্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ৷
*******************************
নির্মলেন্দু কুণ্ডু
বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ
---নির্মলেন্দু কুণ্ডু
গাড়ি থেকে নামতে নামতে ইন্সপেক্টর রায় হাইরাইজিং সাত্যকি আবাসনের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলেন—
"এই হয়েছে এক ঝামেলা,বড়লোক বাপের ছেলে সব,নিশ্চয় দামি কিছু চেয়েছিল,না পেয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে৷এখন ওপরতলার চাপ,বাপ-মায়ের কান্নাকাটি সব সহ্য করতে হবে আমাদের৷দুত্তোর!"
অবশ্য তাঁকে দোষও দেওয়া যায় না৷বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরকম তদন্ত করতে হয় ওঁকে৷তাই মাঝে মাঝে বিরক্তই হন কিশোরদের এরকম বেপরোয়া আচরণে৷ফ্ল্যাটে ঢুকতেই চাপা কান্নার শব্দ শুনতে পেলেন ইন্সপেক্টর রায়৷ওঁকে দেখে এগিয়ে এলেন এক মাঝবয়সী,পাঁচ আঙুলে পাঁচ রকম আংটি পরা,জুয়েলারীর ব্যবসায়ী হীরক সেন৷
—"আসুন ইন্সপেক্টর,আমি হীরক সেন,স্বর্ণাভর বাবা৷"
—"হুম,কখন দেখলেন বডি,আই মিন ছেলেকে এই অবস্থায়?"
—"আমি আর আমার মিসেস একটা নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেছিলাম৷ছেলে যায়নি,ওর নাকি শরীর খারাপ৷এসে দেখি এই অবস্থা৷"
—"হুম,এর মধ্যে কী ও আপনার কাছে কিছু আব্দার করেছিল,যা আপনি দেননি,বা পরে দেবেন বলেছিলেন?"
—"আপনার ইঙ্গিতটা আমি বুঝতে পেরেছি ইন্সপেক্টর৷দেখুন,আমাদের একটাই ছেলে,ওর কোন অভাব আমরা রাখিনি৷ছোট থেকেই ও চুপচাপ৷বাইরে খেলতে যেত না৷ওর এক বন্ধু আসতো বাড়িতে,এখানেই খেলাধূলা করতো৷যা চেয়েছে,দিয়েছি৷আফটার অল,আমাদের বংশকে ও-ই এগিয়ে নিয়ে যাবে৷মোহিনীমোহন সেনের নাম নিশ্চয় শুনেছেন,আমরা ওঁরই বংশধর৷সুতরাং পারিবারিক মর্যাদা...
—"আচ্ছা,আচ্ছা,বুঝেছি...আচ্ছা,ওর কোন বিশেষ বন্ধু,মানে.."
—"গার্লফ্রেন্ড!নাঃ,ঐ যে বললাম তেমন বাইরে বেরোনো পছন্দ করতো না৷স্কুল যেত আর চলে আসতো,কখনো ওর নামে কোন কমপ্লেন আসেনি৷টিউশন বাড়িতেই দিয়েছিলাম,সুতরাং সে নিয়ে টেনলন ছিল না৷এ বছরই টার্ম শেষ হল৷ভেবেছিলাম এবার ছেলেকে অ্যাব্রোডে পাঠাবো,কিন্তু..."
—"হুম৷আচ্ছা ঠিক আছে৷বডি তো ফরেন্সিকে চলেই গেছে৷আমরা তদন্তের স্বার্থে আপনাদের আবার ইন্টারোগেট করতে পারি৷"
—"আচ্ছা৷"
********************************
কেবিনে বসে বসে কেসটাকে সাজাচ্ছিলেন ইন্সপেক্টর রায়৷চেনা সূত্র মিলছে না৷ওর কিছু বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলেও বিশেষ কিছু মেলেনি৷একটাই কথা খুব চুপচাপ থাকতো,মেয়েদের সঙ্গে মিশতো না৷তবে ওর টিউশন টিচারের কথা বলতো মাঝে মাঝে৷শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের সম্ভ্রম স্বাভাবিক৷তবে কী এমন ঘটলো যে ছেলেটা আত্মহত্যা করলো!কী একটা ভেবে হীরকবাবুকে ফোন করলেন ইন্সপেক্টর রায়৷
—"একটা জিনিস জানতে ফোন করলাম৷আপনার ছেলেকে যেসব টিউশন টিচার পড়াতেন,তাঁদের মধ্যে কাউকে কী ও বেশি পছন্দ করতো?"
—"হ্যাঁ,মনোজ৷সাহিত্যের ছাত্র ছিল৷ছোট থেকেই ওকে পড়াতো৷এমনকি মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকে আর্টস নেওয়াটাও ওর ইনফ্লুয়েন্সে হয়েছিল৷তবে ইদানীং ওর আচরণ ভালো লাগছিল না৷পড়ানোর সময় বেশিরভাগ সময় ফিসফিস করে কথা বলতো ওরা৷স্বর্ণাভর মা-ই জানিয়েছে সেসব কথা৷তবে কখনো আড়ি পাতেনি৷ছেলের রেজাল্ট খুব একটা খারাপ আসছিল না যে ওকে ছাড়িয়ে দেব৷তাছাড়াও একবার মনোজ অসুস্থ হওয়ায় যখন পড়াতে আসতে পারেনি,তখন স্কুল থেকে ওর বাড়ি চলে গেছিল স্বর্ণাভ!"
ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ ভাবলেন রায়বাবু৷
—"হুঁ..মনোজের পরিবার.."
—"ও একাই থাকে শরৎপল্লীতে৷বাবা-মা মারা গেছেন৷বিয়ে-থাও করেনি৷"
—"ঠিক আছে,আজ আসি৷"
********************************
পরদিনই মনোজের বাড়িতে গেলেন
ইন্সপেক্টর রায়৷দেখলেন কেমন যেন মুষড়ে পড়েছে বছর বত্রিশের মনোজ৷উস্কোখুস্কো চুল,না কামানো দাড়ি,গর্তে ঢুকে যাওয়া চোখ,চোখের তলায় কালি—সব মিলিয়ে যেন একটা ঝড় বয়ে গেছে ওর ওপর দিয়ে৷
—"আমি আসলে স্বর্ণাভর.."
—"জানি স্যার৷ওর মৃত্যুটা আমিও মেনে নিতে পারছি না৷এত সুন্দর একটা ছেলে৷তার থেকেও সুন্দর মন৷কি সুন্দর কবিতা লিখতো!"
—"কবিতা,কই ওর বাবা-মা তো কেউ..."
—"ওদের অত সময় কোথায় ওকে দেখার৷ও বেশিরভাগ গল্প আমার সাথে করতো৷আমিও খুব পছন্দ করতাম ওকে৷একটা নির্ভরতা তৈরী হয়েছিল আমাদের মধ্যে৷একটা ভালোবাসার সম্পর্ক..."
—"হ্যাঁ,সেটাই তো স্বাভাবিক৷ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে.."
—"না স্যার,শুধু ছাত্র-শিক্ষক নয়,একটা নিবিড় বন্ধুত্ব তৈরী হয়েছিল৷অথচ ওর পরীক্ষা শেষ হলেই যে আমাকেও ছুটি নিতে হবে,সেটা জানতাম৷মনে মনে প্রিপেয়ারও হচ্ছিলাম৷ওকেও বলেছিলাম৷ও বলেছিল,এতদিনকার অভ্যেস ও ছাড়তে পারবে না৷কিন্তু তাই বলে যে ও এরকম করবে..."
—"অভ্যেস,মানে?"
—"আমরা একে অপরকে ভালোবাসতাম,স্যার!"
—"মানে!!"
—"মানে যা ভাবছেন তাই..."
—"কিন্তু সে কী করে সম্ভব?মানে.."
—"কেন স্যার,এ কী পাপ?ভুল?দুজন মানুষ পরস্পরকে ভালোবাসতে পারে না?হোক না তারা সমলিঙ্গের,তবুও..."
—"কিন্তু সমাজ.."
—"সমাজের কথা কী বলবো স্যার,ওরা তো অনেককিছুই মানতে পারে না৷যাই ওদের বাঁধা নিয়মের বাইরে গেছে,তাকেই ওরা দুচ্ছাই করেছে৷মুখে বড় বড় কথা বললে বা আইন করলেই হয়না স্যার,পরিবেশ তৈরী করতে হয়,একটা বোঝাপড়া...আমার তো সব শেষ হয়ে গেল..সব.."
*******************************
কোন কথা না বলে চুপচাপ বেরিয়ে এসছিলেন ইন্সপেক্টর রায়৷ওঁর কান-মাথা ভোঁ ভোঁ করছে৷অনেক কেস দেখেছেন৷কিন্তু এরকম আগে দেখেননি৷অনেক শুনেছেন বটে,সিনেমা-পত্রিকাতেও পড়েছেন,বরাবর ওদের সৃষ্টিছাড়াই ভেবে এসেছেন৷অথচ আজ কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে চেনা হিসেব৷কেমন যেন ভালোবাসার ওপর বিশ্বাস জন্মাচ্ছে,আবার...
*******************************
দু'দিন পরই ইন্সপেক্টর রায় খবর পেলেন শরৎপল্লীতে পাওয়া গেছে গৃহশিক্ষক মনোজ মিস্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ৷
*******************************
নির্মলেন্দু কুণ্ডু
বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন