কে তুমি এ বিশ্বলয়ে সাজিয়ে দিচ্ছ সুর মহা
সমারোহে♥♥♥
যে সমাজে আমার কোনো জায়গা নেই সেই সমাজে আবার গাইছি গান♪♪♪♪♪
♪♥সুরের জাদুকর অনুপম রায়♥♪
বাংলা সুরের আরেক নাম অনুপম হ্যাঁ অনুপম রায়। ১৯৮২ সালের ২৯ মার্চ জন্মানো এই ছেলেটি সেদিন হয়তো জানতোনা তারই গলায় গোটা বাংলা দোল খাবে কিন্তু আজ সেটায় হয়েছে কাঁটাতার ভেদ করে তার কন্ঠ চলে গেছে দুই বাংলার মানুষের কাছে এটা শুধু তার নয় তার বাব-মারও কৃতিত্ব। ছেলে যখন মেডেল পাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ আর একটা ভালো চাকরি পেয়ে নতুন পা রাখছে একটা নামী কম্পানিতে ঠিক তখনই বাংলা মুভির প্রতি নাক বাঁকানো বাঙালীদের কথা না ভেবেই বাংলা সিনেমা গেয়ে ওঠলো আমাকে "আমার মতো থাকতে দাও" ফিরতি পথের বাঙালীরা থমকে দাঁড়ালো সেই সুরে আর মেনে নিল ঠিকই তো তোরা যা বলবি বল আমরা আমাদের মতই থাকবো কিন্তু গলায় থাকলো অদ্ভূত এক সুরের মাদকতা তাই ছেলে থেকে বুড়োরাও বলে উঠলো "আমাকে আমার মতো থাকতে দাও" আর অনুপম রায়ের বাবা-মা'ও বড়ো স্যাক্রিফাইস করলো যা বাবা তুই থাক নিজের মতোই আর তার প্রতিদান একের পর এক দেখতে পেলো বাংলা গানের জগৎ।
শীতের ফিস্টে রাত্রিবেলা যেখানে সবাই বিয়ার ঢেলে হিন্দি গান শুনতো আজ তারও আগুনে হাত রেখে মাউথঅর্গান আর গীটারে গেয়ে ওঠে এখন অনেক রাত,প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া রুগীটাও আজ আর কষ্টে থাকে না সেও বলে "আজকাল আমি প্রায় সারা সকাল প্যারালাইজড" এটাও যেন একটা ভালোলাগা সে কিন্তু ভালোবেসে গাইছে। এইভাবে বাংলা সিনেমা এক ঢিলে দুই পাখি মারলো, কীরকম? অনুপম রায়ের সুরের নেশা নিতে মানুষ কে দেখতেই হলো বাংলা সিনেমা, নাক না বাঁকিয়ে মানুষ দেখল বাংলা মুভি যা বিশাল মাওনা। প্রেমিকারা তাকে যেকোনো পোশাকেই ভালোবেসে ফেললো পা ফেলা ঘাসের ওপর।
আর হানিমুনে যেতে চাইল নবদম্পতি তার গান শুনে কারন তারা নাকি দু-হাত দিয়ে ঝিনুক কুরাতে চায়।
মা-বাবাকে দূরে ছেড়ে থাকা দাদু দিদার কাছে মানুষ হওয়া পোস্ত নামের ছেলেটি পশু-পাখির ডাক শুনে চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলো গানের ছন্দে, পুরো ব্যাপারটায় "আহারে আহা" হয়ে গেলো। ফ্লিম ফেরার আর একের পর এক পুরস্কার পেতেই থাকলো সুর জাদুকর অনুপম রায়।
নতুন প্রেমে পরা ছেলেটিও আড়াল করতে শিখলো তার গানে আর তাই বাড়ী ফেরার আগে শুকিয়ে নিলো জলে ভেজা এক পা। নতুন প্রেমিকাও কিছু যাঁচাই করছে না সত্যি না মিথ্যে তবে ঠগছে না কিন্তু। বাংলা দেশের মেয়ে নাবিলা দি'ও শাড়ী উপহার পেলো আর তার ভালোবাসা পেলো কেও বাদ গেলো না তার ভালোবাসার, বাংলাদেশের মেয়ে নাবিলা দি নিশ্চয় আসবে এই দুর্গা-পূজোয় কলকাতা। শহর ভুলিয়ে তোলপার করছে এই সুর রুমাল নেড়ে জাহাজ তাড়ানো থেকে আড়ম্ভ করে, গাছেদের কথা বলতেও ভুলনো না তাই বলছে এবার মরলে অনুপম রায় গাছ হবে!
তার গানের টানে ভেঙে যাওয়া প্রেম বিষ না খেয়ে বললো "আমি আজকাল ভালো আছি",
তার গান যেমন বসন্ত আনে আবার আনে ইস্টোজেনের গন্ধ প্রান পায় নতুন ভ্রুণ। তার লেখা বই গুলো অসাধারণ, "ছোঁয়াচে কলম"
,"আমাদের বেঁচে থাকা" নতুন প্রানের সঞ্চয় করে। অনুপম রায় বড্ড নিজ শহর প্রেমিক শহরে শান্তি নেই জানলেও ট্রাম লাইনকে আঁকড়ে ধরে তার শহরেই ফিরে আসে "তিস্তানে"। প্রেমকেও কেয়ার করতে জানতে হয় জানতে হয় সে ভালো আছে কিনা তাই রিসেন্ট অনুপম রায় জানতে চাইলেন "আমি কী তোমায় খুব বিরক্ত করছি? বলে দিতে পারো তা আমায়"।
এ ভাবে সবই হয়ে যাচ্ছে অনুপম সুরময় আর নবীনেরা তো প্রতিদিনই গভীরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে শুধুই। এই ভাবে বলতে গেলে চলতেই থাকবে তাই এবার থামবো যদিও থামা খুব কঠিন আজ শুধু বাংলা নয় হিন্দিও ছুঁতে চায়লো অনুপম
মাদকতা।
♥জলফড়িং তোমার প্রতি দিলো অনেক ভালোবাসা, দাদা বেশি কিছু দেওয়ার ক্ষমতা নেই এটাই দিতে পারি শুধু অনেকটা, তবে ঝড়ের পাঠানো কাঠবাদাম যাকে আমরা ঝড়ের পাঠানো চকলেট বলি সেটাও দিলাম তোমাকে আর তোমার ব্যান্ডের সক্কলকে। আর বৌদিভাই (প্রিয়া দি) কেও।
♥জেঠ্যু-জেঠিমাকে আমাদের প্রনাম দিলাম আর দিলাম ফ্রিজের ডিপ থেকে আনা শীতল শ্রদ্ধা♥
সবশেষে জলফড়িং এটাই বলতে চাই
'দাদা তুমি বুড়ো হইও না কোনোদিন, শুধুই বড়ো হয়ে যাও.....'
ধন্যবাদান্তে,
জলফড়িং ওয়েব ম্যাগের টিম
[ লিখলো ডট.পেন ]
ছবি:- অনুপম দার ফেসবুক থেকে।
একটু ক্ষমা করেই দিও যেহেতু না বলে নিয়েছি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন