♠সম্পাদকীয় কলম♠
তরল জীবাশ্ম ঘটিত ভাসমান ইনভারশন্
-------------------------------------------------------
অনুরূপা পালচৌধুরী
উল্টোদিকের অবয়বটির চুলের ঢেউ, তারপর চোখের গভীর কালো খাত থেকে করা পাকের লাল উঠোন ভাঙা ২টো ঠোঁট, উবু হয়ে বসে যায় কাচের বিছানায়।ঠোঁট উঠতেই চোখ দেখে নেয় তার সেপ্,নরম ভাঁজের ফাঁক গুলোর স্পষ্ট ছাপ।ধীরে ধীরে স্তন,কোমর,নিতম্ব ছুঁয়ে কাচপর্দা ভেদে বেরিয়ে আসে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আমিত্ব।সবচেয়ে সুন্দর নারী তখন নিজেই মসৃণ আয়নাতলে। তবে কি আমি/আমরা সমকামী নই? কেনো নই? নিজেকেই তো সবচেয়ে সুন্দর দেখি আর ভালোবাসি। তা কিবা পুরুষ কিবা নারী।
সমকামিতা বা Sexual Inversion-কে একধরনের যৌন বিপর্যয় হিসাবে ধরা হয়।ভারতীয় আইনে অপরাধ এবং ধর্মে পাপান্তর। Homosexuality বা সমকামনার ভাবনা না থাকলে নিজেকে সুন্দর রাখা/নিজেকে ভালোবাসা তো অসম্ভব, আর তা না থাকলে মানুষের নিজের বাঁচার তাগিদটাই তো ফুরিয়ে যেত।কারণ মানুষ নিজেকে আগে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে এবং সুন্দর দ্যাখে তা সে সাজে-পোশাকে বা শরীরে যাই হোক না কেনো।তাই সমকামনার ভাবনায় আমরা প্রত্যেকেই পর্যবসিত। কিন্তু সমকামনা থাকলেই যে সে সমকামিতায় অন্তর্গত হবে এমনটা নয় তাহলে সবাই সমলিঙ্গেই যৌনসংগমে লিপ্ত হতো।
বলা যেতে পারে সৃষ্টিনাশের উপকরণ এই সমকামিতা তাই ধর্মে এই বিধান নেই।অথচ ধর্মেরই সাধন-ভজনে উচ্চারিত দুর্গাস্তব :
নমস্তে শরণ্যে শিবে শানুকম্পে,নমস্তে
জগদ্ ব্যাপিকে বিশ্বরূপে।নমস্তে জগদ্ বন্দ্য-পদারবিন্দে,নমস্তে জগত্তারিণি ত্রাহি দুর্গে।।
নারীসুলভ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বররেই পুরুষালী রূপ হিসাবে দূর্গার আরাধোনা।মাথায় ব্জ্রাঘাত হলো? ভুল বকছি!!!কেনো দেবতা বলে কি তার সমকামিতায় ফুল,বেলপাতা ছুড়ে পূণ্য সঞ্চয়ের মোমমধু বিকোতে থাকে?আবার বিষ্ণুর নারীসুলভ মোহিনী রূপটাও তো বিশ্বসংসারে দেবতাদের অমর করে রাখে অমৃত খনির মতো।
অথচ শ্যামলদা পাপবিদ্ধ!!!তবু সেই শ্যামলীদি কে ( ওরফে শ্যামল ) শুনতে হয়- 'মদ্দা মাগী হইছে'।হাস্যরসের পানপাত্রে তখন লিঙ্গ সুরা চলতে থাকে।স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয় শ্যামলীদি।আমি গার্লসস্কুলে পড়তাম।এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেলো অর্চিতা আর পৌলমীর সমপ্রেম।ওরা ছিলো তখন সকলের চোখে বিপথগামী সন্তান।ওরা পরস্পর বিয়ে করতে চেয়েছিলো।হয়তো অর্চিতার বংশবৃদ্ধির দায়বদ্ধতা ছিলো।দায় ছিলো সমাজ আর পরিবারের, তাই হয়তো ওর ভালোবাসার খবর বাড়ির চৌকাঠ মাড়ায়নি।এখন ও অর্চিত তবে ১পুরুষকর্তৃক, কিন্তু পৌলমির খবর পাইনি।জানিনা ও অর্চিতা হতে পেরেছে কিনা নাকি নিজ অর্চনায় লিপ্ত আছে।
আসলকথা হলো মানসিক ভারসাম্যতা।সত্যি কি মানসিক ভারসাম্য-০ হয়ে পরছি না আমরা!সমতা যদি শান্তি দিতে পারে সমকামিতায় অসুখ কোথায়!ফড়িং ডানায় ভেসে যাক সমভাবনার সমকাম।সকল সমকামিতা সম্পন্ন মানুষদের জানাই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
লজ্জাবতী পাতায় ১পত্তন ঝুলন্ত চাঁদ
২য় কালজয়ী ৩য় স্তনবৃন্ত : আদরআঁচর
বিধিবদ্ধ বিকালের রেলিঙে ওড়নাশাড়ী মেঘবতী
নখের ওপর নখ্
জরায়ু ভেঙে জরায়ু।গোপন ভাঁজে গোপন
সহবাসের জলবিছানা : ১নারী আদিমতম পাপবাক্সে আরো ১নারী
গাঢ় হয় কালোজামের ক্লিটোরিয়াস্ ভোর
সমরেখায় আড়াআড়ি গর্তে মাংসল সমুদ্র
আমাদের ভুল!
সরলরেখায় গ্রহণ হয়
যোনির ঠোঁটে বিকৃত সূর্যের ১টুকরো উপদ্বীপীয় আগুন রাখি
রোদের আড়ালে প্রজাপতির অসুখ ভেজে
মানো / না মানো তরল বীর্যের বুদবুদে ডুবন্ত বিকলাঙ্গ সমাজের নগ্ন যৌনতা
আত্মসুখ। সুখপাখি ওড়ে। গর্ভহীন। সমলিঙ্গে অবশ ঠিকানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন