ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

মা গো পোশাক টা পাল্টে নাও
-----------------------------------

মাতৃক্রোড়ে যে শিশুর থাকার কথা ছিলো
সে এখন ডাস্টবিনে শুয়ে,
পিঁপড়ের কামড় খেয়ে কান্না জুড়ে দিয়েছে
মুখে এক ফোটা দুধ নেই -
তাকে আর্বজনার মধ্যে ফেলে গেছে।
এ কোন মা?  এ কেমন মা?
কুমারী মা,সধবা মা আবার কী
মা তো মা য় হয়, তাই না হে পৃথিবী।
পিঁপড়ের কামড়ে চোখ খোবলানো যে শিশুটা
এই মাএ অন্ধ হয়ে গেল
ছাড়পএ পেয়ে এই পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার জন্য
ওর তো কোনো দোষ ছিলো না,
কলঙ্ক ঢাকতে সেই মা তো হাত ধুয়ে-মিশে যাবে শত যোজন দূরের ভিড়ে
সন্দেহের কাঁটা সরিয়ে অন্য এক চেনা স্রোতে,
নাড়ী ছেড়ার কুসুম গন্ধে অথবা স্তনবৃন্তের দুধের ভারে
তার হৃদয়ে কি কোনো সংলাপ ফুটে উঠবে না,কোনো যন্ত্রনা?
আবার হয়তো ডাস্টবিনে পড়বে চরন চিহ্ন
মৃত শিশুটাকে ঘিরে তখন মানুষের কৌতুহল,কোলাহল
সে তখন জনতার একজন হয়ে ধিক্কার জানাচ্ছে
অনামী মায়ের উদ্দেশ্যে,
কিন্তু সূক্ষতার সেই টানটা তো বাউলের একতারার মত বেজেই চলেছে....
ধিক্কার জানাতে গিয়ে বারবার মনে পড়েছে শিশুটার সঙ্গে তার আধঘণ্টারর আলাপ...
চোখের জলেতে লেখা হয়ে গেছে হৃদয়ের সংলাপ।
হে পৃথিবী সর্বসংহা পৃথিবী মানুষ এখন আর মানুষ নেই..
মানুষের জামা কাপড়ের পোষাকটা পাল্টে দাও এবার-
সেখানে থাক,মানবতার বস্ত্র,
ডাস্টবিনের শিশুদের রক্ষার্থে তুমি কী করতে পারো-
কী হতে পারে,তোমার সেই অস্ত্র??????

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন