ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮

৯) কামের কাম্যতা
         -----পূজা ব্যানার্জী

বালিঘড়ির ছোট্টো একটি বালিকনার নীচে কোঠোরে পরার শব্দ মুহুর্ত বদলায়। একে একে সমস্ত বালুকণা বদলের জোটে নাম লেখায়। সাথে সাথে উন্নত প্রাণ বুঝতে শেখে - মানব প্রকৃতি,প্রবৃত্তি, ও তার প্রকাশ।


একাল-সেকালের চির বিবাদে, চর্চিত বিষয় হিসেবে বর্তমানে "সমকামীতা" বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

কথিত,প্রকৃতি বিরুদ্ধ নিয়মে লিপ্ত মানুষেরা সমাজের চোখে কিছুটা অপরাধীও বটে।তাদের মতে বাস্তুচক্র নাকি পড়েছে বিপাকে,নতুন প্রজন্ম আনয়নে পড়বে ছেদ। বংশরক্ষায় কমবে রক্ষক,থামবে সফর মাঝপথে।


"কামিতা" নিয়ে নয়

প্রশ্ন ওঠে তার ধরনে।

শিক্ষিত মানুষ হয়ে আম‍রাই মূর্খতা ঢাকতে নিজেদের দৃষ্টিকোণের পরিমাপে বদল আনি।


কাম বলতে বোঝায় কোন ব‍্যক্তির প্রতি,অপর এক ব‍্যক্তির মানসিক ও জৈবিক সকল রকমের চাহিদা।

যৌবনে পা পরতেই ধীরে ধীরে শুরু হয় মানসিক বিকাশ,দৈহিক চাহিদায় আসে পরিবর্তন।


মানুষের প্রবৃত্তির ভিন্ন ধারায় তাদের চাহিদাও বিভিন্ন।

মনের সাথে মনের মিল থেকেই

আসে আপেক্ষিক দেহের মিলন।


দুজন বিষমকামী মানুষের "মিলে" আমাদের মাথায় আসে না কামিতার কথা।

তবে কেন এ বৈষম্য?


সমগোত্রের দুজন ভালো বন্ধু হতে পারে,

হতে পারে ভাই-দাদা,কিংবা বোন-দিদি।

তবে তারা একে অপরের পরিপূরক ভালোবাসার মানুষও তো হতেই পারে।


কখনো খোলামনে দেখলে চোখে আসে শুধু দুজন মানুষের

"ভালোতে বাস" -এর নিষ্পাপ ছবি।

যেখানে একে অপরের জন্য থাকে অগাধ আস্থা ও ভালোবাসা।


আমরা ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ট সৃষ্টি মানুষ।

রক্তে মাংসে গড়া প্রাণীটির মধ‍্যে রয়েছে 'ধুকপুক' করতে থাকা চলমান মন,যে কাছের মানুষটাকে আগলে রাখতে শেখায়।


কামিতার গন্ডিতে বদ্ধ অ‍‌জ্ঞ চিন্তাধারায় জোয়ার আসুক।

মনুষ‍্যপ্রেমে মসগুল

হোক মানবকুল।
              ---------------

৩টি মন্তব্য: