ফেক একাউণ্ট
- সুদীপ্ত দেবনাথ
ঘড়ির ছোট কাঁটাটি তখন বারোর ঘরে ৷ হালকা হাওয়া বইছে ৷ আকাশে কোনো তারা নেই ৷ শুধু আছে একটা এঁটো চাঁদ ৷ সায়ক তখন ছাদের রেলিং এ বসে কানে হেডফোন দিয়ে তারা গুনছে ৷
হেডফোনে বাজছে "চাঁদ কেন আসে না আমার ঘরে..." ৷
হঠাত সায়কের ফোনে নোটিফিকেশন ৷
আশ্চর্য হল সায়ক ৷ এত রাতে আবার কে কি পাঠাচ্ছে ?
ফোনটি হাতে তুলে নিতেই চোখে পরল 'সায়নী রয়' এর ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট ৷
ও ! কি খুশি সায়কের ! লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল সে৷
সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকের সেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে একটি 'হাই' মেসেজ পাঠিয়ে দিল৷
আর ঠিক তার পরের মুহুর্তেই সায়নীর প্রতিত্তর চলে এল ৷
শুরু হল তাদের কথপকথন ৷
এদিকে ঘড়ির কাঁটা কখন যে বারোর ঘর ছেড়ে দু'এর ঘরে চলে এসেছে , তা খেয়ালই করে নি সায়ক ৷
কথা চলতে চলতে সায়ক হঠাতই ভালোবাসার সেই তিনটে শব্দ পাঠিয়ে দিল সায়নীর মেসেজ ইনবক্সে ৷
তারপর মিনিট তিনেক কারোর কোনো মেসেজ নেই ৷ হাওয়াও আর বইছে না ৷ টুকরো চাঁদটা মেঘে ঢেকে গেল ৷ গুমট গরম লাগতে লাগল সায়কের ৷
তারপর সায়নীর আবার মেসেজ এল
"আই লাভ ইউ টু " ৷
সায়ক আনন্দে লাফিয়ে উঠল ৷
এদিকে নিচের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা তার মা সায়কের ঘুমন্ত বাবাকে ডেকে বলল "এই শুনছ, ছাদে বোধ হয় চোর উঠেছে ৷"
ঘুমন্ত সায়কের বাবা এপাশ থেকে ওপাশে ফিরে বলল "ও সব মন চুরি গো ৷ করতে দাও৷"
তার মা আবারও বলে উঠল "কি লোক বাবা ! বাড়িতে চোর ঢুকেছে , আর উনি ঘুমোচ্ছেন !"
তারপর সায়ক আবার সায়নীকে মেসেজ করল "আই লাভ ইউ থ্রি" ৷ সায়নী উত্তর দিল "আই লাভ ইউ ফোর" ৷
এসময় আবার সায়কের কোনো এক বন্ধু সায়ককে ফোন করেছে ৷
ফোনটি রিসিভ করেই সায়ক বলল "কিরে বিসি ? এত রাতে ফোন ?"
তার বন্ধু উত্তর দিল "আর বলিস না ভাই ৷ রাতে ঘুম আসছে না যে ৷ কোলবালিসে কি মন ভরে !"
"মন বলিস না শালা ৷ বল শরীর , শরীর ভরে না৷"
"হ্যাঁ ভাই, সেটাই ৷ তো একটা জিএফ জোগার করে দে ৷"
সায়ক জানাল "ও ভাল কথা ; আমার একটা নতুন মাল জুটেছে ৷"
"কে ভাই কে ? কে ? প্রোপোজ করেছিস ?"
"হ্যাঁ, হ্যাঁ ; আবার রিপ্লাইও দিয়ে দিয়েছে ৷"
"বলিস কি ! নাম কী তার ?"
"সায়নী ৷"
"সন্ধ্যেই দেখা হল তোর সাথে ৷ তখন তো কিছু বললি না ?"
"আরে এখনই তো সব হল ৷"
"কোথায় ?"
"ফেসবুকে ৷"
"হুস ! তাই বল ৷ ওসব অনেক দেখা ৷"
"কী দেখা ?"
"মেয়েটাকে একটা ভিডিও কল কর, তাহলে উত্তরটা পেয়ে যাবি ৷"
বন্ধুর কথা মতো সায়ক - সায়নীকে ভিডিও কল করল ৷ কলটি রিসিভ হল ৷
অপর প্রান্তে শুধুই অন্ধকার, দেখতে পেল সায়ক ৷
- "একটু আলোতে এসো সায়নী ৷"
ঘরের আলোটি জ্বলে উঠল ৷ সায়ক দেখল বিপরীতে একটি ছেলেকে দাড়িয়ে থাকতে ৷ সায়ক অবাক ৷ সে ছেলেটিকে বলল "সায়নী নেই ?"
তবুও চুপ করে দাড়িয়ে ছেলেটি ৷
সায়ক আবারও জিজ্ঞাসা করল - "আপনি কি সায়নীর দাদা ? আমি সায়নীর বন্ধু ৷ সায়নীকে একটু ডেকে দেবেন প্লিজ ৷"
ছেলেটি উত্তর দিল "তুমি যাকে দেখছ , সেই-ই সায়নী ৷"
হঠাত এমন সময় আকাশের মেঘ গর্জন করে উঠল ৷
ছেলেটি আবারও বলল "আমার আসল নাম সায়ন ৷ মজা করছি না ৷ আই অ্যাম সিরিয়াস ৷ আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি ৷ ডু ইউ লাভ মি ?"
-----------------
- সুদীপ্ত দেবনাথ
ঘড়ির ছোট কাঁটাটি তখন বারোর ঘরে ৷ হালকা হাওয়া বইছে ৷ আকাশে কোনো তারা নেই ৷ শুধু আছে একটা এঁটো চাঁদ ৷ সায়ক তখন ছাদের রেলিং এ বসে কানে হেডফোন দিয়ে তারা গুনছে ৷
হেডফোনে বাজছে "চাঁদ কেন আসে না আমার ঘরে..." ৷
হঠাত সায়কের ফোনে নোটিফিকেশন ৷
আশ্চর্য হল সায়ক ৷ এত রাতে আবার কে কি পাঠাচ্ছে ?
ফোনটি হাতে তুলে নিতেই চোখে পরল 'সায়নী রয়' এর ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট ৷
ও ! কি খুশি সায়কের ! লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল সে৷
সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকের সেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে একটি 'হাই' মেসেজ পাঠিয়ে দিল৷
আর ঠিক তার পরের মুহুর্তেই সায়নীর প্রতিত্তর চলে এল ৷
শুরু হল তাদের কথপকথন ৷
এদিকে ঘড়ির কাঁটা কখন যে বারোর ঘর ছেড়ে দু'এর ঘরে চলে এসেছে , তা খেয়ালই করে নি সায়ক ৷
কথা চলতে চলতে সায়ক হঠাতই ভালোবাসার সেই তিনটে শব্দ পাঠিয়ে দিল সায়নীর মেসেজ ইনবক্সে ৷
তারপর মিনিট তিনেক কারোর কোনো মেসেজ নেই ৷ হাওয়াও আর বইছে না ৷ টুকরো চাঁদটা মেঘে ঢেকে গেল ৷ গুমট গরম লাগতে লাগল সায়কের ৷
তারপর সায়নীর আবার মেসেজ এল
"আই লাভ ইউ টু " ৷
সায়ক আনন্দে লাফিয়ে উঠল ৷
এদিকে নিচের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা তার মা সায়কের ঘুমন্ত বাবাকে ডেকে বলল "এই শুনছ, ছাদে বোধ হয় চোর উঠেছে ৷"
ঘুমন্ত সায়কের বাবা এপাশ থেকে ওপাশে ফিরে বলল "ও সব মন চুরি গো ৷ করতে দাও৷"
তার মা আবারও বলে উঠল "কি লোক বাবা ! বাড়িতে চোর ঢুকেছে , আর উনি ঘুমোচ্ছেন !"
তারপর সায়ক আবার সায়নীকে মেসেজ করল "আই লাভ ইউ থ্রি" ৷ সায়নী উত্তর দিল "আই লাভ ইউ ফোর" ৷
এসময় আবার সায়কের কোনো এক বন্ধু সায়ককে ফোন করেছে ৷
ফোনটি রিসিভ করেই সায়ক বলল "কিরে বিসি ? এত রাতে ফোন ?"
তার বন্ধু উত্তর দিল "আর বলিস না ভাই ৷ রাতে ঘুম আসছে না যে ৷ কোলবালিসে কি মন ভরে !"
"মন বলিস না শালা ৷ বল শরীর , শরীর ভরে না৷"
"হ্যাঁ ভাই, সেটাই ৷ তো একটা জিএফ জোগার করে দে ৷"
সায়ক জানাল "ও ভাল কথা ; আমার একটা নতুন মাল জুটেছে ৷"
"কে ভাই কে ? কে ? প্রোপোজ করেছিস ?"
"হ্যাঁ, হ্যাঁ ; আবার রিপ্লাইও দিয়ে দিয়েছে ৷"
"বলিস কি ! নাম কী তার ?"
"সায়নী ৷"
"সন্ধ্যেই দেখা হল তোর সাথে ৷ তখন তো কিছু বললি না ?"
"আরে এখনই তো সব হল ৷"
"কোথায় ?"
"ফেসবুকে ৷"
"হুস ! তাই বল ৷ ওসব অনেক দেখা ৷"
"কী দেখা ?"
"মেয়েটাকে একটা ভিডিও কল কর, তাহলে উত্তরটা পেয়ে যাবি ৷"
বন্ধুর কথা মতো সায়ক - সায়নীকে ভিডিও কল করল ৷ কলটি রিসিভ হল ৷
অপর প্রান্তে শুধুই অন্ধকার, দেখতে পেল সায়ক ৷
- "একটু আলোতে এসো সায়নী ৷"
ঘরের আলোটি জ্বলে উঠল ৷ সায়ক দেখল বিপরীতে একটি ছেলেকে দাড়িয়ে থাকতে ৷ সায়ক অবাক ৷ সে ছেলেটিকে বলল "সায়নী নেই ?"
তবুও চুপ করে দাড়িয়ে ছেলেটি ৷
সায়ক আবারও জিজ্ঞাসা করল - "আপনি কি সায়নীর দাদা ? আমি সায়নীর বন্ধু ৷ সায়নীকে একটু ডেকে দেবেন প্লিজ ৷"
ছেলেটি উত্তর দিল "তুমি যাকে দেখছ , সেই-ই সায়নী ৷"
হঠাত এমন সময় আকাশের মেঘ গর্জন করে উঠল ৷
ছেলেটি আবারও বলল "আমার আসল নাম সায়ন ৷ মজা করছি না ৷ আই অ্যাম সিরিয়াস ৷ আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি ৷ ডু ইউ লাভ মি ?"
-----------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন