ভিড় থেকে সরে আসি। সমুদ্র জানে না কারও নাম। অনেক লেখার শেষে সাদা পাতা এখনও আরাম...শ্রীজাত

রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

||অবসান||
      ---প্রসেনজিৎ রায়

তোমার সাথে হয়তো দেখা হবে একদিন;
সে যে কোন দিন আমিও জানি না।
হয়তো দেখা হবে বহুদিন পর,
তুমি হয়তো বলবে,  নিজের কি খেয়াল রাখো না
নিজের কি হাল করেছো;
ইশ্।
হয়তো মাথা তুলে বলবে, আমার দিকে তাকাও,
আমায় না পাওয়ার জন্য;
নিশ্চয়ই সিগারেট টেনেছো, ঠোঁট দুটো কি বানিয়েছো;
হয়তো বলবে নিজেকে কেন কষ্ট দিয়েছো;
তুমি আমার থেকে ভালো মেয়ে পাবে;
কিন্তু কি করবো বলো, গোলাপে পাপড়ি সতেজ রাখতে চেয়েছি।
তুমি কি এখনও আমায় ভালবাসো?
বলো, ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকো না
বলো?
হ্যাঁ ভালোবাসি,
সত্যি তোমায় আজও খুব ভালোবাসি ।
                 **--------------------------**

||প্রিয়তমা অনুকে||

বহুদিন বাদে জানলার কার্নিশ বেয়ে আবছা তোর ছায়ামূর্তি। এবার আমার বিদায় নেবার পালা।কেমন আছিস জানতে চাইব না । বোধ হয় কেন? নিশ্চিত তুই ভালো আছিস । সবার থেকেই একে একে বিদায় নিয়েছি। লিস্ট ঘেঁটে দেখলাম বাকি রইলি শুধু তুই, তাই এবার তোর থেকে।বিষাতুর ব্যাথাগুলো বৃষ্টির মেঘ হয়ে জমেছিল অলিন্দে আর বয়ে বেড়াতে পারছিলাম না তাই ঝেড়ে ফেললাম চিঠি দিয়ে ।অনুরোধের মুখ নেই তবু ও বলতে হয় বললাম পারলে পরিস ।
শহর টা বড্ড বোরিং হয়ে জাচ্ছিল,কাজ-কর্মহীন উন্মাদের মত মত্য নৃত্যে বেহুস হ্যালোইন থেকে মুক্ত হতে পর্ণমোচীতে আশ্রয়। প্রথমে চাকরিটা তারপর ভৃত্য রামু ও শেষে গোসা ঘর (তোর ফেলে আসা)। তঞ্চকতা জিনে নেই তাই বলে গেলাম।
বিক্ষিপ্ত শব্দ গুলো কোনক্রমে সাজাবার চেষ্টা করলাম অনভ্যস্ত হাতে। সামনা সামনি হবার ইচ্ছে গুলো মরে গেছিল আগেই দাহ করে শেষে লিখতে বসেছিলাম।তোলপাড় করা বুকের মাঝের অক্ষর গুলো কোনক্রমে বিন্যাস শুরু ও শেষের মাঝে একটা দন্ধ ছিল। লাঞ্ছিত,অনাদৃত,অপদার্থরা ভালবাসার যোগ্য নয়। যোগ্যতম উদবর্তে আন ভ্যাকেন্টই রইলাম। সমাদৃত হতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে কোন ক্রমে অন্যত্র।
রুক্ষ সরজমিনে হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটটার বলরুমে রাখা ছোটপর্দার ছোট ছোট চরিত্র গুলো মাঝ রাতে গিলে খাচ্ছিল কথার জালে, ম্যাগাজিনের পেজের ইংরাজি বর্ণমালা গুলো বড্ড অসহ্য হয়ে উঠেছিল।তাই অগত্যা সাইকিয়াটিস্টের পরামর্শ,নিউ লং জার্নি কিছুটা রোমাঞ্চ রোমহর্ষ বটে তাই চললাম।
তবে কোনদিন যদি ফিরি তাহলে আরেকটা চিঠি দেব।সেটা সুখান্তরের পুরোনো টিলায় বসে পেয়ালায় ঢেলে চায়ের প্রস্তাবের হয়ত। আপাতত জ্বালাতন ভুলিয়ে বিদায় নিলাম ।
ইতি
   প্রান খোলা হাসি
**অবসান**
        ---অন্তরা চ্যাটার্জী

অভিনয়ে মানিয়েছো হার রূপালি পর্দার নামী-দামী অভিনেতাকে।
দেওয়ালের গিরগিটিটা লজ্জায় করেছে আত্মহত্যা
শুধু তোমার রঙ বদলের গতি দেখে।
বিশ্বাসঘাতকতার আঁচে পুড়ে
আমার ক্লান্ত দিন এখন
ধুলোমাখা অতীত হয়ে পড়ে আছে রাস্তায়।


আরে ,আমি তো সেই নগণ্যা—
যে তোমাকে মেঘ মনে করে
আঁচল পেতে বৃষ্টি কুড়োতে চেয়েছিল,
পুর্ণিমার রাত থেকে  জ্যোৎস্না চুরি করে
তোমার অমাবস্যার বারান্দায় ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল,
লক্ষ জোনাকিকে বন্দী করে তোমার ঘরের বর্তিকা জ্বেলেছিল।

বৃথা চেষ্টার আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে
আমার আকাশটা এখন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে তোমার উঠোনে।
না! ওখানে প্রেম আর থাকেনা!
কারন ভালবাসা নিয়েছে অবসান।
                  **----------------------------**
শেষ চিঠি
।।।।।।।।।।

||ব্যবধান||

শ্যামাপদ মালাকার

হে রাজশ্রী!--
আজ মনে পড়ে, নিঃশব্দ পদ-সঞ্চারে যবে এলে, সেদিনেও আমি খোলা আকাশের নীচে- আপনার পর্ণকুঠির রচনায় ব্যাপৃত ছিলাম।

তুমি তো জান-
পরিণয়ের প্রথম লগ্ন থেকেই তোমার আমার যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে- তার গভীরতা কেউ কোনদিন টের পাইনি।
আমি জানি,-এই নদী - পাহার - অরণ্য তোমার কোনোদিন ভাল লাগেনি, ভাল লাগেনি বললে ভুল হবে- তুমি কখনও 'ওদের' ভালবাসনি- -
সহসা কথা শেষ হতে না হতেই সেদিন বলেছিলে,-"কি হবে এই অস্হায়ী অতৃপ্ত পর্ণকুঠির সৃজন করে?"।
তখনও আমি অরণ্যের লতায় মজবুত বাঁধন বেঁধে চলেছি।
তুমি সেদিন বলেছিলে-"ফিরে চল।"
আমি বললাম- কোথায় ফিরে যাওয়ার কথা বলছো!- -
কথা শেষ হতে না হতেই বলে উঠলে,-"শক্তভিতের চিরস্হায়ী নীড়ে।"

এখানেই আমার সমস্ত বাঁধন অসমাপ্ত হয়ে আসে।
তুমি আরো বললে,-"এখানে এমন কি আছে? কাকে নিয়ে তুমি তোমার গল্প-কবিতা লিখবে!"।
আচ্ছা বল তো- সেদিন তুমি এখানে রুঢ় মাটি-পাথর ছাড়া, কবিতা বা গল্প উৎসের কোনো উপকরণ খুঁজে পাওনি?।
যে মাটির পানে চাইলে- জননীর মুর্ত্তি দৃশ্যমান হয়ে উঠে, - যে মাটির সোঁদাগন্ধে অনির্বাণ পল্লীর টিম টিম দীপ-শিখাটির সলতে ওঠা নামা করে,--সেই মাটির পানে চেয়ে তুমি- কিছুই খুঁজে পাওনি?।

তবে আজও ফিরে যাও। ফিরে গিয়ে প্রায়চিত্ত করিও- অপরিণত মনের ভাবাবেগের সিদ্ধান্ত।
পুড়িয়ে দাও গিয়ে- নিন্দিত পুরুষের অসমাপ্ত কবিতার ডাইরী!।
প্রথম প্রথম হয়তো আমার অনুপস্থিতি মর্মমূলে পীড়ন হানবে- তার পর ধীরে ধীরে শহরের অবিশ্রান্ত জনমুখর কোলাহলে আমাকে ভাবার তোমার ভাবনার শক্তির গতি একদিন মন্হর হয়ে আসবে।
ফিরে পাবে আবার সন্তরণেরর বিরাট সমুদ্র।

---হে প্রকৃতির নিশিজাগরণকারী তরুগণ- হে সর্বকাল ইতিহাসধারী, যুগ-যুগান্ত ললাট ভাঙ্গনের সাক্ষ্যকারী পাহাড়িগণ,-আমি শুধু তোমাদের ভালবাসি!
নিশি রেখে উঠা সেই মাঝিরে- যারে আমি আমার গল্পে বেঁধেছি, যদি কখনও দেখা পাই- তারে জিজ্ঞাসিব,-"সুদূর তটিনীর বাঁকে সাঁজাল-তাড়িত 'নাউ'- গৃহাভিমুখে ভীড়তে ভীড়তে ভাটিয়ালী সুর কন্ঠে বাজে কি না!
যদি বাজে-- তবে আমার গল্প- জেগে থাকবে এ বাংলার মাঠ, ঘাট, পায়ে চলা মেঠো-পথটিরও শেষে!।"।
                                 ইতি
                                   দেবাঞ্জন
                         
মেঘাসৃতা
                   **--------------------------**
ইভেন্ট : অবসান


পরিচয় ____ ১ অদৃশ্য সুরশলাকার সাথে
------------------------------------------------------------
এখনো আকাশ ওড়ালে : মুখোমুখি বেলুন-হানা
অনভ্যস্ত থার্মোমিটার ~ মৎসকণ্যার মেরুন-মেঘ
অবসরের বুদবুদে সাংকেতিক রূপকথারা পোড়ে
ভাবছি ~ এও তো বেশ সুহানা মাটির ভগ্নাংশ

পোড়ামাটি ও বালির সঙ্গম : অবশেষে ইথারের ভ্রূণ


শব্দরূপ : রাহুল
              **----------------------------------**
ইভেন্ট : অবসান

||যাপনের শেষ দিন||
-------------------------
                     --- অনুরূপা পালচৌধুরী

 আমার মৃত্যুফলকের স্তূপীকৃত এজলাসে
     অতিক্রান্ত শ্বাসপথ গুলি একমাত্র তোমার
 ছুয়েঁ দাও রূপ জলচোখ→অদৃশ্য সূর্যনালী
     তৃপ্তির ব্যকুল ঠোঁটে শীর্ণ ঘাসঘুম যাপনের
 শেষভোর নিশ্চিত করি তোমার উষ্ণ বুকরক্তে
                **---------------------**
অনুকবিতা... বেলা অবসান
রমলা মুখার্জী, বৈঁচী, বিবেকানন্দ পল্লী, হুগলি ৭১২১৩৪,
বিষয় ঃঅবসান

ফুরায় খেলা সন্ধ্যাবেলা
শেষের কথা কেন বলো?
সোহাগ মাখা ভালোবাসায়
আঁখির পাতা ছলোছলো ।
যাবার ক্ষণে মনের কোণে
জমে থাকা অনেক ব্যথা....
স্মৃতি-সুধায় মাখামাখি
হাসি আলোর হাজার কথা,
অবসানের এই বেলাতে
করছে কেবল তোলপাড়.....
সকাল, দুপুর, বিকেলেগুলো
দাঁড়িয়ে আছে সার সার ।
................................................................... দূরভাষ 9474462590
!!শেষ চিঠি!!
**********
অরুণ কুমাৰ মন্ডল
**************
পূজনীয় বাবা,
        জানিনা এ চিঠি তুমি পাবে কিনা!
অনেক যন্ত্রণা আর ব্যাথা ভরা এই চিঠি খানা,
যতবার ভেবেছি।তোমাকে সবকথা খুলে বলি
বলব বলব করে আর বলা হয়ে উঠল না।
তুমি বুঝবেনা এ বুকের ব্যাথা,
তুমি গরিমায় আছো সঙ্গে সৎ মাতা!
আমার গর্ভধারিণী আজ পাগলের আখ্যা নিয়ে
ভিখারিণীর বেশে ভবঘুরে,
আমি তার ছেলে?দু'চোখে জল ভরে,
করুনার প্রার্থী মায়ের আমার-
          বরাদ্দ ভাঙা কুঁড়ে!
এ দুর্বিষহ ব্যাথা সহি কোন বুকে,
প্রথম পাওয়া ছাত্ৰ, এ লজ্জা ঢাকি কোন মুখে?
বারংবার ভেবেছি সে কথা বলতে-
মায়ের জন্য চেয়েছি বাঁচার আশ্রয়টুকু খুঁজতে।
আমি হেরে গেছি, পারিনি মেনে নিতে,
মায়ের জন্য তোমার কাছে, মর্যাদার ভিক্ষা চাইতে!
তাই আজ স্বেচ্ছায় এ পথ নিয়েছি বেছে
তোমার খোকা কোনো দিন আর ফিরবেনা তোমার কাছে।
         ইতি
        ----
তোমার হতভাগ্য
     ---------
    "বিনয়"

***********
||সাদা পায়রা||
         ---সন্দীপ ভট্টাচার্য
তারপর একদিন সব ঝড় থেমে গেলে
হিরোশিমা হবে আন্টার্কটিকা
মিসাইল খোল বুকেতে নিয়ে গাইবো বুদ্ধং সরনং গচ্ছামী।।
              **-----------------**
||_____অবসানে||
                 ---সুনন্দ মন্ডল

শীতের কাঁপন অবসানে
নামবে এবার বসন্ত।
পাখির কূজনে ভরে যাবে
দশদিশ আর দিগন্ত।

ফুলগুলি সব খিলখিল
হাসির ছটায় মেলা খুশি।
আসবে ভ্রমর গুঞ্জনে
আলোর বাতাস বানভাসি।

হলুদের ছোঁয়া মন ভরা
হৃদয়ে ফল্গু ভালোবাসা।
প্রেমের বাঁধন যৌবনের
নতুন জীবন সুখ আশা।

কাটবে কুয়াশা শীত শেষে
ঝলমলে দিন সরসতা।
প্রকৃতি ও প্রাণী মিলে দেখ
জগতের ঘরে নতুনতা।
        -------

(কাঠিয়া,মুরারই,বীরভূম)
★★★অবসান★★★

★★কেয়া অধিকারী★★

সমস্ত চাওয়া-পাওয়ার ঘটল অবসান-
        দিনান্তে আজ আমি ক্লান্ত পথিক,
সামনে শুধুই শুষ্ক ধূসর মরুভূমি-
        পেলাম না খুঁজে চলার পথ সঠিক।
কি দোষে আজ এমন সাজা পেলাম?
        জানলাম না আজ কোনটা ঠিক-বেঠিক!
                 **----------------------------**

শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮

১৯.১.২০১৮               
                    {নমস্কার}

আজ এক অন্যরকম ভাবনা নিয়ে জলফড়িং হাজির হয়েছে।আমরা নিশ্চিত এর আগে এমন কাজ কোনো ব্লগ করেনি।

জলফড়িং, সেটা এমন কী রে ভাই?

তবে শুনুন আমরা দেবো ভাবনা কবিকে ভাবতে হবে না,কবি দেবেন শুধু কাব্যরূপ আর কবিতার নামও কবিই দেবেন।

তবে বলে রাখি আজ কোনো গল্প,অনুগল্প,অনুকবিতা থাকছে না। শুধু কবিতার জন্য কলম ধরুন।

কেমন হয়েছে? জানাবেন কিন্তু --

লেখার সাথে কবিতার নাম,কবির নাম আর নিজস্বী কিন্তু বাঞ্চনীয় আর বানান ভুল কাম্য নই,কোনো প্রকার টাইপিং সমস্যা কাম্য নই।

তবে আজ কোনো বারন না মেনে  তিনটে বেস্ট চোয়েস হবেই।

যদি সেরা না হতো তাহলে প্রতিযোগীতা হতো না। আর আমার সকলেই কমবেশি ভালো লেখি কিন্তু কেউই প্রতিষ্ঠিত কলম নই তাই বেস্ট চোয়েসে কারোরই কোনো সমস্যা থাকা উচিত নয়। তবে এ বিষয়ে আপনারাই মতামত দিলে ভালো হয়। তবে আবারও বলছি বেস্ট চোয়েস অসামান্য হাতই করবে( নিষেধ আছে)।

সকল লেখক লেখিকাদের আহবান লেখা দেওয়ার জন্যে।

'ভাবনা দিলাম লেখক লেখিকারা দিন তার ডানা আর ভাবনারা উড়ে যাক ডানা মেলে সাহিত্যের আকাশে'

                   [ ভাবনা গুলি ]

(দুটো-র মধ্যে একটা ভাবনার কাব্যরূপ দিন)

১.) আপনি গ্রামে গেছেন, চারিদিক সবুজ  শান্ত, শীতল পরিবেশ, গরুর গাড়ী যাচ্ছে ধান বোঝাই করে,আপনার পাশ থেকে মিড্- ডে- মিলের থালা বাজাতে বাজাতে কিছু স্কুল ছুটির একদল বালক বালিকা অন্যদিকে কয়েকজন ছেলে লাঠি হাতে টায়ার চালিয়ে যেতে যেতে তাদের দেখে থামলো আর তাদের মুখ ওই স্কুল ছুটির একদল বালক বালিকার আনন্দ-উচ্ছাসের কাছে বিবর্ণ হলো।

২.) আপনি আর আপনার বন্ধু মিলে কোথাও বেরাতে গেছেন, বেশ আনন্দে কাটছে আপনাদের, আপনারা আপনার এক পরিচিতর বাড়ীতে উঠেছেন,বাড়ীটা অনেক পুরোনো।এক অন্ধ্যকার রাতে আপনার ঠিক ওপরের ঘরে কথাবার্তা চলছে।আপনি জানতেন এ বাড়ীতে আপনি আর আপনার বন্ধু আর আপনার পরিচিতর পরিবার ছারা কেও থাকেনা। কাল সকাল হতেই ওপরে গেলেন আর দেখলেন এক বৃদ্ধা ও তার একমাত্র মেয়ে ওপরে থাকে। বৃদ্ধার বয়স প্রায় ৭০ বছর পরে জানলেন উনি অন্ধ বৃদ্ধা,মেয়েটি অপরূপ সুন্দরি। বৃদ্ধার সাথে কথা বলে জানলেন কেও একজন অনেকদিন আগে তার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়িছিলো কিন্তু সে আর ফিরেনি আর তাই বৃদ্ধা মরতে পাচ্ছেনা। এহেন অবস্থায় আপনি তাকে বললেন আপনি আজ এসছেন আর এবার তার মেয়েকে বিয়ে করবেন,বৃদ্ধার হাসি তখন কে দেখে, মেয়েটি চুপ তখনও।তারপর কিছু দিন থাকলেন আলাপ হলো আপনাদের, রাজি হলেন দুজনেই কিন্তু আপনিও একদিন মেয়েটিকে জানালেন আপনি এবার চলে যাবেন কিছু কাজ বাকি আছে আর ফিরে তাকে বিয়ে করবেন কিন্তু বৃদ্ধাকে কিছু বলতে পারেননি। তারপর একদিন আপনিও ভুলে গেলেন আর পরে মনে পরলে বুঝতে পারলেন না ওটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব ছিলো।

{ কবিতার নাম আর কাব্যরূপের ওপর বিচার করে বেস্ট চোয়েস হবে। যারা যারা ভাবনায় ডানা দিতে চান এগিয়ে আসুন}

👍{লেখা পাঠান এই ইমেলে williamsajidsultan@gmail.com}

👺নিয়ম :- ১.) কবিতার নাম থাকতে হবে
           ২.) কবির নাম থাকতে হবে
 ৩.) Doc/pdf  লেখা গ্রহণ যোগ্য নই শুধু
 টাইপে লেখা দিন
 ৪.) নিজস্বী আর আপনার প্রিয় কবি, বই, কবিতা/ গল্প আর আপনার ভালো লাগা লিখে দিন কবিতার নীচে (ছোটো করে)।

♥ আমরা "বেস্ট কল্প কাব্যরূপ" সম্মানে সম্মানিত করবো তিনজন কবিকে ভিডিও-র মাধ্যমে ২০ তারিখ রাত ১০ টায়♥

   লিঙ্ক দেবো রাত ৯ টায় ২০ তারিখ

♦কলম ধরুন অন্যকিছু ভাবার দরকার নেই কে বলতে পারে আপনার কাব্যরূপই হয়তো হলো জলফড়িং- র "বেস্ট কল্প কাব্যরূপ"♦

                       ধন্যবাদ
                            ডট.পেন
🙏
||আক্ষেপ||

নাকের ডগায় মোটা লেন্স
অভিজ্ঞ চোখ গুলো
তাপ উত্তাপ হীন
শুনেছো খুড়ো
 “ ভাঁড়ার ঘরে আনাজ শেষ;
         চুলায় আগুন রাঙবে না”
 লম্বা দীর্ঘশ্বাস
         রোদ ছায়া উঠানে
    লে
ন্স
গা
মী
ভাবনার দুপুর –রোদ কাঠি (প্রশ্ন)
সময় বড্ড স্বার্থপর নারে (একাকী)
মাইয়া আই বুড়ো
কেউ কথা দিয়েছিল
আক্ষেপ ঃ কেউ কথা রাখেনা
---জয়দীপ রায়
                    **-----------------------**


 || সেটা কী স্বপ্ন ছিল!||
                           ---- (ডট.পেন)

আমি আর আমার বন্ধু বেরুলাম পথে,
যাবো এক পরিচিতর বাড়ি ছুটি কাটাতে
সোজা সড়ক চলে গেছে গ্রামের ভেতর দিয়ে
জোনাকি গুলো এগিয়ে দিচ্ছে অন্ধকার পেরিয়ে
ভগ্নপ্রায় সিঁড়ি বেয়ে সোজা দোতলার ঘরে
উড়লো ধোঁয়া, আস্ট্রেতে নামিয়ে রাখা নিকোটিন  যাচ্ছে পুড়ে
গল্প হলো,কাটলো অনেক দিন আনন্দ-উল্লাসে,
পুকুর জলে ডুব দিয়ে যায় পানকৌরি এসে
হঠাৎ সেদিন ফেরার আগে অন্ধকার রাত্রি
উপর থেকে আওয়াজ এলো অজানা এক যাত্রি
একমুখি এক কন্ঠস্বর বাজলো অনেকক্ষণ-
অনেক পরে থামিয়ে দিলো সূর্য উঠবো যখন
কেমন যেন থমকে গেছি, কোথায় এমন হলো!
ওসব শুনেই সেদিন রাতে ঘুম নিভিয়ে গেলো।
প্রভাত প্রসাদ জাগলো যখন তারা নিভিয়ে গেছে,
থমকে গেছি সিঁড়ি পেরিয়ে তিন-তলাতে এসে
কেমন যেন ! বৃদ্ধা আছে, পাশে মুর্তি তক্তাপোশে
কী হয়েছে? বললে পরে বৃদ্ধা দেখি অট্টহাসি হাসে
এসেছিস তবে আয় এদিকে এখন,
আ'রে মুর্তি নয় রক্তমাংস জানলাম তখন!
বৃদ্ধা বললো বস বাবা, অন্ধ বৃদ্ধা পরিস্কার
এতদিন পরে ফিরে এলি তুই, রঙ এনেছিস এবার?
আমি যে পারিনি মরেও মরতে মেয়েকে না দিয়ে বিয়ে,
তুই যে গেছিলি আসবি ফিরে আমাকে কথা দিয়ে
হঠাৎ বললাম এসেছি, তবে এখনও আছে বাকি-
আরও কিছুদিন থেকে গিয়ে চললো স্বপ্ন আঁকাআঁকি
ছুটি তখন ফুরিয়ে এসেছে হাতে
বৃদ্ধাকে না বলে ওকে বলেই বেরিয়ে গেলাম পথে
আবার আসবো ফিরে! আবার কথা দিলো
অনেক পরে হঠাৎ একদিন, সেটা কী স্বপ্ন ছিলো!!
--------------------*---------------------
♥আমার ভালোলাগা♥
    --------------------
আমার প্রিয় কবি অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ তবে সমসাময়িক প্রিয় কবি শ্রীজাত।
প্রিয় কবিতা রবী ঠাকুরের 'বাঁশি'।
একটি ছোটোগল্প আমার খুব ভালো লাগে বারবার পড়ি সেটা প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার'।
                    / **-------------------------------**




||চ্যাংরাবান্ধার পাড়াগাঁ||

              -----গোবিন্দ সরকার 

মাটির সোঁদা সোঁদা গন্ধের টান,
পথের দুপাশে হাস্নুহানা,
কেতকীর গন্ধ মাখানো বাউল মন
মায়া ভুলিনি আজও,ফুটিয়া ওঠে দর্পন।
ছুটে আসি তাই একতারাটি হাতে
আলবাঁধানো এলোমেলো ধুলোমাখা পথে--
দীনদরিদ্রের অলংকার অমৃতসম ধূলিকণা--
গায়ের সহস্র শ্রমে যায়গো ভালবাসা বোনা।
কিছুদূর গিয়েই তো পেত্নীদিঘির মাঠ,
নেমে গেছে পথ মাঠের বুক চিড়ে;
পথের দুব্বাঘাস নিজেকে করিয়া সমর্পন
ধূসরিত পথ বিধবামায়ের সিথীর মতন।
একতারা হাতে গেয়ে যাই মাটি মানুষের গান,
আহা!গাইলেই কি তৃপ্তি আসে হিয়ায়!
ছাতিম তলায় দিবানিদ্রা দিয়েছি কত,
স্নিগ্ধ শীতল মমতাময়ী, ভুবনভুলানো গাঁ
যতবারই আসি ততবারই লাগেগো নতুন----
চ্যাংরাবান্ধার নয়নজুড়ানো পাড়াগাঁ।
ছোট্ট ছোট্ট ঘরগুলি একচালা কুটির
উঠোনে দোপাটিফুলের আলপনা,যেন শান্তির নীড়।
মানুষেরা নম্র,শান্ত,সভ্যতার চালিকা
ঘর তাদের কুঁড়ে হলেও মনটা অট্টালিকা।
গরুর গাড়ি চেপে একতারা হাতে বকুলতলায়,
যেখানে বসত আগে বাউল গানের আসর
গাইতাম,"পথ হারানো পথিক ওরে....."
উপচে পড়ত মানুষের ভীর।
এখন সে অতীত------
আর অতীত ইতিহাসের পাতাতেই শোভায়।
গড়িয়ে এল বিকেল,পড়ল ছুটির ঘন্টা
কচিকাচাদের দৌরঝাপ সঙ্গে হাটুয়া ব্যাগটা।
কেউ বাজায় মিড-ডে মিলের থালা,
কেউবা আমের আঁটির ভেঁপু।
ওপাড়ার পাচু কামারের ছোট্ট ছেলে ফটিক,
চোখে তার কালশিটে দাগ--
সারা দেহে দীনতার ছাপ;
সুযোগ মেলেনি তার স্কুলে আসার
ভর্তি হয়েও স্কুলছুট,এ দারিদ্র্যতার অভিশাপ।
টায়ার চালিয়ে হাজির,বুকে পাহাড়প্রমাণ খুশি
হাঁপালেও দমেনি সে মুখে নজরকাড়া হাসি।
এদিক ওদিক তাকায় সে পলকই ফেলেনা
দেখতে;পাশের বাড়ির ফুলুর ছুটি হয়েছে কিনা?
শিহরিয়া উঠিল বুক সহস্র খুশির মাঝে---
নিষ্পাপ বালকের এই করুন অসহায়তা;
বেদনায় উঠিল বাজিয়া হৃদয়ের একতারাটা।
                **--------------------------**

সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
আমার বসবাস দঃদিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থানার অন্তর্গত সরলা গ্রামে।পেশায় শিক্ষক।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের টানে আমার সাহিত্য চর্চার শুরু।তবে কবি জীবনানন্দ দাশও আমাকে খুব অনুপ্রেরণা জোগায়।আমার প্রিয় উপন্যাস বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা "পথের পাঁচালি"।আমি সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি ভ্রমন করতে খুব ভালবাসি।

||______এখনো বিবর্ণ সবুজ!||

                     -----সুনন্দ মন্ডল

শান্ত সবুজে ঘেরা সেই গ্রাম আজো
মলিনতা নেই কোন।
মেঠো আল পথ ধরে ফিরি আমি বাড়ি
চেনা চেনা গন্ধেরা।
ধানের গাড়ি বোঝাই অগ্রহায়নে
গোরু চলে হেঁটে হেঁটে।
নেই সেই লাল মাটি নেই ধূলি পথ
তবুও সবুজ মাঠ।
এক অন্যমনের বাসায় ঠিকানা
পাশে ছুটে চলে তারা।
ছুটির গন্ধে চির সবুজ বাজায়
মিড-ডে-মিলের থালা।
থমকে দাঁড়ায় সারা শরীর আমার
টায়ার চালানো পথে।
অন্য ছেলের দল হুড়োহুড়ি করে
থমকে তারাও দেখে।
হাভাতে শিশুর কাঁদে প্রাণ কাঁপে ঠোঁট
পড়ুয়ারা হাসিখুশি।
ছোটদের বিবর্ণ দেখি মুখ চোখ
অন্যরা উচ্ছ্বাসে।
হঠাৎই চোখ থেকে জল এলো ঝরে
আমার ক্লান্ত পায়ে।
            ------------

||_____স্বপ্ন নাকি বাস্তব||

                  ----  সুনন্দ মন্ডল

ভ্রমন পিপাসু মন ছুটে গেল
ঠিকানা বিহীন কোনো নির্জনে।
সাথে বন্ধুরা আমি কৌতূহলী
বাইক চালিয়ে ট্রেন হুইসেল।
ঘন্টা দুয়েক পরের যাত্রা
হাঁটা পথে ধূলি গন্তব্যে নামা।
বন্ধুর চেনা এক বাড়ি শেষে
জলপানে দেহে ক্লান্তি মেটানো।
সন্ধ্যে নামল প্রদীপ জ্বলল
আমাদের ঘর ঘনান্ধকার।
অজানা পাখির কিচিরমিচির
ভগ্নদশার শেষে পৌঁছে বাড়ি।
পরিচিত বাড়ি তবে কেউ নেই
বন্ধু অবাক হলো কিছুক্ষন।
নির্মল শুয়ে তখনো আঁধারে
পায়চারি করি ঘরের মেঝেতে।
হাতে মোমবাতি ঢুকল মেয়েটি
চামচিকে উড়ে গেল মাথা দিয়ে।
অপরূপা মুখ লাবণ্য ময়ী
টেনে নিয়ে গেল ওপরের ঘরে।
বৃদ্ধা শয়নে অন্ধ চাতক
নলিনের আশা মেয়ের জন্যে।
সত্তর পার করেছে বৃদ্ধা,
আটকে মৃত্যু! অবিবাহিতা ঝি।
মুখের কথার ভিড়ে এলো নেমে
আমি তো 'নলিন'! বুড়ি হাসি মুখে।
বিয়ের কথায় নিশ্চুপ মেয়ে
বিয়ের কথাও দিলাম বুড়িকে।
মেয়েটির চোখে চেয়ে বললাম
আসব আবার! ফিরে যাই বাড়ি।
কাজ শেষে অবসর যাপনের
মুহূর্তে মনে পড়ল মেয়েটি।
সেই বাড়ি আর বৃদ্ধার কথা
সেসব স্বপ্ন নাকি বাস্তব!
ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে
অপেক্ষমান মেয়েটির চোখ।
          -------------
(কাঠিয়া,মুরারই,বীরভূম)


||মন ও বিবেকেরর সংলাপ||

       -----শ্যামাপদ মালাকার

মন--  "বালিকা কি বলল?"
বিবেক--  "অভিনয় করতে।"
মন--  "রিহার্সেল করছো?"
বিবেক--  "মানে?"
মন--  "তুমিই প্রতিশ্রুতি দেওয়া সেই ব্যক্তি, পুনরায় প্রত্যাবর্তন করেছো,-এটা যেন বৃদ্ধা টের না পায়!"
বিবেক--  "খুনি হতে পারবোনা!"
মন--  "কি বলতে চাও?"
বিবেক--  "অভিনয় শেষে বৃদ্ধা খুন হবে!"
মন--  "এ আর এমন কি, সাক্ষী তো আর রবেনা!
না হলে তুমি ফেসে যাবে- -"
বিবেক--  "তবু শান্তি!"
মন--  "জগতে সকল অভিনেতা - অভিনেত্রী, একার ব্রতে কি ধর্ম রক্ষা সম্ভব!?"
বিবেক--  "তুমি অধম হলে,- আমি উত্তম না হবো কেন?"
মন--  "বেশ বেশ--তুমি বেশ চতুর!
এখন কর্মের কথায় এসো,-কি সিদ্ধান্ত করলে?"
বিবেক--  "অভিনয় নয়।"
মন--  "তাহলে বৃদ্ধার মৃত্যু অনিশ্চিৎ!"
বিবেক--  "না।"
মন--  "এতক্ষণে অবগত।
বৃদ্ধার কন্যার প্রতি তোমার করুণা উদয় হয়েছে।"
বিবেক--  "করুণা ঈশ্বর করে,- মানুষ নয়।"
মন--  "তবে কি বালিকার প্রতি অনুরক্ত?-
তার বক্ষে দৃৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখো- সৃষ্টিক্রিয় নিথর,-- আরো দূরে দেখো--
শাণিত গাইতির ফলায় পরাজিত শ্রমিকের আর্তনাদ,--থমকে দাঁড়ায় কিশোরীর যৌবন- -
বিবেক--  "থামুন মশাই,-আমি আপনার ন্যায় এতো পণ্ডিত নই।
কৃষক কখন মেঘ দেখে বীজ বোপন করে না,
প্রকৃত প্রেম তাই!!
যে প্রণয়ে ভক্তির ভাব অলক্ষিত
সেখানে আদর্শ প্রণয় বড় অসহায়!"।
মন--  "বুঝলাম- কিন্তু,-স্ব-দেশ-স্বজনের অনুমতি বোধ কর কি?"
বিবেক--  "যেখানে নিঃস্বার্থ মনুষ্যত্ব --ধর্ম ধ্রুবতারার মতো,- সেখানে শুধু কর্তব্যবোধ করি।"
মন--  "আজ আলোচনা এখানেই বন্ধ করা যাক-
সন্ধ্যা নামিল,-- এই কে আছো,- প্রদীপটা ধরায়ে দাও।"।।

--------------------সমাপ্ত।।
১। আমার প্রিয় কবি- কবি:- জীবনানন্দ দাস
২। প্রিয় কবিতা:- নাটরের বনলতা সেন
৩। প্রিয় গল্প:- "শরৎচন্দ্রের " মহেষ"
৪। প্রিয় বই:- বঙ্কিম রচনাবলী।

||
||গ্রামে পথশিশু||

        ----মৌসুমী ভৌমিক 
******************

ছায়াঢাকা সুশীতল মায়ময় গ্রামখানি
শ্যামলে সবুজে ঘেরা মধুময় হাতছানি। 
আকাশে বাতাসে তার স্নিগ্ধতার রেশ
প্রকৃতির রূপবিভা অপূর্ব সুষমায় ছড়িয়েছে বেশ। 
সোনালি ধানের ক্ষেত পৌষের শেষে 
ধান কেটে মহানন্দে কৃষকেরা অবশেষে 
চলেছে গোরুর গাড়িতে সোনার ধান ভরে।
এপাশে শিশুরা সব ঘরে ফেরে স্কুলছুটির পরে 
হাতে হাতে বাজে ঐ মিড-ডে-মিলের থালা
লাফালাফি, আনন্দ, খুশি পল্লীবালা। 

ওপাশে নিঃস্ব বালক কিছু, খেলে বাতিল টায়ার
প্রশান্তির হাসি বিলিয়ে যায়, যেন পথটাই তার। 
হঠাৎ থামলো গতি, থালার শব্দে হয়ে উৎকর্ণ
আনন্দ উচ্ছাসের কাছে প্রশান্তির হাসি হলো বিবর্ণ। 
শিক্ষা ক্ষুধা নয় তো তাদের, তারা যে পথশিশু
আজকের গ্রামেও পিষছে দেখো আজকের যিশু।
                 **---------------------------**




প্রিয় কবি- রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর 
ভাললাগা - আবৃত্তি করা ও শোনা।



|| প্রতিশ্রুতির লাশ ||
      
               ~অনিন্দিতা ভট্টাচার্য

বিয়ে নাকি প্রতিশ্রুতির লাশ? খুনি আমি। খুন করেছি কিংবা  চিতায় দহন-
স্বপ্নেই হোক বা বাস্তবে মরা স্বপ্ন গুলোর চিতায় তুলেছি নতুন স্বপ্নের লাশ।
যে বৃদ্ধা স্বপ্ন দেখেছিল বাস্তবে তার মেয়ের বিয়ের সে স্বপ্ন পেয়েছে খুনের অনুরণন
দৃঢ় যে বিশ্বাস 'ফিরবেই'-আমি হেটেছি সে লাশ দিয়ে ফেলেছি দীর্ঘশ্বাস

ঘুম ভাঙল বোধ হয়। লাশের ওপর লাশ জমেছে মা-মেয়ের স্বপ্নের
পিশাচ আমি। বোধ হয় স্বপ্নতেই বদলা নিলাম জানি না কোন জন্মের....


প্রিয় কবি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,সমরেশ বসু,সমরেশ মজুমদার,তসলিমা নাসরিন,জয় গোস্বামী
কবিতা-'প্রাক্তন','প্রেম'
                            **------------------------------------**

বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮


**অন্বেষণ**
        ----- সন্দীপ ভট্টাচার্য, মুম্বাই
ওয়েবক্যামে শরীর খোঁজা
ব্যর্থ প্রেমের বিশ্বায়ন
মুঠোফোনের খুনসুঁটি তে
কোন সে সুখের অন্বেষণ

বাবুই বুনে নিজের বাসা
আমি তুমি ও অনুক্ষণ
আসলে সব একই থালা
একই ছাদের অন্বেষণ

ভোজের রাজা গাঙ্গু তেলি
তফাৎ শুধু নাম ভূমিকায়
এক সে আলোর অন্বেষণে
পেন্ডুলামে সময় ফুরায়।
            **------------------------------**
 **খোঁজ **

 জীবনের অর্থ গুলো    বড্ড অনাহারে
       নিষিদ্ধ কোঠা বাড়ির
  দা
ম্ভি

           তক্তাপোশে
  বর্তমানের শকুনি মামা   বনাম লাঞ্ছিত
  বাঁকা ঠোঁটের ইশারা     থর থর করে
   (কাঁপা ঠোঁট)
  উরু গড়িয়ে এ পজিটিভ
  হ্যাঁ বড়লোকের ওই আলতা গুলো
  সিঁড়িতে মাখা মাখি
  হায় আধ কপালি  আবারও খুঁজবি ভালোবাসা
  দেখ তোর কপালে  ন্যাতা জুটেছে ।
 ---জয়দীপ রায়
ইভেন্ট : অন্বেষণ

১টি আপাতন্ পরবর্তী ৩য় কেলাস
--------------------------------------------------------------
| চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান |

|| চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান ||

এই মুহূর্ত : ১৮/০১/১৮।দুপুর ১২-৫৯
লাশকাটা ঘর থেকে ______
নিঃশব্দে ছোঁড়া হলো ব্যালেস্টিক বৃত্তের হাউয়ুই

আদিবাসী মেয়েটির ঢলোঢলো জুগনী উপত্যকায়
যতটা বাড়ছে ঢোঁড়াসাপের দৈর্ঘ্য
তারচেয়েও বেশী ~ তলপেটে পচতে থাকা ভাইরাস

নিভুনিভু লম্ফের দিকে চেয়ে থাকি [এখানে π = ০]
উলম্ব চিৎকারে মাখামাখি লেসবিয়ান গ্রেনেড

খুঁজে নিচ্ছি : অ্যাকোরিয়ামের সমান্তরাল চাঁদতাপ
কালোফিতে আর লালফাইল।লাঞ্চে শস্যফল


শব্দরূপ : রাহুল গাঙ্গুলী
*মানুষের খোঁজ*

           
               -হরিশ বর্মন



              কোথায় তুই?                     
আকাশে,বাতাসে ছড়িয়ে থাকা দীর্ঘশ্বাস।
              যদি ভাবিস বিরহ           
সে তো কবিতার পাতায় শব্দের মিশেল।
         যদি খুঁজতে চাস আমায়         
আমি সমুদ্রের সামনে জলের অপেক্ষায়।




                সময়           
পাওয়া নাপাওয়া চলন্ত জীবন
মৃত শহরের গভীর শ্বাসে জীবিত যাপন।
       সবটাই ভাবনায়
 মুহুর্মুহু বাড়তে থাকা অভিনয়।
 তোর আমার মতো অনেকেই আছে বেঁচে
ক্লান্ত শহরে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের বেশে।


          কোথায় তুই?       
এটা কোন প্রশ্ন নয় ইচ্ছে কোন ভাঙ্গা মনের
      ছুটতে থাকা ব্যস্ত জীবনে   
আজকাল স্বপ্ন দেখাটা ভীষণ দামী।
      তবুও সময় বদলায় 
আর মানুষ বারংবার মানুষ খোজেঁ।
               **-------------------------**
  **অন্বেষণ**

জীবন থেকে জীবনের পথে হেঁটে চলেছি
একাকী আনমনে নিবিড় অন্বেষণে,
শহর থেকে শহর,নগর থেকে বন্দর
 দেশ থেকে বিদেশের সীমানা ছাড়িয়ে -
  হাজার আলোকবর্ষ ধরে পথে পথে ঘুরেছি,
  অথচ কখনো পাইনি খুঁজে জীবনের মানে!
  গভীর থেকে গভীরতায় রয়েছি নিবিষ্ট তাই,
   আজো জীবনের নিগূঢ় সত্যের অন্বেষণে।।


   ------রুনা দত্ত
**দেবী দর্শন**
      ------শ্যামাপদ মালাকার

দেখিয়া ধূলির নিবিড় ক্ষরণ
করিয়া সমর বিজয় কেতন
--------------উড়িয়ে চলেছে যারা
হলো না- গো মোর দেবী দর্শন
নেই বিজয়ার কোনো শুভক্ষণ
--------------লুটে নিয়ে গেছে তারা।

চলিয়াছি তবু অসীম আশায়
বাঁকা-অঞ্জনে যদি "সে তাকায়
--------------সকলি ভরিয়া যাবে
বিবস তরণী নব-খরবেগে
বহিবে আবার তটিনীর কূলে
--------------ভাটিয়ালী সুর লয়ে।

যদিও হয়েছে  ক্ষীণকলরব
দুলেপাড়া দেখি রয়েছে নিরব
--------------ঝিল্লীর ঘররবে
থর থর কাঁপি বিধূর কিরণ
ক্রমশ প্রসার হইছে বিজন
--------------পল্লীর পীত রঙে।

বাগদির কুলি তামালের ছায়ে
ফিরিতেছে ওরা দেখি নির্বাকে
--------------ভাসানের ধূলি ধুয়ে
আধোফোটা নব আমনের শীষে
বহিতেছে বায়ু তারি হীমস্রোতে
--------------উঠিল গণিত কেঁপে!

দেওয়া নেওয়া কত হিসেবের খাতা
দু'পায়ে মাড়িয়ে যেন ক্ষণপ্রভা
--------------হাসিয়া উঠিল নেচে
চলিয়াছি তবু দীর্ঘ-চরণে
অশুভনাশীর ক্ষয়া নিকেতনে
--------------সকরুণ বেদীমূল!

শূন্য-বেদীর সমুখে দাঁড়িয়ে
রচয়া জননী মুদিত লোচনে
--------------দাঁড়িয়েছি করজোড়ে
সহসা শুষ্ক পর্ণরবের
জাগিল প্রবাহ মণ্ডপ-পিছে
-------------দেখিলাম 'জননীরে!

এগিয়ে দু-পায়ে বুঝিলাম সবে
চিনিয়াছি তারে ভিখারিণী সে-যে
--------------দেখিয়াছি তারে কত
একটি প্রণাম করিয়া যখন
দেখিলাম দুই বিরাট লোচন
--------------ঝরিয়াছে ঝর্-ঝর্!।।
             **-------------------------**
     বিষয় -- অন্বেষণ             
                  **কবি ও কাব্য **

               আশিক ফয়সাল

বিকেল বেলা বদ্ধ ঘরে একলা যখন বসে
কাব্য কেন আসছেনা আর দেখছি হিসাব কষে।
হঠাৎ তখন এলো মেলো, কোথা থেকে ভাবনা এলো
বললো কবি লাভ কি বৃথা খাতায় কলম ঘষে
কাব্য কবি আসছেনা আজ শুধুই তোমার দোষে।
বদ্ধ ঘরে কবি তুমি ব্যস্ত লেখার কাজে
বদ্ধ ঘরের ভাবনারা খুব বিশ্রী আজে বাজে
কাব্য হবে মুক্ত স্বাধীন, ইচ্ছে খুশি নাচবে তাধিন
বলো কবি, কাব্যের কি বন্দি থাকা সাজে?
বন্দি ঘরে দস্যু থাকে কাব্য থাকে না যে।

কাব্য খুঁজে পাবে কবি সবুজ শ্যামল বনে
আকাশ জুড়ে উড়তে থাকা মুক্ত পাখির মনে।
পাড় বাঁধানো পুকুর ঘাটে, নদীর ধারে হাটে মাঠে
অবসরে যে আসরে ক্লান্তি গল্প শোনে ।
খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর মলিন ঠোঁটের কোণে।
কাব্য পাবে শহর গ্রামে ব্যস্ত পথের ধারে
যে পথেতে ভদ্র সমাজ বিবেক পিষ্টে মারে
কাব্য প্রতি প্রতিবাদে, কষ্টে যখন রাষ্ট্র কাঁদে
ডোবে জাতি দিন দুপুরে জমাট ঋণের ভারে
বদ্ধ ঘরে ঠুকলে কপাল কাব্য মেলে নারে ।

চার দেয়ালের ঘরটা ছেড়ে মনটা কবি খুলে
মুক্ত মনে কাব্য খোঁজো সকল বাঁধা ভূলে 
শহর গ্রামের ব্যস্ত কলে, কৃষক মজুর শ্রমিক দলে
কাব্য খোঁজো ইতিহাসে সিন্ধু নদীর কূলে
প্রেমিক সেজে কাব্য খোঁজো প্রিয়ার খোলা চুলে
আমি বলি তাই হবে বেশ মিষ্টি মৃদু হেসে
আজ থেকে ঠিক কাব্যটাকে খুঁজবো মেঘে ভেসে
ভ্রমর হয়ে দুলে দুলে খুঁজবো তাকে ফুলে ফুলে
খুঁজবো তাকে দিনের শেষে কান্ত পথিক বেশে
মাঠ ছাড়িয়ে বন পেরিয়ে নিত্য নতুন দেশে ।
                **-----------------------**
**অন্বেষণ **
মৌসুমী ভৌমিক
*****************
নিঃস্ব হয়ে বিশ্বে এসে
এ কেমন পণ।
সুখ চাই শান্তি চাই
ভরে নাকো মন।
চাই চাই আরো চাই
দাবী অনুক্ষণ ।

নিঃস্ব হয়ে যাবো তবু
শুধু অন্বেষণ।
              **---------------------------**
______অন্বেষণে
                 সুনন্দ মন্ডল

জীবন নামক সাগরের মাঝে পৌঁছে গেলাম
'ভালোবাসা' মানে খুঁজতে খুঁজতে।

চারটি বাংলা অভিধানে খুঁটিনাটি খুঁজেও
সঠিক মানের মানে পেলাম না।

নিয়মিত প্রেম-ভালোবাসা-বিরহের মানেও
খুঁজেছি সখার জীবনের ভাঁজে।

লোকে বলে শুনি 'ভালোবাসা' নাকি এক সৃষ্টি
অনুভূতি ছোঁয়া হৃদয়ে আবেগ।

আমি কী পেলাম? এতদিন পৃথিবীর মাটিতে!
দিশেহারা জীবনের স্রোতপথে!

অন্বেষণের মাত্রা চরমে তবুও বৃথা
গবেষণা করে ভালোবাসা পেতে।

ভালোবাসা মানে কি শুধু বদ্ধ নিয়ম খাঁড়া!
নাকি আছে টান পারস্পরিক!

কিজানি বুঝিনা অতশত মানে মোটা মাথায়
তাইতো খুঁজেছি বেকার ধাঁধায়।
                -------------

(কাঠিয়া,মুরারই,বীরভূম)
বিষয় কবিতা
**********
!!অন্বেষণ!!
*********
অরুণ কুমার মণ্ডল
**************
আমার মনের ভেতর, আর এক মানুষ
করছে অন্বেষণ,
বলি, মন তোমার রঙিন যখন
কাঁচা রঙের কি প্রয়োজন।

তুমি ভাবে প্রেমে একাত্ম মন
প্রকৃতিও সংগ দেবে
অঙ্গ তোমার ছুঁয়ে রবে,
সঙ্গে তোমার নাচবে সারাক্ষণ।

লতায় পাতায় ফুলে ফলে
রোদ ঝলমল হাওয়ায় দোলে,
বৃষ্টি ভেজা জোৎস্না রাতে
অবাক করা সে দৃশ্যতে,
মন তোমার হবে পাগল, বলছে- সুজন......

**************
 **অন্বেষণ**
           -------অনুরূপা পালচৌধুরী


আগামী ফুলের পাংশু শরীরে আলোর আচড়
তোমার শীতঘুম।শীতার্ত তৃপ্তি।অতৃপ্ত সন্ধান

আকাশী ঘোমটায় তারাদের মেখলাযাপন ঘিরে
      অনু|তাপ গালিচায় লুকিয়ে রাখি নোনা সূর্য
বিপরীত পরিসীমায় আগ্নেয়বাষ্প :
              জলবিড়ালের বিলুপ্ত হাড়-মাংস

আঙুরলতায় ছিন্ন নাভিকূপের অবারিত ছাইবিন্দু
বারুদ চ্যুত।আস্ত ধোঁয়া।ধোঁয়াশা ভেজে। বৃষ্টি ভাঙি
                 **--------------------**

বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৮



এক অনন্য লেখা, এক অতুলনীয় কলম দক্ষতার নামই বোধহয় শ্রী 'সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়'।

বই টি পেতে হলে যোগাযোগ করুন।
 **------------------**

  **বিরহ নয় বিচ্ছেদ**
                     ---ডট.পেন


দিন গুলো সব শিখতে শেখায়,
রাত্রি শেখায় বলতে পারা।

পিটুইটারী গ্রন্থি জানে,
সঙ্গীহীনের আসল মানে।

ঘুমগুলো সব লেপ জরিয়ে পাশ ফিরে যায় পাশবালিসে,
চায়ের কাপে কেও ডাকেনা এলার্ম ঘড়ি ঠিক থামিয়ে।

সাঁঝবেলাতে শুকনো প্রদীপ সেদিন থেকেই থমকে গেছে,
শঙ্খ সেটাও দম ফুরিয়ে কেমন যেন আটকে গেছে।

রং ভিজিয়ে রঙিন হয়ে কাল-ঋতুরা একলা পেরোয়,
বিরহ নয় বিচ্ছেদটায় ফ্যাকাসে হয়ে মনকে জরায়।
              **--------------------------**
 
       
** ইঁটভাটা **

                    ------দীপাঞ্জনা সন্ন্যাসী
       
বাসের জানলাটা খোলা, ঠাণ্ডা ধুলো ভর্তি বাতাসে চুল গুলো মুক্তি পাবার প্রত্যাশায় আটকে আছে।।

চোখের পালকের টিপটিপানিতে অশুভ আর শুভরা অকাতর নৃত্য করে চলেছে।।।

হাতের একফালি চাঁদ, তাতে ভর্তি রিল।
আর খোজার চেষ্টা সাধারণের মধ্যে অসাধারন বস্তু।।

পাশের সিটে বসে থাকা ওই ক্যমেরা নামক চাঁদের মনিব সাহেব ।।

হালকা দাড়ি ‌,হলুদ পাঞ্জাবী ,আর বঙ্গ বাবুদের মতো আমার আদরের চার চোখ।।

বড্ড প্রিয় এই মানুষটি কেবল তার চেহারাবন্দি হাসিতে নয়, হাতের যাদু আর মনের ছোয়ার মিলের মাধুর্যে।।

হঠাৎ চোখদুটি নৃত্য বন্ধ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সারা দিয়ে উঠল।।

কান দুটি শুনতে পেল বাস নামক যন্ত্রের পাদুকা দ্বয়ে কাঁটা ফুটেছে,,সেই কাঁটা বের করতে বেশ কিছু সময় লাগবে।।।

বসে থাকার আড়ষ্টতা কাটাতে প্রিয় মানুষটি
সাথে নেমে পরলাম চাঁদের ব্যবহার কার্যে।।

নামতেই চোখে পড়ল একখানি যমগৃহ (অর্থে ইটভাটা).,
ক্যামেরায় দুচার খানি মডেল সেজে প্রিয় মানুষটির সাথে ছবি তোলার ইচ্ছেতে ঢুকে পড়লাম যমপুরিতে।।

ঘোরাঘুরি করে একটা ভাঙা দেওয়ালের পাশে
পোস দিচ্ছি আর চাঁদের ব্যবহার করছি।।

পোস দিচ্ছি আর চাঁদের ব্যবহার করছি।।

একখানি ডিপি তুলে দেখতে গিয়েই চোখে পড়ল দুটো গোল্লা গোল্লা চোখ।।

কাঁদা মাখা দেহ আর একখানি ফোলা পেট,
দেখে মনে হয় যেন কোন দানবের বাচ্চা।।

নিজের খুশিতে ডাক দিলেই সে দৌড়ে পালিয়ে গেলো।।।।

ওর পিছন পিছন কিছু দূর গিয়েই দেখতে পেলাম এক অদ্ভুত রাজ্য,,
যেখানে ভর্তি কিছু খেতে না পাওয়া ছানাদের গোল্লা
গোল্লা চোখ।।

বলার ভাষা ছিল না তবুও ওই। দেহগুলো দেখে চোখ গুলো মায়ায় ভরে গেল।।।

এক বৃদ্ধের কর্কশ শব্দে নিরবতা টা কাটল,,
উনি বললেন এখানে নাকি আসা বারণ।।

কারণ, ওই না খেতে পাওয়া বাচ্চা আর
আমার হাতে থাকা ওই ক্যামেরা।।।।

যদি, ওই বাচ্চা গুলিকে ক্যামেরা বন্দি করে নিয়ে যাই, আর যদি তাদের শ্রমিকের অভাব হয়ে পড়ে এই ভয়ে।।।।

মুখের উপর কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি
শুধু কষ্টে নিজের চোখদুটিকে সামলে রেখেছিলাম।।

যমপুরি থেকে বেরিয়ে আসতে পিছন থেকে এক আচমকা টান।।
ডাক দিদি এটা কি?
এই দিদি ডাকে হাজারটা হৃদয়ও কেঁদে ওঠে।।।

কিন্তু ভাবলে আবাক লাগে যে "এরা কি সেই শিশু শ্রমিক?? " যাদের রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ??
 নাকি সত্যি দানবের ডানাকাটা বাচ্চা?????

উলঙ্গ সমাজের নোংরা ধূলিকনা।।।
           **-----
**সেরা নয়**

সেরা নয়
অনেকে আছে
সবাই মিলে লিখি।।

পক্ষ্যের ঘরে ঘচাং ফু গোল্লা
এইতো বেশ ভালো আছি

নুন্যতম গোগ্রাস শব্দ মৈথুনজাত এই অনুভব
অবহেলন নয়
নরকগতি দরজায় দ্রুম
কে সে বাজায় বাঁশি
বিষের ঠোঁটে

বাতাস সবুজ থাক
হারানো রাত ফিরবেই আকাশে

*শাল্যদানী*
              **----------------------**
বিষয় কবিতা
**********
!!জবানবন্দি!!
**********
     ---অরুণ কুমার মন্ডল
**************
সত্যি সত্যি বলছি তোমায়
শুনতে পাচ্ছো...

আমার হাতে কেরোসিনেরজার
দেশলাই বাক্স....

আবার বলছি শুনতে পাচ্ছো -
শুনবে না তো আমার কথা
মাথার দিব্যি দিলাম।
তোমার ভাবনা ঘুরিয়ে দিতে
আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম।
কোথায় গেলে ,কোথায় গেলে
বাঁচাও আমায়-আমি পুড়লাম...

ভেবেছিলাম ভয় দেখালে
ফুরিয়ে যাবে কথা...
মিছেই আমি, ভুল ভেবেছি
পুড়িয়েছি নিজেরই সত্তাটা!

*******************
অরুণ কুমার মণ্ডল
**অনুকবিতা=অসহায়**
              নাম=বনানী চক্রবর্ত্তী

চলন্ত জীবন হঠাৎ অসহায়
সবাই পাশে আছে প্রিয়স্বজন বোধহয়
তবুও নিজের কাছে নিজেকে লাগে অসহায়
এ জীবন বড়োই বিষ্ময়ময়।।
              **------------------------**
**মুক্তি**
                 
            ---সন্দীপ ভট্টাচার্য্য
                                 মুম্বাই, মহারাষ্ট্র

আমার কিছু কথা আছে না বলা
পাঁজরের এপারে অতলান্তরে
নির্জন আঁধার গুহায় উষ্ণতার খোঁজে
একটা  দেশলাই আর ফুলঝরি
অঝোর বৃষ্টির পর যখন চাঁদ ওঠে
ঝিঁ ঝিঁ ডাকা রাত আর আমার কাকুতি
অথবা নির্ঘুম বিছানায় স্পর্শলোভে কিংবা
ঘুঘু ডাকা দুপুরে যখন চেয়েছি কঠিন মৃত্যু
জমেছে কথা পালকি পালকি
পারলে একবার ছুঁয়ে যেও
উষ্ণতার জিওন কাঠি হাওয়ার মতো
মেঘ জমা হৃদয় গলে পড়বে
আর হয়তো কথারও পাবে মুক্তি।
               **-----------------**
                     ** তিথি**

তিথি এখন হরিহরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের অধ্যাপিক । হরিহরপুর এই একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকে । জীবন তা প্রায় স্কুল এর মতোই রুটিন মাফিক। ফজল এর কর্মজীবন অস্পষ্ট,
ফজলের নিজের কাছেও। সম্ভবত 8 বছর পর হঠাৎ বসে দেখা দুজনের । কাকতলীয় ভাবে বলাই শ্রেয়।
তিথিকে দেখে মেঘ আর বাসা বাধলো না ফজল এর চোখে । শুধু ক্ষনিকের জন্য স্তম্ভিত হয়েছিল আর সারা শরীর জুড়ে জন্ম নিয়েছিল শিহরণ আর শরৎকালে গাছ থেকে পাতা ঝরার মতো এক এম করে ঝরে পড়ছিল  চপল রহস্যময়ী ,  আধোবালিকা , আধোরমনী , জীবনীশক্তিতে ভরপুর অধ্যবসায়ী তিথি। তার ছোট ছোট চোখ আর হাস্যময় ওষ্ঠাধর। হয়তো ফজল ভাবছিল তিথি তার খোঁজ নিবে ,তার হাত ধরবে , হয়তো কফি হাউসে যাবে । তিথিও হয়তো একই ভাবছিল ।
মিনিটখানেক দুজনে একে অপরের দিকে ফ্যালফ্যাল ভাবে তাকিয়ে থাকার পর এক ওপরের বিপরীতে ঘুরে দাড়ালো। এই দৃশ্যে নিজেকে নবজন্মরত শিশু মনে হলো। এ কি সত্যিই ফজল যাকে আমি চিনি ? একরকম অবাক হলাম ।রহস্যময়ই বটে।  তিথি কে দেখে বিষ্মিত হবার কিছুই ছিল না। তিথির থেকে এটা প্রত্যাশিত। কিন্তু ফজল ? বিষণ্ণতা , আত্মগ্লানি , অবসাদ ,ভগ্নহৃদয় এরা কোথায় ? ফজল কি তাড়িয়ে দিয়েছে নাকি শিকলবন্দি করে রেখেছে যাতে বেরিয়ে আসতে না পারে ? এরকম অপ্রত্যাশিত দৃশ্যে তিথির মুখে অপ্রত্যাশিত লাল এর আগমন। অভিমানে নাকি লজ্জায় নাকি রাগে ?  বাড়ি ফেরার পর সেই চুপচাপ মুহূর্তের অন্তরালের অর্থ গুলি  তিথি ক্রমে ক্রমে বুঝতে পারে। একদিন বা দুদিন নয় । সুদীর্ঘ মাস ধরে তার প্রেমে মগ্ন ফজল। তারপর ক্রমে ক্রমে তার সে উন্মাদ ভালোবাসা হয়ে উঠেছে নির্জীব , নিরস , হয়ে উঠেছে ক্লান্ত। হয়তো বা মরেই গিয়েছে।
ফজল দিনের দিনের পর দিন নৈবেদ্য এর মত নিজেকে তিথির কাছে নিবেদন করে চলতো আর তিথি দিনের পর দিন পরাঙ্মুখ হয়ে থাকতো। এখন তিথি তা বুঝতে পারে। তিথি কল্পনা করে ফজলের এমন ভয়ানক উপবাসী ভালোবাসা যে এতকাল বেঁচে আছে তা কল্পনাতীতররূপে বিষ্ময়কর। কিন্তু তিথির হঠাৎ এসব কথা কল্পনা করার কারণ আমার কাছে কপলনাতীত । এটা বোধগম্য যে নিজে থেকে যে প্রেম জন্মেছিলো নিজে থেকেই স্বাভাবিক নিয়মেই চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে। তিথি কে না দেখে এখন ফজল এর দিন কাটে , হ্যাঁ কেটেছে। ফজল এর পরিবর্তনে আশ্চর্য হয়ে তিথি ভাবে যে ঘরে আগুন লাগলে সে আগুন নিভে- বাইরেরও , মনেরও । তাই ফজল এর মনের আগুন কেন চিরদিন জ্বলবে । নিজের ব্যাকুলতা তিথিকে ব্যাকুল করে তোলে । কিন্তু তিথির মধ্যে কেন এই ব্যাকুলতা ?  কোন ধরণের ব্যাকুলতা ? সত্যিই কি ব্যাকুলতা নাকি দিবাস্বপ্নের ব্যাকুলতা?

                   || William Wss||
         
                     .....19/09/17.....
**সম্পৃক্ত লিপ্তচাঁদ**
-----------------------
  -----অনুরূপা পালচৌধুরী

কুচানো আকাশে উপল নুড়িতারা
  কিছু বাসি মেঘ।উন্মুক্ত
ভেজাজল : জলভেজা অবেলার চুলে
জড়ানো
     
      ঘাসপালকের উপদ্বীপীয় ফড়িঙ্গা
জোনাক মুহুর্তে গলে যায় জরায়ু
কঙ্কাল→কঙ্কালতন্ত্র
কাঠের তুলায় অজ্ঞাত স্ট্রীটল্যাম্পের
আলোকঝুড়ি
ঘুমন্ত জোছনার দুধপুকুরে নিষিদ্ধ
লিপ্তচাঁদের বিলাসিতা।
                 **----------------**
সম্পৃক্ত লিপ্তচাঁদ
-----------------------
             
** আমি যাব **

আমি যাব !
আমি চলে যেতে চাই !
যেতে আমাকে হবেই!
- কোথায় যাবি?
যেখানে আমি অচেনা, অজানা, অপরিচিত
সেখানে !
- আর তাদের কি হবে ?
যারা তোর চেনা , জানা , পরিচিত ।
জানি না !
- তুই বিজ্ঞ নামে একটা দুর্বল , ভীরু , কাপুরুষ ।
জানি না !
তবুও আমাকে যেতেই হবে -
যেখানে 'সভ্য সমাজ' অপরিচিত ,
 যেখানে অচেনা জীবনের সমস্ত আত্মগ্লানি ,
যেখানে বিষণ্ণতা , হতাশ অপরিজ্ঞাত অচেনা মুখ ।

যেখানে আমি নিঃসঙ্গ ,
চারপাশে থাকবে নির্জনতার বেড়া ,
যেখানে স্তব্ধতা মধুর, সুস্পষ্ট প্রতীয়মান,
যেখানে বলার কেউ নেই !
যেখানে জানালার ভেতর থেকে পাখি হয়ে উড়ে যেতে পারবো অনন্ত আকাশে 'নীল' এর  খোঁজে ।
 সেখানে আমি যেতে চাই!
আমি যাবো!
চলে আমি যাবোই!

- মুখোমুখি হতে না পারা মানুষ নামে  অমানুষ ,
পুরুষ নামে কাপুরুষ তুই !

 জানি না !

               .....|| William Wss||......
                 .....03/09/2017....
*জীর্ণ মানুষ*

ঘাসেদের শিরায়
তারা এঁকে দেয় গোধূলির চাঁদ।
রোদেরও ইচ্ছে করে পুনরায় ফিরে আসার,
আলোর সাতরঙ ছুঁড়ে দিয়ে, হতে চায় বেনামী চিত্রকর।
কালো আকাশ ঢেকে দেয় সূর্যের অহংকার ।
নিস্তেজ জোনাকি দল দাম চায় জ্যোৎস্না আলোর।
সূর্য ওঠার আশায়,
ফিরে আসে ভোর
তখন থেমে যায় সব..
পুনরাবৃত্তি ঘটে ভোরের আলোর।
রয়ে যায় কেবল মন ভাঙানোর ক্ষোভ..

রয়ে যায় জীর্ণ মানুষটার অবিরাম আর্তনাদ,
কতটা ক্ষুধার্ত সে জানে কি সমাজ,
জানেন নিশ্চুপ তারাদের দল?
সবাই একদৃষ্টে তাকিয়ে
কেবল জোনাকি সাথ দেয় পথ চলার....

  -------আরিয়ান প্রিয়স

নাম :- আরিয়ান প্রিয়স(প্রিয়স পাল)

ঠিকানা :- ৯৪ ডি ডি মন্ডল ঘাট রোড, দক্ষিনেশ্বর, কোলকাতা-৭৬

যোগাযোগ :- ৮০১৩৯২১৩০৯(whats app)

                    ৯৯০৩১০৬৫৭৮
               **-------------------------**
  **এক ঝাঁক বাঘ**
        -----মোঃ আশতাব হোসেন

বাঘ এসেছে বাঘ
উত্তরে এক ঝাঁক,
সারাদেশ কাঁপছে
শুনে হাকডাক!

তপ্ত দাদা কই
ফুটছেনা খই,
জলে ডুবে যুবারা
করেনা হৈচৈ!

ঢাকা - বাংলাদেশ
              **-----------------**
-----দু'চোখ----   
        -------শ্যামাপদ মালাকার

 ভেজা শ্রাবণে গাঙে হতাশার গতি নিয়ে
 ভীড়ে যবে জাল পদ্মার কূলে,-
ডুকরে ওঠা নয়ন দেখেছি,- 'মায়ের'।

আকাশের গায়ে চোখ পেতে
করুণ আবেদন, "তারে" ভাবায়- -

কত বার যে ভাসে নিয়তির নীরে
তবু পুষেরাখে সবুজ তরুটি অপাঙ্গে।

কখন ধবলীর পিছে খরাঅন্তরে দাহ করে ফিরে বিচুলির প্রাঙ্গণে, চেয়ে রয়,-
অপুষ্টিভেজা খোকার পানে।

নিঃসাড় সেই দু'টি চোখ আমি দেখেছি,-
পল্লীমায়ের প্রশস্ত ললাট নীচে!।
              **---------------------------**

 **সবুজের দেশে**
                 ------সুনন্দ মন্ডল

কতদিন পরে ফিরছি,
পাশে ট্রেনলাইন সরু হয়ে চলে গেছে
মেঠো আলপথ ধরে।
সবুজ ধানের গন্ধ মেখে মেখে।

কতদিন ছিলোনা জানাশোনা,
ভোরের হাওয়ায় উদাসী বাউল-
শিশিরের ছোঁয়ায় ভিজিয়ে পা,
চলে গেছে ওই রাঙা মাটির পথ ধরে।

কতদিন চোখ মেলে দেখিনি,
আকাশে উড়ে যাওয়া এক ঝাঁক চাতক!
ময়না, পায়রা, ছোট ছোট ফিঙেরাও
উড়ে যেতো স্বাধীনতার স্বাদ নিতে নিতে।

কতদিন প্রাণ ভরে নিইনি ঘ্রাণ!
বেল-জুঁই-গোলাপ খিলখিল হাসে,
বিধাতার যাদুকাঠির ছোঁয়ায়
এই প্রকৃতির খোলা বাগিচায়।

কতদিন শুনিনি সেই গান,
মিষ্টি সুরে বেহাগ গাইতে তুমি!
দিনের আলো ফোটার আগেই
প্রভাতির প্রভা, উষ্ণ অনুরণন।

কতদিন হয়ে গেল-
তোমার কোলে রাখিনি মাথা।
পাইনি স্নেহাদ্র, শান্তির শ্বাস!
সবুজের দেশে, আমার ছোট্ট গৃহাঙ্গনে।
        --------------
কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম

 **কষ্টের জীবন**
             ------প্রসেনজিৎ রায়
পথের প্রান্তে বট গাছ ডাকিতেছে আমায়
এক চাউনি দেখিনি তাকে
সারা দেইনি আমি ওর করুনতার ডাকে ।
ওর মুখের দিকে তাকালে কষ্ট লাগে আমায়
পল্লব বেষ্টিত শাখা দুমড়ে মুচড়ে ফেলেছিল হাওয়ায়।
তখন বুঝি তার কষ্ট হয়েছে
হয়তো কেঁদে উঠেছে, শুনতে পাইনি আমি ।
তরুমুলে উপর ভর দিয়ে উপরে উঠেছে
সূর্যাস্থ মুখে, আহার জোগাড় পথে।
সে কি একাকী,
হয়তো লাঠির উপর ভর করা পথযাএীর মতো
তৃষ্ণার্ত অবস্থায় সময়ে যেতে হবে গন্তব্যে।
হারতে দেখিনি, প্রাকৃতির সাথে যুদ্ধ করেও
২৫ বছর বয়সে দাড়িয়েছে সবার মাথার উপরে
বনস্পতি বনিরুহ সেই বটগাছটি আজি।
যে ছিল অন্যের উপর ভর করে
আজি তারই উপর অসংখ্য লতাপাতা গাছ গাছালি
বাসস্থান দিয়েছে, সেও তো জানে
কষ্ট কতবড়ো ছিল তারও মনে।
থাকিবে আর কত দিন, চলে তো যেতেই হবে
জম্ন হইলে মরিতে হবে এই তো বিধির বিধানে।
যাবে সে শেষ আশাটি পূর্ণ করে
সারা দেহটি রবে মানুষের চীরতরে।
               ** ---------------------------**



  **ভুল ভুলাইয়া**

              -------সুপ্রীতি বর্মন 

ভুল ভুলাইয়া রাস্তায় একরকমের বাড়ি সারি সারি,
মাথায় টুপি পরিয়ে অটোবালার ছলনায়,
পকেট আমার গড়ের মাঠ,,,,,,, দূর ছাই, মাথায় হাত।
অবশেষ উচ্ছিষ্ট চেনা ঘরে আমি, অপদার্থের আদ্যাক্ষর।
এঁদোগলি ছেড়ে রাজপথে, নতুন গন্তব্যের উপার্জন।
দিনশেষে গলগ্রহ ভাত, সকলের মুখ ঝামটা।
যাই হোক এবার যে পোড়াকপাল গ্রহনে পূর্নচাঁদ আশা।
উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ী জৌলুসে অন্ধ প্রাচুর্য্য।
কাজ চাই,  কাজ চাই এই আগ্রহে,
তাই মুখের সামনে রাখলাম,
আমার দীর্ঘ আকাঙ্খায় লালিত প্রোজেক্ট।
দেখতেই পরিকল্পনা প্রসূত চিন্তিত মস্তিষ্ক,
গুটি গুটি সাবধানী ছাপোষা আঙুল,
পাফ গুনে গেল থেমে।
দীর্ঘমেয়াদী স্বপ্নে একরাশ জল ঢালা,
পাঁকে কি ফুটতে পারবে কোনদিন পদ্ম।
কানাঘুঁষো পেছন থেকে এসে পিঁপড়ের দল।
লাভের গুড় খেতে চায়,
তাই বিনা ঔষধে রোগ সারানো দায়।
বদ্ধ চাকচিক্যের গুমোট সিলিং ছেড়ে,
রাখলাম পা সতেজ হাওয়ায়, খোলা আকাশের নীচে।
ঐখানে মহীরুহের তলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে সংসার।
ফেলেছে দোকানের ঝাঁপ, ঘুমটি।
একজন অতি বিনয়ী খবরের কাগজে মাথা গুঁজে,
ডাকছে ঐকান্তিক আপনজনের সুরে।
এসো এসো এই নাও মোড়া, এইখানে বসো।
হল ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপচারিতা।
নিতান্ত নগন্য সামর্থ্য তার, তবুও চোখের মনিতে কি আশা।
বলো মেয়ে তোমার কি রাশি।
রোজ আমি পর্যবেক্ষনে রাশিফল,
শীঘ্রই ফিরবে তোমার সৌভাগ্যের উজ্জ্বল মুখ।
আমার কথাটি মনে রেখো।
থেমো না কোনদিন, ফিরবেই ফিরবে একদিন সোনালী দিন।
মেয়েটি মনে পেল উচ্চাশার সূর্য।
একমুহূর্তেই অপসারিত সকল অবসাদ গ্রহন।
মনে মনে ঠিক করে নেয় একদিন,
আমি ঠিক ফিরে আসবো লাড্ডুর প্যাকেট হাতে,
তুলে দেবো ঐ শুভাকাঙ্খীর হাতে।
আপনজনের কথায় দিনের পর দিন,
নদীর পাড় ভেঙ্গেছে দীর্ঘশ্বাসে।
অব্যক্ত যন্ত্রনার স্রোতের আন্তরিকতা পরের কথা,
নির্জনে অচেনা জায়গায় এসে,
খুঁজে পেলাম অবশেষে এক আপনজন।
আমার হাত টেনে উপরে তোলাই তার প্রয়োজন।
           **--------------------------**
**কাদম্বরীর চোখ**

 পোড় খাওয়া   সেই বিকেল গুলো
   ফিরুক আবার হকার ডাকে
    সুট বুট তার
           পারফিউম মোড়া
    দাড়িয়ে থাকুক
   কফির মাগে
     ঠোঁট লেগেছে নিকোটিনে
পুড়তাম যদি পোড়ামুখী
    লিপস্টিক মাখা ঃ চিলে কোঠায়
  কা

    ম্ব
    রী’র
চোখ দুটি ।
 ------জয়দীপ রায়
**নীরব সময়ে**
         
       ----- **হরিশ বর্মন**


নীরব সময়ে
পলাতক আমি তোর শহরের আনাচেকানাচে।
ধুকপুক থেকে যায় বাড়তে থাকা যন্ত্রণায়
তোর ছেড়ে যাওয়া পথ চেয়ে আজও আপেক্ষায়।
কুয়াশার ঝাপসা দুপুরে শুকোনো ঠোঁট
আর জীর্ণ চামড়ার আরালে মন চঞ্চল।

আমার তোর গল্পে
সময়ের ব্যস্ততায় লুপ্তপ্রায় স্বপ্নের ঘর।
বাসের হর্ন মানুষের কোলাহলে আমি আছি।
তবুও নেই কোথাও
তোর বাড়ানো হাতের উষ্ণ স্পর্শ।


 সময় আর সময়ে বাড়তে থাকা শীতলতায়
শুধুই অপেক্ষা
তোর ছাদে বাড়তে থাকা গোলাপ
আর আমার মনে না পাওয়া ধুকপুক।


নীরব সময়ে
মনে পড়ছে তোকে।
               ** ----------------------**
                          অনুকবিতা


** সোনালি বিকেল** 
               -----গোবিন্দ সরকার

সাদা মেঘের সাঁজিটা নিয়ে যাসতো একবার।
বিকেল পড়লেই---------------
সোনালি বিকেলটা কুঁড়িয়ে আনিস।
আর সময় পেলে তোর অনামিকা দিয়ে
 হালকা করে রামধনুটা এঁকে দিস।
বিকেলের সূর্যটা বড় অসহায়।



নাম- গোবিন্দ সরকার
সাং+পোঃ-সরলা
থানা-কুশমন্ডি
জেলা- দঃ দিনাজপুর
পিন-৭৩৩১৩২
মোঃ-৯৭৩৩৬৪৫৭৫১
           **--------------------------**

মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮

**খুচরা পয়সার প্রমোদ **

        ------আবু আইয়ুব আনসারী 

ছোটবেলায় শুনেছি আমার মা অনেক সুন্দরী ছিলো। সিনেমার নায়িকার মতো। তার যৌবনের উচ্ছ্বলতা ও তন্বী রুপ দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যেতো। আর সেই
স্বভাবদোষ সে বিপথে পা বাড়লো। আমাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে সে অন্য একটি ছেলের হাত ধরে চলে গেলো নতুন সংসারে। মুখে একটু দুধ ও পরে নি। সে অবস্থায় আমাদের ঠাঁই হলো মামা মামীর উঠানে। মামী দশবাড়িতে ঝি এর কাজ করে। আমি একটু বড় হতে না হতেই আমাকে স্কুলে না পাঠিয়ে পরের বাড়িতে ঝি খাটতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। উদয়াস্ত খাটাখাটুনির পর যখন ঘরে ফিরি তখন ভাবি এমন জীবনের কি লাভ? যেখানে দুবেলা দুমুঠো ভাত যোগার করতেই দিন কেটে যায়। তাও মামি কোনো কোনো দিন ঠিক মত খেতেও ডাকে না। ক্লান্ত দেহে চাদর মুড়ি দিয়ে খাটের নিচে ঘুমিয়ে পড়ি।  পরের দিন ভোরে আবার সূর্য মুচকি হেসে বলে সুস্বাগতম। আবার তোকে নতুন করে  কাজে লাগতে হবে। হটাৎ দিদা ঢেকে বলে এই নে পাঁচ টাকা। তুই আমার যে কাজটা কাল করে দিয়েছিলি। এই নে তার বকশিস দিলাম। টাকাটা হাতে পেয়ে আনন্দে মাটিতে পা পরে না আমার। ভাবি কি করা যায়?  এটাকাটা কিভাবে কাজে লাগাবো, কিভাবে খরচ করবো কিছুই তো জানা নেই। হটাৎ পাড়ার মোড়ে একটা দোকান দেখতে পেলাম, ভাবলাম নিজের জন্য তো কোনোদিন কিছুই ভাবিনি। আজকে একটু নতুন করে বাঁচা যাক। হাত   নিশপিশ করতে লাগলো। টাকাটা দোকানদার কে দিয়ে ফেললাম। দোকানদার টা বড্ড ধান্ধাবাজ। টাকাটা নিয়ে নিলো। মাথায় হাত বুলিয়ে তিনটে ছোট ছোট জেলি লজেন্স দিয়ে বললো এটাই নিয়ে যা। প্যাকেট খুলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠলো কার্টুন চিত্র। এগুলোই তো ভাই বোনরা সারাদিন টিভিতে দেখে । কিন্তু আমাকে দেখতে দেয় না। ভাবলাম এটাই তো সেই নতুন করে বাঁচার পথ। প্রতি বাড়িতেই আমি পাই অনেক ধরনের সম্পর্ক। যা রক্তের সম্পর্কের চেয়েও অনেক আপন। ঐ বাড়ি যে দাদু আছে না! ওর চেয়ারের পাশে দাড়ালেই আমার হাতে দশটাকা গুঁজে দেয়। আর আমি সেটা হাতে নিয়েই সটান দে সুট। ঠান্ডায় জবুধুবু শহর। চাদরের তলায় মধ্যবিত্ত মানুষ আরামে দিন কাটাতে ব্যস্ত। আমি দোকানে গিয়ে পুজোর দিনের স্পেশাল চকলেট কেক কিনলাম। দেখলাম রাস্তায় ছোট্ট ছোট্ট দু'টো ভাই বোন বসে আছে। তাদের কাছ দিয়ে যেতেই আমার জামাটা আঁকড়ে ধরে বলে ও দিদি আমাকে একটু খেতে দাওনা? আমরা অনেক দিন ধরে কিছু খাইনি। তখন ওদের কে দেখে আমার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে গেলো। মনে মনে ভাবলাম আজ যদি মামা মামী মাথায় ছাদ না দিতো! তাহলে হয়তো আমাদের ও আশ্রয় হতো ওদেরি মত ফুটপাতে। তারপর বসে কেকটাকে ভাগাভাগি করে ওদের, নিজের হাতে করে খাইয়ে দিলাম। আর ভাবলাম এরকম ছোট্ট ছোট্ট পায়ে খুচরো পয়সায় আনন্দ করে খেয়ে দেয়ে নিজের জন্য ভালো করে বাঁচবো একটু। ওদেরকে বললাম ভালো থাকিস আবার দেখা হবে।
                 **----------------------**