** তিথি**
তিথি এখন হরিহরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের অধ্যাপিক । হরিহরপুর এই একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকে । জীবন তা প্রায় স্কুল এর মতোই রুটিন মাফিক। ফজল এর কর্মজীবন অস্পষ্ট,
ফজলের নিজের কাছেও। সম্ভবত 8 বছর পর হঠাৎ বসে দেখা দুজনের । কাকতলীয় ভাবে বলাই শ্রেয়।
তিথিকে দেখে মেঘ আর বাসা বাধলো না ফজল এর চোখে । শুধু ক্ষনিকের জন্য স্তম্ভিত হয়েছিল আর সারা শরীর জুড়ে জন্ম নিয়েছিল শিহরণ আর শরৎকালে গাছ থেকে পাতা ঝরার মতো এক এম করে ঝরে পড়ছিল চপল রহস্যময়ী , আধোবালিকা , আধোরমনী , জীবনীশক্তিতে ভরপুর অধ্যবসায়ী তিথি। তার ছোট ছোট চোখ আর হাস্যময় ওষ্ঠাধর। হয়তো ফজল ভাবছিল তিথি তার খোঁজ নিবে ,তার হাত ধরবে , হয়তো কফি হাউসে যাবে । তিথিও হয়তো একই ভাবছিল ।
মিনিটখানেক দুজনে একে অপরের দিকে ফ্যালফ্যাল ভাবে তাকিয়ে থাকার পর এক ওপরের বিপরীতে ঘুরে দাড়ালো। এই দৃশ্যে নিজেকে নবজন্মরত শিশু মনে হলো। এ কি সত্যিই ফজল যাকে আমি চিনি ? একরকম অবাক হলাম ।রহস্যময়ই বটে। তিথি কে দেখে বিষ্মিত হবার কিছুই ছিল না। তিথির থেকে এটা প্রত্যাশিত। কিন্তু ফজল ? বিষণ্ণতা , আত্মগ্লানি , অবসাদ ,ভগ্নহৃদয় এরা কোথায় ? ফজল কি তাড়িয়ে দিয়েছে নাকি শিকলবন্দি করে রেখেছে যাতে বেরিয়ে আসতে না পারে ? এরকম অপ্রত্যাশিত দৃশ্যে তিথির মুখে অপ্রত্যাশিত লাল এর আগমন। অভিমানে নাকি লজ্জায় নাকি রাগে ? বাড়ি ফেরার পর সেই চুপচাপ মুহূর্তের অন্তরালের অর্থ গুলি তিথি ক্রমে ক্রমে বুঝতে পারে। একদিন বা দুদিন নয় । সুদীর্ঘ মাস ধরে তার প্রেমে মগ্ন ফজল। তারপর ক্রমে ক্রমে তার সে উন্মাদ ভালোবাসা হয়ে উঠেছে নির্জীব , নিরস , হয়ে উঠেছে ক্লান্ত। হয়তো বা মরেই গিয়েছে।
ফজল দিনের দিনের পর দিন নৈবেদ্য এর মত নিজেকে তিথির কাছে নিবেদন করে চলতো আর তিথি দিনের পর দিন পরাঙ্মুখ হয়ে থাকতো। এখন তিথি তা বুঝতে পারে। তিথি কল্পনা করে ফজলের এমন ভয়ানক উপবাসী ভালোবাসা যে এতকাল বেঁচে আছে তা কল্পনাতীতররূপে বিষ্ময়কর। কিন্তু তিথির হঠাৎ এসব কথা কল্পনা করার কারণ আমার কাছে কপলনাতীত । এটা বোধগম্য যে নিজে থেকে যে প্রেম জন্মেছিলো নিজে থেকেই স্বাভাবিক নিয়মেই চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে। তিথি কে না দেখে এখন ফজল এর দিন কাটে , হ্যাঁ কেটেছে। ফজল এর পরিবর্তনে আশ্চর্য হয়ে তিথি ভাবে যে ঘরে আগুন লাগলে সে আগুন নিভে- বাইরেরও , মনেরও । তাই ফজল এর মনের আগুন কেন চিরদিন জ্বলবে । নিজের ব্যাকুলতা তিথিকে ব্যাকুল করে তোলে । কিন্তু তিথির মধ্যে কেন এই ব্যাকুলতা ? কোন ধরণের ব্যাকুলতা ? সত্যিই কি ব্যাকুলতা নাকি দিবাস্বপ্নের ব্যাকুলতা?
|| William Wss||
.....19/09/17.....
তিথি এখন হরিহরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের অধ্যাপিক । হরিহরপুর এই একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকে । জীবন তা প্রায় স্কুল এর মতোই রুটিন মাফিক। ফজল এর কর্মজীবন অস্পষ্ট,
ফজলের নিজের কাছেও। সম্ভবত 8 বছর পর হঠাৎ বসে দেখা দুজনের । কাকতলীয় ভাবে বলাই শ্রেয়।
তিথিকে দেখে মেঘ আর বাসা বাধলো না ফজল এর চোখে । শুধু ক্ষনিকের জন্য স্তম্ভিত হয়েছিল আর সারা শরীর জুড়ে জন্ম নিয়েছিল শিহরণ আর শরৎকালে গাছ থেকে পাতা ঝরার মতো এক এম করে ঝরে পড়ছিল চপল রহস্যময়ী , আধোবালিকা , আধোরমনী , জীবনীশক্তিতে ভরপুর অধ্যবসায়ী তিথি। তার ছোট ছোট চোখ আর হাস্যময় ওষ্ঠাধর। হয়তো ফজল ভাবছিল তিথি তার খোঁজ নিবে ,তার হাত ধরবে , হয়তো কফি হাউসে যাবে । তিথিও হয়তো একই ভাবছিল ।
মিনিটখানেক দুজনে একে অপরের দিকে ফ্যালফ্যাল ভাবে তাকিয়ে থাকার পর এক ওপরের বিপরীতে ঘুরে দাড়ালো। এই দৃশ্যে নিজেকে নবজন্মরত শিশু মনে হলো। এ কি সত্যিই ফজল যাকে আমি চিনি ? একরকম অবাক হলাম ।রহস্যময়ই বটে। তিথি কে দেখে বিষ্মিত হবার কিছুই ছিল না। তিথির থেকে এটা প্রত্যাশিত। কিন্তু ফজল ? বিষণ্ণতা , আত্মগ্লানি , অবসাদ ,ভগ্নহৃদয় এরা কোথায় ? ফজল কি তাড়িয়ে দিয়েছে নাকি শিকলবন্দি করে রেখেছে যাতে বেরিয়ে আসতে না পারে ? এরকম অপ্রত্যাশিত দৃশ্যে তিথির মুখে অপ্রত্যাশিত লাল এর আগমন। অভিমানে নাকি লজ্জায় নাকি রাগে ? বাড়ি ফেরার পর সেই চুপচাপ মুহূর্তের অন্তরালের অর্থ গুলি তিথি ক্রমে ক্রমে বুঝতে পারে। একদিন বা দুদিন নয় । সুদীর্ঘ মাস ধরে তার প্রেমে মগ্ন ফজল। তারপর ক্রমে ক্রমে তার সে উন্মাদ ভালোবাসা হয়ে উঠেছে নির্জীব , নিরস , হয়ে উঠেছে ক্লান্ত। হয়তো বা মরেই গিয়েছে।
ফজল দিনের দিনের পর দিন নৈবেদ্য এর মত নিজেকে তিথির কাছে নিবেদন করে চলতো আর তিথি দিনের পর দিন পরাঙ্মুখ হয়ে থাকতো। এখন তিথি তা বুঝতে পারে। তিথি কল্পনা করে ফজলের এমন ভয়ানক উপবাসী ভালোবাসা যে এতকাল বেঁচে আছে তা কল্পনাতীতররূপে বিষ্ময়কর। কিন্তু তিথির হঠাৎ এসব কথা কল্পনা করার কারণ আমার কাছে কপলনাতীত । এটা বোধগম্য যে নিজে থেকে যে প্রেম জন্মেছিলো নিজে থেকেই স্বাভাবিক নিয়মেই চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে। তিথি কে না দেখে এখন ফজল এর দিন কাটে , হ্যাঁ কেটেছে। ফজল এর পরিবর্তনে আশ্চর্য হয়ে তিথি ভাবে যে ঘরে আগুন লাগলে সে আগুন নিভে- বাইরেরও , মনেরও । তাই ফজল এর মনের আগুন কেন চিরদিন জ্বলবে । নিজের ব্যাকুলতা তিথিকে ব্যাকুল করে তোলে । কিন্তু তিথির মধ্যে কেন এই ব্যাকুলতা ? কোন ধরণের ব্যাকুলতা ? সত্যিই কি ব্যাকুলতা নাকি দিবাস্বপ্নের ব্যাকুলতা?
|| William Wss||
.....19/09/17.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন